খুঁজুন
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৫ বৈশাখ, ১৪৩২

কচুয়ায় তুষার হত্যা বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

কচুয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:১৫ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় তুষার হত্যা বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

কচুয়া উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের ছেলে নূর মোহাম্মদ তুষারের হত্যাকান্ডের জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার, ফাঁসি ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

বুধবার কচুয়া-কালিয়াপাড়া সড়কের মনোহরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় বিক্ষোভ মিছিলে তুষার হত্যাকান্ডের বিচার দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন তুষারের মা তাসলিমা বেগম, চাচা মোশারফ হোসেন, ভাই আল-আমিন, এলাকাবাসীর পক্ষে জুবায়ের হোসেন রাসেল, ইমতিয়াজ আহমেদ রাব্বি, লাদেন মিয়াজী, আহমেদ শুভ, জিসান আহমেদ ও ফাহাদ হোসেন প্রমুখ।

এ সময় বক্তরা বলেন, নূর মোহাম্মদ তুষারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।

তারা আরো জানান, তুষারের হত্যাকান্ডে জড়িত প্রেমিকা ফিমা আক্তার ও তার মা হাসিনা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্রুত গ্রেপ্তার না করা হলে আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করা হবে।

উল্লেখ্য যে, কচুয়া উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে নূর মোহাম্মদ তুষার ও একই উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে প্রেমিকা ফিমা আক্তারের (১৮) সাথে সোমবার দিবাগত রাতে দেখা করতে গেলে প্রেমিকার পরিবার ও বাড়ির লোকজন প্রেমিক তুষারকে আটক করে নির্যাতন করেন। তুষারকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সোমবার চিকিৎসারত অবস্থায় তুষারের মৃত্যু হয়।

মতলব উত্তরে স্বামীর সাথে অভিমান করে বিষ পানে গৃহবধুর আত্মহত্যা

তলব উত্তর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৪৯ অপরাহ্ণ
মতলব উত্তরে স্বামীর সাথে অভিমান করে বিষ পানে গৃহবধুর আত্মহত্যা

মতলব উত্তর উপজেলার ব্রাহ্মণচক গ্রামে নতুন বিল্ডিং করা নিয়ে স্বামীর সাথে সামান্য কথা কাটাকাটি নিয়ে বিষ (কেরির ওষুধ) পান করে আত্মহত্যা করেছে শামীমা সুলতানা রুবি (২০) নামে এক গৃহবধু। ১৩ এপ্রিল রাতের দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পোস্টমর্টেম শেষে স্বামীর অংশগ্রহনেই দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

জানা গেছে, ব্রাহ্মণচক গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মাসুম সরকার গত ৩০ মার্চ ছুটিতে বাড়িতে আসেন। ঈদের পর তিনি নতুন বিল্ডিং করার কাজ শুরু করেন। ওই বিল্ডিংয়ের আকার বড় করার জন্য মাসুদের স্ত্রী অনুরোধ করেন। কিন্তু মাসুম জানায় জায়গা যতটুকু আছে সেই হারেই বিল্ডিং হবে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শামীমা বিষ পান করে বসেন। পরে মাসুম তার স্ত্রী শামীমাকে উদ্ধার করে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

নিহতের স্বামী মাসুম সরকার সাংবাদিকদের বলেন, এই ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেন এবং আমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। আমাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয় পুলিশ। পরে আমি নিজে জানাযার নামাজে উপস্থিত থেকে দাফন সম্পন্ন করেছি। এ ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার করা হয়েছে যে, আমি নাকি আমার শ্বশুড় বাড়ির সাথে ৭ লাখ টাকা দিয়ে রফাদফা করেছি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও আমাকে সমাজে ছোট করার জন্য এসব তথ্য ছড়ানো হয়েছে। আসলে আমি আমার স্ত্রীর মরদেহ পরিবহনের জন্য এবং দাফন সম্পন্ন করার জন্য কিছু টাকা দিয়েছি। সেটা আমি নিজের দায়িত্ববোধ থেকেই দিয়েছি।

মাসুমের মা বলেন, আমার ছেলের বউ কেরির ঔষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। যদি আমার ছেলের কোন দোষ থাকতো তাহলে তো আমার ছেলে পালিয়ে যেত। কিন্তু আমার ছেলে পুলিশের সাথে থানায় গিয়েছে, সে নিজে তার স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেছে। পরে আবার নিজে উপস্থিত থেকে দাফন সম্পন্ন করেছে। আর এই বিষয়ে দাফনের খরচ ছাড়া আর কোন টাকা পয়সা লেনদেন হয়নি।

মতলব উত্তর থানার এসআই সুমন চন্দ্র দাস বলেন, ডিউটি অফিসারের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমি আমার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। সেখানে গিয়ে ভিকটিমের মৃতদেহ দেখি এবং জানতে পারি কেরি ঔষুধ খেয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। সেখানে ভিকটিমের স্বামী ও মেয়ের উভয়পক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। তখন আমরা ভিকটিমের স্বামী মাসুমকে থানায় নিয়ে আসি এবং লাশের সুরতাহাল রিপোর্ট তৈরি করে ভিকটিমের লোকজনের কোন অভিযোগ থাকলে মামলা করার পরামর্শ দেই। তারা কোন মামলা করেননি। পরে অপমৃত্যুর মামলা করার পর লাশ পোস্টমর্টেমে পাঠানো হয়েছে।

মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক জানান, বিষয়টি জানার পর পুলিশ মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তিনি আরও জানান, মেয়ের পরিবার অথবা কেউ এ বিষয়ে মামলা করেনি, তাই আটক মো. মাসুম সরকারকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

ব্লকেড শিথিল করে প্রতারিত হয়েছি, দাবি পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:১৯ অপরাহ্ণ
ব্লকেড শিথিল করে প্রতারিত হয়েছি, দাবি পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

ছয় দফা দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সারাদেশে রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি দিয়েছিলেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। তবে বুধবার দিনগত মধ্যরাতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও গোয়েন্দা সংস্থার অনুরোধে তারা কর্মসূচি শিথিলের ঘোষণা দেন।

তারা জানান, প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ ও শিক্ষা উপদেষ্টার আহ্বানে তারা কর্মসূচি সাময়িকভাবে শিথিল করছেন। সচিবালয়ে তারা উপদেষ্টা ও সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন।

দুপুরে তারা সচিবালয়ে যান। কিন্তু সেখানে উপদেষ্টা ও সচিবরা কেউই ছিলেন না। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্বল্প সময়ের বৈঠকে বসেন একজন অতিরিক্ত সচিব। আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় সেখান থেকে বেরিয়ে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।

বিকেলে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের নেতা জুবায়ের পাটোয়ারী বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ, কথাবার্তা কিছুই হয়নি। সচিবরাও ছিলেন না। স্পষ্টই আমাদের সঙ্গে সরকারের তরফ থেকে প্রতারণা করা হয়েছে। আমরা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা প্রতারিত হয়েছি।

কোন মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ বা আহ্বান পেয়েছিলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে জুবায়ের বলেন, ‘সচিবের দপ্তর থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই, এনএসআই, ডিবি ও ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করছেন এবং শিক্ষা উপদেষ্টা আহ্বান জানিয়েছেন। তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা) অনুরোধ জানিয়েছিলেন, আমরা যেন বৃহস্পতিবারের রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি শিথিল করি। তারা শিক্ষা উপদেষ্টা, মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ দাবি-দাওয়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের বসার ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু আমরা এসে কাউকে পাইনি। এমনকি কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিবও ছিলেন না।

জুবায়ের বলেন, শুধু একজন অতিরিক্ত সচিবকে আমরা পেয়েছিলাম। তখন আমরা চলে আসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের অনুরোধ করেন, বসতে বলেন। আমাদের দাবি-দাওয়া ও কথা শুনতে চান। তিনি বলেছিলেন, তিনি না পারলেও অন্তত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাবেন। বিষয়টি সমাধান করবেন। কিন্তু আমরা আলোচনায় সন্তুষ্ট নয়। তার সঙ্গে বসার পরপর বুঝতে পারি যে কোনো ফলাফল আসবে না। তখন আমরা বেরিয়ে এসেছি।

পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বসবো। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে মিডিয়াকে জানাবো। কারিগরি শিক্ষার্থীদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করাটা মেনে নেওয়া হবে না।

ছয় দফা দাবিতে প্রায় দেড় মাস ধরে ধারাবাহিক কর্মসূচি করছেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সারাদেশে জেলায় জেলায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

দিনভর বিক্ষোভ-অবস্থানের পর সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা সারাদেশে রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি করবেন। তবে রাতে সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানোয় তারা কর্মসূচি সাময়িক শিথিল করেন। এরপর সচিবালয়ে বৈঠকে যান।

হজযাত্রীদের সেবায় চালু হচ্ছে ‘হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার’

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৩৮ অপরাহ্ণ
হজযাত্রীদের সেবায় চালু হচ্ছে ‘হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার’

হজযাত্রীদের নিরবচ্ছিন্ন মানসম্মত সেবা দিতে দেশে, মক্কা ও মদিনায় স্থাপন করা হচ্ছে ‘হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার’। এই সেন্টার থেকে হজযাত্রীদের বিভিন্ন সেবা, উদ্ভূত সমস্যার সমাধান, অভিযোগ নিষ্পত্তি, প্রশ্নের জবাব ও প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত একত্রে পেতে চালু করা হচ্ছে একটি অ্যাপ। থাকছে আরও নানান সুবিধা, যা সহজ করবে হজযাত্রা।

চলতি বছরের হজযাত্রীদের নগদ টাকা বহন করতে হবে না। এজন্য একটি ডেবিট কার্ড দেওয়া হবে। একই সঙ্গে স্বল্পমূল্যে রোমিং (বাংলাদেশি সিম ব্যবহার করে সৌদি আরবের মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক ব্যবহার) সুবিধা দিতে যাচ্ছে সরকার। হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার থেকে হজযাত্রীদের লাগেজ ট্র্যাকিং করার ব্যবস্থাও চালু হচ্ছে। এসব সেবা শিগগির প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উদ্বোধন করবেন বলে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়।

ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় হজ পালন নির্বিঘ্ন করতে দেশে, মক্কা ও মদিনায় ‘হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার’ স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর একটি অ্যাপের মাধ্যমে হজযাত্রীদের বিভিন্ন সেবা, উদ্ভূত সমস্যার সমাধান, অভিযোগ নিষ্পত্তি ও প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত একত্রে প্রাপ্তির ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (হজ অধিশাখা) মো. মঞ্জুরুল হক বলেন, হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের কাজ চলছে। এটি আশকোনা হজ অফিসে স্থাপন করা হবে। একই সঙ্গে মক্কা ও মদিনায় আমাদের হজ অফিসে এটি থাকবে। একটি অ্যাপ করা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা সেন্টার ও অ্যাপ উদ্বোধন করবেন। এবারের হজ সামনে রেখেই এটা করা হবে। অ্যাপটি ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, হজযাত্রীদের ডেবিট কার্ড দেওয়া হবে। এখান থেকে টাকা রিচার্জ করে যাবেন, ওখানে গিয়ে খরচ করবেন। মোবাইল ফোন রোমিংয়ের ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত আছে। হজযাত্রীদের আর সেখানে গিয়ে সিম কিনতে হবে না, তারা স্বল্প খরচে রোমিং সুবিধা পাবেন। আগামী ২০-২২ এপ্রিলের মধ্যে এ বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। আশা করি এবার আরও নির্বিঘ্নে আমাদের হজযাত্রীরা হজ পালন করতে পারবেন।

তিনি আরো বলেন, হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের কাজ চলছে। এটি আশকোনা হজ অফিসে স্থাপন করা হবে। একই সঙ্গে মক্কা ও মদিনায় আমাদের হজ অফিসে এটি থাকবে। একটি অ্যাপ করা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা সেন্টার ও অ্যাপ উদ্বোধন করবেন। এবারের হজ সামনে রেখেই এটা করা হবে। অ্যাপটি ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়ে গেছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, হাজযাত্রীদের যাত্রার আগে, যাত্রা চলাকালীন ও ফিরে আসার পরেও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে অ্যাপটি। এই অ্যাপ বাংলা ভাষায় রিয়েল টাইম নির্দেশনা ও সহায়তা দেবে। ইসলামী ব্যাংকের বিশেষ ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে বিদেশের স্থানীয় মুদ্রায় আর্থিক লেনদেন নিশ্চিত করা হবে। কারণ, অনেক সময় হজযাত্রীদের নগদ অর্থ বহনে সমস্যা হয়। কেউ কেউ নগদ অর্থ হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যান।

তারা আরও জানান, লাগেজ যাতে হারিয়ে না যায়, সেজন্য লাগেজ ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। কারণ হজে গিয়ে বাংলাদেশিদের লাগেজ হারানোর ঘটনা খুবই কমন। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় হজযাত্রীদের। লাগেজে এক ধরনের ইলেকট্রিক চিপ থাকবে, এজন্য কল সেন্টারে বসে লাগেজ মনিটরিং করা যাবে।

অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হজযাত্রীরা প্রতিদিন ওই দিনের করণীয় ও যাতায়াতের বিস্তারিত বিবরণ জানতে পারবেন। যেদিন যে দোয়া পড়তে হবে সেটা স্মরণ করিয়ে দেবে, যেসব পবিত্র স্থানে যাবেন সেসবের ছবিসহ ইতিহাস বর্ণনা করবে।

হাজিদের মনে কোনো প্রশ্ন জাগলে কল সেন্টারে ফোন করে সে প্রশ্নের উত্তর পাবেন। শরীর খারাপ লাগলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেবেন কল সেন্টারের কর্মরতরা। হাজিদের কোনো পরামর্শ থাকলে সেটা পরামর্শ পৃষ্ঠায় লিখে দিতে পারবেন। ভ্রমণের দৈনন্দিন ঝামেলা যেন হজের মূল লক্ষ্য বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সেজন্য সব ব্যবস্থা অ্যাপে থাকবে বলেও জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি মাধ্যমে ৫ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে ৮৭ হাজার ১০০ জন হজ পালন করবেন। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়ে শেষ হয় ২৬ ডিসেম্বর। হজযাত্রীদের ভিসা ইস্যু শুরু হয়েছে ১৯ ফেব্রুয়ারি। আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে হজ ফ্লাইট। এবার হজ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে ৯৪১টি হজ এজেন্সি।

চলতি বছর সরকারি মাধ্যমে হজ পালনে খরচ সাধারণ প্যাকেজ ১ এ ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা এবং সাধারণ প্যাকেজ ২ এ ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা ধরা হয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি মাধ্যমে হজ পালনে সাধারণ প্যাকেজে সর্বনিম্ন ব্যয় হচ্ছে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা।