খুঁজুন
সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫, ১৭ চৈত্র, ১৪৩১

বইমেলার অর্থনীতি : বৈষম্য প্রেক্ষিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:২৮ অপরাহ্ণ
বইমেলার অর্থনীতি : বৈষম্য প্রেক্ষিত

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাসব্যাপী চলছে বইমেলা। মেলায় অংশ নেওয়া ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ১ হাজার ৮৪ ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৬০৯টি প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এবার মোট প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৭টি, যার মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩৬টি। লিটলম্যাগ চত্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায় করা হয়েছে। সেখানে ১৩০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিশু চত্বরে ৭৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১২০ ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মেলার পুরো মাস জুড়ে এইসব স্টলে থাকে ভিড়। প্যাভিলিয়ন বা স্টলে ব্যস্ততা অঢেল, তড়িৎ চলাফেরা, হাঁক-ডাক, শোরগোল লেগেই থাকে। এর বাইরে ক্রেতা-পাঠকদের ভিড়, গাদাগাদি, ঠেলাঠেলি তো আছেই। বই ব্যাগে ভরা হচ্ছে, টাকা দেওয়া হচ্ছে, রশিদ কাটা হচ্ছে—সব মিলিয়ে একটা দক্ষযজ্ঞ ব্যাপার।

আশেপাশে অনেক স্টল সাজানো গোছানো। রংপুর থেকে এসেছে একটি প্রকাশনী সংস্থা। স্মিতহাস্যের এক যুবক বসে আছেন স্টলে। মাঝে মাঝে দুই একজন সেখানে আসছেন, দুই চারটা বই উল্টেপাল্টে দেখে চলে যাচ্ছেন। না, বই বিক্রি হচ্ছে না তেমন। কেউ বইগুলোর সামনে দাঁড়ালে বিক্রেতা যুবকটির মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠছে—প্রত্যাশা করছেন যে, বই বিক্রি হতে পারে।

যে কেউ কোনো বই হাতে নিলে, সে যুবাটি বইটি সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছেন। তাতে কিছুটা ফল হচ্ছে—কেউ কেউ দুই একটা বই কিনছেন বটে। কিন্তু তেমনটা নয়। ক্যাশবাক্সের দিকে তাকিয়ে দেখা গেল, সেখানে ক’টা একশ টাকার নোট ভিন্ন আর কিছুই নেই। ‘এমন বিক্রি-বাট্টা হলে দোকানের ভাড়াই যে উঠবে না’—ভ্রু-কুঞ্চিত হয় বিক্রেতা যুবাটির।

বিজ্ঞাপন

ঠিক সে সময়েই আমি দাঁড়ালাম স্টলের সামনে। চোখ যায় একটি কবিতার বইয়ের দিকে। পকেট থেকে টাকা বের করি বইটি কেনার উদ্দেশে। কিনে নেই বইটি—তাকাই বিক্রেতা যুবকটির পরিতৃপ্ত মুখের দিকে।

সে স্টল থেকে কৌণিকভাবে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা পথ দিয়ে ক্লান্ত পায়ে চলছিলেন একজন। আটপৌরে শাড়ি পরা প্রৌঢ়া মহিলা, কাঁধে একটি ঝোলা, হাতে ধরা কটি বই—এমনভাবে ধরেছেন যেন সবাই দেখতে পায়। বোঝা গেল যে, হাতে ধরা বইটির লেখক তিনি নিজে। পাশ দিয়ে কেউ গেলেই মহিলা থামাচ্ছেন, এগিয়ে ধরছেন তার বইটি, অনুরোধ করছেন কিনতে।

…এই যে এত সব পার্থক্য, এত যে ফারাক, তার তো একটা অর্থনৈতিক ব্যাপ্তি আছে—যা আসলে বৈষম্যের। আন্দাজ করতে পারি যে, চুক্তি সম্পাদনের সময়ে প্রথম বইটির লেখকের যে সম্মানী ধরা হয়েছে, দ্বিতীয় লেখকের ভাগ্যে তা জোটেনি।

উঁহু, এ পর্যন্ত কাউকেই সে বইটি কিনতে দেখা গেল না। কেউ তার অনুরোধের দিকে ভ্রূক্ষেপ না করে তাকে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছেন, কেউ কেউ অবশ্য মৃদু হেসে হাত নেড়ে তাদের অপারগতার কথা মহিলাকে জানাচ্ছেন। মুখোমুখি আমরা দুইজন থামি। মহিলাটি আমার সামনে তার বইটি তুলে ধরলে আমি বিনাবাক্যে সেটি কিনে নেই। খুশির আভা ছড়িয়ে পড়ে আমাদের দুইজনের মুখেই—তিনি বিক্রি করতে পেরে এবং আমি কিনতে পেরে।

এতটা পথ হেঁটে ক্লান্ত বোধ করি। বসে পড়ি সিমেন্ট বাঁধানো একটা বেঞ্চিতে। ব্যাগ থেকে বোতল বের করে কয়েক ঢোঁক পানি খাই, মুখ মুছি। তারপর এক এক করে কেনা বই তিনটি চোখের সামনে তুলে ধরি। বই তিনটির বিষয়বস্তুর উৎকর্ষতা কোনটি কী রকম, তা জানি না, তবে উল্টে-পাল্টে দেখে তিনটি জিনিস পরিষ্কার হয়ে যায় আমার কাছে।

এক, তিনটে বইয়ের প্রথমটি একজন খ্যাতিমান লেখকের লেখা; দ্বিতীয় বইটির কবির পরিচিতি আছে কিছুটা, কিন্তু তিনি বিখ্যাত কোনো কবি নন, আর তৃতীয় বইটির লেখক একেবারেই অজানা আমার কাছে।

দুই, সেই সঙ্গে প্রচ্ছদ ও প্রচ্ছদ শিল্পীর নামের দিকে বুঝতে পারি যে, বই তিনটির লেখকদের মতো তাদের প্রচ্ছদ শিল্পীদের মধ্যেও তারতম্য রয়েছে। প্রথম বইটির প্রচ্ছদ শিল্পী আমাদের দেশের অন্যতম এক শিল্পী, অন্য দুটোর শিল্পী আমার কাছে অপরিচিত।

তিন, বই তিনটির কাগজ, ছাপা, অঙ্গসৌষ্ঠব, বাঁধাইের ভেতরেও ফারাক অনেক।

এইসব ভাবতে ভাবতে মনে হলো, এই যে এত সব পার্থক্য, এত যে ফারাক, তার তো একটা অর্থনৈতিক ব্যাপ্তি আছে—যা আসলে বৈষম্যের। আন্দাজ করতে পারি যে, চুক্তি সম্পাদনের সময়ে প্রথম বইটির লেখকের যে সম্মানী ধরা হয়েছে, দ্বিতীয় লেখকের ভাগ্যে তা জোটেনি। হয়তো তার সঙ্গে কোনো চুক্তিপত্রই সম্পাদিত হয়নি। চুক্তি কিংবা সম্মানীর কথা তো অপ্রাসঙ্গিক তৃতীয় লেখকের ক্ষেত্রে। তেমনি সম্মানীর নিশ্চয়ই উল্লেখযোগ্য তারতম্য আছে তিন প্রচ্ছদ শিল্পীর মধ্যে। বই উল্টে বুঝতে পারলাম যে, তৃতীয় বইটির লেখক এবং প্রচ্ছদ শিল্পী একই ব্যক্তি—হতে পারে, সেই ব্যক্তিটি একাধারে লেখক এবং শিল্পী, কিন্তু এমনও তো হতে পারে ব্যয় সংকোচ করার জন্যেই এমনটা করা হয়েছে। সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই, প্রথম বইটির প্রকাশনার পেছনে বেশ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। বইটির কাগজ অত্যন্ত দামি। বিখ্যাত মুদ্রকের কাছে বইটি ছাপা হয়েছে। মুদ্রণের ছোঁয়া বইটির পাতায় পাতায়। ভুল তেমনটা চোখে পড়ে না। বাঁধাই অত্যন্ত শক্ত, খুলে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই।

এর বিপরীতে অন্য দু’টি বইয়ের পেছনে যে অর্থের সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তা স্পষ্ট। বইয়ের কাগজ অত ভালো নয়, ছাপা ভালো মানের নয়, ছাপার ভুলও অনেক। মানে, নিখুঁত সম্পাদনার জন্যে প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করা যায়নি। বাঁধাইও হয়েছে সস্তা জায়গায়—ফলে, বাঁধাইয়ের অবস্থাও সঙ্গিন। মনে হচ্ছে, বই এখনই খুলে খুলে আসবে। সারা মেলা বাতিতে বাতিতে ঝলমল করছে। চোখ মেলে তাকাই চারদিকে। কোনো কোনো স্টল বা প্যাভিলিয়নের আকার, সাজসজ্জা, বাতি আর জৌলুস চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। অন্যগুলো যেন লুকিয়ে রাখতে চাইছে নিজেকে।

উঠে পড়লাম, এবার ফিরতে হবে। দুইজন সুবেশ ভদ্রলোক আমার সামনে চলছেন। তাদের পেছনে অন্য আরেকজন লোক বিশাল দুটো বইয়ের ব্যাগ দুই হাতে বহন করছেন—ব্যাগের ভারে বহনকারী প্রায় নুয়ে পড়েছেন। কানে এলো, প্রথম ব্যক্তিটি পরম পরিতৃপ্তির সঙ্গে দ্বিতীয় ব্যক্তিটিকে বলছেন, ‘প্রায় ৫ হাজার টাকা কিনলাম’। ‘কী কী বই কিনলেন?’

দ্বিতীয় ব্যক্তির প্রশ্ন। ‘তাতো ঠিক বলতে পারবো না। দোকানি যেগুলো ভালো বলেছে, সেগুলোই কিনে নিয়েছি। তার কথা শুনে মনে হলো, তিনি যেন মাছ কিনতে বেরিয়েছিলেন। ‘সেকি! পড়ে দেখেননি?’, দ্বিতীয় ব্যক্তি আঁতকে ওঠেন। ‘পড়ার কি সময় আছে আমার? বসার ঘরে সাজিয়ে রাখবো, দেখতে পাবে সবাই’, প্রথম ব্যক্তির জবাব। তাদের দুইজনকে পাশ কাটিয়ে যখন একটি শিশুতোষ প্রকাশনীর পাশ দিয়ে যখন যাচ্ছি, তখন দেখি আরেক দৃশ্য। বাচ্চাদের একটি বই নিয়ে বাবা-ছেলেতে টানাটানি। বুঝলাম, ছেলেটি বইটি চায়, কিন্তু বাবা তাকে নানাভাবে বোঝাচ্ছেন যে, তার পকেটে আর এত টাকা নেই।

‘তোমাকে না তিনটে বই কিনে দিলাম, বাবা। আর তো কেনার মতো টাকা নেই আমার কাছে’। ‘বইটার দাম বেশি না, বাবা। মাত্র দু’শো টাকা। দাও না কিনে?’ ‘না, বাবা। এবার আর হবে না’। ‘এরমধ্যেই ৭০০ টাকার বই কিনেছি। আর টাকা নেই আমার কাছে’, বাবার কণ্ঠস্বরটি করুণ হয়ে ওঠে।

