খুঁজুন
শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ১১ শ্রাবণ, ১৪৩২

বইমেলার অর্থনীতি : বৈষম্য প্রেক্ষিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:২৮ অপরাহ্ণ
বইমেলার অর্থনীতি : বৈষম্য প্রেক্ষিত

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাসব্যাপী চলছে বইমেলা। মেলায় অংশ নেওয়া ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ১ হাজার ৮৪ ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৬০৯টি প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এবার মোট প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৭টি, যার মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩৬টি। লিটলম্যাগ চত্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায় করা হয়েছে। সেখানে ১৩০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিশু চত্বরে ৭৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১২০ ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মেলার পুরো মাস জুড়ে এইসব স্টলে থাকে ভিড়। প্যাভিলিয়ন বা স্টলে ব্যস্ততা অঢেল, তড়িৎ চলাফেরা, হাঁক-ডাক, শোরগোল লেগেই থাকে। এর বাইরে ক্রেতা-পাঠকদের ভিড়, গাদাগাদি, ঠেলাঠেলি তো আছেই। বই ব্যাগে ভরা হচ্ছে, টাকা দেওয়া হচ্ছে, রশিদ কাটা হচ্ছে—সব মিলিয়ে একটা দক্ষযজ্ঞ ব্যাপার।

আশেপাশে অনেক স্টল সাজানো গোছানো। রংপুর থেকে এসেছে একটি প্রকাশনী সংস্থা। স্মিতহাস্যের এক যুবক বসে আছেন স্টলে। মাঝে মাঝে দুই একজন সেখানে আসছেন, দুই চারটা বই উল্টেপাল্টে দেখে চলে যাচ্ছেন। না, বই বিক্রি হচ্ছে না তেমন। কেউ বইগুলোর সামনে দাঁড়ালে বিক্রেতা যুবকটির মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠছে—প্রত্যাশা করছেন যে, বই বিক্রি হতে পারে।

যে কেউ কোনো বই হাতে নিলে, সে যুবাটি বইটি সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছেন। তাতে কিছুটা ফল হচ্ছে—কেউ কেউ দুই একটা বই কিনছেন বটে। কিন্তু তেমনটা নয়। ক্যাশবাক্সের দিকে তাকিয়ে দেখা গেল, সেখানে ক’টা একশ টাকার নোট ভিন্ন আর কিছুই নেই। ‘এমন বিক্রি-বাট্টা হলে দোকানের ভাড়াই যে উঠবে না’—ভ্রু-কুঞ্চিত হয় বিক্রেতা যুবাটির।

বিজ্ঞাপন

ঠিক সে সময়েই আমি দাঁড়ালাম স্টলের সামনে। চোখ যায় একটি কবিতার বইয়ের দিকে। পকেট থেকে টাকা বের করি বইটি কেনার উদ্দেশে। কিনে নেই বইটি—তাকাই বিক্রেতা যুবকটির পরিতৃপ্ত মুখের দিকে।

সে স্টল থেকে কৌণিকভাবে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা পথ দিয়ে ক্লান্ত পায়ে চলছিলেন একজন। আটপৌরে শাড়ি পরা প্রৌঢ়া মহিলা, কাঁধে একটি ঝোলা, হাতে ধরা কটি বই—এমনভাবে ধরেছেন যেন সবাই দেখতে পায়। বোঝা গেল যে, হাতে ধরা বইটির লেখক তিনি নিজে। পাশ দিয়ে কেউ গেলেই মহিলা থামাচ্ছেন, এগিয়ে ধরছেন তার বইটি, অনুরোধ করছেন কিনতে।

…এই যে এত সব পার্থক্য, এত যে ফারাক, তার তো একটা অর্থনৈতিক ব্যাপ্তি আছে—যা আসলে বৈষম্যের। আন্দাজ করতে পারি যে, চুক্তি সম্পাদনের সময়ে প্রথম বইটির লেখকের যে সম্মানী ধরা হয়েছে, দ্বিতীয় লেখকের ভাগ্যে তা জোটেনি।

