হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের অর্ধ-লক্ষাধিক মুসল্লীর নামাজ আদায়


পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার মুসলমানদের বৃহত্তম জুমাতুল বিদায় হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে অর্ধলক্ষাধিক মুসল্লী একসাথে নামাজ আদায় করেছেন। শুক্রবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানসহ আশপাশের জেলার হাজার হাজার মুসল্লীর ঢল নামে। সকালের মধ্যেই বিশাল মসজিদের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
অভিভাবকদের সঙ্গে জুমার নামাজ পড়তে এসেছেন শিশু-কিশোররাও। পাশাপাশি নামাজ পড়তে এসেছেন নারী মুসল্লিরাও।
দূর-দূরান্ত থেকে আগত মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদ কর্তৃপক্ষ মসজিদের মাঠ, পাশের আহমাদিয়া আলিয়া মাদরাসা মাঠ ও ভবন, জামেয়া আহমাদিয়া কওমি মাদরাসা ভবন, হাজীগঞ্জ টাওয়ার, রজনীগন্ধা মার্কেট, হাজীগঞ্জ প্লাজা, বিজনেস পার্ক, প্রাইম ব্যাংক ভবন, সাবেক পৌরসভা ভবনের উপর নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করেন।
এদিকে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক, স্টেশন রোডের সম্মুখ থেকে শুরু করে হাজীগঞ্জের পূর্ব বাজারের বড় ব্রিজ পর্যন্ত মুসল্লিদের নামাজের কাতার ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহসহ ফিলিস্তিন মুসলমানদের জন্য বিশেষ দোয়া কামনা করা হয়।
দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের মুফতি আব্দুর রউফ। পরে মসজিদের ভেতরে অনেকেই কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-দরুদ পাঠ করে সময় কাটান।
মুসল্লী জাকির হোসেন জানান, প্রতিবছর হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে জুমাতুল বিদা নামাজ আদায় করতে আসি। হাজার হাজার মানুষ একসাথে নামাজ আদায় করে, খুব ভালো লাগে। এখানকার ব্যবস্থাপনা খুবই ভালো। দূর দূরান্তের মানুষ সকাল থেকে এসে ভিড় করেন। স্থানীয়রা নামাজ শুরুর আগে আসেন।
নোয়াখালী থেকে আসা মুসল্লী মামুন তালুকদার বলেন, আমরা একসাথে কয়েকজন এখানে নামাজ পড়তে এসেছি। আগে থেকে নিয়ত ছিল হাজীগঞ্জ বড় মসজিদে নামাজ পড়বো। অন্য যায়গা থেকে এখানে হাজার হাজার মানুষের সাথে নামাজ আদায় করা ভাগ্যের বিষয়।
হাজীগঞ্জ বড় মসজিদের মোতাওয়ালি শাকিল আহমেদ প্রিন্স গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিবছর জুমাতুল বিদা আদায়ে বিশাল জামাতের আয়োজন করা হয়। এখানে দিন দিন মুসল্লীর সংখ্যা বাড়ছে। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার জুমাতুল বিদার নামাজ আদায়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আমরা আমাদের সাধ্যমত মুসল্লিদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। সুশৃঙ্খলভাবে নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে কঠোর নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। খুব ভালো ভাবে মানুষ নামাজ আদায় করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন