খুঁজুন
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৮ কার্তিক, ১৪৩২

হাইমচরের পল্লীর রনি বাড়ীতে বসেই বিভিন্ন শাড়ী প্রস্তুতে দৃষ্টি কেড়েছে

শওকত আলী
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১২:৩৪ পূর্বাহ্ণ
হাইমচরের পল্লীর রনি বাড়ীতে বসেই বিভিন্ন শাড়ী প্রস্তুতে দৃষ্টি কেড়েছে

জেলা চাঁদপুরের হাইমচরের পল্লীর মোহাম্মদ রনি পাটোয়ারী তার নিজ বাড়ীতে বসেই প্রসিদ্ব মানের নামী-দামী বেনারশি, কাতান ও জামদানী শাড়ী তৈরী করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন এবং সকলের দৃষ্টি কেড়ে নিচ্ছেন। এখানে সব চেয়ে বেশী প্রস্তুত হচ্ছে এবং অর্ডার পড়ছে বিভিন্ন দামের রকমারী জামদানী শাড়ী।

এখানে প্রস্তুত করা জামদানী ৩৮শ’ টাকা থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যস্ত বিক্রি হচ্ছে। অর্ডার পেলে ৪/৫ লাখ টাকা দামের জামদানি শাড়ীও তৈরিতে রনির পারদর্শীতা রয়েছে।

তিনি হাইমচর এলাকার ৩ নাম্বার দক্ষিণ আলগী দুর্গাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চর কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। প্রতিনিয়ত নিজ এলাকা ছাড়িয়ে এই জামদানি শাড়ীর বেশী চাহিদা ও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে মরিয়া এই তরুন উদ্যোক্তা রনি পাটোয়ারী।

মঙ্গলবার দিনব্যাপী নিজের একটি দো’চালা টিনের ঘরে ক্ষুদ্র পরিসরে জামদানি শাড়ী তৈরিতে রনির ব্যস্ততা দেখা যায়।

রনির পিতা মো: বিল্লাল হোসেন পাটোয়ারী প্রতিবেদককে জানান, আমার ছেলে প্রায় ২০ বছর আগে পারিবারিক অভাব অনাটন কাটাতে হাইমচর ছেড়ে পারি জমায় নারায়ণগঞ্জ শহরে। পরে সেখানে নানা জায়গায় থেকে জামদানি কাপড় বুনার পুরো কাজ শিখে সে পুনরায় এলাকায় ফিরে আসেন। রনির একাডেমিক তেমন পড়াশুনা না থাকলেও এখন এই শাড়ী বিক্রির উপার্জনের অর্থ দিয়েই সংসার চালাচ্ছে।

রনির মা সালমা বেগম জানান, সুতা, নাটাই, কাঠের ফ্রেম, সিজার, কেচিসহ নানা যন্ত্রপাতি দিয়ে একা হাতে এক একটি জামদানী তৈরি করতে রনির ৩/৪ দিন সময় লেগে যায়। তাই নানান স্থান থেকে অর্ডার আসলেও তা ডেলিভারি দিতে ওর সময় লেগে যাচ্ছে। যদি সামর্থ্যবানরা এগিয়ে আসতো তাহলে রনির এখানে আরও অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ করা যেত।

বিভিন্ন রকমের জামদানি শাড়ী প্রস্তুতে উদ্যোক্তা রনি পাটোয়ারী জানান, আমাদের ৭ ভাইবোনের মধ্যে এখন পরিবারসহ এলাকায় জামদানি শাড়ী তৈরি করে আমি সাড়া ফেলছি। তবে এ কাজটিতে আরও অনেকের কর্মসংস্থান তৈরির প্রত্যাশা রয়েছে। এজন্য আমার প্রয়োজন সরকারি বেসরকারি ভাবে অর্থ সহায়তা।

রনি পাটোয়ারী আরও জানান, আমার তৈরি এক একটি জামদানি শাড়ীর বর্তমান মূল্য ৩৮শ’ টাকা থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যস্ত। তবে যেকানো চাহিদানুযায়ী অর্ডার পেলে ৪/৫ লাখ টাকা দামের জামদানি শাড়ীও তৈরিতে আমার পারদর্শীতা রয়েছে। আমার এ কাজকে এগিয়ে নিতে আমি সবার দোয়া ও সহায়তা কামনা করছি।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা চাঁদপুরের হাইমচর ৩নাম্বার দক্ষিণ আলগী দূর্গাপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সর্দার আব্দুল জলিল বলেন, রনির এ ধরনের রকমারী জামদানি শাড়ীর এই ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানকে অনেক বড় করতে আমার পরিষদ থেকে সহায়তা চাইলে সহায়তা করা হবে। আমি চাই এই শিল্প প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে যাক এবং দেশ বিদেশে এর খবর ছড়িয়ে পড়ে এর চাহিদা ছড়িয়ে পড়ুক।

এ বিষয়ে হাইমচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা বলেন, প্রশাসনিক বিভিন্ন মেলায় এই রকমারী জামদানি শাড়ীকে তুলে ধরাসহ এ শিল্পটিকে ছড়িয়ে দিতে রনি পাটওয়ারীর এই শিল্প তৎপরতাকে ঘিরে আরও ব্যাপকভাবে কর্মপরিকল্পনা নেয়া হবে। এ জন্য আমার পরিষদ থেকে যেকোন সহায়তার জন্য উপজেলা প্রশাসন পাশে থাকার আশ্বাস দিতে পারি।

ফরিদগঞ্জের পাইকপাড়ায় বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

আনিসুর রহমান সুজন
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:৪৯ অপরাহ্ণ
ফরিদগঞ্জের পাইকপাড়ায় বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক ও চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লায়ন মো. হারুনুর রশিদ বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন।

বৃহষ্পতিবার বিকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের শাহী বাজার, চৌরঙ্গী বাজার, আমিরা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন।

এসময়ে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশে নির্ধারিত হবে, দেশ কোনপথে চলবে। স্বাধীনতার ঘোষক বহুদলিয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দল জাতীয়তাবাদের আদর্শ বিএনপি প্রতি মানুষের আস্থা রাখবে না অন্য কিছু। কিন্তু এদেশের মানুষ কখনো ভুল করবে না, কারণ তারা দেশে বিএনপিই একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা এদেশের মানুষের মনের ভাষা বুঝে। কিভাবে এদেশের মানুষকে সুখে শান্তিতে এবং অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে পারবে।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, পৌর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি বিল্লাল কোম্পানী, সাবেক যুগ্মআহ্বায়ক টুটুল পাটওয়ারী, সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোখলেছুর রহমান ভুট্টো, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মানিক পাটওয়ারী, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক সেলিম মাহমুদ রাঢ়ী, সাবেক যুগ্মআহ্বায়ক হারুন পাঠান, জেলা যুবদলের সদস্য ফজলুর রহমান, ফরিদগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আবুল খায়ের রুবেল, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, কামরুল হাসান, বিএনপি নেতা সেলিম পাটওয়ারী, মশিউর রহমান, রিপন পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের বিএনপি, যুবদল, মহিলা দল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সাগর-রুনি হত্যা মামলা:

টাস্কফোর্স কমিটিকে শেষবারের মতো ৬ মাসের সময় দিলেন হাইকোর্ট

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:০৭ অপরাহ্ণ
টাস্কফোর্স কমিটিকে শেষবারের মতো ৬ মাসের সময় দিলেন হাইকোর্ট

আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স কমিটিকে শেষবারের মতো ৬ মাসের সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এই ৬ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতেই হবে।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ। সাগর-রুনির পরিবারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর তদন্ত থেকে র‌্যাবকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ৬ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে চার সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ও পিবিআই প্রধানকে আহ্বায়ক করা হয়।

টাস্কফোর্সের অন্য তিন সদস্য হলেন— পুলিশ সদর দপ্তর ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ থেকে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক পদমর্যাদার একজন করে দুজন এবং র‌্যাব থেকে পরিচালক পদমর্যাদার একজন।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ পর্যন্ত ১১৩ বার সময় বাড়ানো হয়েছে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরোয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন।

ফিলিস্তিনি বন্দিদের লাশে নৃশংস নির্যাতনের চিহ্ন, ভয়ংকর তথ্য প্রকাশ গার্ডিয়ানের

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:২৮ অপরাহ্ণ
ফিলিস্তিনি বন্দিদের লাশে নৃশংস নির্যাতনের চিহ্ন, ভয়ংকর তথ্য প্রকাশ গার্ডিয়ানের

গাজা উপত্যকায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির পর সেখানে ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর নির্যাতন, বেআইনি হত্যাকাণ্ড ও সন্দেহজনক মৃত্যুর ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান তাদের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরাইলি সামরিক বন্দিশালা ‘সেডিতিমান’ থেকে ফেরত আসা ১৯৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দির লাশে নৃশংস নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার সুস্পষ্ট চিহ্ন পাওয়া গেছে।

ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ফেরত পাওয়া লাশগুলোতে হাত-পা বাঁধা, চোখ বেঁধে রাখা এবং কাছ থেকে গুলির চিহ্ন দেখা গেছে— যা প্রমাণ করে তারা বন্দি অবস্থায়ই হত্যা হয়েছেন। খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের চিকিৎসকেরা আরও জানান, কয়েকটি লাশ ইসরাইলি ট্যাংকের চাকার নিচে পিষ্ট হওয়ারও প্রমাণ পাওয়া গেছে।

গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক মুনির আল-বার্শ বলেন, “লাশের ব্যাগে থাকা নথি দেখে মনে হচ্ছে এগুলো নেগেভ মরুভূমির সেডিতিমান সামরিক বন্দিশিবির থেকে আনা হয়েছে।”

লন্ডনভিত্তিক গার্ডিয়ান তাদের প্রতিবেদনে চিকিৎসা সনদ, গোপন ছবি এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য তুলে ধরে জানিয়েছে— ইসরাইলি সেনাদের এই কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধের নতুন অধ্যায় উন্মোচন করতে পারে।

জাতিসংঘের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক মরিস টিডবল-বিন্স এসব ভয়াবহ তথ্যের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “ভুক্তভোগীদের পরিচয় নির্ধারণ ও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে স্বচ্ছ তদন্ত অপরিহার্য।”

এদিকে ২০ মাস ইসরাইলি কারাগারে বন্দি থাকা এক ফিলিস্তিনি সাংবাদিক জানিয়েছেন, বন্দিদের শীতল আবহাওয়ায় নগ্ন অবস্থায় রাখা হতো, তাদের হাত ও চোখ বেঁধে টানা ১০০ দিন ধরে আটক রাখা ও কুকুর দিয়ে নির্যাতন করা হতো।

মানবাধিকার সংস্থা ‘ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস’ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মৃত্যুর হার নজিরবিহীনভাবে বেড়েছে। সংস্থাটির মতে, গত দুই বছরে তারা ইসরাইলি আটক কেন্দ্রে পরিকল্পিত নির্যাতনের একাধিক ঘটনা নথিভুক্ত করেছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করে।

সংস্থাটি আরও বলেছে, “নতুন তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এখনই একটি আন্তর্জাতিক স্বাধীন তদন্ত শুরু করা জরুরি, নইলে এসব অপরাধের দায় এড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে।”