উঁহু, এ পর্যন্ত কাউকেই সে বইটি কিনতে দেখা গেল না। কেউ তার অনুরোধের দিকে ভ্রূক্ষেপ না করে তাকে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছেন, কেউ কেউ অবশ্য মৃদু হেসে হাত নেড়ে তাদের অপারগতার কথা মহিলাকে জানাচ্ছেন। মুখোমুখি আমরা দুইজন থামি। মহিলাটি আমার সামনে তার বইটি তুলে ধরলে আমি বিনাবাক্যে সেটি কিনে নেই। খুশির আভা ছড়িয়ে পড়ে আমাদের দুইজনের মুখেই—তিনি বিক্রি করতে পেরে এবং আমি কিনতে পেরে।

এতটা পথ হেঁটে ক্লান্ত বোধ করি। বসে পড়ি সিমেন্ট বাঁধানো একটা বেঞ্চিতে। ব্যাগ থেকে বোতল বের করে কয়েক ঢোঁক পানি খাই, মুখ মুছি। তারপর এক এক করে কেনা বই তিনটি চোখের সামনে তুলে ধরি। বই তিনটির বিষয়বস্তুর উৎকর্ষতা কোনটি কী রকম, তা জানি না, তবে উল্টে-পাল্টে দেখে তিনটি জিনিস পরিষ্কার হয়ে যায় আমার কাছে।

এক, তিনটে বইয়ের প্রথমটি একজন খ্যাতিমান লেখকের লেখা; দ্বিতীয় বইটির কবির পরিচিতি আছে কিছুটা, কিন্তু তিনি বিখ্যাত কোনো কবি নন, আর তৃতীয় বইটির লেখক একেবারেই অজানা আমার কাছে।

দুই, সেই সঙ্গে প্রচ্ছদ ও প্রচ্ছদ শিল্পীর নামের দিকে বুঝতে পারি যে, বই তিনটির লেখকদের মতো তাদের প্রচ্ছদ শিল্পীদের মধ্যেও তারতম্য রয়েছে। প্রথম বইটির প্রচ্ছদ শিল্পী আমাদের দেশের অন্যতম এক শিল্পী, অন্য দুটোর শিল্পী আমার কাছে অপরিচিত।

তিন, বই তিনটির কাগজ, ছাপা, অঙ্গসৌষ্ঠব, বাঁধাইের ভেতরেও ফারাক অনেক।

এইসব ভাবতে ভাবতে মনে হলো, এই যে এত সব পার্থক্য, এত যে ফারাক, তার তো একটা অর্থনৈতিক ব্যাপ্তি আছে—যা আসলে বৈষম্যের। আন্দাজ করতে পারি যে, চুক্তি সম্পাদনের সময়ে প্রথম বইটির লেখকের যে সম্মানী ধরা হয়েছে, দ্বিতীয় লেখকের ভাগ্যে তা জোটেনি। হয়তো তার সঙ্গে কোনো চুক্তিপত্রই সম্পাদিত হয়নি। চুক্তি কিংবা সম্মানীর কথা তো অপ্রাসঙ্গিক তৃতীয় লেখকের ক্ষেত্রে। তেমনি সম্মানীর নিশ্চয়ই উল্লেখযোগ্য তারতম্য আছে তিন প্রচ্ছদ শিল্পীর মধ্যে। বই উল্টে বুঝতে পারলাম যে, তৃতীয় বইটির লেখক এবং প্রচ্ছদ শিল্পী একই ব্যক্তি—হতে পারে, সেই ব্যক্তিটি একাধারে লেখক এবং শিল্পী, কিন্তু এমনও তো হতে পারে ব্যয় সংকোচ করার জন্যেই এমনটা করা হয়েছে। সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই, প্রথম বইটির প্রকাশনার পেছনে বেশ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। বইটির কাগজ অত্যন্ত দামি। বিখ্যাত মুদ্রকের কাছে বইটি ছাপা হয়েছে। মুদ্রণের ছোঁয়া বইটির পাতায় পাতায়। ভুল তেমনটা চোখে পড়ে না। বাঁধাই অত্যন্ত শক্ত, খুলে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই।

