খুঁজুন
সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৮ বৈশাখ, ১৪৩২

নারী উদ্যোক্তাদের চোখে জয়ের স্বপ্ন

চাঁদপুরে জমে উঠেছে বৈশাখী মেলা

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:০৮ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে জমে উঠেছে বৈশাখী মেলা

চাঁদপুর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে চলছে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে ২০ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা। উদ্বোধনের পর থেকে যতই দিন যাচ্ছে ততই মেলা জমজমাট হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত নারী এবং শিশুসহ সববয়সী মানুষের সমাগমে মুখরিত থাকে মেলা প্রাঙ্গণ। এবারের মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের তৈরী পণ্যের পাশাপাশি শিশুদের বিনোদনের জন্য নাগরদোলা, ডরিমন ট্রেনসন বিভিন্ন রাইড রাখা হয়েছে। ফলে মেলার বেচাকেনাও আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। এতে করে নতুন উদ্যমে সাফল্যের পথে হাঁটার স্বপ্ন দেখছেন চাঁদপুরের নারীর উদ্যোক্তারা।

চাঁদপুর উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এবারের বৈশাখী মেলায় সবমিলিয়ে ৩৮টি স্টল স্থান পেয়েছে। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে এবারের মেলায় অংশ নেওয়া ৩৮টি স্টলের মধ্যে ১টি (মুড়ি, মুরলী, মিষ্টান্নের স্টল) বাদে বাকি সবগুলোই চাঁদপুরের নারী উদ্যোক্তাদের। তারা হলেন নুসরাত, তাজিয়া রাব্বি তিথি. পাপড়ি বর্মন, মুই মারমা, শান্তা মোবারক, অর্পিতা, বাবলী, মমতাজ বেগম, নিলু আক্তার, মায়া আক্তার, মৌসুমী আক্তার আয়াত, নিশি আক্তার, রোজিনা আক্তার, জাহিন আক্তার, জরিনা, বেগম প্রমুখ। এছাড়াও পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি পুনাক এর ২ টি স্টল রয়েছে।

সরজমিনে মেলা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, শহীদ মিনার প্রাঙ্গণের ছোট্ট মাঠ জুড়ে বর্ণীল আলোয় ঝলমল করছে মেলার স্টলগুলো। যেখানে চাঁদপুরের নারী উদ্যোক্তারা নিজেদের তৈরী হরেক রকম পণ্য দিয়ে স্টল সাজিয়েছেন। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে হাতে তৈরি ঘর সাজানোর আসবাবপত্র, নকশি কাঁথা, বাঁশ ও বেতের তৈরি বিভিন্ন কারুপণ্য, নকশীকাঁথা, মাটির জিনিসপত্র, হাতের কারুকাজ করা থ্রি-পিস, পর্দা, চাদর, পাটজাত গৃহস্থালি পণ্য, গৃহস্থালি কাজের ব্যবহারিক দরকারি সব পণ্যের সমাহার। এছাড়া নারীদের সাজসজ্জার দৃষ্টিনন্দন গহনা ও প্রসাধনীসহ হাতে তৈরি বিভিন্ন রকমের খাবার বিক্রি করা হচ্ছে। মাঠের মাঝে রয়েছে শিশুদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন রাইডস।

বৈশাখী মেলার স্টলগুলো ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি স্টলেই নানাবয়সী নারী ও পুরুষ এবং শিশুরা ভিড় করে তাদের পছন্দের পণ্য কিনছেন। তবে আগত ক্রেতা এবং দর্শনার্থীদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাই বেশি। এসব স্টলগুলোতে হাতে তৈরী পণ্যের দিকে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি।

বৈশাখী মেলায় অংশ নেওয়া নারী উদ্যোক্তা তাজিয়াস গ্যালারির স্বত্বাধিকারী তাজিয়া রাব্বি তিথি বলেন, এই ধরনের মেলা আমাদের মত নারী উদ্যোক্তার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। কারন আমরা চাইলেই বড় প্রতিষ্ঠান খুলে আমাদের পণ্য প্রদর্শন এবং বিক্রয় করতে পারিনা। এই ধরনের মেলায় অংশগ্রহণ করতে পেরে আমরা আমাদের পণ্যগুলো প্রদর্শন, বিক্রয় এবং ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারছি। এজন্য আমি চাঁদপুর উইমেন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং এর প্রেসিডেন্ট মুনিরা আক্তার আন্টিকে ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি চাঁদপুর জেলা প্রশাসনকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যে তারা আমাদেরকে এমন একটি মেলায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দিয়েছেন।

মেলায় অংশ নেওয়া নারী উদ্যোক্তা বিথী আক্তার এবং আয়েশা আক্তার তানিয়া বলেন, নারী উদ্যোক্তারা অনেক প্রতিবন্ধকতা এবং বাধা-বিত-বিপত্তিকে মাড়িয়ে পরিবারের সাপোর্ট নিয়ে এগিয়ে যাওয়া স্বপ্ন দেখে। এরপরেও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তাদের সাপোর্টের প্রয়োজন। সেই কাজটি করে যাচ্ছে চাঁদপুর উইমেন চেম্বার। তারা নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এই মেলায় মাধ্যমে অসংখ্য নারী উদ্যোক্তারা তাদের পণ্যগুলো বিক্রয়ের সুযোগ পেয়েছে। আগামীতেও যাতে এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকে, এজন্য আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।

চাঁদপুর উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মুনিরা আক্তার বলেন, এবারের মেলায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসন আমাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছেন। মূলত নারীর উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্যগুলো প্রদর্শন, বিক্রয় এবং ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের এই মেলার আয়োজন করা। এতে নারী উদ্যোক্তারা অনেক বেশি উপকৃত হবে।

তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরে জেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, গণমাধ্যমসহ সর্বমহলের সহযোগিতার ফলে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মেলার আয়োজন করতে পেরেছি। দিন যতই যাচ্ছে মেলার দর্শনার্থী এবং ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়ছে। বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে। এজন্য আমরা সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

দেশে ৩ স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ
দেশে ৩ স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম

নতুন তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব।

সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ তথ্য জানান তিনি।

ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব লিখেছেন, ‘নতুন তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমছে। ফাইবার অ্যাট হোমের ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করেছেন যে- আইটিসি পর্যায়ে ১০ শতাংশ, আইআইজি পর্যায়ে ১০ শতাংশ এবং এনটিটিএন বা ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ মূল্য হ্রাস করবেন তারা। ’

এর আগে আইএসপি লাইসেন্স প্রাপ্ত কোম্পানিগুলোর অ্যাসোসিয়েশন থেকে পাঁচ এমবিপিএসের পরিবর্তে ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেট প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।

তারও আগে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে পর্যায়ে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি সকল আইআইজি এবং আইএসপি গ্রাহকদের জন্য ১০ শতাংশ এবং পাইকারি গ্রাহকদের জন্য অতিরিক্ত ১০ শতাংশসহ মোট ২০ শতাংশ দাম কমিয়েছে।

এ নিয়ে ইন্টারনেট লাইসেন্স রেজিমের মোট তিন থেকে চারটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাকি আছে শুধু মোবাইলসেবা দাতা ৩টি বেসরকারি কোম্পানির দাম কমানোর ঘোষণা। ইতোমধ্যেই সরকার মোবাইল কোম্পানিগুলোকে বিডব্লিউডিএম এবং ডার্ক ফাইবার সুবিধা প্রদান করেছে।

তিনি আরও লিখেছেন, এমতাবস্থায় বেসরকারি মোবাইল কোম্পানিগুলোর ইন্টারনেটের দাম না কমানোর কোনো ধরনের যৌক্তিক কারণ কিংবা অজুহাত অবশিষ্ট থাকে না। সরকার মোবাইল সেবাদাতা কোম্পানিগুলোকে পলিসি সাপোর্ট দিয়েছে এবং সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় স্তরগুলোতে পাইকারি পর্যায়ে ইন্টারনেটের দামও কমিয়েছে। এখন তাদের জাতীয় উদ্যোগে শরিক হওয়ার পালা।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জানিয়েছেন, মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমানোর পদক্ষেপে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিও সামান্য কিছুটা কমে আসবে বলে আশা করি।

ঈদুল ফিতরের দিন থেকে সরকারি মোবাইল সেবা তো কোম্পানি টেলিটক ১০ শতাংশ মূল্য ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছিল। সরকার আশা করে অতি দ্রুতই তিনটি বেসরকারি মোবাইল কোম্পানি অত্যন্ত যৌক্তিকভাবে মোবাইল ইন্টারনেটের মূল্য পতনের ঘোষণা দেবে।

সরকার এখানে দুই ধরনের মূল্য ছাড় আশা করে-

মার্চ মাসে এসআরও অ্যাডজাস্টমেন্ট বাবদ মোবাইল কোম্পানিগুলো যে মূল্য বাড়িয়েছিল সেটা কমাবে। (সরকার শুল্ক বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়ে তা থেকে সরে এসেছে, কিন্তু সে মতে বর্ধিত মূল্য কমায়নি মোবাইল কোম্পানিগুলো। )

দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক গেটওয়ে/আইটিসি, আইআইজি এবং ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন পর্যায়ে যতটুকু পাইকারি দাম কমানো হয়েছে তার সমানুপাতিক হারে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমাবে। বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের মানে ব্যাপক প্রশ্ন রয়েছে। মানের তুলনায় দাম অনেক বেশি। এমতাবস্থায় গ্রাহকস্বার্থে যৌক্তিক পদক্ষেপ নিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

