খুঁজুন
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ, ১৪৩২

সারাদেশে রেলপথ ব্লকেডের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:১৩ অপরাহ্ণ
সারাদেশে রেলপথ ব্লকেডের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা ও গুলি ছোড়ার প্রতিবাদ এবং ছয়দফা দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে এবার ঢাকাসহ সারাদেশে রেলপথ ব্লকেডের ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তারা অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।

বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা মোড়ে দিনভর অবস্থান কর্মসূচি শেষে এ ঘোষণা দেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি জুবায়ের পাটোয়ারী।

তিনি বলেন, দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার আমরা সারাদেশে অসহযোগ আন্দোলন করবো। সেই সঙ্গে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে রেলপথ ব্লকেড করা হবে।

কখন থেকে এবং কোথায় এ কর্মসূচি করা হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে শিক্ষার্থীরা জানান, সময় ও স্থানসহ তাদের কর্মসূচির বিস্তারিত ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ’ নামের ফেসবুক পেজে জানানো হবে।

কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রতিনিধি জুবায়ের পাটোয়ারী বলেন, দিনভর আমরা ঢাকাসহ সারাদেশে সড়ক অবরোধ করেছি। আজকে মানুষের যে ভোগান্তি, সেটাই সামনে আসছে; সমালোচনা হচ্ছে। কিন্তু যৌক্তিক দাবি নিয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছি, অথচ আমাদের ভাইদের গুলি করা হয়েছে; রক্ত ঝরেছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর যদি কোনো ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা গুলি খেয়ে থাকে, সেটা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটেও প্রিন্সিপালের নির্দেশে হামলা করা হয়েছে। সরকার আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা প্রিন্সিপালকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছি। অথচ সরকার সারা দিনেও একজন প্রিন্সিপালকে সরাতে পারেনি। একজন প্রিন্সিপালকে সরাতে সারাদিন লাগলে তারা দেশ চালাবেন কীভাবে?
জুবায়ের পাটোয়ারি বলেন, দেশের উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অনেক। আমরা সরকারকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আমাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবেন না। যদি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেন, তাহলে সামাল দিতে পারবেন না। দাবি আদায় করেই আমরা রাজপথ ছাড়বো।

বুধবার সকালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সাতরাস্তা মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। ঢাকার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সারাদেশে জেলায় জেলায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

বিকেলে সাতরাস্তা মোড়ে যান কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শোয়াইব আহমাদ খান। তিনি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে পদোন্নতিতে ‘ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের’ কোনো কোটা রাখা হবে না বলেও জানান।

ডিজি ও অধ্যক্ষের আশ্বাসের পরও সাতরাস্তা মোড়ে অবস্থান অব্যাহত রাখেন শিক্ষার্থীরা। তারা দাবি করেন, প্রত্যেকটি দাবি পূরণে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা লিখিতভাবে জানাতে হবে। সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা বাস্তবায়নের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।

তবে আশ্বাস দেওয়ার পরও শিক্ষার্থীরা রাস্তা না ছাড়ায় কারিগরি অধিদপ্তরের ডিজি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষের কার্যালয়ে চলে যান। সন্ধ্যার দিকে সেখান থেকে কর্মকর্তারা ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান।

বিকেলে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড.খ.ম কবিরুল ইসলাম বলেন, ছয় দফা দাবির মধ্যে পদোন্নতিতে (জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে) ৩০ শতাংশ কোটা (ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের) রয়েছে বা আদালতের নির্দেশনা আছে বলে ওরা বলছে, এটা সত্য নয়। তারা ভুল তথ্যের ওপর আন্দোলন করছেন। আমরা বলেছি, ওখানে ৩০ শতাংশ কোটা থাকবে না। তাহলে তো হয়ে গেলো।

‘আরেকটা দাবি আছে, যেখানে ওরা বলছে-কারিগরির বাইরের সবাইকে সরিয়ে দিতে হবে। ওটা তো হুট করে সম্ভব নয়। এটা ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন হবে। ওই পথ চলাটা আমরা শুরু করে দিয়ে যাবো।’

বাকি চারটি দাবি পূরণে কাজ শুরু হয়ে গেছে জানিয়ে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব বলেন, ‘বাকি যেগুলো আছে, সেগুলো নিয়ে কাজ শুরু হয়ে গেছে। ওরা তো নিজের ভালো-মন্দ খুব বেশি বোঝে না। ওদের জন্য আরও বড় বড় কাজ করছি আমরা। যে কাজগুলো হাতে নেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়ন হলে দেশের কারিগরি শিক্ষা অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে।’

শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি-
১. জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

২. জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক) পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক ডিপ্লোমা প্রকৌশল ডিগ্রি থাকতে হবে।

৩. ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরসহ দেশের কারিগরি সব পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিতে হবে।

৪. কারিগরি (পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদের জন্য) সব বিভাগীয় শহরগুলোতে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে।

৫. কারিগরি শিক্ষা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কারিগরি শিক্ষা চালু ও শিক্ষক পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের চাকরির আবেদনের সুযোগ বাস্তবায়ন করতে হবে।

৬. ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য প্রাইভেট সেক্টরে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দিতে হবে।

সেনা অভিযানে ৭ দিনে সারাদেশে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩৯০

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:০০ অপরাহ্ণ
সেনা অভিযানে ৭ দিনে সারাদেশে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩৯০

গত সাতদিনে সারাদেশে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৩৯০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, মাদকদ্রব্য, দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

আইএসপিআর জানায়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিটসমূহ কর্তৃক অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এসব অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চিহ্নিত দুর্বৃত্ত, ডাকাত, চাঁদাবাজ, একাধিক মামলার পলাতক আসামি, ছিনতাইকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য, মাদক কারবারি, মাদকাসক্ত এবং দালালচক্রের সদস্যসহ মোট ৩৯০ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।

আইএসপিআর জানায়, গ্রেফতারদের কাছ থেকে ১০টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৪৬টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আইএসপিআর আরও জানায়, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে বৈশাখী উৎসব ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত উৎসবকে ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

এছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটের ঘটনার প্রেক্ষিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। পাশাপাশি, চলমান এসএসসি এবং সমমান পরীক্ষার বিভিন্ন কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার অঙ্গীকার পাকিস্তানের

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৩৪ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার অঙ্গীকার পাকিস্তানের

দীর্ঘ ১৫ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ষষ্ঠ পররাষ্ট্রসচিব-স্তরের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকায়। আর ‘অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ’ এই বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের দৃঢ় সংকল্প প্রতিফলিত হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকের বিষয়ে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব কথা বলেছে। আর শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচের নেতৃত্বে ঢাকায় ষষ্ঠ পররাষ্ট্রসচিব-স্তরের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। আলোচনায় দুই দেশ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও কৌশলগত সহযোগিতাসহ নানা বিষয়ে ব্যাপক মতবিনিময় হয়। পাশাপাশি দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, সাংস্কৃতিক বন্ধন ও জনগণের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হয়।

বৈঠকে নিউইয়র্ক, কায়রো, সামোয়া ও জেদ্দায় সম্প্রতি দুই পক্ষের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের যোগাযোগ নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। ওই সব যোগাযোগ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে বলে উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উভয় দেশ দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলো দ্রুত চূড়ান্তকরণ, নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক সংলাপ এবং বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা ও সংযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। পাকিস্তান তাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ মৎস্য ও সামুদ্রিক বিষয়ে কারিগরি প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছে। পাকিস্তানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির প্রস্তাবে বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছে ও শিক্ষা খাতে আরও গভীর সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সংযোগকে অগ্রাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ওই বৈঠকে দুই পক্ষ করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে সরাসরি নৌযান চলাচল শুরুর বিষয়টিকে স্বাগত জানায়। সেই সঙ্গে উভই পক্ষই আবার আকাশপথে সরাসরি যোগাযোগ চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করে। তাছাড়া ভ্রমণ ও ভিসা সহজীকরণে অগ্রগতির প্রতিও উভয় পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

ক্রীড়া, গণমাধ্যম ও সংস্কৃতিতে বড় পরিসরে সহায়তায় বিভিন্ন সমঝোতা স্মারক নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বৈঠকে উভয় দেশ সার্কের কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করার পক্ষে মত দিয়েছে। এ সময় কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুসারে শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দিয়েছে পাকিস্তান। এছাড়া বৈঠকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও সেখানে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানানো হয়েছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তার সঙ্গে বৈঠকে আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে বাহ্যিক চাপমুক্ত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। শিগগিরই পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মদ ইসহাক দারের বাংলাদেশ সফরের প্রত্যাশার কথা জানানো হয়।

সবশেষে পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানান। দুই দেশের মধ্যে পরবর্তী বৈঠক ২০২৬ সালে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে।

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে দেশে নতুন ফ্যাসিজমের দরজা খোলবে: মাওলানা মাকসুদুর রহমান

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:২৪ অপরাহ্ণ
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে দেশে নতুন ফ্যাসিজমের দরজা খোলবে: মাওলানা মাকসুদুর রহমান

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান বলেছেন, স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৩ বছরে যারা বার বার জনগণকে ধোকা দিয়ে ক্ষমতায় ছিলো তাদের মুখে ক্ষমতায় গিয়ে সংস্কার বেমানান। ৫৩ বছরে যারা সংস্কার করেনি করতে পারেনি তাদেরকে জনগণ আর বিশ্বাস করে না। সংস্কারবিহীন নির্বাচনের চাপ দিয়ে তারা নতুন বাংলাদেশে আবার ফ্যাসিজম কায়েম করতে চায়। সারাদেশে বিদ্যমান দখল, চাঁদাবাজি, লুটতরাজই তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। সংস্কারবিহীন নির্বাচন দেশে নতুন ফ্যাসিজমের দরজা খোলবে।

আজ শুক্রবার ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ হাইমচর উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলা যুব সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ভারতের প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়নেই তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচনের জন্য চাপপ্রয়োগ করছে। সংস্কার ছাড়া যারা আজ নির্বাচনের জন্য তড়িঘড়ি করছে তারা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদের প্রতি গাদ্দারি করছে।

তিনি প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনি কারো চাপের কাছে নতিস্বীকার করবেন না। দেশের সিংহভাগ রাজনৈতিক দল ও জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন আপনার প্রতি রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভারতে মুসলিম গণহত্যা চলছে। ধর্মনিরপেক্ষতার আড়ালে আজ ভারতে যা চলছে তা কেবলই মধ্যযোগীয় বর্বরতা। তিনি ভারতের বর্বরতার বিরুদ্ধে বিশ্ববিবেককে জাগ্রত হওয়ার আহ্বান জানান।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মুহাম্মদ মাইন উদ্দিন সুজন, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ আল-আমিন মোল্লা।

উপজেলা সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম হাওলাদারের সভাপতিত্বে ও মাওলানা শরিফ মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহর পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হাইমচর উপজেলা সভাপতি ডা. সফিউল্লাহ, সেক্রেটারি মাওলানা ফখরুল ইসলাম শিমুল, মুহাম্মদ আক্তার সরদার, মুহাম্মদ খলিলুর রহমান মুহাম্মদ নয়ন পাটওয়ারী প্রমুখ।

সম্মেলন শেষে প্রধান অতিথি মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম হাওলাদারকে সভাপতি, গাজী মাওলানা মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহকে সহ-সভাপতি ও হাফেজ মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০২৫-২৬ সেশনের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করেন ও শপথ পড়ান।