খুঁজুন
সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৪ ভাদ্র, ১৪৩২

নারী উদ্যোক্তাদের চোখে জয়ের স্বপ্ন

চাঁদপুরে জমে উঠেছে বৈশাখী মেলা

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:০৮ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে জমে উঠেছে বৈশাখী মেলা

চাঁদপুর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে চলছে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে ২০ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা। উদ্বোধনের পর থেকে যতই দিন যাচ্ছে ততই মেলা জমজমাট হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত নারী এবং শিশুসহ সববয়সী মানুষের সমাগমে মুখরিত থাকে মেলা প্রাঙ্গণ। এবারের মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের তৈরী পণ্যের পাশাপাশি শিশুদের বিনোদনের জন্য নাগরদোলা, ডরিমন ট্রেনসন বিভিন্ন রাইড রাখা হয়েছে। ফলে মেলার বেচাকেনাও আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। এতে করে নতুন উদ্যমে সাফল্যের পথে হাঁটার স্বপ্ন দেখছেন চাঁদপুরের নারীর উদ্যোক্তারা।

চাঁদপুর উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এবারের বৈশাখী মেলায় সবমিলিয়ে ৩৮টি স্টল স্থান পেয়েছে। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে এবারের মেলায় অংশ নেওয়া ৩৮টি স্টলের মধ্যে ১টি (মুড়ি, মুরলী, মিষ্টান্নের স্টল) বাদে বাকি সবগুলোই চাঁদপুরের নারী উদ্যোক্তাদের। তারা হলেন নুসরাত, তাজিয়া রাব্বি তিথি. পাপড়ি বর্মন, মুই মারমা, শান্তা মোবারক, অর্পিতা, বাবলী, মমতাজ বেগম, নিলু আক্তার, মায়া আক্তার, মৌসুমী আক্তার আয়াত, নিশি আক্তার, রোজিনা আক্তার, জাহিন আক্তার, জরিনা, বেগম প্রমুখ। এছাড়াও পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি পুনাক এর ২ টি স্টল রয়েছে।

সরজমিনে মেলা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, শহীদ মিনার প্রাঙ্গণের ছোট্ট মাঠ জুড়ে বর্ণীল আলোয় ঝলমল করছে মেলার স্টলগুলো। যেখানে চাঁদপুরের নারী উদ্যোক্তারা নিজেদের তৈরী হরেক রকম পণ্য দিয়ে স্টল সাজিয়েছেন। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে হাতে তৈরি ঘর সাজানোর আসবাবপত্র, নকশি কাঁথা, বাঁশ ও বেতের তৈরি বিভিন্ন কারুপণ্য, নকশীকাঁথা, মাটির জিনিসপত্র, হাতের কারুকাজ করা থ্রি-পিস, পর্দা, চাদর, পাটজাত গৃহস্থালি পণ্য, গৃহস্থালি কাজের ব্যবহারিক দরকারি সব পণ্যের সমাহার। এছাড়া নারীদের সাজসজ্জার দৃষ্টিনন্দন গহনা ও প্রসাধনীসহ হাতে তৈরি বিভিন্ন রকমের খাবার বিক্রি করা হচ্ছে। মাঠের মাঝে রয়েছে শিশুদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন রাইডস।

বৈশাখী মেলার স্টলগুলো ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি স্টলেই নানাবয়সী নারী ও পুরুষ এবং শিশুরা ভিড় করে তাদের পছন্দের পণ্য কিনছেন। তবে আগত ক্রেতা এবং দর্শনার্থীদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাই বেশি। এসব স্টলগুলোতে হাতে তৈরী পণ্যের দিকে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি।

বৈশাখী মেলায় অংশ নেওয়া নারী উদ্যোক্তা তাজিয়াস গ্যালারির স্বত্বাধিকারী তাজিয়া রাব্বি তিথি বলেন, এই ধরনের মেলা আমাদের মত নারী উদ্যোক্তার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। কারন আমরা চাইলেই বড় প্রতিষ্ঠান খুলে আমাদের পণ্য প্রদর্শন এবং বিক্রয় করতে পারিনা। এই ধরনের মেলায় অংশগ্রহণ করতে পেরে আমরা আমাদের পণ্যগুলো প্রদর্শন, বিক্রয় এবং ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারছি। এজন্য আমি চাঁদপুর উইমেন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং এর প্রেসিডেন্ট মুনিরা আক্তার আন্টিকে ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি চাঁদপুর জেলা প্রশাসনকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যে তারা আমাদেরকে এমন একটি মেলায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দিয়েছেন।

মেলায় অংশ নেওয়া নারী উদ্যোক্তা বিথী আক্তার এবং আয়েশা আক্তার তানিয়া বলেন, নারী উদ্যোক্তারা অনেক প্রতিবন্ধকতা এবং বাধা-বিত-বিপত্তিকে মাড়িয়ে পরিবারের সাপোর্ট নিয়ে এগিয়ে যাওয়া স্বপ্ন দেখে। এরপরেও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তাদের সাপোর্টের প্রয়োজন। সেই কাজটি করে যাচ্ছে চাঁদপুর উইমেন চেম্বার। তারা নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এই মেলায় মাধ্যমে অসংখ্য নারী উদ্যোক্তারা তাদের পণ্যগুলো বিক্রয়ের সুযোগ পেয়েছে। আগামীতেও যাতে এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকে, এজন্য আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।

চাঁদপুর উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মুনিরা আক্তার বলেন, এবারের মেলায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসন আমাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছেন। মূলত নারীর উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্যগুলো প্রদর্শন, বিক্রয় এবং ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের এই মেলার আয়োজন করা। এতে নারী উদ্যোক্তারা অনেক বেশি উপকৃত হবে।

তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরে জেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, গণমাধ্যমসহ সর্বমহলের সহযোগিতার ফলে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মেলার আয়োজন করতে পেরেছি। দিন যতই যাচ্ছে মেলার দর্শনার্থী এবং ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়ছে। বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে। এজন্য আমরা সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

অসহায় পরিবারের মাঝে টিন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান

মিজান লিটন
প্রকাশিত: সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:৩৭ অপরাহ্ণ
অসহায় পরিবারের মাঝে টিন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান

চাঁদপুর সদরে গৃহ নির্মাণ মঞ্জুরী প্রকল্পের আওতায় ৮০ টি অসহায় পরিবারের মাঝে টিন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। রবিবার বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে এই টিন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকত।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আফতাবুল ইসলাম, চাঁদপুর শহর জামায়াতের আমির এডভোকেট শাজাহান খান।

এদিন গৃহ নির্মাণ মঞ্জুরী প্রকল্পের আওতায় ৮০ টি পরিবারের মাঝে মোট ১০৬ বান টিন এবং প্রতি বান টিনের সাথে ৩ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়।

শাহরাস্তিতে ৪ মাদককারবারি আটক

মোঃ সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮:২৭ অপরাহ্ণ
শাহরাস্তিতে ৪ মাদককারবারি আটক

শাহরাস্তি থানা পুলিশ পৃথক দুটি অভিযানে গাঁজা ও ইয়াবাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে। আটককৃত মাদককারবারিরা হলো শিমুল মজুমদার (২৮), তাপস দাস (৩৫), শাহ পরান (২৯) ও জাহাঙ্গীর আলম (৪২)।

৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহরাস্তি থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে এ মাদককারবারিদেরকে আটক করা হয়। রাগৈ গ্রামে অভিযান চালিয়ে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে।

জানা যায়, শিমুল মজুমদার (২৮), তাপস দাস (৩৫), শাহ পরান (২৯) এদের কাছ থেকে ১০০ গ্রাম গাঁজা এবং মাদক বিক্রির নগদ ৩১,২৪৪ টাকা উদ্ধার করা হয় এবং জাহাঙ্গীর আলম (৪২) এর কাছ থেকে ৪৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক বিক্রির নগদ ৩,৬৫০ টাকা জব্দ করা হয়।

​গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে শাহরাস্তি মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুটি মামলা (এফআইআর নং-৬ এবং এফআইআর নং-৭) দায়ের করা হয়েছে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটি কমছে, তবে সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে বহাল: উপদেষ্টা

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮:০৪ অপরাহ্ণ
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটি কমছে, তবে সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে বহাল: উপদেষ্টা

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিনই বহাল থাকছে। তবে শিক্ষাপঞ্জিতে অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় ছুটি কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে সরকার।

এমন তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

রবিবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, স্কুলে যদি প্রকৃত অর্থে পাঠদান নিশ্চিত করতে চাই, তাহলে ‘কন্ট্রাক্ট আওয়ার’ বাড়াতে হবে। অর্থাৎ একজন শিক্ষক ছাত্রকে কতটা সময় দিতে পারছেন, সেটি নির্ভর করছে স্কুল কত দিন খোলা থাকে তার ওপর। আমাদের স্কুল বছরে মাত্র ১৮০ দিন খোলা থাকে, যেখানে বছরজুড়ে রয়েছে ৩৬৫ দিন। এর মানে অনেক অপ্রয়োজনীয় ছুটি রয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি শিক্ষাপঞ্জিতে কিছু অপ্রয়োজনীয় ছুটি কমিয়ে আনতে। এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে করা হচ্ছে। বিচ্ছিন্নভাবে করলে সফলতা আসবে না।

সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন থেকে এক দিনে নামিয়ে আনার সম্ভাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা জানান, সপ্তাহে দুই দিনের ছুটি কমিয়ে এক দিন করা এখনো আমাদের সিদ্ধান্ত নয়। কারণ, সব স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একই নিয়মে চলে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আলাদাভাবে এটা করা কঠিন।

উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষকদের একটা দাবি আছে— তারা ভ্যাকেশন ডিপার্টমেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। যদি এটিকে নন-ভ্যাকেশন করতে চাই, তাহলে সরকারের আর্থিক ব্যয়ের বিষয়টি চলে আসে। বিষয়টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা আছে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

ছুটি কমানোর ক্ষেত্রে কোন কোন দিনগুলো বাদ দেওয়া হতে পারে— এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এই বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে যখনই সিদ্ধান্ত হবে, আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

প্রাথমিক শিক্ষাকে স্বাক্ষরতা অর্জনের মূল ভিত্তি হিসেবে অভিহিত করে অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের মূল কাজই হলো স্বাক্ষরতা অর্জন। অথচ এখানে নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, যা আমাদের এগিয়ে যেতে বাধা দিচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেই স্বাক্ষরতা নিশ্চিত করতে হবে।