এর বিপরীতে অন্য দু’টি বইয়ের পেছনে যে অর্থের সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তা স্পষ্ট। বইয়ের কাগজ অত ভালো নয়, ছাপা ভালো মানের নয়, ছাপার ভুলও অনেক। মানে, নিখুঁত সম্পাদনার জন্যে প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করা যায়নি। বাঁধাইও হয়েছে সস্তা জায়গায়—ফলে, বাঁধাইয়ের অবস্থাও সঙ্গিন। মনে হচ্ছে, বই এখনই খুলে খুলে আসবে। সারা মেলা বাতিতে বাতিতে ঝলমল করছে। চোখ মেলে তাকাই চারদিকে। কোনো কোনো স্টল বা প্যাভিলিয়নের আকার, সাজসজ্জা, বাতি আর জৌলুস চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। অন্যগুলো যেন লুকিয়ে রাখতে চাইছে নিজেকে।

উঠে পড়লাম, এবার ফিরতে হবে। দুইজন সুবেশ ভদ্রলোক আমার সামনে চলছেন। তাদের পেছনে অন্য আরেকজন লোক বিশাল দুটো বইয়ের ব্যাগ দুই হাতে বহন করছেন—ব্যাগের ভারে বহনকারী প্রায় নুয়ে পড়েছেন। কানে এলো, প্রথম ব্যক্তিটি পরম পরিতৃপ্তির সঙ্গে দ্বিতীয় ব্যক্তিটিকে বলছেন, ‘প্রায় ৫ হাজার টাকা কিনলাম’। ‘কী কী বই কিনলেন?’

দ্বিতীয় ব্যক্তির প্রশ্ন। ‘তাতো ঠিক বলতে পারবো না। দোকানি যেগুলো ভালো বলেছে, সেগুলোই কিনে নিয়েছি। তার কথা শুনে মনে হলো, তিনি যেন মাছ কিনতে বেরিয়েছিলেন। ‘সেকি! পড়ে দেখেননি?’, দ্বিতীয় ব্যক্তি আঁতকে ওঠেন। ‘পড়ার কি সময় আছে আমার? বসার ঘরে সাজিয়ে রাখবো, দেখতে পাবে সবাই’, প্রথম ব্যক্তির জবাব। তাদের দুইজনকে পাশ কাটিয়ে যখন একটি শিশুতোষ প্রকাশনীর পাশ দিয়ে যখন যাচ্ছি, তখন দেখি আরেক দৃশ্য। বাচ্চাদের একটি বই নিয়ে বাবা-ছেলেতে টানাটানি। বুঝলাম, ছেলেটি বইটি চায়, কিন্তু বাবা তাকে নানাভাবে বোঝাচ্ছেন যে, তার পকেটে আর এত টাকা নেই।

‘তোমাকে না তিনটে বই কিনে দিলাম, বাবা। আর তো কেনার মতো টাকা নেই আমার কাছে’। ‘বইটার দাম বেশি না, বাবা। মাত্র দু’শো টাকা। দাও না কিনে?’ ‘না, বাবা। এবার আর হবে না’। ‘এরমধ্যেই ৭০০ টাকার বই কিনেছি। আর টাকা নেই আমার কাছে’, বাবার কণ্ঠস্বরটি করুণ হয়ে ওঠে।

ছেলের হাত থেকে বইটি নিয়ে বাবা ফেরত রেখে দেন, তারপর পা বাড়ান সামনের দিকে। ছেলেটি মুখ কালো করে বাবাকে অনুসরণ করে—একবার করুণ চোখে তাকায় পেছনের দিকে, ফেলে আসা বইটির দিকে। এই তো প্রায় ফটকের কাছে এসে গেছি। সারা মেলা বাতিতে বাতিতে ঝলমল করছে। চোখ মেলে তাকাই চারদিকে। কোনো কোনো স্টল বা প্যাভিলিয়নের আকার, সাজসজ্জা, বাতি আর জৌলুস চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। অন্যগুলো যেন লুকিয়ে রাখতে চাইছে নিজেকে। মনে মনে ভাবি, ওই বড় বড় স্টল বা প্যাভিলিয়নগুলো না জানি কত খরচ হয়েছে—প্রখ্যাত স্থপতি, বিখ্যাত শিল্পী, দক্ষ মিস্ত্রি, দামি উপকরণ ও অনুষঙ্গ। জানি, ছোট ছোট স্টলগুলোর সঙ্গতি হয়নি এসব করার। অল্প অর্থে কাজ সেরেছে তারা।কথায় কথায় আমরা আজকাল অসমতার কথা বলি, বলি অর্থনৈতিক বৈষম্যের কথা। বইমেলার ক্ষেত্রেও সেটা সত্যি। বইমেলার অর্থনীতিই তো একমাত্র কথা নয়, শেষ কথা তো নয়, সে অর্থনীতির বৈষম্য যে বড় প্রকট।

