খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২০ ভাদ্র, ১৪৩২

কচুয়ায় ১২০ বছরের বৃদ্ধ জায়েদা বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছেন রফিকুল ইসলাম রনি

ইউনুছ মিয়া
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:১৯ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় ১২০ বছরের বৃদ্ধ জায়েদা বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছেন রফিকুল ইসলাম রনি

Oplus_131072

কচুয়ায় ১২০ বছরের বৃদ্ধ অসহায় জায়েদা বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছেন কচুয়ার কৃতি সন্তান ও বাংলাদেশ বিআরবি ক্যাবলস লিমিটেডের মার্কেটিং ডাইরেক্টর শিক্ষানুরাগী রফিকুল ইসলাম রনি। সে উপজেলার সাচার ইউনিয়নের হাতিরবন্দ গ্রামের মিয়াজি বাড়ির মৃত বস্কর আলীর স্ত্রী। বৃদ্ধ জায়েদা বেগম দুনিয়াতে স্বামী, সন্তান ও পরিবারের লোকজন না থাকায় জীবন যুদ্ধ সংগ্রামে দিন কাটাচ্ছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃদ্ধ জায়েদা বেগম স্বামী বস্কর আলীর মৃত্যুর পর স্বামীর ভালোবাসার মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কারণে আর বিয়ে করেননি। যৌবন জীবনটা কাটিয়েছেন স্বামীর ভালোবাসার শ্রদ্ধা ও মায়ার বন্ধনে।

বস্কর আলী ও বৃদ্ধ জায়েদা বেগমের একটি ছেলে থাকলেও অভাব অনটনে কারণে মাকে ছেড়ে ছেলের পরিবার নিয়ে জীবন কাটছে হিমশিমে। ছোট্ট একটি ঝুপড়ি ঘরে ১২০ বছরের বৃদ্ধা জায়েদা বেগমের জীবন কাটছে দুঃখ-কষ্টে ও সংগ্রামে। বেঁচে থাকার জন্য বৃদ্ধ জায়েদা বেগম জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। জায়েদা বেগম সরকারি ও বেসরকারিভাবে কোন সহায়তা পাচ্ছেনা তেমন। থাকার জন্য একটি সরকারি গৃহ নির্মাণের প্রকল্প থেকে একটি ঘরের জন্য জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের কাছে গেলেও কেউ সাড়া দেননি তার ডাকে। এরকম পরিস্থিতিতে বৃদ্ধ জায়েদা বেগম জীবন সংগ্রাম নিয়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হলে কচুয়ার কৃতি সন্তান, বাংলাদেশ বিআরবি ক্যাবলস লিমিটেডের মার্কেটিং ডাইরেক্টর ও শিক্ষানুরাগী রফিকুল ইসলাম রনির নজরে আসলে সে বৃদ্ধ মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। শুক্রবার শিক্ষানুরাগী রফিকুল ইসলাম রনির প্রতিনিধি একটি দল বৃদ্ধ জায়েদা বেগমের বাড়িতে গিয়ে কয়েক মাসের খাবারের জন্য বাজার ও ঝুড়ি ছোট্ট ঘরটি থেকে বৃদ্ধ জায়েদা বেগম স্বস্তিতে জীবন কাটার জন্য ঘর মেরামত করার জন্য নগদ অর্থ প্রদান করেন।

শিক্ষানুরাগী রফিকুল ইসলাম রনির মানবতার দৃষ্টি স্থাপন দেখে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

চাঁদপুরে সড়ক সংস্কার ড্রেনেজ নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবীতে মানববন্ধন

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে সড়ক সংস্কার ড্রেনেজ নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবীতে মানববন্ধন

চাঁদপুর পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ড জি. টি রোড দক্ষিণ, সরকার বাড়ির সড়ক সংস্কার, প্রসস্থকরণ ও পয়ঃনিষ্কাশনের ড্রেনেজ নির্মাণের দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ড সরকার বাড়ির সামনে স্থানীয় শতাধিক বাসিন্দাদের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে চাঁদপুর আইডিয়াল স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুলাহ আল মাহিম ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মিনহাজ হোসাইন বলেন, একটু বৃষ্টি হলে এই সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ফলে তাদের স্কুলে যেতে কষ্ট হয়। স্কুলে যাওয়ার সময় হাতে থাকা বই-খাতা, কলম সহ যাবতীয় আসবাবপত্র পানিতে পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। এবং নোংরা পানির কারণে পায়ে ফোসকা উঠে যায়। তাই দ্রুত এর সড়কটি সংস্কার ও পয়ঃনিষ্কাশনের ড্রেনেজ নির্মাণ করার দাবী তাদের।

স্থানীয় বাসিন্দা সোহাগী আক্তার বলেন, পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক এটি। তবে এই এলাকাটাই বেশি অবহেলিত। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে থাকার কারনে চালাচল করা যায় না। আবার একবার জলাবদ্ধতা হলে কয়েকমাসেও তা নিরসন হয় না। এতে বৃষ্টি হোক বা না হোক সাঁকো ব্যবহার করে বাড়িতে আসা-যাওয়া করগে হয়।

সোহাগীর মতোই দুর্ভোগের বর্ণনা তুলে ধরেন এ্যাডভোকেট ফয়সাল হোসাইন, এ্যাডভোকেট মো. নুরুল হক কোমল, এ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম শাওন, হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ ও মো. আব্দুস সামাদ।

তারা বলেন, এই এলাকায় ১ হাজার পরিবারে ১০ হাজার মানুষের বসবাস। অথচ পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো চিন্তা নেই এই সড়কটি নিয়ে। ১২ নং ওয়ার্ডের সকল শ্রেণীর পেশার মানুষ আজ রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে। চাঁদপুর পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ এ ওয়ার্ড, যেখানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, দায়রা জজ আদালত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তর রয়েছে। অথচ এ ওয়ার্ড সব চেয়ে বেশি অবহেলিত। এ সড়টির বিষয়ে পৌর মেয়র ও পৌর প্রশাসনের কাছে যেতে যেতে আমরা ক্লান্ত। তবুও তারা কোনো সুরাহা করছে না। শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারছে না জলাবদ্ধতার কারনে। এ ওয়ার্ডে কয়েকটি স্কুল এবং মাদ্রাসা রয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এ সড়কটি সংস্কার, প্রসস্থকরণ ও পয়ঃনিষ্কাশনের ড্রেনেজ নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করুন।

মানববন্ধনে ওই সময় চাঁদপুর আইডিয়া স্কুল সহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেনি প্রেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

ছবি ক্যাপশন:- সড়ক সংস্কার, প্রসস্থকরণ ও পয়ঃনিষ্কাশনের ড্রেনেজ নির্মাণের দাবী।

বাতিঘর মানবকল্যাণ সংস্থার কমিটি ঘোষণা

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮:৫৫ অপরাহ্ণ
বাতিঘর মানবকল্যাণ সংস্থার কমিটি ঘোষণা

সামাজিক সংগঠন বাতিঘর মানবকল্যাণ সংস্থার ২০২৫-২৭ অর্থ বছরের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার রাতে সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা সাইফুল ইসলাম সিফাতের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

কমিটিতে মো. জাহাঙ্গীর হোসাইনকে সভাপতি, মো. হোসেন বেপারীকে সাধারণ সম্পাদক ও নিরব আহমেদকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

কমিটির অন্যান্য সদসরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হোসাইন পাটোয়ারী, সহ-সভাপতি এস এম মিরাজ মুন্সী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন বরকন্দাজ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. রনি, তথ্য গবেষণা ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ বেপারী, দপ্তর সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মো. মহিউদ্দিন, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান রিমেল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফারজানা ইসলাম ইয়াসমিন , শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক নাছির উদ্দীন (নাছিমুল বারী), সম্মানিত সদস্য রাজু মির্জা, মো. সোহরাব, মো. তারেক আজিজ ও মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন।

সংগঠনটির সদ্য ঘোষিত সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মো. হোসেন বেপারী বলেন, বাতিঘর মানবকল্যাণ সংস্থা একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সামাজিক সংগঠন। সংগঠনটির সদস্যদের প্রধান কাজ গরিব, অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো। অতীতেও সংগঠনের সদস্যরা মানুষের কল্যাণে কাজ করেছে এবং ভবিষ্যতেও যেন নিঃস্বার্থে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে সেজন্য সকালের সহযোগিতা কামনা করেন তারা।

উল্লেখ্য, সংগঠনটি ২০২২ সালের ২৬ আগস্ট যাত্রা শুরু করে। এর পর থেকে অসহায় পরিবারের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ, হুইল চেয়ার বিতরণ, শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃক্ষ বিতরণ, ঈদ উপহার বিতরণ, ইফতার সামগ্রী বিতরণ, মেধাবী অসহায় শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা ও বই বিতরণ সহ সামাজিক কাজে অবদান রাখছেন।

কচুয়ায় ড্রেজারের বালুর গর্তে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

কচুয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮:৪৬ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় ড্রেজারের বালুর গর্তে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় ড্রেজারের বালুর গর্তের পানিতে ডুবে দু-শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার ৮নং কাদলা ইউনিয়নের শাসনখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুরা হলো: রায়হান (৬) ও রিহান আহমেদ (৩)। তারা মামাতো-ফুফাতো ভাই। রায়হান শাসনখোলা গ্রামের মোশারফের ছেলে। রিহান একই গ্রামের শাহিনের ছেলে।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশে একসঙ্গে খেলছিলো রায়হান ও রিহান। এ সময় পরিবারের লোকজন কাজে ব্যস্ত ছিলেন। খেলতে খেলতে এক পর্যায়ে দু শিশু খেলার ছলে বাড়ির পাশে থাকা একটি ড্রেজারের বালুর গর্তে পড়ে যায়। বাড়ির লোকজন তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
এক পর্যায়ে বালুর গর্তে তারা ডুবে আছে দেখতে পেয়ে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার পানিতে ডুবে যাওয়া দুই শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে আনার পূর্বেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।