লক্ষ্মীপুরে বাস খাদে পড়ে ৫ জন নিহত


লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জে আনন্দ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রহমতখালী খালে পড়ে যায়। এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচ যাত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে।
শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন রহমতখালী খালে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন—সদর উপজেলার শেখপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন, মোরশেদ আলম, মো. মাজেদ, মো. রিপন এবং নওগাঁর হুমায়ুন কবির। হুমায়ুন চন্দ্রগঞ্জের লতিফপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা লক্ষ্মীপুরগামী আনন্দ পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধারকাজে অংশ নিয়ে ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হন। তবে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় নেন, যা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়।
উদ্ধারকাজ দেরি হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধার কাজ শুরু হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ দুর্ঘটনার কারণে প্রায় এক ঘণ্টা লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে সড়কের দুই পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পরে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজীম নোমান জানান, বাসটি খালে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, এক মাস আগেও একই খালে একটি মাইক্রোবাস ডুবে একই পরিবারের সাতজন নিহত হয়েছিলেন। ওই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল এবারকার ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে, নোয়াখালীর চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার এলাকায়।
আপনার মতামত লিখুন