খুঁজুন
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১ কার্তিক, ১৪৩২

মতলবে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনসভা

মোঃ রবিউল আলম
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:১৭ অপরাহ্ণ
মতলবে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনসভা

মতলব দক্ষিণে উপজেলা ও পৌর বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চাঁদপুর ২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চাঁদপুর ২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব ডঃ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি আগামীতে তারেক রহমান হবেন প্রধানমন্ত্রী ইনশাআল্লাহ। বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসীদের জুলুম নির্যাতনের শিকার হওয়া শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের নেতাকর্মীদের মনোবল এখনো দৃঢ় রয়েছে। গণতন্ত্রের পথে আপোষহীন নেত্রী তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার জনাব তারেক রহমানকে ওই ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ নিঃশেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালার রহমতে এবং দেশবাসীর ভালোবাসায় ফ্যাসিস্টরাই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মতলব দক্ষিণ উপজেলা ও পৌর বিএনপি সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল তিনটায় মতলবগঞ্জ জেবি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিগত ১৭ বছর রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে যে সকল নেতাকর্মী দিনের পর দিন মাসের পর মাস বাড়ির বাহিরে রাত কাটিয়েছেন জেল খেটেছেন তাদের বিষয়ে দল সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। সেই সাথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য ওই ফ্যাসিস্টদের দোসর দোলের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। তাদের বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সভাপতি এনামুল হক বাদলের সভাপতিত্বে ও মতলব পৌর বিএনপির সভাপতি শোয়েব আহমেদ সরকারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ড. জালাল আহমেদ এর সহধর্মিনী ইঞ্জিনিয়ার শাহনাজ শারমিন, বাংলাদেশ ব্যাংককের সাবেক ডেপুটি গভর্নর আবুল কাশেম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম সাগর, মতলব পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রধান, মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সরকার, মতলব পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক মোজাম্মেল হক খোকন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম কিরণ, মতলব ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, মতলব পৌর যুবদলের আহবায়ক মজিব সরকার, জেলা যুব দলের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান কাইয়ূম, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল হক, যুগ্ম আহবায়ক মিরান হোসেন মিয়াজী, পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কামাল হোসেন বিপ্লব, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নাছির মিয়াজী, সাবেক ছাত্র নেতা ও কাউন্সিলর শাহজাহান মল্লিক প্রমুখ।

সমাবেশের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট মান্নান মিয়াজী।

সমাবেশে উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিক দল, কৃষকদলসহ সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের কয়েক সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

বাবা চলে যাবার আজ দুই বছর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৩৩ অপরাহ্ণ
বাবা চলে যাবার আজ দুই বছর

প্রকৃতির আমোঘ নিয়মেই বাবা আমাদের ছেড়ে সাড়া দিয়েছেন আল্লাহর ডাকে। বাবা চলে যাবার আজ দুই বছর হলো। কিভাবে যে দুইটি বছর চলে গেল! এই দুই বছরে প্রতি দিনই বাবার অপরিসিম শূন্যতা অনূভব করেছি। বাবার ছায়া কি যে বিশাল সেটি বোধহ​য় কেবল যারা হারায় তারাই বুঝে।

আমার বাবা মোঃ আবুল কালাম পাঠান আমার দেখা সাধারণে অসাধারণ মানুষদের একজন। সহজ-সরল অনাড়ম্বর জীবন যাপন করা সৎ ও কর্মনিষ্ঠ এই মানুষটি আমার জীবনের আদর্শ।

১৮ই অক্টোবর বাবার ২য় মৃত্যুবার্ষিকী। চোখ জলে ঝাপসা হয়ে আসে আব্বুর কথা মনে পড়লেই। এলোমেলো ভীড় করে অজস্র স্মৃতি। তিনি গত ১৮ই অক্টোবর ২০২৩ইং বুধবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আমরা বাবা বলতে রাশভারী গুরুগাম্ভীর্য যা বুঝি, আমাদের বাবা মোটেও সেরকম ছিলেন না। আমাদের ভাই বোনদের সেরা বন্ধু হয়ে কোমলতার পরশ ছ​ড়িয়ে দিতেন। বাবা কে আমরা ভ​য় পেতাম না, তবে ভেতর থেকে শ্রদ্ধা করতাম। সব সমস্যা, মনের অনুভূতি যেন প্রকাশের সেরা জায়গা।

বাবা থাকতে ভাবতাম, বাবা যদি না থাকেন, তবে আমরা কিভাবে থাকবো ! বাবা নেই আজ দুইটি বছর, বাবাকে ছাড়া বাঁচতে পারবো এ কখনো কল্পনা করিনি, কিন্তু বাস্তবতা বড়ই কঠিন। কেটে যাচ্ছে একেকটি দিন, মাস আর একেকটি বছর – বাবা নেই, আছে বাবার অনেকগুলো স্মৃতি, অনেকগুলো কথা, যা ভুলতে পারিনা, ভোলা যায়না।

