মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদে জনবল সংকটে চলছে ১৭টি দপ্তর


চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন বিভাগে জনবল সংকটের মধ্যে দিয়ে চলছে অফিসের কার্যক্রম। পরিষদের ১৭ টি দপ্তরেই দীর্ঘদিন ধরে যাবৎ জনবল সংকটে পড়ে আছে। এতে অফিসের দাপ্তরিক কাজে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। এছাড়া সেবা নিতে আসা মানুষজন সেবা না পেয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। অধিকাংশ অফিসগুলোতে জনবল না থাকায় কর্মকর্তা নিজেই দাপ্তরিক কাজ করছেন।
উপজেলা পরিষদ কার্যালয় সূত্র জানা গেছে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, কার্য সহকারী ও অফিস সহায়কের পদটি দীর্ঘদিন ধরে খালি থাকায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সেতুপ্রকল্পের একজন কার্য সহকারী নিয়ে অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
কাবিটা, কাবিখা ও টিআর মিলিয়ে দুটি পৌরসভা বাদে ২৫০টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। লোকবল সংকটের কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে একাই এসব প্রকল্পের তদারকি করতে হচ্ছে। তিনি ফিল্ডে গেলে অফিস ফাঁকা, অফিসে থাকলে মাঠ ফাঁকা, এই অবস্থার মধ্য দিয়ে চলছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরে বিভিন্ন পদে ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারির মধ্যে রয়েছে মাত্র ৬ জন। এর মধ্যে ভেটেরিনারি সার্জনের গুরুত্বপূর্ণ পদটি দীর্ঘ ৫ বছর ধরে শূন্য অবস্থায় পড়ে আছে। কম্পিউটার অপারেটরের পদে লোক নেই দীর্ঘ প্রায় ৩ বছর যাবৎ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে বিভিন্ন পদে ৩৫ জনের মধ্যে কর্মরত আছে ২২ জন। বাকী ১৩ টি পদ দীর্ঘ দিন যাবৎ শূণ্য রয়েছে।
৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৭ জন মেডিকেল অফিসারের মধ্যে কর্মরত আছেন ৮ জন। এছাড়া ১০ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের স্থলে কর্মরত রয়েছে ৩ জন । অজ্ঞান করা ডাক্তার না থাকায় অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম দির্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ড্রাইভার না থাকায় এ্যাম্বুলেন্সের সেবা পাচ্ছেনা দীর্ঘদিন যাবৎ। ৫ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ৫ জনের স্থলে কর্মরত আছে ২ জন।
এছাড়া উপজেলা পরিষদের আরো বেশ কয়েকটি দপ্তরে জনবল সংকটে রয়েছে।
উপজেলা ভূমি অফিসের ‘কানুনগো” পদটি শুন্য রয়েছে দীর্ঘ দিন যাবৎ। যার কারনে অফিসের বিভিন্ন কাজে স্থবিরতা দেখা যায়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আনোয়ারুল ইসলামসহ একাধিক দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ‘জনবল সংকটের কারনে দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কাজ করতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমজাদ হোসেন বলেন, যেসকল দপ্তরগুলোতে জনবল সংকট রয়েছে ওই দপ্তরের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানের নিকট জনবল চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোর জনবল সংকট কেটে যাবে।’
আপনার মতামত লিখুন