খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১৬ বৈশাখ, ১৪৩২

কচুয়া দুই ভাই, হাজীগঞ্জে ২ জন, শাহরাস্তিতে ১ জন, ফরিদগঞ্জে দুই স্কুলছাত্রী

চাঁদপুরে পৃথক ঘটনায় দুই ভাইসহ সাতজনের মরদেহ উদ্ধার

মনিরুজ্জামান বাবলু/ মো. ইউনুছ/ আনিছুর রহমান সুজন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫, ১:২৪ পূর্বাহ্ণ
চাঁদপুরে পৃথক ঘটনায় দুই ভাইসহ সাতজনের মরদেহ উদ্ধার

চাঁদপুরের চার উপজেলায় পৃথক ঘটনায় সাতজনের মৃতুর খবর পাওয়া গেছে। সোমবার সন্ধ্যায় কচুয়া উপজেলায় ইরি ধানে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যান দুই ভাই। শাহরাস্তি উপজেলায় স’মিলে গাছ কাটতে গিয়ে এক যুবক, হাজীগঞ্জে ছেলের সাথে অভিমানে মায়ের আত্মহনন ও নানার বাড়ীতে বেড়াতে গিয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া একই দিনে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় পৃথক স্থান থেকে দুই স্কুল ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

কচুয়া উপজেলায় সোমবার সন্ধ্যায় কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের শাসন খোলা গ্রামের বড় বাড়ীর পাশে ইরি-বোরো সেলু মেশিন দিয়ে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হন দুই ভাই। তারা হলেন, আবুল হাসানাত বকাউল (৩৫) ও খোরশেদ আলম বকাউল (৫০)। মুমূর্ষ অবস্থায় তাদেরকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তানভীর আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে আনার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার আগেই তারা মারা যান।

পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দুই ভাই বাড়ির পাশে সেচ পাম্প (সেলু মেশিন) দিয়ে ধান খেতে পানি দিতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুৎপৃষ্ট গুরুতর আহত হয়।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই ভাইয়ের মৃত্যুর খবরটি আমারা পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের পরিবার পক্ষ থেকে অভিযোগ করলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দুপুরে শাহরাস্তি উপজেলার আয়নাতলী বাজারে স’ মিলে গাছ কাটতে গিয়ে মারা যান যুবক মো. কবির হোসেন। সে একই উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের নুনিয়া মাইজের বাড়ির বাসিন্দা। স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম জানান, দুপুর আড়াইটায় স’ মেইলে গাছ কাটানোর সময় মেশিনে পড়ে যায়। তাকে স্থানীয়রা শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে সোমবার বিকালে হাজীগঞ্জ উপজেলার সুহিলপুর গ্রামে তাকরিম নামের এক শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। সে শাহরাস্তি উপজেলার করবা গ্রামের সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে। হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিবার জানায়, সে নানার বাড়ীতে বেড়াতে গিয়ে পানিতে পড়ে মারা যায়। তার বয়স হয়েছিল ২ বছর।
অন্যদিকে হাজীগঞ্জে ছেলে ও ছেলের বউয়ের সাথে অভিমান করে পারভীন বেগম (৪০) নামের মা আত্মহনন করেন। সোমবার দুপুরে উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের তারালিয়া গ্রামের জমাদ্দার বাড়িতে পারিবারিক কলহের জেরে কীটনাশক খেয়ে পেলেন তিনি। পারভীন বেগম ওই বাড়ির মো. মনির হোসেনের স্ত্রী।

স্থানীয় বাসিন্দা সফিক ও সাঈদ বলেন, সকাল থেকেই পারিবারিক বিষয় নিয়ে ছেলে মিজানুর রহমান ও ছেলের বউ রিয়ার সাথে পারভিন বেগমের ঝগড়া-বিবাদ চলে আসছিল। এক পর্যায়ে ছেলে ও ছেলের বউয়ের উপর অভিমান করে তিনি কীটনাশক পান করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বজনেরা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে পারভীন বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যান।’

হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহমেদ তানভীর হাসান বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই পারভীন বেগম মারা যান।

হাজীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ না পেলে এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে।

এছাড়া একই দিনে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় পৃথক স্থান থেকে দুই স্কুল ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলার রামদাসেরবাগ ও পশ্চিম পোঁয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ওই দুই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম জানান, রামদারসেরবাগ গ্রামের বাবুল মোল্লা ও রিনা আক্তার দম্পত্তির মেয়ে রাখি আক্তার (১৫) স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণিতে পড়–য়া শিক্ষার্থী। সে সোমবার সকালে নিজেদের ঘরের বাতরুমের ঝর্ণার সাথে গলায় ফাঁস দেয়। পরে রাখির মা তার মেয়েকে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার দিলে প্রতিবেশিরা এসে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

অপরদিকে, ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম পোঁয়া গ্রামে বসত ঘরের আঁড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় মাঈশা আক্তার (১৩) নামে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সে ওই গ্রামের মো. মোস্তফা ও জেসমিন আক্তার দম্পত্তির মেয়ে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীতে পড়–য়া শিক্ষার্থী। মাঈশার মা বলেন, আমি বাড়ির কাজের জন্য ঘরের বাহিরে ছিলাম। কিছুক্ষণপর ঘরে এসে দেখি আমার মেয়ে ঘরের আঁড়ার সাথে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলে আছে। পরে আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এসে পুলিশকে খবর দেয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহআলম বলেন, খবর পেয়ে দুটি ঘটনাস্থল থেকে রাখি আক্তার ও মাঈশা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দুটি ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

চাঁদপুর শহর জামায়াতের গণসংযোগ ও পথসভা

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:৫০ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর শহর জামায়াতের গণসংযোগ ও পথসভা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর শহর শাখার উদ্যোগে দাওয়াতী পক্ষ অভিযান উপলক্ষে গণসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে চাঁদপুর শহরের হাকিমপ্লাজা, হকার্স মার্কেট, জোড় পুকুরপাড় সড়ক ও বাইতুল আমীন চত্বর ব্যাপক দাওয়াতী কাজ এবং পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশের শূরার সদস্য ও চাঁদপুর জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা বিল্লাল হোসাইন মিয়াজী।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করতে চায়। আমরা বিশ্বাস করি, জমিন আল্লাহর কাজেই এই জমিনের মধ্যে হুকুম চলবে আল্লাহর। আল্লাহর আইনের মধ্যে কোন ভুল নাই, মানুষের তৈরি আইনের মধ্যে ভুল আছে। মানুষ যখনই আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে মানুষের তৈরি আইনের দিকে যায়, তখন বারবার হোচঁট খায়, প্রতারিত হয় এবং মানুষ তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত ও শোষণমুক্ত করার জন্য তিনি সবাইকে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।

আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর শহর জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট শাহজাহান খান। উপস্থিত ছিলেন শহর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মো: সাইফুল ইসলাম সবুজ, জামায়াতের ১০নং ওয়ার্ড আমীর গোলাম মাওলা, ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি ও সম্ভাব্য কমিশনার প্রার্থী নুর মোহাম্মদ খোকা, ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি মাইনুল ইসলাম প্রধান, সম্ভাব্য কমিশনার প্রার্থী হাসান আল বান্না, আলাউদ্দিন ঢালী, আলমগীর বন্ধুকশীসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।

কচুয়ায় খড়ের গাঁদা আনতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষাণীর মৃত্যু

মনিরুজ্জামান বাবলু
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:২৯ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় খড়ের গাঁদা আনতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষাণীর মৃত্যু

বজ্রপাতে নিহত কৃষাণী বিশখা।

কচুয়ায় বজ্রপাতে বিশখা সরকার (৩৫) নামে এক কৃষাণীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার উত্তর কচুয়া ইউনিয়নের নাহারা গ্রামের রাধা গবিন্দ বাড়ির কৃষাণী বাড়ির পাশে অবস্থিত জমি হতে খড়ের গাঁদা আনতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন।

নিহত বিশখা সরকার উত্তর কচুয়া ইউনিয়নের নাহারা গ্রামের হরিপদের স্ত্রী। বিশখা সরকার তিন কন্যা সন্তানের জননী।

পরিবার ও এলাকাবাসী জানান, বাড়ির পাশে খড়ের গাঁদা আনতে বাড়ী থেকে বের হবার পথে ঝড়-বৃষ্টির কবলে পড়েন। পরে বজ্রপাতের শিকার হন তিনি। তাকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. জাহিদ হোসাইন জানান, তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে বজ্রপাতে আতঙ্কিত হয়ে মারা যেতে পারেন। তাকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান। আকাশে কালো মেঘ দেখলেই নিজেদের প্রতি প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও নিরাপদ আশ্রয়ে যেত বলছেন এই চিকিৎসক।

বাংলাদেশে লাইসেন্স পেলো স্টারলিংক

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:১৯ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশে লাইসেন্স পেলো স্টারলিংক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনজিএসও সেবাদাতা স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার তিনি এ লাইসেন্স অনুমোদন করেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ২৫ মার্চ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) নন-জিওসটেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিসেস অপারেটর ইন বাংলাদেশ শীর্ষক লাইসেন্সিং গাইডলাইন জারি করে।

ওই গাইডলাইনের আওতায় স্টারলিংক সার্ভিসেস বাংলাদেশ নন-জিওসটেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিসেস অপারেটর লাইসেন্সপ্রাপ্তির জন্য প্রযোজ্য ফি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিটিআরসি বরাবর আবেদন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে আবেদনকৃত লাইসেন্স ইস্যুর জন্য গত ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ২৯৪তম কমিশন সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

স্টারলিংক বাংলাদেশের ইন্টারনেটে নতুন সংযোজন। শ্রীলংকার পরে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশে বৈশ্বিক এ স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করলো।

এ প্রসঙ্গে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ে শেখ হাসিনা সরকারের উপর্যুপরি ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে স্টারলিংককে বাংলাদেশে নিয়ে আসা একটা গণদাবিতে পরিণত হয়েছিল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিনিয়োগবান্ধব হিসেবে একটা বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল প্রধান উপদেষ্টার। বাংলাদেশের হাওর-বাওড় দ্বীপাঞ্চলে, দুর্গম পার্বত্য এলাকায়, বিশেষভাবে উপকূলীয় দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেসব অঞ্চলে এখনো ফাইবার পৌঁছেনি সেখানে দ্রুততম সময়ে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা স্বউদ্যোগী হয়ে স্পেসএক্স সিইও ইলন মাস্ককে ফোন করে ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংককে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার আহ্বান জানান।

এ লক্ষ্য অর্জনে বিডা, বিটিআরসি, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নিবিড়ভাবে কাজ করেছে বলেও জানান তিনি।

ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, স্টারলিংকের সেবাগুলোর মধ্যে একটা প্রাথমিক সেবা হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট, যেখানে লোডশেডিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে না, যেটা আইএসপির ক্ষেত্রে হয়। অনেক ক্ষেত্রে যদি লম্বা সময় ধরে লোডশেডিং থাকে, মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারির ব্যাকআপ ফুরিয়ে গেলে মোবাইল ইন্টারনেটেও বিঘœ ঘটে। স্টারলিংকের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা হবে না।

‘আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশে ফাইবার নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি সীমিত। উপরন্তু এই ফাইবার নেটওয়ার্কের উল্লেখযোগ্য অংশ টেলকো গ্রেডের নয়। বাংলাদেশের অন্তত ৬৫ শতাংশ টেলিযোগাযোগ টাওয়ার এখনো ফাইবারাইজেশনের বাইরে, সেখানে মাইক্রোওয়েভ দিয়ে সেবা দেওয়া হয়, খুবই সীমিত ধারণক্ষমতা। আবার আমাদের মোবাইল নেটওয়ার্কের যে কাভারেজ ও ক্যাপাসিটি আছে, তাতেও সমস্যা আছে, হাইওয়ে মোবিলিটি কভারেজের সমস্যা আছে। স্টারলিংক এসব সমস্যার সমাধান করবে’- বলেন তিনি।

ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, স্টারলিংক বাংলাদেশের মোবাইল ফোন এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক করবে। এর মাধ্যমে ভয়েস কল এবং ডেটা বান্ডেলভিত্তিক গতানুগতিক ইন্টারনেট সেবাদান ব্যবস্থা ডিজিটাল সার্ভিসকেন্দ্রিক নতুন রূপান্তরে মধ্য দিয়ে যাবে।

‘স্টারলিংকের সার্ভিসের ফলে কমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রিতে ডিরেগুলেশনের সূচনা হবে, প্রতিযোগিতা বাড়বে, শহর কিংবা গ্রামভেদে নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট প্রাপ্তির নিশ্চয়তা তৈরি হবে’- যোগ করেন তিনি।