খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

বইমেলার অর্থনীতি : বৈষম্য প্রেক্ষিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:২৮ অপরাহ্ণ
বইমেলার অর্থনীতি : বৈষম্য প্রেক্ষিত

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাসব্যাপী চলছে বইমেলা। মেলায় অংশ নেওয়া ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ১ হাজার ৮৪ ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৬০৯টি প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এবার মোট প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৭টি, যার মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩৬টি। লিটলম্যাগ চত্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায় করা হয়েছে। সেখানে ১৩০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিশু চত্বরে ৭৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১২০ ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মেলার পুরো মাস জুড়ে এইসব স্টলে থাকে ভিড়। প্যাভিলিয়ন বা স্টলে ব্যস্ততা অঢেল, তড়িৎ চলাফেরা, হাঁক-ডাক, শোরগোল লেগেই থাকে। এর বাইরে ক্রেতা-পাঠকদের ভিড়, গাদাগাদি, ঠেলাঠেলি তো আছেই। বই ব্যাগে ভরা হচ্ছে, টাকা দেওয়া হচ্ছে, রশিদ কাটা হচ্ছে—সব মিলিয়ে একটা দক্ষযজ্ঞ ব্যাপার।

আশেপাশে অনেক স্টল সাজানো গোছানো। রংপুর থেকে এসেছে একটি প্রকাশনী সংস্থা। স্মিতহাস্যের এক যুবক বসে আছেন স্টলে। মাঝে মাঝে দুই একজন সেখানে আসছেন, দুই চারটা বই উল্টেপাল্টে দেখে চলে যাচ্ছেন। না, বই বিক্রি হচ্ছে না তেমন। কেউ বইগুলোর সামনে দাঁড়ালে বিক্রেতা যুবকটির মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠছে—প্রত্যাশা করছেন যে, বই বিক্রি হতে পারে।

যে কেউ কোনো বই হাতে নিলে, সে যুবাটি বইটি সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছেন। তাতে কিছুটা ফল হচ্ছে—কেউ কেউ দুই একটা বই কিনছেন বটে। কিন্তু তেমনটা নয়। ক্যাশবাক্সের দিকে তাকিয়ে দেখা গেল, সেখানে ক’টা একশ টাকার নোট ভিন্ন আর কিছুই নেই। ‘এমন বিক্রি-বাট্টা হলে দোকানের ভাড়াই যে উঠবে না’—ভ্রু-কুঞ্চিত হয় বিক্রেতা যুবাটির।

বিজ্ঞাপন

ঠিক সে সময়েই আমি দাঁড়ালাম স্টলের সামনে। চোখ যায় একটি কবিতার বইয়ের দিকে। পকেট থেকে টাকা বের করি বইটি কেনার উদ্দেশে। কিনে নেই বইটি—তাকাই বিক্রেতা যুবকটির পরিতৃপ্ত মুখের দিকে।

সে স্টল থেকে কৌণিকভাবে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা পথ দিয়ে ক্লান্ত পায়ে চলছিলেন একজন। আটপৌরে শাড়ি পরা প্রৌঢ়া মহিলা, কাঁধে একটি ঝোলা, হাতে ধরা কটি বই—এমনভাবে ধরেছেন যেন সবাই দেখতে পায়। বোঝা গেল যে, হাতে ধরা বইটির লেখক তিনি নিজে। পাশ দিয়ে কেউ গেলেই মহিলা থামাচ্ছেন, এগিয়ে ধরছেন তার বইটি, অনুরোধ করছেন কিনতে।

…এই যে এত সব পার্থক্য, এত যে ফারাক, তার তো একটা অর্থনৈতিক ব্যাপ্তি আছে—যা আসলে বৈষম্যের। আন্দাজ করতে পারি যে, চুক্তি সম্পাদনের সময়ে প্রথম বইটির লেখকের যে সম্মানী ধরা হয়েছে, দ্বিতীয় লেখকের ভাগ্যে তা জোটেনি।

উঁহু, এ পর্যন্ত কাউকেই সে বইটি কিনতে দেখা গেল না। কেউ তার অনুরোধের দিকে ভ্রূক্ষেপ না করে তাকে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছেন, কেউ কেউ অবশ্য মৃদু হেসে হাত নেড়ে তাদের অপারগতার কথা মহিলাকে জানাচ্ছেন। মুখোমুখি আমরা দুইজন থামি। মহিলাটি আমার সামনে তার বইটি তুলে ধরলে আমি বিনাবাক্যে সেটি কিনে নেই। খুশির আভা ছড়িয়ে পড়ে আমাদের দুইজনের মুখেই—তিনি বিক্রি করতে পেরে এবং আমি কিনতে পেরে।

এতটা পথ হেঁটে ক্লান্ত বোধ করি। বসে পড়ি সিমেন্ট বাঁধানো একটা বেঞ্চিতে। ব্যাগ থেকে বোতল বের করে কয়েক ঢোঁক পানি খাই, মুখ মুছি। তারপর এক এক করে কেনা বই তিনটি চোখের সামনে তুলে ধরি। বই তিনটির বিষয়বস্তুর উৎকর্ষতা কোনটি কী রকম, তা জানি না, তবে উল্টে-পাল্টে দেখে তিনটি জিনিস পরিষ্কার হয়ে যায় আমার কাছে।

এক, তিনটে বইয়ের প্রথমটি একজন খ্যাতিমান লেখকের লেখা; দ্বিতীয় বইটির কবির পরিচিতি আছে কিছুটা, কিন্তু তিনি বিখ্যাত কোনো কবি নন, আর তৃতীয় বইটির লেখক একেবারেই অজানা আমার কাছে।

দুই, সেই সঙ্গে প্রচ্ছদ ও প্রচ্ছদ শিল্পীর নামের দিকে বুঝতে পারি যে, বই তিনটির লেখকদের মতো তাদের প্রচ্ছদ শিল্পীদের মধ্যেও তারতম্য রয়েছে। প্রথম বইটির প্রচ্ছদ শিল্পী আমাদের দেশের অন্যতম এক শিল্পী, অন্য দুটোর শিল্পী আমার কাছে অপরিচিত।

তিন, বই তিনটির কাগজ, ছাপা, অঙ্গসৌষ্ঠব, বাঁধাইের ভেতরেও ফারাক অনেক।

এইসব ভাবতে ভাবতে মনে হলো, এই যে এত সব পার্থক্য, এত যে ফারাক, তার তো একটা অর্থনৈতিক ব্যাপ্তি আছে—যা আসলে বৈষম্যের। আন্দাজ করতে পারি যে, চুক্তি সম্পাদনের সময়ে প্রথম বইটির লেখকের যে সম্মানী ধরা হয়েছে, দ্বিতীয় লেখকের ভাগ্যে তা জোটেনি। হয়তো তার সঙ্গে কোনো চুক্তিপত্রই সম্পাদিত হয়নি। চুক্তি কিংবা সম্মানীর কথা তো অপ্রাসঙ্গিক তৃতীয় লেখকের ক্ষেত্রে। তেমনি সম্মানীর নিশ্চয়ই উল্লেখযোগ্য তারতম্য আছে তিন প্রচ্ছদ শিল্পীর মধ্যে। বই উল্টে বুঝতে পারলাম যে, তৃতীয় বইটির লেখক এবং প্রচ্ছদ শিল্পী একই ব্যক্তি—হতে পারে, সেই ব্যক্তিটি একাধারে লেখক এবং শিল্পী, কিন্তু এমনও তো হতে পারে ব্যয় সংকোচ করার জন্যেই এমনটা করা হয়েছে। সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই, প্রথম বইটির প্রকাশনার পেছনে বেশ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। বইটির কাগজ অত্যন্ত দামি। বিখ্যাত মুদ্রকের কাছে বইটি ছাপা হয়েছে। মুদ্রণের ছোঁয়া বইটির পাতায় পাতায়। ভুল তেমনটা চোখে পড়ে না। বাঁধাই অত্যন্ত শক্ত, খুলে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই।

এর বিপরীতে অন্য দু’টি বইয়ের পেছনে যে অর্থের সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তা স্পষ্ট। বইয়ের কাগজ অত ভালো নয়, ছাপা ভালো মানের নয়, ছাপার ভুলও অনেক। মানে, নিখুঁত সম্পাদনার জন্যে প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করা যায়নি। বাঁধাইও হয়েছে সস্তা জায়গায়—ফলে, বাঁধাইয়ের অবস্থাও সঙ্গিন। মনে হচ্ছে, বই এখনই খুলে খুলে আসবে। সারা মেলা বাতিতে বাতিতে ঝলমল করছে। চোখ মেলে তাকাই চারদিকে। কোনো কোনো স্টল বা প্যাভিলিয়নের আকার, সাজসজ্জা, বাতি আর জৌলুস চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। অন্যগুলো যেন লুকিয়ে রাখতে চাইছে নিজেকে।

উঠে পড়লাম, এবার ফিরতে হবে। দুইজন সুবেশ ভদ্রলোক আমার সামনে চলছেন। তাদের পেছনে অন্য আরেকজন লোক বিশাল দুটো বইয়ের ব্যাগ দুই হাতে বহন করছেন—ব্যাগের ভারে বহনকারী প্রায় নুয়ে পড়েছেন। কানে এলো, প্রথম ব্যক্তিটি পরম পরিতৃপ্তির সঙ্গে দ্বিতীয় ব্যক্তিটিকে বলছেন, ‘প্রায় ৫ হাজার টাকা কিনলাম’। ‘কী কী বই কিনলেন?’

দ্বিতীয় ব্যক্তির প্রশ্ন। ‘তাতো ঠিক বলতে পারবো না। দোকানি যেগুলো ভালো বলেছে, সেগুলোই কিনে নিয়েছি। তার কথা শুনে মনে হলো, তিনি যেন মাছ কিনতে বেরিয়েছিলেন। ‘সেকি! পড়ে দেখেননি?’, দ্বিতীয় ব্যক্তি আঁতকে ওঠেন। ‘পড়ার কি সময় আছে আমার? বসার ঘরে সাজিয়ে রাখবো, দেখতে পাবে সবাই’, প্রথম ব্যক্তির জবাব। তাদের দুইজনকে পাশ কাটিয়ে যখন একটি শিশুতোষ প্রকাশনীর পাশ দিয়ে যখন যাচ্ছি, তখন দেখি আরেক দৃশ্য। বাচ্চাদের একটি বই নিয়ে বাবা-ছেলেতে টানাটানি। বুঝলাম, ছেলেটি বইটি চায়, কিন্তু বাবা তাকে নানাভাবে বোঝাচ্ছেন যে, তার পকেটে আর এত টাকা নেই।

‘তোমাকে না তিনটে বই কিনে দিলাম, বাবা। আর তো কেনার মতো টাকা নেই আমার কাছে’। ‘বইটার দাম বেশি না, বাবা। মাত্র দু’শো টাকা। দাও না কিনে?’ ‘না, বাবা। এবার আর হবে না’। ‘এরমধ্যেই ৭০০ টাকার বই কিনেছি। আর টাকা নেই আমার কাছে’, বাবার কণ্ঠস্বরটি করুণ হয়ে ওঠে।

ছেলের হাত থেকে বইটি নিয়ে বাবা ফেরত রেখে দেন, তারপর পা বাড়ান সামনের দিকে। ছেলেটি মুখ কালো করে বাবাকে অনুসরণ করে—একবার করুণ চোখে তাকায় পেছনের দিকে, ফেলে আসা বইটির দিকে। এই তো প্রায় ফটকের কাছে এসে গেছি। সারা মেলা বাতিতে বাতিতে ঝলমল করছে। চোখ মেলে তাকাই চারদিকে। কোনো কোনো স্টল বা প্যাভিলিয়নের আকার, সাজসজ্জা, বাতি আর জৌলুস চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। অন্যগুলো যেন লুকিয়ে রাখতে চাইছে নিজেকে। মনে মনে ভাবি, ওই বড় বড় স্টল বা প্যাভিলিয়নগুলো না জানি কত খরচ হয়েছে—প্রখ্যাত স্থপতি, বিখ্যাত শিল্পী, দক্ষ মিস্ত্রি, দামি উপকরণ ও অনুষঙ্গ। জানি, ছোট ছোট স্টলগুলোর সঙ্গতি হয়নি এসব করার। অল্প অর্থে কাজ সেরেছে তারা।কথায় কথায় আমরা আজকাল অসমতার কথা বলি, বলি অর্থনৈতিক বৈষম্যের কথা। বইমেলার ক্ষেত্রেও সেটা সত্যি। বইমেলার অর্থনীতিই তো একমাত্র কথা নয়, শেষ কথা তো নয়, সে অর্থনীতির বৈষম্য যে বড় প্রকট।

ড. সেলিম জাহান ।। ভূতপূর্ব পরিচালক, মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন দপ্তর এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ বিভাগ, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র

কচুয়ায় দুই দিনব্যাপী গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ

কচুয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৯:১৪ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় দুই দিনব্যাপী গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ

কচুয়ায় গ্রাম আদালত বিষয়ক ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কচুয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের বাস্তবায়নে কচুয়া উপজেলার ইউপি সদস্য ও সদস্যদের নিয়ে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার ও মঙ্গলবার কচুয়া উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ২দিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণ প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মেজবাহ উদ্দিন, কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম।

১ম দিনের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণের নিয়ম নীতি, প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য এবং প্রশিক্ষণ পূর্ব মূল্যায়ন করা হয়। গ্রাম আদালত কি? গ্রাম আদালতের গঠন, শক্তি, এখতিয়ার, ক্ষমতা, গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য মামলা তফসিলের প্রথম অংশে ফৌজদারী ও দ্বিতীয় অংশে দেওয়ানি বিষয় নিয়ে ভিডিও প্রদর্শনী ও প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে দুই পরিবহনকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৯:০৫ অপরাহ্ণ
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে দুই পরিবহনকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা

চাঁদপুরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে পদ্মা ও আইদি পরিবহনকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আসন্ন ঈদুল আজহায় ঘরমুখী যাত্রীদের হয়রানি বন্ধে চাঁদপুর পৌর বাস টার্মিনালে এই অভিযান পরিচালনা করে বিএরটিএ চাঁদপুর সার্কেল।

সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় চাঁদপুর বাস টার্মিনাল ও আশপাশের বাস কাউন্টার গুলোতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: মাসুদ রানা। এসময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে দুইটি পরিবহনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বিআরটিএ সূত্রে জানা যায়, সড়কে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে ও সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ফিটনেসবিহীন যানবাহন নিয়ন্ত্রণে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে প্রতিটি বাস কাউন্টারে ভাড়ার তালিকা সাটানোসহ বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ চাঁদপুর সার্কেলের মোটর যান পরিদর্শক মো: আলাউদ্দিন, সহকারী মোটর যান পরিদর্শক মো: শামীম মিয়াসহ পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠের নেতৃবৃন্দ, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা।

এবিষয়ে বিআরটিএ মোটরযান পরিদর্শক মোঃ আলা উদ্দিন বলেন, ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে বিআরটিএ চেয়ারম্যান এর নির্দেশে সড়ক নিরাপদ ও যাত্রী হয়রানি মুক্ত রাখতে রেজিস্ট্রেশন বিহীন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ গাড়ি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যেহেতু চাঁদপুর থেকে বিভিন্ন জেলার মানুষ বাসে যাতায়াত করে। তাই দূরপাল্লার যাত্রীদের থেকে যেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে বিআরটিএ কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে আমাদের এই অভিযান চলমান থাকবে।

কচুয়ায় প্রবাসী ফোরামের উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ

কচুয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৮:৫৩ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় প্রবাসী ফোরামের উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ

কচুয়া উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আলোচনা সভা ও পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে ইউনিয়ন প্রবাসী ফোরামের আয়োজনে ঈদ উপহার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মহিলা দলের সহ-সভানেত্রী নাজমুন নাহার বেবী।

ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মোঃ শাহ আলম মোল্লার সভাপতিত্বে ও উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাউছার হোসেন, বিএনপি নেতা জামাল হোসেনের যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সমন্বয়ক শাহজালাল প্রধান জালাল, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আজিজ মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ এলাহী সুবাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নয়ন, আইনগিরি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী শান্তা ইয়াসমিন পপি, বিএনপি নেতা তাবারক উল্লাহ, উপজেলা যুবদলের নেতা জাকির হোসেন সুমন, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আতিকুর রহমান বাবুল, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন প্রধান, সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কবির হোসেন, ইউনিয়ন মহিলা দলের সভানেত্রী বিলকিস বেগম, ইউনিয়ন প্রবাসী ফোরামের সভাপতি বোরহান র্মিজা, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

আয়োজনের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন প্রবাসী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রাকিব মিয়াজী, সহ-সভাপতি সজীব হোসেন, বোরহান উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রহমত উল্লাহ, রবিন হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ছাত্রদল নেতা সবুজুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক গাজী মানিক প্রমুখ। এসময় ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা শেষে ইউনিয়নে দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও এলাকার গরীব অসহায়দের মাঝে পবিত্র ঈদুল আজহা ঈদ উপহার বিতরণ করেন।