ড. সেলিম জাহান ।। ভূতপূর্ব পরিচালক, মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন দপ্তর এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ বিভাগ, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র

আহ্বায়ক টিএইচএম জাহাঙ্গীর ও সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন

বাংলাদেশ রিপোর্টার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশ রিপোর্টার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠিত

বাংলাদেশ রিপোর্টার্স কাউন্সিল (বিআরসি)কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই ২০২৫) বিকেলে ভার্চুয়াল মিটিংয়ের মাধ্যমে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির মেয়াদ ৬ মাস। বাংলাদেশ রিপোর্টার্স কাউন্সিলের আহবায়ক করা হয়েছে টি এইচ এম জাহাঙ্গীর, সদস্য সচিব হয়েছেন অপরাধ অনুসন্ধান পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার মো. বিল্লাল হোসেন।

৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি নিম্নরূপ : আহ্বায়ক চ্যানেল এস-এর জয়েন্ট নিউজ এডিটর টিএই এম জাহাঙ্গীর ও সদস্য সচিব হয়েছেন অপরাধ অনুসন্ধান পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার মো. বিল্লাল হোসেন।

যুগ্ম-আহবায়ক : দি ডেইলী স্টেটের সম্পাদক রফিক উল্লাহ্ সিকদার, অর্থনীতির ৩০দিনের সম্পাদক খোন্দকার জিল্লুর রহমান, অর্থধারার নির্বাহী সম্পাদক জাহিদ আহমদ চৌধুরী বিপুল, ডেইলী প্রেজেন্ট টাইমসের প্রধান সম্পাদক মো: ওমর ফারুক জালাল, বিটিভির সিনিয়র রিপোর্টার লায়লা ফেরদৌসী শোহেলী,  ক্রাইম নিউজ গবেষকের হারুন আল কবির নিক্সন, দৈনিক সংবাদ প্রতিক্ষণের সম্পাদক মো. আব্দুল আউয়াল সেতু, বিটিভির সিনিয়র রিপোর্টার নার্গিস জুঁই, খিলগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি এমএইচ পাপ্পু চৌধুরী, আজকের প্রভাতের সিনিয়র রিপোর্টার ওমর ফারুক, সদস্য সচিব অপরাধ অনুসন্ধানের সিনিয়র রিপোর্টার মো: বিল্লাল হোসেন, অর্থ-সচিব বাংলা টাইমসের বার্তা সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান।