নারায়ণপুরে মাদক বিরোধী মিনি নাইট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট

মোঃ রবিউল আলম
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৩৬ অপরাহ্ণ
নারায়ণপুরে মাদক বিরোধী মিনি নাইট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট

মতলবের নারায়ণপুর রসুলপুরে মিনি ক্রিকেট মেগা ফাইনাল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক বাদল।

মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও মতলব পৌরসভার সাবেক মেয়র এনামুল হক বাদল বলেছেন, তরুণ প্রজন্মের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। মাদক ও সমাজের অপরাধমুলক কর্মকাণ্ড থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে হলে খেলাধুলার প্রতি মনোনিবেশ করে গড়ে তুলতে হবে। সুস্থ দেহ ও সতেজ মন ধরে রাখতে খেলাধুলা ও শারীরিক পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই।

মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের রসুলপুর পূর্ব পাড়া যুব সমাজ কল্যাণ কর্তৃক আয়োজিত মাদক বিরোধী টিভি কাপ মিনি নাইট ক্রিকেট টুর্নামেন্টের মেগা ফাইনাল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। শুক্রবার রাতে বদরপুর রসুলপুর মাঠে মেগা ফাইনাল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নারায়ণপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন মুন্সির সভাপতিত্বে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সালেহ আহাম্মদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাতলাব পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ শোয়েব আহমেদ সরকার, মতলব প্রেস ক্লাবের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক গোলাম সারওয়ার সেলিম, উপাধি উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুদ রানা প্রধান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিএনপি নেতা মানিক মাহমুদ, মাহবুব মিয়াজী হেলাল আব্বাসী, আশিকুর রহমান, মিলন মুন্সি, জাহাঙ্গীর আলম, কিরণ প্রধান, হুমায়ুন প্রধান প্রমুখ।

খেলাটি সার্বিকভাবে পরিচালনা করেছেন বাবু মুন্সী, রাকিব প্রধান, তপু দাস,শুভ মন্সী,তানভীর মুন্সি, শিহাব, আহাদ, নোমান।

মেগা ফাইনাল মিনি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে এক রানে কচুয়া বন্ধু মহল স্পোর্টিং ক্লাব কে হারিয়ে জোড়পুল যুব স্পোটিং ক্লাব বিজয় লাভ করে। পরে অতিথিবৃম্দ পুরস্কার তুলে দেন।

হাজীগঞ্জে বিএনপি আয়োজিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনসমাবেশ

কবির আহমেদ
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:১৮ অপরাহ্ণ
হাজীগঞ্জে বিএনপি আয়োজিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনসমাবেশ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে হাজীগঞ্জ উপজেলার ০৭ নং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন আয়োজিত শনিবার বিকালে রামচন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশাল জনসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, চাঁদপর জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি সংসদীয় আসনে বিএনপি’র প্রধান সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ বি-নির্মাণে আমাদের নেতা তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে এই দেশে কোন ধরণের বৈষম্য থাকবে না এবং দেশের সমৃদ্ধির পাশাপাশি সবাই সুখে-শান্তিতে বসবাস করবে। তাই আসুন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে কাজ করি,এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কেউই নিজের হাতে আইন তুলে নিবেন না। যারা অপরাধমূলক কার্যক্রমের সাথে জড়িত ছিলো, রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের বিচার হবে। পাশাপাশি তারা আমাদের নেতাকর্মীদের উপর যে নিপীড়ন ও নির্যাতন এবং মানুষের উপর যে জুলুম-অত্যাচার করেছে, আমরা তাদের মতো এমন আচরন কারো সাথে করবো না।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব ইমাম হোসেন ও সাবেক সাধারন সম্পাদক এম এ. রহীম পাটওয়ারী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অত্র ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মোঃ সাইফউল্ল্যাহ সাইফুল মাস্টার।

সমাবেশে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন হেলাল, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদ মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর রহমান, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, যুবদল নেতা কাইয়ুম পাটওয়ারী, কাউছার মোল্লা, ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি হাছান ভুইয়া, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম পাটওয়ারী ও ছাত্রদল নেতা আব্দুল হাদী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা যু্বদলের সাবেক আহবায়ক আক্তার হোসেন দুলাল ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুন কবির সুমন, পৌর যুবদলের সাবেক আহবায়ক মিজানুর রহমান সেলিম, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম পাটওয়ারী, পৌর বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাহাবুদ্দিন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন লিটন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক বিল্লাল হোসেন বেলাল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব শাহিন মজুমদার।

সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক এস.এম ফয়সাল হোসাইন, পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক আবু ইউসুফ সহ উপজেলা ও পৌর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সমর্থকবৃন্দ।