চাঁদপুরে ভেকু দিয়ে কৃষি জমির মাটি কাটার হিড়িক


চাঁদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ভেকু দিয়ে কৃষি জমির মাটি কাটার মহা উৎসব চলছে। এক ফসলি থেকে শুরু করে তিন ফসলি মাঠে অবৈধ ভাবে কিছু মাটি খেকো ব্যবসায়ী টপসয়েল কেটে ইট ভাটা ও ভরাট কাজে নিয়ে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে প্রশাসনের তৎপরতায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীকে জেল জরিমানা করলেও থেমে নেই বাকিদের কার্যক্রম।
দেখা যায়, এসব ফসলি জমি থেকে ৩ থেকে ৫ ফুট গভীর করে মাটি কাটা হচ্ছে। আবার কিছু মাঠে ২৫ থেকে ৩০ ফুট গভীরতার ফলে আশপাশের কৃষিজমিও ভেঙে পড়ছে। এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে এলাকার ফসলি জমির মালিক ও কৃষকরা। স্থানীয় প্রশাসন তৎপর হলে প্রভাবশালী মাটি ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত কয়েকদিন ধরে সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত মিজি বাড়ির আক্কাছ মিজিদের ফসলি জমিতে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ঝিল তৈরি করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায় এর দায়িত্বে রয়েছেন স্থানীয় কাদির মেম্বার।
তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে ভেকু ভাড়া করে এই ফসলি জমিতে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার কাজ করছেন।
এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে তারা আরো জানায়, এই কাদের মেম্বার এর নেতৃত্বেই এলাকার ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার কাজ হচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন ফসলি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে।এই চক্রটি কৃষকদের কাছ থেকে অল্প দামে ফসলি জমির মাটি কিনে উচ্চমূল্যে ইট ভাটায় বিক্রি করে আসছে।সেই মাটি তারা ভেকু লাগিয়ে নিষিদ্ধ ট্রাকে করে অবাধে বিক্রি করছে। প্রথম দিকে সন্ধ্যার পর থেকে মাটিকাটা শুরু হতো এখন দিনের বেলা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাটি কাটার পর তা নিয়ে যাওয়া হয় পার্শ্ববর্তী ইটের ভাটায়। এতে কমে যাচ্ছে উর্বর আবাদি জমি। ফলে কমছে খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা।চাঁদপুর সদরের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে এই ফসলি জমির মাটি ভেকুদিয়ে কাটার মহোৎসব চলছে।
এলাকাবাসী আরো জানায়, এলাকার প্রভাবশালী নেতারা এই মাটি কাটার কাজে বেশীর ভাগ জরিত। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তারা এই কাজে লিপ্ত রয়েছেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকত এর সাথে আলাপকালে তিনি জানান, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। ঘটনার সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সাধারণ কৃষক।
আপনার মতামত লিখুন