খুঁজুন
রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫, ২২ আষাঢ়, ১৪৩২

শাহরাস্তিতে মাসিক সমন্বয় ও আইন শৃঙ্খলা সভা সম্পন্ন

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:৩৭ অপরাহ্ণ
শাহরাস্তিতে মাসিক সমন্বয় ও আইন শৃঙ্খলা সভা সম্পন্ন

শাহরাস্তি উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আইন শৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভা সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শাহরাস্তি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরূপম মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাসার, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ আবু ইসহাক, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলী আশরাফ খাঁন, মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল সাদাফ, শাহরাস্তি প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক নোমান হোসেন আখন্দ, মেহের উওর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম মজুমদার, রায়শ্রী উওর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুশু, রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ডাঃ আবদুর রাজ্জাক, সূচীপাড়া উওর ইউনিয়ন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন লিটন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মেহের দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: রুহুল আমিন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মাকসুদ আলম, উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার মোহাম্মদ শাহজাহান, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মাহবুব আলম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার আবু হাসান, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা তুলসী দেবনাথ প্রমুখ।

মাসিক আইন শৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভায় বক্তারা উপজেলার বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিতকরণ, মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, কিশোর গ্যাং সহ বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

কচুয়ায় মহিলা ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

কচুয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫, ৭:২২ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় মহিলা ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

কচুয়ার ১নং সাচার ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোসাঃ নুরুন নাহার বেগমের বিরুদ্ধে ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাতা দেয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। রবিবার বিকালে রাগদৈল বাজারে ভুক্তভোগী পরিবারের প্রায় শতাধিক সদস্যরা টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন।

রাগদৈল, বজরীখোলা ও মঙ্গল মুড়া এলাকার এলাকাবাসী জানান, বিগত ৫ জানুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নুরুন নাহার বেগম ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অদ্যবদী ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের সাথে উগ্র আচরণ করে আসছেন। তার এমন উগ্র আচরণে অতিষ্ঠ রাগদৈল, বজরীখোলা, মঙ্গলমুড়া এলাকার সাধারণ মানুষ।

ভুক্তভোগিরা জানান, ইউপি সদস্য নুরুন্নাহার বেগম শুধুমাত্র উগ্র আচরণই করেন না, ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও টিসিবি ফ্যামিলী কার্ড ও বিভিন্ন ভাতা প্রতি ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা এবং বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধি ভাতা ও সরকারি চাল এর কার্ড করে দিবে বলে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেয়া ও টিসিবি ফ্যামিলী কার্ড, সরকারি অন্যান্য সুযোগ সুবিধার নামে টাকা সাধারণ মানুষ ফেরত চাইলে নুরুন নাহার বেগম তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী সহ সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে প্রশাসনের মাধ্যমে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নুরুন নাহার বেগম মুঠোফোনে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এতোদিন তারা কোথায় ছিলো। সব অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন তিনি।

মতলবে নিখোঁজের ৪৮ ঘণ্টা পর মেঘনায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার

আলআমীন পারভেজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫, ৭:০৮ অপরাহ্ণ
মতলবে নিখোঁজের ৪৮ ঘণ্টা পর মেঘনায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার

মতলব উত্তর উপজেলার সাতানী গ্রামের যুবক মো. ফরহাদ জুয়েল (২৭) নিখোঁজ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর তার লাশ মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুরো ঘটনাটি ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

একের পর এক তথ্য, পরস্পরবিরোধী বয়ান ও মোবাইল ফোনে মুক্তিপণের দাবিতে জড়িয়ে গেছে একাধিক ব্যক্তি- যা পরিস্থিতিকে আরো জটিল ও রহস্যময় করে তুলেছে। নিহত জুয়েল কলাকান্দা ইউনিয়নের সাতানী গ্রামের মো. আবুল হাশেমের ছেলে। তার পরিবারে রয়েছে স্ত্রী ও চার বছরের একমাত্র সন্তান আবু সুফিয়ান।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৪ জুলাই ) সকাল বেলায় ফরহাদ জুয়েল বাড়ি থেকে বের হয়ে এখলাসপুর বকুলতলা এলাকায় যান বলে খবর পাওয়া যায়।

তার মা সুফিয়া বেগম জানান, “আমার ছেলে শাহ আলম মেম্বারের কাছে গিয়েছিলো। এরপর আর কোনো খোঁজ মেলেনি।” তবে এখলাসপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহ আলম দাবি করেন, “আমার সাথে জুয়েলের কোনো সাক্ষাৎ হয়নি।”

এদিন রাত ৮টার দিকে হাসিমপুর গ্রামের রুহুল আমিনের সঙ্গে নয়ানগর বটতলায় দেখা হয় জুয়েলের। রুহুল জানান, জুয়েল তাকে কথা বলার কথা বললে তিনি বলেন, বাজারে গিয়ে চা খেতে খেতে কথা বলা যাবে। এরপর দুজনেই মোটরসাইকেল নিয়ে বাজারের পথে রওনা দেন। তবে পথিমধ্যে এখলাসপুরের নুরু মিয়া রাজার সঙ্গে দেখা হলে জুয়েল থেমে যান। রুহুল বাজারে পৌঁছালেও জুয়েল আর আসেননি।

নুরু মিয়া রাজা জানান, “জুয়েল বলেছে সে মনির হোসেন গাজীর ছেলে সজিবের কাছে বালুর টাকা নিতে যাচ্ছে।” অন্যদিকে সজিব বলেন, “জুয়েলের সঙ্গে আমার কোনো আর্থিক লেনদেন নেই। এমনকি ওই দিন তার সঙ্গে আমার দেখা হয়নি।”

নিখোঁজের পরদিন ভোরে পাঁচানী স্কুলের পাশের রাস্তার ধারে পড়ে থাকতে দেখা যায় জুয়েলের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল। এর কিছুক্ষণ পরই জুয়েলের বড়ো ভাই সোহেলের মোবাইলে অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

সবকিছু ছাপিয়ে শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে হাইমচরের নীলকমল এলাকায় মেঘনা নদীতে একটি মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে নীলকমল নৌ পুলিশ ফাঁড়ি মরদেহটি উদ্ধার করে, যা পরে নিখোঁজ ফরহাদ জুয়েলের বলে শনাক্ত হয়।

এই ঘটনায় সাতানী গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে নজরুল, জাহিদুল এবং হযরত আলী প্রধানের ছেলে মনির হোসেনকে মতলব উত্তর থানা পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে থানায় নিয়ে আসে।

মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা যায় শ্বাসরুদ্ধ করে জুয়েলকে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে কিছু অসঙ্গতিও পাওয়া গেছে। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের দিকটিই আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।”

ফরহাদ জুয়েলের পরিবার বলছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তারা দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে মতলব উত্তরের সর্বত্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা বলছেন, “একজন নিরীহ যুবককে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই নির্মমতা মেনে নেওয়া যায় না। প্রশাসনের কাছে আমরা কঠোর বিচার চাই।”

মার্কিন-ইসরায়েলি ত্রাণকেন্দ্রে খাবার নিতে গিয়ে নিহত ৭৪৩ ফিলিস্তিনি

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫, ৬:৫৮ অপরাহ্ণ
মার্কিন-ইসরায়েলি ত্রাণকেন্দ্রে খাবার নিতে গিয়ে নিহত ৭৪৩ ফিলিস্তিনি

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বিতর্কিত ত্রাণ সহায়তা কেন্দ্র থেকে খাবার সংগ্রহের সময় কমপক্ষে ৭৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই ঘটনায় আরও অন্তত ৪ হাজার ৮৯১ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে জানায়, গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে খাবার নিতে গিয়ে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। মে মাসের শেষ দিকে এই ত্রাণ কর্মসূচি চালু করা হয়।

আল-জাজিরার গাজা প্রতিনিধি হানি মাহমুদ বলেন, এটি ন্যূনতম হিসাব। বাস্তবে আরও অনেক হতাহত রয়েছে। খাদ্য সংকটে ভুগতে থাকা ফিলিস্তিনিরা খাবারের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন, আর সেই সময়েই তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়।

সম্প্রতি বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কিছু ঠিকাদার অভিযোগ করেছেন, জিএইচএফ বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে সাহায্যপ্রার্থীদের লক্ষ্য করে তাজা গুলি ও স্টান গ্রেনেড ছোড়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে দুজন মার্কিন ঠিকাদার জানান, অনেক কর্মী ‘যা ইচ্ছা তাই করছেন।’

জিএইচএফ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, এই খবর সম্পূর্ণভাবে ‘মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর’। সংগঠনটি দাবি করেছে, তারা তাদের সাইটগুলোর নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।

তীব্র সমালোচনার মুখেও যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন জিএইচএফের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানান, এটি একমাত্র সংগঠন যারা গাজা উপত্যকায় খাদ্য ও ত্রাণ সরবরাহ করতে পেরেছে।

জুন মাসের শেষ দিকে ট্রাম্প প্রশাসন জিএইচএফকে ৩০ মিলিয়ন ডলার সরাসরি অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেয়।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বহু মানবাধিকার সংস্থা জিএইচএফ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি একে ‘অমানবিক ও প্রাণঘাতী সামরিকীকৃত কর্মসূচি’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

অ্যামনেস্টি বলেছে, জিএইচএফ মূলত আন্তর্জাতিক উদ্বেগ প্রশমনের একটি মুখোশ। এটি ইসরায়েলের গণহত্যার আরেকটি হাতিয়ার।

সূত্র: আল-জাজিরা