খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫, ৩১ আষাঢ়, ১৪৩২

রাতের আধারে একটি বাজারের প্রায় অর্ধশত দোকান পাট ভাঙচুর ও লুটপাট

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ১০:৩৭ অপরাহ্ণ
রাতের আধারে একটি বাজারের প্রায় অর্ধশত দোকান পাট ভাঙচুর ও লুটপাট

হাইমচরে রাতের আধারে এলাকার একটি বাজারে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রায় ৩ শতাধিক দুষ্কৃতিকারী অসহায় লোকজনের প্রায় অর্ধশত দোকান পাটে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের প্রায় ২ কোটি টাকার মালামাল লুটপাট ও ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় হাইমচর থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করার প্রস্তুতি চলছে।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দিনগত রাতে হাইমচরের বাংলা বাজার এলাকায়।

বাংলা বাজারের ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা চায়ের দোকানি নেছার আহমেদ বলেন, আমি একজন চা বিক্রেতা এবং এটিই আমার সংসারের আয়ের একমাত্র উৎস। আমি কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সঙ্গে কখনোই যুক্ত ছিলাম না। আমার কারো সঙ্গে কোনো শত্রুতা নেই। তবুও রাতের আঁধারে বাজারের বৈদ্যুতিক আলো নিভিয়ে একদল দুষ্কৃতিকারী দোকানে হামলা ভাঙচুর করে সব মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। আমি এখন একেবারে নিঃস্ব। আমার বাচাঁর কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছিনা।

আরেক দোকানি মজিব কাজী বলেন, তারা প্রায় ৩/৪ জন মানুষ সংঘবদ্ধভাবে ইফতারের পর পর রাতে বাজারের দোকানপাটে হামলা চালায়। আমার দোকানেও কুপিয়ে মালামাল নিয়ে যায়। আমি কখনই কারো সাথে কোনো শত্রুতায় জড়াইনি।

দোকানদার লিটন কবিরাজ বলেন, ইফতার করার জন্য দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যাই। এসে দেখি আমার দোকান কুপিয়ে শাটার ভেঙ্গে দোকানের ভিতরে ঢুকে নগদ অর্থসহ সব মালামাল লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আমি এখন কী করবো কিছুই বুঝি না। থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে ওরা এসে মেরেই ফেলবে সেই ভয়ে আমরা তটস্থ।

একইভাবে অন্যান্য ভুক্তভোগীরা বলেন, ওরা সংখ্যায় ৩/৪শ’ জন। ওরা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নিজেরা নিজেরা আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িত হয়ে ক’দিন পরপর এরূপ কর্মকান্ড ঘটাচ্ছে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা নিরীহ দোকানিরা। আমরা সরকার তথা প্রশাসনের কাছে এদের উপযুক্ত বিচার চাই।

এই বিষয়ে হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন সুমন বলেন, একটি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে মনির ও এমরান নামের দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হয়। পরে তারা আধিপত্য বিস্তার করে বাজারের বিভিন্ন দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে। আমরা যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি এবং ওখানকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছি। কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তবে শুনেছি ভুক্তভোগিরা মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

জালিয়াতি ও দুর্নীতির দায়ে

উপাধ্যক্ষ কামরুল আহসান চৌধুরীর অপসারণের দাবি এলাকাবাসীর

মোঃ সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ৯:২০ অপরাহ্ণ
উপাধ্যক্ষ কামরুল আহসান চৌধুরীর অপসারণের দাবি এলাকাবাসীর

শাহরাস্তি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চিতোষী ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ কামরুল আহসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। কলেজ সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, অভিভাবক এবং স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, কামরুল আহসান চৌধুরী ২০২৪ সালের ২২ আগস্ট কোনো বৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া ছাড়াই এবং কলেজ গভর্নিং বডির রেজুলেশন ব্যতিরেকেই উপাধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে তিনি তৎকালীন ইউএনও ও গভর্নিং বডির সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে ঘোষণা করেন, যা সম্পূর্ণ অবৈধ ও বিধিবহির্ভূত।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দায়িত্ব গ্রহণের পর কামরুল আহসান কলেজের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ৭০ লাখ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন, যার একটি মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। এছাড়াও, শিক্ষক এবং কর্মচারীদের বিভিন্ন আর্থিক দাবি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে মেনে না চলায় কলেজে একাধিকবার অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়।

২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল এবং ২৪ মে তারিখে কলেজে শিক্ষকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মিটিংয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগও উঠে এসেছে। অভিযোগে বলা হয়, এক ঘটনায় শিক্ষক মো. আবু ছায়েদ কলেজ অধ্যক্ষকে ঘুষি মেরে আহত করেন এবং অপর একটি ঘটনায় অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে হাজিরা খাতা ছিনিয়ে নেওয়া হয়, যা এখনো জমা দেওয়া হয়নি।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, বৈধ এমপিওভুক্ত অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়াকে জোরপূর্বক কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়, যার সিসিটিভি ফুটেজ এখনো সংরক্ষিত আছে। গভর্নিং বডির গঠনে স্বচ্ছতা ও নিয়ম অনুসরণ না করে তিনি নিজের অনুগত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করেন, যার ফলে প্রতিষ্ঠানটি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়ে পড়ে এবং শিক্ষার পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে কলেজে নতুন অধ্যক্ষের যোগদানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ অবস্থায় অভিভাবক ও এলাকাবাসীর দাবি, একজন ওয়ারেন্টভুক্ত ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি কীভাবে একটি স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে থাকতে পারেন? তারা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত, কলেজে নিরপেক্ষ গভর্নিং বডি গঠন এবং কামরুল আহসান চৌধুরীর দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক কামরুল আহসান মুঠোফোনে জানান, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের মামলাটি চলমান রয়েছে।

প্রেসক্লাবের ৩ দিনের শোক কর্মসূচি

শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আমরুজ্জামান’র দাফন সম্পন্ন

মোঃ সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ৯:১০ অপরাহ্ণ
শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আমরুজ্জামান’র দাফন সম্পন্ন

শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক, দৈনিক ইনকিলাব ও চাঁদপুর প্রবাহের প্রতিনিধি সৈয়দ আমরুজ্জামান সবুজ (৭২) ইন্তেকাল করিয়াছেন (ইন্না-লিল্লাহ ওয়াইন্না ইলাইহে রাজিউন)।

তিনি দির্ঘ ১ বৎসর যাবৎ দুরারোগ্য ফুসফুসে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মহাখালী ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৩ জুলাই দিবাগত রাত ১২:৪৫ মিনিটে তিনি ঢাকায় একটি হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি ৩ কন্যা, ১ পুত্র ও স্ত্রী সহ বহু আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান।

পরে তার মরদেহ পৌরসভাধীন শ্রীপুর মিয়া বাড়ীতে নিয়ে আসলে তার লাশ দেখতে শত শত লোক সমবেত হন। বাদ জোহর শ্রীপুর মিয়া বাড়ী মাজার সংলগ্ন মসজিদে জানাজা নামাজ শেষে তাকে মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাহরাস্তি পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শেখ বেলায়েত হোসেন সেলিম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: ফারুক হোসেন মিয়াজী, শাহরাস্তি প্রেসক্লাব সভাপতি মো হাবিবুর রহমান ভুইঁয়া, সাধারণ সম্পাদক নোমান হোসেন আখন্দ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মাসুদ রানা, কার্যকরী সদস্য অধ্যাপক মোঃ আবুল কালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: রুহুল আমিন তরুণ, দপ্তর সম্পাদক মো : নুরে আলম, সদস্য মোঃ শাখাওয়াত হোসেন হ্নদয়, এলাকা বাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন মো: এহতেশামুল হক সজীব, মরহুমের বড় ছেলের রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ।

এদিকে মরহুমের মৃত্যুতে ৩ দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে শাহরাস্তি প্রেসক্লাব। এক শোক বার্তায় শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সভাপতি মো হাবিবুর রহমান ভুইঁয়া ও সাধারণ সম্পাদক নোমান হোসেন আখন্দ জানান, সৈয়দ আমরুজ্জামান সবুজের প্রেসক্লাব একজন নিবেদিত প্রাণ সাংবাদিককে হারালো। তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।

এছাড়াও এ গুনী সাংবাদিকের মৃত্যুতে উপজেলা বিএনপি, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম শাহরাস্তি শাখা, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, একজন নিভৃতচারী সাদা মনের মানুষ ছিলেন তিনি। যার মধ্যে ছিল না কোন হিংসা, অহংকার। যিনি সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে ছিলেন অবিচল। তার শাহরাস্তি প্রেসক্লাব ও পএিকার জন্য ছিল অগাধ ভালোবাসা। সাংবাদিক সৈয়দ আমরুজ্জামান সবুজ দীর্ঘ ৩০ বৎসর যাবৎ সংবাদ পেশায় কাজ করে আসছিলেন। তিনি আমৃত্যু শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক ইনকিলাব ও চাঁদপুর প্রবাহ পএিকায় দায়িত্ব পালন করেন।

সাংবাদিক আকিবের অসুস্থ্যতার খোঁজ খবর নিলেন জামায়াত নেতারা

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ৮:৫৬ অপরাহ্ণ
সাংবাদিক আকিবের অসুস্থ্যতার খোঁজ খবর নিলেন জামায়াত নেতারা

জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘চাঁদপুর টাইমস্’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও চাঁদপুর সাংবাদিক সমবায় সমিতির সভাপতি মুসাদ্দেক আল আকিব গত কয়েকদিন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে শহরের হিলশা মেডিকেল সেন্টার চিকিৎসাধীন। তার অসুস্থ্যতার খোঁজ খবর নিয়েছেন জামায়াত নেতারা।

সোমবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় এই সংবাদিকের অসুস্থ্যতার খোঁজ খবর নেন এবং আল্লাহর কাছে তার রোগমুক্তি কামনা করেন চাঁদপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া ও শহর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান খান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সাংবাদিক সমিতির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও হিলশা মেডিকেল সেন্টার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু বকর ছিদ্দিক।

সাংবাদিক মুসাদ্দেক আল আকিব তার রোগমুক্তি কামনায় সকলের দোয়া চেয়েছেন।