ছেলের হাত থেকে বইটি নিয়ে বাবা ফেরত রেখে দেন, তারপর পা বাড়ান সামনের দিকে। ছেলেটি মুখ কালো করে বাবাকে অনুসরণ করে—একবার করুণ চোখে তাকায় পেছনের দিকে, ফেলে আসা বইটির দিকে। এই তো প্রায় ফটকের কাছে এসে গেছি। সারা মেলা বাতিতে বাতিতে ঝলমল করছে। চোখ মেলে তাকাই চারদিকে। কোনো কোনো স্টল বা প্যাভিলিয়নের আকার, সাজসজ্জা, বাতি আর জৌলুস চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। অন্যগুলো যেন লুকিয়ে রাখতে চাইছে নিজেকে। মনে মনে ভাবি, ওই বড় বড় স্টল বা প্যাভিলিয়নগুলো না জানি কত খরচ হয়েছে—প্রখ্যাত স্থপতি, বিখ্যাত শিল্পী, দক্ষ মিস্ত্রি, দামি উপকরণ ও অনুষঙ্গ। জানি, ছোট ছোট স্টলগুলোর সঙ্গতি হয়নি এসব করার। অল্প অর্থে কাজ সেরেছে তারা।কথায় কথায় আমরা আজকাল অসমতার কথা বলি, বলি অর্থনৈতিক বৈষম্যের কথা। বইমেলার ক্ষেত্রেও সেটা সত্যি। বইমেলার অর্থনীতিই তো একমাত্র কথা নয়, শেষ কথা তো নয়, সে অর্থনীতির বৈষম্য যে বড় প্রকট।

ড. সেলিম জাহান ।। ভূতপূর্ব পরিচালক, মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন দপ্তর এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ বিভাগ, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র

মাত্র ৫ টাকায় ঈদের নতুন পোশাক : হাসি ফুটলো ৫০০ শিশুর

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫, ৮:৪৬ অপরাহ্ণ
মাত্র ৫ টাকায় ঈদের নতুন পোশাক : হাসি ফুটলো ৫০০ শিশুর

মাত্র ৫ টাকা! এই টাকায় হয়তো আমরা এক কাপ চা কিনি কিন্তু চাঁদপুরের ফরাক্কাবাদের ৫০০ শিশুর কাছে এই ৫ টাকা ছিল ঈদের নতুন জামার স্বপ্ন পূরণের চাবিকাঠি। ঈদের আনন্দ যেখানে অনেকের জন্য নতুন পোশাকের হাসি, সেখানে ফরাক্কাবাদের শত শত সুবিধাবঞ্চিত শিশুর সেই হাসি ছিল অনিশ্চিত। তাদের সেই স্বপ্নপূরণে এগিয়ে এসেছে স্বপ্নতরু সামাজিক সংগঠন।

“মানবতার কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ” এই স্লোগানকে হৃদয়ে ধারণ করে, দীর্ঘদিন ধরে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে স্বপ্নতরু। তারই ধারাবাহিকতায় আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে স্বপ্নতরু সামাজিক সংগঠনের ফরাক্কাবাদ শাখা আয়োজন করে এক ব্যতিক্রমী ঈদ বাজারের।

শনিবার সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার ফরাক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ যেন রঙিন হয়ে ওঠে সেই শিশুদের হাসিতে। অনুষ্ঠানে প্রায় ৫ শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতে ৫ টাকার বিনিময়ে তুলে দেওয়া হয় নতুন ঈদের পোশাক।

তবে এটি কোনো দান নয়, ছিল এক সম্মানের আয়োজন। শিশুদের হাতে জামা তুলে দেওয়া হয় ‘ক্রয় করার’ অনুভূতি দিয়ে, যাতে তারা বুঝতে পারে এই জামা তারা নিজেরাই কিনেছে, দয়ার হাত পেতে নয়।
স্বপ্নতরু সামাজিক সংগঠনের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন বলেন, “আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। আমরা চাই, কেউ যেন ঈদের দিনে নতুন জামা না পেয়ে কষ্টে না থাকে। সেই ভাবনা থেকেই ৫ টাকার বিনিময়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে নতুন পোশাক বিতরণ করা হয়েছে। যাতে তারা বোঝে, এ আনন্দ তাদের নিজের অধিকার।”

