খুঁজুন
সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫, ৪ কার্তিক, ১৪৩২

হাজীগঞ্জে ভাই বোনের পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন

কবির আহমেদ
প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ৭:৪১ অপরাহ্ণ
হাজীগঞ্জে ভাই বোনের পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন

হাজীগঞ্জে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে চরম অনিয়ম, জুলুম ও হয়রানির অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের পশ্চিম গন্ধর্ব্যপুর গ্রামের মুন্সী বাড়ির তিন ভাই মোঃ ইমাম হোসেন, মোঃ দেলোয়ার হোসেন এবং মোঃ তোফাজ্জল হোসেন তাদের বড় ভাই মোঃ আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে জমি আত্মসাৎ ও নানা অপকর্মের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন।

তাদের অভিযোগ, পৈত্রিক, হেবা ও ক্রয়কৃত সম্পত্তির সুষ্ঠু ভাগাভাগি না করে বড় ভাই আনোয়ার হোসেন একতরফাভাবে সেই জমি নিজের সন্তানের নামে দান করে দেন, যার ফলে তারা সম্পূর্ণরূপে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হন। বিভিন্ন সালিশ বৈঠকেও কোনো সমাধান না হওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে প্রশাসন ও গণমাধ্যমের সহায়তা চাচ্ছেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, আমাদের সম্পত্তি নিয়ে বিচার চেয়েও বিচার পাচ্ছি না। বরং উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা ও হুমকির মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। প্রশাসনের কাছে আমরা সুবিচার চাই।

আরো জানা যায়, আনোয়ার হোসেন হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের সাবেক সভাপতি ও তার ছেলে ইলিয়াস হোসেন সাদ্দাম, যিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত, তার নাম ব্যবহার করে স্থানীয়ভাবে প্রভাব খাটাচ্ছেন এবং একের পর এক জুলুম করে চলেছেন। এতে এলাকাবাসীও আতঙ্কিত।

সংবাদ সম্মেলনে এলাকার আরও দুই ব্যক্তি-মোঃ ওসমান গণি ও মোঃ মানিক- নিজেদের প্রতারিত হবার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

ওসমান গণি জানান, আমি দেলোয়ার হোসেনের কাছ থেকে ৭ শতাংশ জমি ক্রয় করেছি, কিন্তু আনোয়ার ও তার ছেলে আমাকে সেই জমিতে যেতে দিচ্ছে না।

মানিক বলেন, আমি নূর বানুর কাছ থেকে ১.৫০ শতাংশ জমি কিনে ভোগদখল করতে পারছি না। সন্ত্রাসী কায়দায় আমাকে ভয় দেখাচ্ছে।

তারা বলেন, আনোয়ার হোসেন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সাধারণ মানুষ, এমনকি নিজের পরিবারের সদস্যদেরও জিম্মি করে রেখেছেন। মামলা, হামলা ও ভয়ভীতি তার প্রধান অস্ত্র। এছাড়াও আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. আরাফাত হোসেন, মেহেদী হাসান ও আরমানও এসব কর্মকান্ডে জড়িত।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং সকল সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনাদের মাধ্যমে আমাদের কণ্ঠ যেন প্রশাসনের কর্ণগোচরে পৌঁছে। আমরা বিচার চাই, শান্তি চাই।

সাংবাদিক সম্মেলনে হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকারের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী পরিবারের মোঃ ইসমাইল হোসেন, মোঃ ওসমান গনি, মোঃ মানিক হোসেন, মোঃ তাজুল ইসলাম, শামসুন্নাহার, তাসলিমা বেগম সহ স্থানীয়, জাতীয় প্রিন্ট ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর কর্মরত সাংবাদিক বৃন্দ।

নভেম্বরে গণভোট-পিআরসহ ৫ দাবিতে ইসলামি দলগুলোর নতুন কর্মসূচি

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:০৩ অপরাহ্ণ
নভেম্বরে গণভোট-পিআরসহ ৫ দাবিতে ইসলামি দলগুলোর নতুন কর্মসূচি

পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামি দলগুলো। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে গণভোট আয়োজন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন প্রভৃতি।

রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদের।

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, আগামী ২০ অক্টোবর রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করা হবে। ২৫ অক্টোবর সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল। ২৭ অক্টোবর সব জেলা শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করবে ইসলামি দলগুলো।

আগামী ২৭ অক্টোবরের মধ্যে দাবি মানা না হলে দেশব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে জানান খেলাফত মজলিসের এই নেতা।