তবুও সব ব্যথা, সব যন্ত্রণা ছাপিয়ে যদি বাবার মতো হতে পারতাম। যদি হতে পারতাম বাবার মতো উদার মনের মানুষ, মহৎ হৃদয়ের অধিকারী। যদি তার স্বপ্নের সমান বড় হতে পারতাম। আব্বু নেই! তার অনুপুস্থিতি আমাদের মাঝে বিরাট শুন্যতা তৈরি করেছে, যে শূন্যতা কিছুতেই পূরণ হবার নয়। মহান আল্লাহ তালা যেন বাবার অসম্পূর্ণ কাজ গুলি আমাদের দ্বারা পূর্ণতা দান করেন।

বাবা যখন হাসপাতালে থাকতেন, তখন তিনি অনেক কথা বলতেন, পুরনো দিনের স্মৃতিচারণা করতেন, মানুষকে খুব ভালোবাসতেন, ভালোবাসার সুকোমল অনুভূতির কথা বলতেন। বাবা কখনোই কারও বিরুদ্ধে কিছু বলা একদমই পছন্দ করতেন না। তিনি ছোট বড় সবাইকে সম্মান করতেন, সদা হাস্যজ্বল হৃদয়ে মানুষের বিপদের ক্ষণে আন্তরিকভাবে পাশে থাকতেন এবং কীভাবে মানুষকে আপন করে নিতে হয় সেটি শেখাতেন আমাদের।

আমার জীবনে সবচেয়ে বড় পাওয়া আমাদের বাবা। আমাদের বাবা সারাজীবন মানুষের উপকার করেছেন। তার জীবনের আদর্শ ছিলো মানুষের উপকার করা। খুব সাধারণভাবে চলাফেরা করা তার পছন্দ ছিলো।

বাবার অবদান, ত্যাগ, স্নেহ, ভালোবাসা সকল তুলনার ঊর্ধে। পিতার সাথে সন্তানের সম্পর্ক কখনো শ্রদ্ধার, কখনো ভয়ের আবার কখনো বা বন্ধুত্বের। পৃথিবীর সব সন্তানের কাছেই তার মা-বাবাই শ্রেষ্ঠ। আমাদের কাছেও তাই। পৃথিবীতে অন্য আট-দশ জন বাবা থেকে আমাদের বাবা একটু আলাদা। কারণ বাবার চিন্তা-চেতনা, মন-মানসিকতা সবকিছু ভিন্ন রকম। পৃথিবীতে অধিকাংশ মানুষকে দেখেছি নিজের স্বার্থের জন্য মানুষের উপকার করে। কিন্তু সবসময় আমাদের বাবাকে দেখতাম নিঃস্বার্থভাবে মানুষের উপকার করতে। প্রয়োজনে নিজের ক্ষতি করে হলেও মানুষকে সাহায্য ও সহযোগিতা করত। তার সঞ্চয় ছিল শুধু মানুষের ভালোবাসা।

আজন্ম লোভ ও লালসার ঊর্ধ্বে থেকে গণমানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। সেবার দ্বারা ও মহৎ কর্মের মাধ্যমে আলোর প্রদীপ হাতে নিয়ে মানুষটি অবদান রেখেছিলেন, সে মানুষটি আজ নিজের হাতে গড়ে তোলা পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।

বাবার মৃত্যুর পর অনেকের সঙ্গে দেখা হয়েছে। বাসায় তাঁরা এসেছেন। দেশের নানা প্রান্ত ও দেশের বাইরে থেকে ফোন করেছেন। বাবার প্রতি তাঁদের যে গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার অভিব্যক্তি দেখেছি, তা অতুলনীয় ও হৃদয়স্পর্শী। ভালোবাসার সম্ভবত একটি তরঙ্গ আছে। বাবা যেমন মানুষকে ভালোবাসতেন, তারাও তেমনি ভালোবাসতেন বাবাকে। ভালোবাসার সেই অদৃশ্য তরঙ্গ সবাইকে স্পর্শ করত।

বাবা সব সময় এত অকৃত্রিম, অনাড়ম্বর ও সহজভাবে থাকতেন যে তাঁর হৃদয়ের বিশালতা, গভীরতা ও প্রজ্ঞাসহ বহুকিছুই আমরা সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারিনি। মানুষকে ভালোবাসলে, তাদের জন্য কাজ করলে ও জীবন উৎসর্গ করলে মানুষ ভালবাসায় তার প্রতিদান দেয়।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের কাছে প্রার্থনা করি, “তিনি যেন আমাদের বাবাকে মাফ করে দেন এবং জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন”।

লেখকঃ
মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ
বি. এ (ফাযিল),এম.এ কামিল(হাদিস বিভাগ)ই.বি
বি.এস.এস (অনার্স) এম.এস.এস (জা.বি)
এল এল.বি (জা.বি) এল এল. এম (ডি.আই.ইউ)
এডভোকেট
জজকোর্ট, চাঁদপুর।

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেয়া সম্ভব নয়: ইসি আনোয়ারুল

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ণ
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেয়া সম্ভব নয়: ইসি আনোয়ারুল

Oplus_131072

জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা প্রতীক দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, এনসিপির দলীয় প্রতীক শাপলা নির্বাচন কমিশনের বিধিমালায় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এ সময় তিনি আরও বলেন, এনসিপি নির্বাচনে আসা-না আসার বিষয়ে কোনো কথা বলতে চান না কারণ এটা রাজনৈতিক বিষয়।

শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের জনতা উচ্চ বিদ্যালয় পরির্দশনের পরসাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

তৃণমূল পর্যায়ে একটা ভোটকেন্দ্রে এলাকার কি রকম সমস্যা থাকতে পারে তা দেখতে এসেছেন বলে জানান নির্বাচন কমিশনার।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ভোট দেওয়া সাবলীল করতে নারী, পুরুষ, প্রতিবন্ধীসহ সব ভোটারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নিবার্চন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে যাতে শান্তিশৃংখলা বজায় থাকে, আর অবকাঠামোগত সমস্যা আছে কি না তাই দেখতে এসেছি।

দুর্গম এলাকার সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের জন্য যোগাযোগ, যানবাহন, প্রিজাইডিং অফিসারদের সহযোগিতার জন্য সব ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার।

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে নির্বাচন হবে- প্রধান উপদেষ্টা দপ্তর থেকে এমন তথ্যের পর থেকেই কর্মপরিকল্পনা করা হয়েছে জানিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তারই অংশ হিসাবে আজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করতে আসা।

এ সময় নির্বাচন কমিশনারের একান্ত সচিব মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার সিলেট বিভাগ মো. আলাউদ্দিন, সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার শুকুর মাহমুদ মিয়া, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেহেদী হাসান মানিক, উপজেলা নির্বাচন অফিসার অমিত কুমার দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হলো: প্রধান উপদেষ্টা

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ণ
জুলাই সনদে স্বাক্ষরের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হলো: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হলো জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, জুলাই জাতীয় সনদ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্যও এক উদাহরণ স্থাপন করেছে।

আজ সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঐতিহাসিক জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর শেষে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জুলাই সনদ দিয়ে আমাদের বাংলাদেশ পরিবর্তন হবে। এটা হলো গণঅভ্যুত্থানের দ্বিতীয় অংশ। আমরা পুরোনো কথাবার্তাগুলো পালটে ফেলে নতুন কথাগুলো আমাদের জাতীয় জীবনে নিয়ে আসলাম। সংসদ থেকে শুরু করে সরকার পরিচালনা-অনেকগুলো বিষয়ে আমরা এই পরিবর্তনগুলো নিয়ে আসলাম।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই পরিবর্তন এখন আমাদের সামনের দিকে নিয়ে যাবে। আমরা সেই পথে অগ্রসর হবো। আমাদের নবজন্ম হলো আজকে। এই স্বাক্ষরের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করলাম।

প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, সব মতভেদ ভুলে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সনদের যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই পরিবর্তন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে সংঘটিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ফলেই এই পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনে পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের সংবিধান ও সরকার পরিচালনার পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনতে হবে।

তিনি বলেন, যে তরুণরা এই পরিবর্তনের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছে, তারাই নতুন করে দেশকে গড়ে তুলবে। `তরুণরাই আমাদের পথ দেখাবে,’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশটি তরুণদের। ১৮ কোটি জনসংখ্যার অর্ধেকই ২৭ বছরের নিচে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্যও এক উদাহরণ স্থাপন করেছে। অনেক দেশ আমাদের কাছে জানতে আসবে—কিভাবে আমরা গোটা জাতিকে সম্পৃক্ত করে জুলাই সনদ স্বাক্ষর সম্ভব করেছি।

শুক্রবার বিকাল ৫টায় জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫–এ স্বাক্ষর করেন প্রধান উপদেষ্টা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। এর আগে বিকাল চারটা ৩৭ মিনিটে জাতীয় সংগীতে শুরু হয় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সাংবাদিক মনির হায়দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পাঁচটা পাঁচ মিনিটে প্রথমে রাজনৈতিক দলগুলোর দুজন করে প্রতিনিধি ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ও সদস্যরা স্বাক্ষর করেন। এরপর পাঁচটা সাত মিনিটে সনদে স্বাক্ষরের করেন প্রধান উপদেষ্টা। স্বাক্ষরের পরে তারা সনদ উঁচিয়ে ধরে দেখান।

বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান সনদে স্বাক্ষর করেন।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ২৫টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান এবং শহীদ তাহির জামান প্রিয়র মা শামসী আরা বেগম জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেনি। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদও জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছিল।