খুঁজুন
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১ কার্তিক, ১৪৩২

শাহরাস্তিতে জুলাই আন্দোলনে আহতদের গেজেটে ভুয়া নাম অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫, ৬:১০ অপরাহ্ণ
শাহরাস্তিতে জুলাই আন্দোলনে আহতদের গেজেটে ভুয়া নাম অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ

গেল বছরের উত্তাল জুলাই আন্দোলনে চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে বড় ধরনের সংঘর্ষ না ঘটলেও, সম্প্রতি প্রকাশিত সরকারি গেজেটে এ উপজেলার ২৮ জনকে আহত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় জুলাই আন্দোলনের আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে আর্থিক সহায়তা নির্ধারণ করে। সেই তালিকায় শাহরাস্তির ২৮ জনের নাম উঠে আসে।

কিন্তু সরেজমিন অনুসন্ধান ও আন্দোলনকারীদের বক্তব্যে দেখা গেছে-তালিকায় অন্তর্ভুক্ত অনেকের নাম ও তথ্য বিতর্কিত। অভিযোগ উঠেছে, কেউ বন্ধ হাসপাতালের চিকিৎসা দেখিয়ে নাম তুলেছেন, কেউ পূর্বের মানসিক সমস্যাকে আন্দোলনে আহত দেখিয়েছেন, আবার কেউ নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী হয়েও ‘আহত জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।

এদের মধ্যে মো. রায়হান নামে একজন (গেজেট নং ৯৩৯) দাবি করেছেন, তিনি ৪ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে আহত হন এবং পরদিন শাহরাস্তির চিতোষী আইডিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। কিন্তু স্থানীয়দের মতে, উক্ত হাসপাতালটি সরকার পতনের দুই বছর আগেই বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তার চিকিৎসার তথ্য নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

মো. ইউছুব আলী (গেজেট নং ৯২২) দাবি করেছেন, ৫ আগস্ট শাহরাস্তির কালিয়াপাড়ায় তিনি বাঁশের আঘাতে গুরুতর আহত হন এবং জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে এক লাখ টাকার চেকও পান। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওইদিন কালিয়াপাড়ায় কোনো সংঘর্ষই ঘটেনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গেজেটে অন্তর্ভুক্ত কয়েকজন আসলে ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় সাবেক পৌর মেয়রের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তারা নিজেদের জুলাই আন্দোলনে আহত দাবি করে সরকারি সহায়তা নেন।

মো. কামরুল হাসান রাব্বি (গেজেট নং ৯২০) সিলেট সদর উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি ছাত্রলীগের কর্মী এবং আন্দোলনের সময় আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। অথচ শাহরাস্তির আহত তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নাহিদুল ইসলাম রাতুল (গেজেট নং ১০৪৪) জুলাই আন্দোলনে মাথায় আঘাত পেয়ে মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। কিন্তু সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, তিনি ছোটবেলা থেকেই মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। তারপরও তিনি সরকারি সহায়তা পেয়েছেন।

গেজেট নং ২০১৩-এর শাহজালাল দাবি করেছেন, ২ আগস্ট কাঁচ ভাঙার আঘাতে আহত হয়ে ৩ আগস্ট শাহরাস্তি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। কিন্তু হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওইদিন এ ধরনের কোনো রোগী সেখানে চিকিৎসা নেননি।

এসডিএফ (সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন) থেকে জুলাইয়ের ঘটনায় শাহরাস্তিতে ১১ জনকে সহায়তা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে নাজমুল হাসানের পরিবারকে ‘জুলাই আন্দোলনে নিহত’ দেখিয়ে দুই লাখ টাকার চেক দেয়া হয়। অথচ স্থানীয়দের মতে, নাজমুল গত ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের একটি কারখানা অগ্নিকাণ্ডে মারা যান। মৃতদেহ উদ্ধার সম্ভব হয়নি। ফলে তার মৃত্যুর দাবিও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আরও জানা গেছে, সহায়তা পাওয়া সকল ব্যক্তিই ওই এনজিও-র সদস্য এবং সুবিধাভোগী। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে এসডিএফ শাহরাস্তি শাখায় যোগাযোগ করা হলে তারা জানান এটি একটি প্রকল্প। খিলাবাজার শাখায় গেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। খিলাবাজার শাখায় গিয়ে সেখানে তাদের কার্যালয় তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। সেখানে ৩ ঘন্টা অপেক্ষা করেও কোন কর্মকর্তার দেখা মিলেনি।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ নেয়া শিক্ষার্থী আব্দুল কাইয়ুম মাহিন বলেন, আন্দোলনের সময় আমরা রাজপথে ছিলাম। অথচ গেজেটে যাদের নাম এসেছে তাদের অধিকাংশকেই আমরা চিনি না। অনেকে ভুয়া তথ্য দিয়ে সরকারি সহায়তা নিয়েছে। আমরা চাই ভুয়া নামগুলো বাতিল করে প্রকৃত আহতদের অন্তর্ভুক্ত করা হোক।