সদস্যরা হলেন : নেক্সাস টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি তালাত মাহমুদ, একুশে টেলিভিশনের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মানিক সিকদার, সিআইএস-এর চীফ ক্রাইম রিপোর্টার এফএইচঅপু, রূপান্তর সংবাদের বাংলাদেশ প্রতিনিধি এস এম মেহেদী,  সময়ের বাংলাদেশের শরীফ মোহাম্মদ মাসুম, জিটুফোর সম্পাদক মো. আমিরুল ইসলাম, বিডি টাইমস নিউজের সম্পাদক নোমান রহমান, সাপ্তাহিক আমাদের অধিকারের সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন,  ডেইলী রূপসী বাংলার সম্পাদক উজ্জ্বল হোসাইন, সোনালী খবরের সম্পাদক মনিরুজ্জামান মিয়া, নারায়নগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, ভয়েজ এশিয়া ডট কম-এর বার্তা সম্পাদক মো. সাজেদুল হক (ডিউক), বার্তা প্রবাহ যুগ্ম-সম্পাদক  মো. সালাহ উদ্দিন (সালেহ বিপ্লব), বাংলা নিউজ ২৪.কম রিপোর্টার দেলোয়ার হোসেন বাদল, দৈনিক নতুন আশার সম্পাদক আকাশ মিয়াজী, ডেইলী অবজারভার-এর স্টাফ রিপোর্টার তানভির রায়হান, ডেইলী পোস্ট-এর সিনিয়র রিপোর্টার আল-ইহসান, দি৷ ডেইলী আর্থ-এর সহ-সম্পাদক মোহাম্মদ সাজিদ, দৈনিক মুক্তখবর রিপোর্টার আহমদ আলী, দৈনিক গণকন্ঠ-এর সি: রিপোর্টার মো. সিকান্দর আলী, সময় নিউজ বিডির সম্পাদক মো. আশরাফুল আলম, বিজনেস আই বাংলাদেশ-এর নির্বাহী সম্পাদক এসএম ফয়সল আহমদ, দৈনিক রূপালীর সিনিয়র রিপোর্টার এম আতাউর রহমান, দৈনিক আমাদের বাংলার সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী, চ্যানেল এস-এর নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধি সাইফুল্লাহ মাহমুদ টিটু , এটিএন নিউজ-এর রিপোর্টার মো. মাহবুবুল হক মাহবুব, বাংলা নিউজ বিডি-এর এসএম শাহ্ জালাল, দৈনিক নতুন আশা-এর সিনিয়র রিপোর্টার মো. এ কে ফজলুল হক (সুমন), দৈনিক আমাদের মাতৃভূমির সিনিয়র রিপোর্টার নাহিদা আক্তার পপি, ডেইলী প্রেজেন্ট টাইমস-এর সিনিয়র রিপোর্টার আবুল কালাম আজাদ, বিএসআর-এর আনিসুর রহমান আনিস, সকালের সময়-এর স্টাফ রিপোর্টার মিরাজ ইসলাম, চ্যানেল এস-এর ক্রাইম রিপোর্টার জাকির আহমদ জীবন, চ্যানেল এস  কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি আবু বক্কর, সিআইএস-এর ক্রাইম রিপোর্টার জাকির হোসাইন, ডেইলী প্রেজেন্ট টাইমস-এর সাব-এডিটর সেলিনা আক্তার ইতি, এস এম মিডিয়ার পরিচালক সঞ্জয় মোদক, ও বাংলাদেশ অনলাইন সাংবাদিক সোসাইটির সহ-সভাপতি মো.  রাজন মাদবর।

সংগঠনটির লক্ষ্য হচ্ছে দেশের সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা, পেশাগত মান উন্নয়ন, এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখা। নতুন কমিটি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পর সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা শীঘ্রই সাংবাদিকদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, নিরাপত্তা ও পেশাগত নীতিমালার উন্নয়নে কাজ করবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই কমিটির মাধ্যমে দেশের সাংবাদিক সমাজ আরও সুসংগঠিত হবে এবং নীতিগতভাবে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে।

যাত্রী বিদায়-স্বাগত জানাতে শাহজালালে ২ জনের বেশি যেতে পারবে না

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫, ৬:৫৪ অপরাহ্ণ
যাত্রী বিদায়-স্বাগত জানাতে শাহজালালে ২ জনের বেশি যেতে পারবে না

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোনো যাত্রীকে বিদায় বা স্বাগত জানাতে সর্বোচ্চ দুইজন বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) বেবিচকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) কাউছার মাহমুদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী রোববার (২৭ জুলাই) থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের বিদায় বা স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর এলাকার ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও অ্যারাইভাল ক্যানোপিতে যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুইজন প্রবেশ করতে পারবেন।

যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখা, যানজট ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিমানবন্দর এলাকায় আগত সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল এবং সহযোগিতার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বেবিচক।

হার মানলো অগ্নিদগ্ধ শিক্ষার্থী মাকিন, নিহত বেড়ে ৩৩

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫, ৬:৪৩ অপরাহ্ণ
হার মানলো অগ্নিদগ্ধ শিক্ষার্থী মাকিন, নিহত বেড়ে ৩৩

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মাকিন (১৪) নামের আরও এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। সে মাইলস্টোন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুর ১টা ৫ মিনিটের দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৩ জনে।

জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান বলেন, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মাকিন নামের আরও একজন মারা গিয়েছে। তার শরীরে ৭০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।

মাকিনের বাবা মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, আমার দুই ছেলের মধ্যে ছোট মাকিন। আমাদের গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের গাছা এলাকায় জানাজার পর তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

গত সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান। এতে ওই যুদ্ধবিমানের পাইলট, স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ৫০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।