খুঁজুন
রবিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৫, ১৬ চৈত্র, ১৪৩১

ঈদযাত্রার দিন থেকে কর্মবিরতির হুমকি রেলওয়ের গেটকিপারদের

চাকরি স্থায়ীকরণ দাবি

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫, ২:৪৭ অপরাহ্ণ
চাকরি স্থায়ীকরণ দাবি

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি না মানলে আগামী ২৪ মার্চ থেকে একযোগে রেলপথ অবরোধ এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়েতে কর্মরত গেটকিপার-গেটম্যানরা। বুধবার সকালে রেলভবনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও মানববন্ধনের আয়োজন করেন কর্মচারীরা। সেখান থেকে এ হুমকি দেন তারা। মানববন্ধন থেকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

২৪ মার্চ থেকে রেলপথে ঈদযাত্রা শুরু করবেন ঘরমুখো মানুষ। সেদিন থেকেই কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলনরত গেটগিপার/গেটম্যানরা।

বিক্ষোভকারীরা জানান, দাবি আদায়ে গেটকিপার/গেটম্যানরা গত বছরের ১৮ আগস্ট রেলভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। ওইদিন তৎকালীন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রেলসচিব, রেলওয়ে মহাপরিচালক, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রতিনিধি, প্রশাসনের সব অ্যাডমিন ক্যাডার, বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্ব/পশ্চিম অঞ্চলের প্রকল্প পরিচালক, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্ব এবং পশ্চিম অঞ্চলের প্রকল্পের দেড় হাজার গেটকিপার/গেটম্যানের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সেদিন রেলওয়ের মহাপরিচালক সিদ্ধান্ত দেন, বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্ব এবং পশ্চিম অঞ্চলের প্রকল্পের ১ হাজার ৫০৫ জন গেটকিপার ও গেটম্যানের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি যুক্তিসংগত। বৈঠকে গেটকিপার/গেটম্যানের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা জানান, তারা যেহেতু দীর্ঘ আট বছর রেলওয়েতে চাকরি করে অভিজ্ঞ, এ বিষয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশন এক সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় আদেশ জারি করবে। গত বছরের ১ নভেম্বর আমাদের অফার লেটার হাতে দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো দেওয়া হয়নি। বৈঠকে আমাদের বলা হয়, স্থায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়ার মতো ৪০ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্য থেকে পরীক্ষায় পাস করে ১ হাজার ৮৮৯ জন প্রকল্পের গেটকিপার/গেটম্যান পদে যোগদান করেন। বর্তমানে কর্মরত ১ হাজার ৫০৫ জন। আপনারা আট বছরের অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। দ্রুত চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাসও দেন।’

মানববন্ধনে তারা বলেন, ‘বারবার এ রকম আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ ও বেতন সমস্যার সমাধান হয়নি। আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নতুন কোনো দাবি তুলছি না। ১৬০ বছরেরও অধিক সময় ধরে রেলের প্রচলিত বিধি মোতাবেক যে কোনো কর্মচারী তিন বছরের অধিক নিরবচ্ছিন্ন চাকরি করলে তাদের চাকরি সরাসরি স্থায়ীকরণ করা যায়। এজন্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অনুমতি অনুযায়ী প্রকল্পের গেটকিপার/গেটম্যানদের চাকরি রাজস্ব করতে আইনি কোনো জটিলতা নেই।’

 

মাত্র ৫ টাকায় ঈদের নতুন পোশাক : হাসি ফুটলো ৫০০ শিশুর

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫, ৮:৪৬ অপরাহ্ণ
মাত্র ৫ টাকায় ঈদের নতুন পোশাক : হাসি ফুটলো ৫০০ শিশুর

মাত্র ৫ টাকা! এই টাকায় হয়তো আমরা এক কাপ চা কিনি কিন্তু চাঁদপুরের ফরাক্কাবাদের ৫০০ শিশুর কাছে এই ৫ টাকা ছিল ঈদের নতুন জামার স্বপ্ন পূরণের চাবিকাঠি। ঈদের আনন্দ যেখানে অনেকের জন্য নতুন পোশাকের হাসি, সেখানে ফরাক্কাবাদের শত শত সুবিধাবঞ্চিত শিশুর সেই হাসি ছিল অনিশ্চিত। তাদের সেই স্বপ্নপূরণে এগিয়ে এসেছে স্বপ্নতরু সামাজিক সংগঠন।

“মানবতার কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ” এই স্লোগানকে হৃদয়ে ধারণ করে, দীর্ঘদিন ধরে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে স্বপ্নতরু। তারই ধারাবাহিকতায় আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে স্বপ্নতরু সামাজিক সংগঠনের ফরাক্কাবাদ শাখা আয়োজন করে এক ব্যতিক্রমী ঈদ বাজারের।

শনিবার সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার ফরাক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ যেন রঙিন হয়ে ওঠে সেই শিশুদের হাসিতে। অনুষ্ঠানে প্রায় ৫ শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতে ৫ টাকার বিনিময়ে তুলে দেওয়া হয় নতুন ঈদের পোশাক।

তবে এটি কোনো দান নয়, ছিল এক সম্মানের আয়োজন। শিশুদের হাতে জামা তুলে দেওয়া হয় ‘ক্রয় করার’ অনুভূতি দিয়ে, যাতে তারা বুঝতে পারে এই জামা তারা নিজেরাই কিনেছে, দয়ার হাত পেতে নয়।
স্বপ্নতরু সামাজিক সংগঠনের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন বলেন, “আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। আমরা চাই, কেউ যেন ঈদের দিনে নতুন জামা না পেয়ে কষ্টে না থাকে। সেই ভাবনা থেকেই ৫ টাকার বিনিময়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে নতুন পোশাক বিতরণ করা হয়েছে। যাতে তারা বোঝে, এ আনন্দ তাদের নিজের অধিকার।”

ঈদের নতুন জামা হাতে পেয়ে অনেক শিশুর চোখে ছিল খুশির জল। কারও হাতে রঙিন জামা, কারও হাতে নতুন ফ্রক, কেউবা পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে বলছিল এবার আমিও নতুন জামা পরব!”
ফরাক্কাবাদের স্কুল মাঠের সেই দৃশ্যটা যেন ছিল মানবতার সবচেয়ে সুন্দর ছবির মতো।

মাত্র ৫ টাকায় কেনা জামার বিনিময়ে শত শত শিশুর মুখে ফুটে উঠলো ঈদের হাসি। স্বপ্ন দেখুক তারা, এগিয়ে যাক মানবতা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং স্বপ্নতরু সংগঠনের সকল শাখার সদস্যরা।

চাঁদপুর এসএসসি ৯৩ ব্যাচ বন্ধু মহলের ইফতার মাহফিলে যুগ্ম সচিব নাজমুল আহসান

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫, ৮:১৪ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর এসএসসি ৯৩ ব্যাচ বন্ধু মহলের ইফতার মাহফিলে যুগ্ম সচিব নাজমুল আহসান

চাঁদপুর এসএসসি ৯৩ ব্যাচ বন্ধু মহলের ইফতার মাহফিলে বাংলাদেশ সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত বন্ধু মোহাম্মদ নাজমুল আহসানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ৯৩ ব্যাচের সকল বন্ধুরা।

চাঁদপুর এসএসসি ৯৩ ব্যাচ বন্ধু মহলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের রেডচিলি চাইনিজ এন্ড রেষ্টুরেন্টে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

ইফতার মাহফিলে অংশ নেন এসএসসি ৯৩ ব্যাচের বন্ধু ও বাংলাদেশ সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মোহাম্মদ নাজমুল আহসান।

ইফতার মাহফিলের পূর্বে ৯৩ ব্যাচের সকল বন্ধুরা মিলে পদোন্নতিপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব নাজমুল আহসানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
পরে বন্ধু মহলের আব্দুল গফুরের দোয়া ও মুনাজাত পরিচালার মাধ্যমে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় চাঁদপুরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের এসএসসি ৯৩ ব্যাচের সকল বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের পাশে দাঁড়ালেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক

শওকত আলী
প্রকাশিত: শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫, ৭:৪৩ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের পাশে দাঁড়ালেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক

পবিত্র ঈদুল ফিতর সুন্দরভাবে উদযাপন করার লক্ষ্যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।

শনিবার জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে জেলার প্রতিটি উপজেলায় আহত ও শহিদ পরিবারের কাছে ঈদ উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়।

জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৪৫ জন আহত এবং ৩১ জন শহীদ পরিবারকে ঈদ উপহার প্রদান করা হয়। এছাড়াও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ২৯ জন শহীদ পরিবারকেও জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ঈদ সামগ্রী দেয়া হয়।

ঈদ সামগ্রীর মধ্যে ২ কেজি পোলাওয়ের চাল, সয়াবিন তেল ২ লিটার, সেমাই ৪ প্যাকেট, চিনি ১ কেজি, কিসমিস ও গুড়া দুধ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন জানান, আমি চেয়েছি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা যেন পবিত্র ঈদুল ফিতর সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারে তার জন্যে একটু ক্ষুদ্র উপহার সামগ্রী দেয়া হয়েছে।

ডিসি আরো বলেন, শুধুমাত্র ঈদ নয়, সবসময়ই চাঁদপুর জেলা প্রশাসন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত এবং শহীদ পরিবারের পাশে থাকবে। আমি আশাকরি রাষ্ট্রও সবসময়ই তাদের পাশে আছে এবং থাকবে। কারণ রাষ্ট্র সবসময়ই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত এবং শহীদদের কথা ভাবেন এবং চিন্তা করেন।