ঈদের নতুন জামা হাতে পেয়ে অনেক শিশুর চোখে ছিল খুশির জল। কারও হাতে রঙিন জামা, কারও হাতে নতুন ফ্রক, কেউবা পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে বলছিল এবার আমিও নতুন জামা পরব!”
ফরাক্কাবাদের স্কুল মাঠের সেই দৃশ্যটা যেন ছিল মানবতার সবচেয়ে সুন্দর ছবির মতো।

মাত্র ৫ টাকায় কেনা জামার বিনিময়ে শত শত শিশুর মুখে ফুটে উঠলো ঈদের হাসি। স্বপ্ন দেখুক তারা, এগিয়ে যাক মানবতা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং স্বপ্নতরু সংগঠনের সকল শাখার সদস্যরা।

চাঁদপুর এসএসসি ৯৩ ব্যাচ বন্ধু মহলের ইফতার মাহফিলে যুগ্ম সচিব নাজমুল আহসান

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫, ৮:১৪ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর এসএসসি ৯৩ ব্যাচ বন্ধু মহলের ইফতার মাহফিলে যুগ্ম সচিব নাজমুল আহসান

চাঁদপুর এসএসসি ৯৩ ব্যাচ বন্ধু মহলের ইফতার মাহফিলে বাংলাদেশ সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত বন্ধু মোহাম্মদ নাজমুল আহসানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ৯৩ ব্যাচের সকল বন্ধুরা।

চাঁদপুর এসএসসি ৯৩ ব্যাচ বন্ধু মহলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের রেডচিলি চাইনিজ এন্ড রেষ্টুরেন্টে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

ইফতার মাহফিলে অংশ নেন এসএসসি ৯৩ ব্যাচের বন্ধু ও বাংলাদেশ সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মোহাম্মদ নাজমুল আহসান।

ইফতার মাহফিলের পূর্বে ৯৩ ব্যাচের সকল বন্ধুরা মিলে পদোন্নতিপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব নাজমুল আহসানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
পরে বন্ধু মহলের আব্দুল গফুরের দোয়া ও মুনাজাত পরিচালার মাধ্যমে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় চাঁদপুরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের এসএসসি ৯৩ ব্যাচের সকল বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের পাশে দাঁড়ালেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক

শওকত আলী
প্রকাশিত: শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫, ৭:৪৩ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের পাশে দাঁড়ালেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক

পবিত্র ঈদুল ফিতর সুন্দরভাবে উদযাপন করার লক্ষ্যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।

শনিবার জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে জেলার প্রতিটি উপজেলায় আহত ও শহিদ পরিবারের কাছে ঈদ উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়।

জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৪৫ জন আহত এবং ৩১ জন শহীদ পরিবারকে ঈদ উপহার প্রদান করা হয়। এছাড়াও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ২৯ জন শহীদ পরিবারকেও জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ঈদ সামগ্রী দেয়া হয়।

ঈদ সামগ্রীর মধ্যে ২ কেজি পোলাওয়ের চাল, সয়াবিন তেল ২ লিটার, সেমাই ৪ প্যাকেট, চিনি ১ কেজি, কিসমিস ও গুড়া দুধ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন জানান, আমি চেয়েছি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা যেন পবিত্র ঈদুল ফিতর সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারে তার জন্যে একটু ক্ষুদ্র উপহার সামগ্রী দেয়া হয়েছে।

ডিসি আরো বলেন, শুধুমাত্র ঈদ নয়, সবসময়ই চাঁদপুর জেলা প্রশাসন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত এবং শহীদ পরিবারের পাশে থাকবে। আমি আশাকরি রাষ্ট্রও সবসময়ই তাদের পাশে আছে এবং থাকবে। কারণ রাষ্ট্র সবসময়ই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত এবং শহীদদের কথা ভাবেন এবং চিন্তা করেন।