উপজেলা নেতা আক্তার হোসেন শিহাব বলেন, আমি নিজে আন্দোলনে আহত হয়েছি। কিন্তু তালিকায় প্রকৃত আহতদের বাদ দিয়ে অচেনা নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। প্রশাসনের উচিত ভুয়া তথ্যদাতাদের বাদ দেয়া।

আরেক নেতা মাহবুব আলম বলেন, শাহরাস্তিতে বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটেনি। তবুও ২৮ জনকে আহত দেখানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত হওয়া জরুরি।

সাবেক ছাত্রনেতা জুবায়ের আল নাহিয়ান বলেন, আমি একজন সাবেক ছাত্রনেতা হিসেবে জুলাই আন্দোলন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলাম। সম্প্রতি জানতে পারলাম শাহরাস্তিতে জুলাই-আহত যোদ্ধাদের একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে এবং তারা সরকারি আর্থিক অনুদানও গ্রহণ করেছেন। অথচ এদের মধ্যে একটি অংশ ভুয়া তথ্য দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছে।

শাহরাস্তি প্রেসক্লাব সভাপতি মঈনুল ইসলাম কাজল বলেন, আন্দোলনের সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ছাড়াও তেমন কোনো বড় সংঘর্ষ হয়নি। অথচ গেজেটে অনেক নাম এসেছে যাদের সম্পর্কে স্থানীয় গণমাধ্যমে কর্মরতদের কোনো ধারণাই নেই।

শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আকলিমা জাহান বলেন, ৫ আগস্ট হাসপাতালে ১৫ জন চিকিৎসা নেন, তবে তারা সবাই হালকা আঘাতপ্রাপ্ত ছিলেন।

শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিয়া হোসেন বলেন, আমরা ইতিমধ্যে পাঁচজনের নাম গেজেট থেকে বাদ দেয়ার সুপারিশ করেছি। প্রয়োজনে আরও যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বর্ণাঢ্য আয়োজনে চাঁদপুর কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:১৪ অপরাহ্ণ
বর্ণাঢ্য আয়োজনে চাঁদপুর কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

সত্য সাহস ও সুন্দর এই পথচলায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে দৈনিক কালবেলার ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চাঁদপুরে আলোচনা সভা ও কেক কাটা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ৩য় তলায় এ সভা ও কেক কাটা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চাঁদপুর জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্লাহ সেলিম বলেন, মানুষ পত্র-পত্রিকার মাধ্যমেই নানাবিধ সমস্যার সমাধান খুঁজে। যেমন এই শহরে যানজট নিত্যদিনের সমস্যা। সেই সমস্যা সমাধানে বাইপাস রাস্তাসহ ইচুলী দিয়ে যদি ডাকাতিয়া নদীর ওপর একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয় তাহলে এক রাস্তায় গাড়ী যেতো অন্য রাস্তায় আসতো। তবে এই যানজট হয়তো কিছুটা কমতো। আবার বিনোদনের জন্যও তেমন ভালো কোন শিশু পার্ক নেই। এমন নানাবিধ সমস্যা পত্রিকার মাধ্যমে তুলে ধরলেই সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টিগোচর হলে এগুলোর সমাধান দ্রুত হবে।

তিনি আরও বলেন, আমি নিজেও একসময় লেখালেখি করতাম। আমার একটি পাক্ষিক পত্রিকাও ছিলো। তবে এখন এটি আর বের হয় না। তবে সমাজ বিনির্মাণে সাংবাদিকদের লেখনীর বিকল্প নেই। আমি যে কয়টি পত্রিকা পড়ি তার মধ্যে কালবেলাও রয়েছে। আমি এই পত্রিকার সাংবাদিকসহ পত্রিকাটির উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি রহিম বাদশা বলেন, সাংবাদিকদের কাছে মানুষ অতিরঞ্জিত প্রত্যাশা রাখে। তবে ভাবা দরকার, সবাই ঘুমিয়ে থাকবে আর সাংবাদিকরা জেগে থাকবে তা হয়না। এর পরেও কোন ঘটনা ঘটলে তা ঠিকই প্রকাশ করেন সাংবাদিকরা। কোনভাবেই তা চেপে রাখা সম্ভব নয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ জালাল চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মুনীর চৌধুরী, এনসিপি চাঁদপুর জেলার মুখ্য সমন্বয়ক মাহবুব আলম, জেলা গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন, জেলা যুব দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহার, জেলা বাসদ এর সমন্বয়ক কমরেড শাহজাহান তালুকদারসহ অন্যরা।

দৈনিক কালবেলার চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি অমরেশ দত্ত জয় এর সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ হোসেন অপু, দৈনিক কালবেলার কচুয়া প্রতিনিধি মানিক ভৌমিক, শাহরাস্তি প্রতিনিধি স্বপন কর্মকার মিঠুন, মতলব উত্তর প্রতিনিধি মমিনুল ইসলাম, হাইমচর প্রতিনিধি শিমুল অধিকারী সুমন, ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি আব্দুল কাদের, মতলব দক্ষিণ প্রতিনিধি আল আমিন ভূঁইয়া, হাজীগঞ্জ প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম, দৈনিক চাঁদপুর দর্পণের স্টাফ রিপোর্টার সুজন চৌধুরী, দৈনিক মতলবের আলোর প্রতিনিধি হোসেন গাজী, ইলশেপাড়ের প্রতিনিধি আল আমিন ছৈয়াল প্রমূখ।

বক্তারা আগামীতেও দৈনিক কালবেলা জনগণের প্রত্যাশা পূরণে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য নির্ভর সাংবাদিকতা ও সংবাদ পাঠক সমাজকে উপহার দিবে বলে প্রত্যাশা করেন।

মতলব দক্ষিণে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত

মোঃ রবিউল আলম
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১:১৫ পূর্বাহ্ণ
মতলব দক্ষিণে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত

‘হাত ধোয়ার নায়ক হোন’ স্লোগানকে সামনে রেখে মতলব দক্ষিণ উপজেলা প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং মতলব পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে৷ বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলা পরিষদ কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে র্র্যালী ও হাত ধোয়া প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। একই সাথে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়ার পদ্ধতি শিখানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমজাদ হোসেন। এসময় তিনি বলেন, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ। অনক সময় মানুষের মধ্যে রোগ জীবানু স্থানান্তর হওয়ার মাধ্যম হয়ে থাকে হাত। তাই আমাদের এই হাত ধোয়ার গুরুত্ব আছে। আমরা সুস্থ জাতি গঠন করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের জাতিকে হিরো বানাতে চাই।আগামী প্রজন্ম যারা জাতিকে পরিচালনা করবে তারা সুস্থ হয়ে বেড়ে উঠুক এই প্রত্যাশা রাখি। আমরা আমাদের আগামী প্রজন্মকে হিরো হিসেবে দেখতে চাই। সবাইকে উজ্জ্বল নক্ষত্র হতে হবে। তাহলে আমরা সে উজ্জ্বল নক্ষত্রকে অনুসরণ করবো।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস আহমেদ, মতলব পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুর রহমান, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার আবুল হাসানাত, মতলব দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোজাহিদুল ইসলাম কিরণ, মতলব প্রেসক্লাবের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক গোলাম সারওয়ার সেলিমসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সাংবাদিকবৃন্দ ।

তোফাজ্জল হোসেন ঢালী উবিতে শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় সভা

মোঃ রবিউল আলম
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১:০৯ পূর্বাহ্ণ
তোফাজ্জল হোসেন ঢালী উবিতে শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় সভা

মতলবের আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন ঢালী উচ্চ বিদ্যালয়ের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমজাদ হোসেন।

মতলব দক্ষিণ উপজেলার আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন ঢালী উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা এবং ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাশ নিশ্চিত করণ শীর্ষক
করণীয় সভা ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়।

বিদ্যালয়ের সভাপতি আলমগীর হোসেন ঢালীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমজাদ হোসেন।

এসময় অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও নৈতিক বিকাশের ওপর জোর দিতে হবে। এতে শিক্ষার্থীর প্রাত্যহিক পড়া, বাড়ির কাজ এবং সামগ্রিক আচরণের বিষয়ে আলোচনা থাকবে। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা এবং সমাজের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালনের গুরুত্বও উল্লেখ করা উচিত। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি নিয়মিত খোঁজখবর নিতে হবে।
তাদেরকে শুধু পড়াশোনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে মানবিক ও সামাজিক মূল্যবোধ শেখাতে উৎসাহিত করতে হবে। শিক্ষক ও
শিক্ষকদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলতে হবে।

শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা কোন রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হবেন না। এতে আপনারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। যেমন গত ৫ আগস্টের পর অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ চাকুরী ছেড়ে পালিয়ে গেছে, আবার অনেক শিক্ষক অপমানিত ও লাঞ্ছিত হয়েছে। তাই আপনারা আপনাদের সম্মানটুকু ধরে রাখবেন। নিজের সন্তানের মতো মনে করেই শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করবেন।

ঢাকা নবেল কলেজের শিক্ষক এস ইউ বাহারের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ শুক্কুর পাটোয়ারী, মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সালেহ আহমেদ।

অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রুহুল আমিন, অত্র প্রতিষ্ঠানের নব নিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্বাস মিয়া, নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজের গভর্ণিং বডির সভাপতি মাসুদ হাজী, বিএনপি নেতা এম এ আজিজ ঢালী, মোস্তফা মেম্বার, অভিভাবক সদস্য হারুন অর রশীদ প্রমুখ।