খুঁজুন
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৬ ভাদ্র, ১৪৩২

মাহরীন চৌধুরীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে না পারা আমাদের ব্যর্থতা: চাঁদপুরে হাসনাত আব্দুল্লাহ

মিজান লিটন
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫, ৬:২৮ অপরাহ্ণ
মাহরীন চৌধুরীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে না পারা আমাদের ব্যর্থতা: চাঁদপুরে হাসনাত আব্দুল্লাহ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরীকে যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে পারিনি। এটি আমাদের ব্যার্থতা। তিনি ২০ জন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে নিজের জীবন দিয়েছেন। এদেশে বাহিনী ছাড়া সিবিলিয়ানরা কখনো হিরো হতে পারে না।

বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ট এনসিপির দেশব্যাপী ‘দেশ গড়তে জুলাই পথযাত্রা’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিমান দূর্ঘটনায় নিহতের সকল দায়বার অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে নিতে হবে। আমাদের আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা এখনো আগের মত। আমরা দেখেছি ঘটনার পর ওই কলেজে শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পিটানো হয়েছে। প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি।

হাসনাত বলেন, দিন শেষে আমাদেরকে ফ্যসিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। আপনারা দেখেছেন গতকাল ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ লাশের ওপর দিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছে। আওয়ামী লীগের অধ্যায় শেষ। আওয়ামী লীগ যদি আবারও ফেরার চেষ্টা করে তাহলে এই শোক শক্তিতে পরিণত হয়ে তাদের ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকেও বন্ধ করে দেয়া হবে।

ভবিষ্যত বাংলাদেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা একসঙ্গে একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব। যে বাংলাদেশে গুম, খুন হবে না, চিকিৎসার নিশ্চিয়তা থাকবে, সন্তানরা স্কুলে গেলে বিল্ডিং ভেঙে পড়বে না। আকাশ থেকে বিমান স্কুলে ভেঙে পড়বে এমন বাংলাদেশ চাই না।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এনসিপির চাঁদপুর জেলার প্রধান সমন্বয়ক মো. মাহবুব আলম। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন মূখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, মূখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সামান্তা সারমিন।

আরো বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম মূখ্য সমন্বয়ক মো. মাহবুব আলম ও মো. মিরাজ মিয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা এনসিপির আহবায়ক মাহবুব তালুকদার।

নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী বক্তব্যে বলেন, চাঁদপুরে আমার জন্ম এবং এখানকার মাটিতেই আমাকে মিশে যেতে হবে। আল্লাহ ছাড়া আমরা কাউকে ভয় পাই না। কেউ যদি ষড়যন্ত্র করে আমাদেরকে বার বার হত্যা এবং খুন করতে আসে ততবার আমরা জেগে উঠে বলবো-বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার মত স্বৈরাচার কায়েম হতে দিব না। চাঁদপুরে কোন চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস ও বালু খেকোদের প্রশ্রয় দেয়া হবে না।

তিনি বলেন, চাঁদপুরের অনেক গ্রাম নদী গর্বে বিলীন হয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার কারণে বহু মানুষ তাদের বসতবাড়ি হারিয়ে বিভিন্ন স্থানে ছিন্নমূল হয়ে বসবাস করছে। এসব মানুষের চোখের দিকে তাকিয়ে হলেও আল্লাহর ওয়াস্তে আপনারা চাঁদপুরকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকুন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবি শিক্ষার্থী ও এনসিপির মূখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বক্তব্যে বলেন, ৫ আগস্টের পর যত ঘটনা হয়েছে, এসব ঘটনায় যেসব তদন্ত কমিটি হয়েছে, এসব কমিটিগুলোকে প্রত্যেকটি ঘটনার পিছনে কোন ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান ও পদ্ধতি দায়ি, সেগুলো খোঁজে বের করে তদন্ত সাপেক্ষে যেন তাদেরকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসে। বাংলাদেশ এমন ধ্বংসের পরে আর কোন চুরির খেলা দেখতে চাই না।

এই নেতা বলেন, আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতবেদ থাকতে পারে। আওয়ামী লীগ এবং তাদের দোসর আমাদের মধ্যে ডুকে অরাজকতা তৈরী করবে সেই সুযোগ আমরা আর এই বাংলাদেশে দেব না। আমাদের রাজনৈতিক আদর্শ ও নাম ভিন্ন হতে পারে। আমরা বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন ও গণ অধিকার পরিষদ সহ বিভিন্ন নামে রাজনৈতিক লড়াই করতে পারি। যদি আওয়ামী লীগের প্রশ্ন আসে, তাহলে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই সকল সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করবো।
সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সামান্তা সারমিন বক্তব্যে বলেন, বিমান দূর্ঘটনার পরবর্তী সয়ম ঘটনাগুলো কোন স্বাভাবিক ঘটনা নয়। আমরা সবাই শোকহাত দিন পার করছি। জুলাই পদযাত্রা এই পর্যায়ে এসে শোক পদযাত্রায় পরিণত হয়েছে।

তিনি চাঁদপুরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের এই মাটিতে কয়জন ব্যাক্তি শহীদ হয়েছেন। আপনারা এই শহীদ মায়েদের আর্তনাদ শুনেছেন। বাংলাদেশের উর্বর মাটি শহীদদের রক্তে রঞ্জিত। আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে কতদিন পর্যন্ত এই শহীদদের রক্তের মর্যাদা ভূলুন্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি এই অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই আন্দোলনের দুই হাজার শহীদদের দায়িত্ব নেয়নি। তাদের পরিবারের দায়িত্বও নেয়নি। একই সাথে আমরা বিস্মিত হয়েছি এই অন্তর্বর্তী সরকার মাইলস্টোন কলেজের নিহত ও আহত শিক্ষার্থীদের জন্য সরকার সাহায্য চাইছে।

পদযাত্রা অনুষ্ঠান শেষে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন এনসিপি চাঁদপুর জেলা কমিটির সদস্য মুফতি মাহমুদুল হাসান।

পদযাত্রা পূর্বে এনসিপি নেতারা চাঁদপুর সার্কিট হাউজ থেকে একটি শোক র‌্যালী নিয়ে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়ক হয়ে পদযাত্রা স্থলে এসে উপস্থিত হন। এর আগে চাঁদপুর সার্কিট হাউস সভা কক্ষে জুলাই আন্দোলনের শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

এদিকে চাঁদপুর শহরে অনুষ্ঠানে শেষে এনসিপি নেতারা হাজীগঞ্জ উপজেলা সদরের চৌরাস্তা বিশ্ব রোড এলাকায় শহীদ আজাদ সরকার চত্বর উদ্বোধন করেন। সর্বশেষ শাহরাস্তি উপজেলার দোয়াভাঙ্গা এলাকায় পথসভা করেন। সেখানে বক্তব্য দেন মূখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী। অনুষ্ঠান শেষে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা কুমিল্লার উদ্দেশ্যে সড়ক পথে চাঁদপুর ত্যাগ করেন।

শাহরাস্তিতে মাদক ও স্বৈরাচার বিরোধী আলোচনা সভা

মোঃ সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ণ
শাহরাস্তিতে মাদক ও স্বৈরাচার বিরোধী আলোচনা সভা

মাদকের বিষয়ে শাহরাস্তি উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো একটি প্রতিবাদী আলোচনা সভা ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মাদক ব্যবসায়ী ও স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।

আলোচনা সভায় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বিল্লাল শিকদারের সভাপতিত্ব ও টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবদলের নেতা মো. মমিন শিকদার (লিটন মাস্টার) এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের ব্রাঞ্চ অফিসার মনির হাওলাদার।

এছাড়াও অন্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকশামীম আহমেদ, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বিল্লাহ হোসেন শিকদার, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেরাজুন নবী (রাজু), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল প্রিন্স, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম (মানিক), সৌদি আরবের রিয়াদ শাখার বিএনপির সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদিন, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক দিদার হোসেন মজুমদার।

সভায়বক্তারা মাদকের ভয়াবহতা এবং সমাজে এর বিস্তার রোধে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্সের ওপর জোর দেন এবং এই সামাজিক ব্যাধি থেকে যুবসমাজকে রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

আলোচনা সভা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। যা স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এই আয়োজনের মাধ্যমে এলাকার মাদক নির্মূল ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় এক নতুন বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

শাহরাস্তিতে ​মহিলা মাদরাসার কমিটির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

মো. সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ
শাহরাস্তিতে ​মহিলা মাদরাসার কমিটির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

শাহরাস্তিতে বলশিদ মহিলা মডেল আলিম মাদরাসার নতুন কমিটি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামকে সভাপতি করার পর থেকেই এই বিতর্ক শুরু হয়। তার পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে কমিটির তিনজন সদস্য পদত্যাগও করেছেন।

​স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদরাসার কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াটি ছিল অস্বচ্ছ ও গোপনে। তারা বলছেন, মাদরাসার নাম তিনবার পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রথমে “ফজিলতের নেছা মহিলা মাদরাসা”, পরে “শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা মাদরাসা” এবং এখন “বলশিদ মডেল মহিলা আলিম মাদরাসা” নাম রাখা হয়েছে। যদিও মাদরাসার ফটকে এখনও আগের নামফলকই ঝুলছে। ​এছাড়াও সভাপতি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে আরও কিছু গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

​তিনি একসাথে একাধিক মাদরাসার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। ​তার স্ত্রী নাজমা বেগম মাদরাসার অফিস সহকারী হলেও তিনি নাকি বাড়িতে বসেই হাজিরা খাতায় সই করেন। ​তাদের পরিবারের আরও পাঁচজন সদস্য মাদরাসার বিভিন্ন পদে চাকরি করছেন।