লিখিত বক্তব্যে আহমেদ আবদুল কাদের বলেন, এরই মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ভয়ভীতিমুক্ত গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছি। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ, ভোটকেন্দ্র দখল, পেশিশক্তি প্রদর্শন ও ভোটের বিভিন্ন অনিয়ম ও অপতৎপরতা বন্ধ, কোয়ালিটি-সম্পন্ন পার্লামেন্ট এবং দক্ষ আইনপ্রণেতা তৈরিসহ প্রতিটি ভোট মূল্যায়নের লক্ষ্যে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি। বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, কলামিস্ট, লেখক, গবেষক, শিক্ষাবিদ ও নানান শ্রেণিপেশার মানুষ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি জনগণের দাবিসমূহ কার্যকর করার কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এ অবস্থায় জনগণের দাবি আদায়ের জন্য গণআন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। তাই জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে গণভোট আয়োজন করে তার আলোকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমরা কর্মসূচি দিয়েছি।

পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:

১.জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে গণভোট আয়োজন।
২.আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে/ উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু।
৩.অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
৪.ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা।
৫.স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী, জাগপার মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির মহাসচিব নিজামুল হক নাঈম প্রমুখ।

জামায়াতের ‘পিআর আন্দোলন’ সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা: নাহিদ ইসলাম

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৫০ অপরাহ্ণ
জামায়াতের ‘পিআর আন্দোলন’ সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর তথাকথিত ‘আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) আন্দোলন’ একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক ইংরেজি ভাষার পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নাহিদ দাবি করেন, পিআর আন্দোলনের নামে জামায়াত একটি কৌশলগত ষড়যন্ত্র চালিয়েছে। তিনি বলেন, এই আন্দোলনের মাধ্যমে মূলত ঐকমত্য কমিশনের সংস্কার প্রক্রিয়াকে ভ্রান্ত পথে চালিত করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং রাষ্ট্র ও সংবিধান পুনর্গঠন-সংক্রান্ত জাতীয় সংলাপকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হয়েছে।

নাহিদ লেখেন, ‘ভোটের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে একটি উচ্চকক্ষ গঠনের মূল সংস্কার দাবি ছিল সংবিধানিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা। আমরা এমন একটি গণআন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছিলাম যা জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে সংবিধানের কাঠামোগত পরিবর্তন আনবে।’

তবে তার অভিযোগ, জামায়াত ও তার মিত্ররা এই এজেন্ডা ‘ছিনতাই’ করে নিজেদের সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে ‘পিআর ইস্যু’ ব্যবহার করেছে। তাদের লক্ষ্য ছিল না কোনো বাস্তব সংস্কার, বরং ‘কৌশলী প্রতারণা’।

তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াত কখনোই গঠনমূলক আলোচনায় অংশ নেয়নি—না জুলাই অভ্যুত্থানের আগে, না পরে। তারা কোনো সাংবিধানিক প্রস্তাব বা গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গিও উপস্থাপন করেনি।’

নাহিদের দাবি, জামায়াতের হঠাৎ ‘সংস্কারের’ পক্ষে অবস্থান গ্রহণ কোনো আদর্শগত রূপান্তর নয়, বরং এটা ছিল রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ এবং সংস্কারের ছদ্মবেশে নাশকতা চালানোর একটি প্রয়াস।

তিনি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের জনগণ এ প্রতারণা স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছে। জনগণ এখন জেগে উঠেছে এবং আর কোনো ভুয়া সংস্কারবাদী বা ষড়যন্ত্রকারীর দ্বারা প্রতারিত হবে না।’

আগামী ৩ দিন নন-শিডিউল ফ্লাইটের খরচ মওকুফ: বিমান উপদেষ্টা

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩৬ অপরাহ্ণ
আগামী ৩ দিন নন-শিডিউল ফ্লাইটের খরচ মওকুফ: বিমান উপদেষ্টা

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগামী ৩ দিন নন-শিডিউল ফ্লাইটগুলোর সব ধরনের খরচ মওকুফ করা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৮ নম্বর কার্গো গেটের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের ঘটনায় এ ছাড় দেওয়া হয়।

উপদেষ্টা বলেন, গতকাল (শনিবার) বেলা সোয়া ২টার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিটের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে আগুন সম্পূর্ণভাবে নেভানো সম্ভব হয়। আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল রাত ৯টার মধ্যে বিমানবন্দর চালু করা, আমরা তা করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, বর্তমানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে ড্যামেজ অ্যাসেসমেন্টের কাজ চলছে। ধ্বংসের আর্থিক ক্ষতি ও ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের ওজন নির্ধারণের পাশাপাশি খাতভিত্তিক বিশ্লেষণের কাজও করা হচ্ছে।

অগ্নিকাণ্ডের কারণে প্রায় ২১টি ফ্লাইট ডাইভার্ট ও বাতিল করতে হয়েছিল জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আগামী তিন দিন যেসব নন-শিডিউল ফ্লাইট আসবে, তাদের সব খরচ আমরা মওকুফ করেছি। যাত্রীদের খাবার, থাকা ও সেবার দায়িত্বও আমরা নিয়েছি। তবে একসঙ্গে অনেক ইস্যু সামলাতে হচ্ছে, ফলে কিছু ব্যত্যয় ঘটতে পারে।