অভিভাবক সদস্য খোরশেদ আলম জানান, “আমার দুই মেয়ে এখানে পড়ে। আমাকে হঠাৎ ডেকে অভিভাবক সদস্য হিসেবে সই করতে বলা হয়। এটা একটা কৌশল ছিল বুঝতে পেরে আমি পদত্যাগ করেছি।”

​ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন বলেন, “গোপনে অসৎ উদ্দেশ্যে এই কমিটি করা হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানতাম না।”

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন জানান, অধ্যক্ষের কক্ষের চাবি ও কমিটির সব নথিপত্র সভাপতির কাছেই থাকে।

​সভাপতি আমিনুল ইসলাম সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “মাদরাসার নাম দুইবার পরিবর্তন হয়েছে, তিনবার নয়। অন্য প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হয়েও এখানে সভাপতি হওয়া নিয়মসিদ্ধ। যারা পদত্যাগ করেছেন, সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।”

​উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিয়া হোসেন জানিয়েছেন, “কমিটি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”

স্থানীয়দের দাবি, এই বিতর্কিত কমিটি বাতিল করে একটি স্বচ্ছ কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে যদি সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সুপার মনিরুজ্জামানকে অপসারণ করা না হয়, তাহলে তারা আরও কঠোর আন্দোলন করবেন।

এলাকাবাসীর সর্বস্তরের জনগণের অংশ গ্রহনে  মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন,ওই সময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় এলাকাবাসী সৈয়দ আহমেদ দুলাল, কামরুল আহসান মজুমদার, মমতাজ উদ্দিন ভূঁইয়া, শাহ আলম খান, বাবুল হোসেন পাটোয়ারী, গিয়াস উদ্দিন মিয়াজী, লিপন, মনির হোসেন, রুহুল আমিন পাটোয়ারী, কিরণ মুন্সি, মোশারেফ মেম্বার, হেলাল মুন্সী, সাগরসহ বহু অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায় শিশুসহ মা ও মেয়ে আহত

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:৩০ অপরাহ্ণ
লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায় শিশুসহ মা ও মেয়ে আহত

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের মাঝি বাড়িতে পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় বসত ঘর ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়ও প্রতিপক্ষের হামলায় শিশু সহ মা ও মেয়ে আহত হয়েছে। এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ঘটনার বিবরনে ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের মাঝি বাড়ির দুলাল গংদের সাথে শাহানারা বেগমের সাথে সম্পত্তিগত ও পারিবারিক ভাবে বিরোধ চলে আসছে। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুলাল, সানু (৫০) ও তাদের ৩ মেয়ে বিথী, রিমা, সাবিনা জোরপূর্বক শাহানারা বেগমের বসত ঘরে প্রবেশ করে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় শাহানারা বেগম, তার মেয়ে জান্নাত আক্তার ও নাতনি ১০ বছরের শিশু উম্মে আইমান গুরুতর আহত হয়। এছাড়াও হামলাকারীরা তাদের বসত ঘর সহ ভিতরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। শাহানারা বেগমদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা চলে যায়। পরে উপস্থিত লোকজন শাহানারা বেগম সহ আহতদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। শাহানারা বেগম ও নাতিন উম্মে আইমানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এবং জান্নাত আক্তারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি দেন।

জান্নাত আক্তার বলেন, তাদের সাথে আগে থেকেই পারিবারিক বিষয় নিয়ে একটু দ্বন্দ ছিলো। তারা প্রতিনিয়ত আমাদেরকে প্রাণে মারার হুমকি দিত এবং নুন থেকে চুন ঘষলেই তারা আমাকে ও আমার মাকে মারতে আসতো। রবিবার আমি ঘরে বসে আমার মামাতো বোনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতেছি, এ সময় আমাদের ঘরের পাশ দিয়ে রিমা যাওয়ার সময় কি শুনে তার বাবা মা ও বোনদেরকে নিয়ে এসে আমাদেরকে মারধর করে এবং গালিগালাজ করতে থাকে।

শাহানারা বেগমের ছেলে অলিউল্লাহ বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না। যখনই আমি বাড়ি থেকে সরে যাই তখনই তারা আমার মাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয়। আমার বোন স্বামীর বাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসছে, তাদের উপর এভাবে হামলা করেছে এবং পরবর্তীতে আমার বোন ও আমি বাড়িতে না থাকলে আমার মাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আমাদের অপরাধ আমরা তাদের বংশের না এবং স্থানীয় না, আমরা মামার বাড়িতে থাকি এজন্য আমরা বাড়ি থেকে সরে যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয়। তাই আমি প্রশাসনের কাছে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসীদের শাস্তির আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার চাই।

শাহানারা বেগমের ছেলে অলিউল্লাহ বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় দুলাল, সানু, বিথী, রিমা, সাবিনাকে বিবাদী কের একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ বাহার মিয়া বলেন, বিষয়টি জেনেছি, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখতেছি।