খুঁজুন
সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীকে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে সাংবাদিকদের সমাবেশ

বারাকাত উল্লাহ
প্রকাশিত: সোমবার, ৩ মার্চ, ২০২৫, ৮:৩৯ অপরাহ্ণ
ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীকে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে সাংবাদিকদের সমাবেশ

ফরিদগঞ্জ উপজেলার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি ও সিনিয়র সাংবাদিক আবু হেনা মোস্তফা কামাল লাঞ্ছিত হয়েছেন। এই ঘটনায় সোমবার বিকালে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সমাবেশ করে চিহ্নিত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।

সংবাদকর্মী আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, রোববার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগের লটারি চলাকালে বাঁধা প্রদানসহ বিভিন্ন ঘটনার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য উপজেলা পরিষদে যাওয়ার সময়ে চাঁদপুর জেলা ছাত্র দলের সদস্য পরিচয় দেয়া আশিকুর রহমান পাটওয়ারীর নেতৃত্বে তাকে বাঁধা প্রদান ও লাঞ্ছিত করে এবং হুমকি দেয়। তাদেরকে এই বিষয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক আ: খালেক পাটওয়ারী ও ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্মসম্পাদক জাকির হোসেন উসকানি দেয়।

জানা গেছে, খাদ্য বান্ধব ডিলার নিয়োগে রোববার লটারির তারিখ নির্ধারিত ছিল। ১৫টি ইউনিয়নের আবেদনকারীসহ প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তি ইউএনও অফিসে উপস্থিত হন। তাদের সকলেই বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী। লটারি চলাকালে বালিথুবা পূর্ব, পাইকপাড়া উত্তর, গোবিন্দপুর দক্ষিণ ও চরদুখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন আবেদনকারীকে আওয়ামী লীগের লোক দাবি করে বাঁধা প্রদান করে। এর মধ্যে চার বারের সাবেক এমপি মরহুম আলমগীর হায়দার খানের ভাই কামাল খান ও তার ভাতিজা মিজানুর রহমানের আবেদনও রয়েছে। এক পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে চরদুখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের লটারি বন্ধ রাখতে বাধ্য হন। এছাড়া পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের এক প্রার্থী নিজের আবেদন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। এসব বিষয়ে জেনে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রতিনিধি উপজেলা পরিষদ চত্বরে গেলে এবং লোকজনের সাথে এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদকালে সাংবাদিক আবু হেনা মোস্তফা কামালের উপর হঠাৎ করেই জেলা ছাত্রদলের সদস্য পরিচয় ধারী আশিক পাটওয়ারীসহ ৮/১০জন হামলা চালায়। এসময় তাকে টেনে হিচঁড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং অনবরত হুমকি ধমকি দিতে থাকে।

স্থানীয় লোকজন জানায়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে হঠাৎ করেই আশিক পাটওয়ারীসহ একটি গ্রুপ নিজেদেরকে বিএনপির নেতা দাবি করে ফরিদগঞ্জে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। সর্বশেষ তারা সোমবার ফরিদগঞ্জ পৌরসভার চলমান উন্নয়নকাজে প্রকাশ্যে বাঁধা প্রদান করে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, থানার দালালিসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক আঃ খালেক পাটওয়ারী বিগত সরকারের সময়ে পরপর তিনবার পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দল থেকে অব্যাহতি নেয়ার ঘোষনা দিলেও ৫ আগস্টের পর সে বিএনপির বড় নেতা সেজে বিভিন্ন কাজে অকাজে জড়িয়ে পড়েছে।

উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ মো. ইউনুস জানান, আমি ঠুটুু জগন্নাথ। আমার শুধু জি হুজুর করতে হয়। আমাদের কোনো কথার মূল্য নেই। এই আশিক প্রকৃতভাবে দলের বা অঙ্গ সংগঠনের কোনো পদে নেই। তারপরও, তাকে কে বা কারা পালে ও দলীয় পরিচয়ে কুকর্ম করছে আমি জানি না। তবে, খালেকের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।

এদিকে প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামালকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সোমবার ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। প্রেসক্লাবের সভাপতি মামুনুর রশিদ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ফরহাদের পরিচালনায় সভায় সর্বসম্মত ভাবে ঘটনার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ জানিয়ে আশিকসহ অন্যদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। একই সাথে প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি এমকে মানিক পাঠান, সাবেক সভাপতি নুরুন্নবী নোমান, সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চক্রবর্তী, আ. ছোবহান লিটন, সহসভাপতি মশিউর রহমান, সদস্য এস এম মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নারায়ন রবিদাস, এসএম ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল মুশফিক, প্রচার সম্পাদক আনিছুর রহমান সুজন, অর্থ সম্পাদক আক্তার হোসেন, সহ অর্থ রুহুল আমিন খাঁন স্বপন, কার্যনির্বাহী সদস্য শিমুল হাসান, জাকির হোসেন সৈকত, আইসিটি সম্পাদক গাজী মমিন, সদস্য মেহেদী হাসান, অমান উল্যাহ খাঁন ফারাবী, নির্বাহী কমিটির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক তাপস চক্রবর্তী, সদস্য ফখরুল পাঠান, ফাহাদ খাঁন, সাখাওয়াত হোসেন মিন্টু, শামীম হাসান প্রমূখ।

এদিকে প্রেসক্লাব থেকে জানানো হয় ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের বাসিন্দা জাকির হোসেনকে ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে অপসাংবাদিকতাসহ চাঁদাবাজির অভিযোগে প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমানেও তার বিরুদ্ধে দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে অনৈতিক কাজ করা ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে অপসাংবাদিকতা করার অভিযোগ রয়েছে।

খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে মতলব দক্ষিণ পিআইও কার্যালয়

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ৮:১৫ অপরাহ্ণ
খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে মতলব দক্ষিণ পিআইও কার্যালয়

জনবল সংকটে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে মতলব দক্ষিণের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়। এতে করে টেনেটুনেই যেন চলছে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির কর্মযজ্ঞ।

রোববার সকালে ওই কার্যালয়ে গেলে জনবল সংকটের এমন তথ্য উঠে আসে।

সরজমিনে দেখা যায়, একাই একশ’ হিসেবে হরদম কাজ করছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। তিনিই এখানে সকল কাজের কাজী। যদিও তার সাথে এখানে সেতু প্রকল্পের কার্য সহকারী পদায়িত রয়েছেন।

যদিও বাৎসরিক বাজেট বিবেচনায় এই উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতে চলতি অর্থ বছরে কমপক্ষে প্রায় ১৫ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তথ্য মতে, ২০১৭ সাল থেকে এই কার্যালয়টিতে অফিস সহায়ক, ২০২৩ সাল থেকে অফিস সহকারী, ২০২২ সাল থেকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদটি শুন্য রয়েছে। যদিও অন্যান্য উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পিআইও ছাড়াও উপ-সহকারী প্রকৌশলী, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, কার্য সহকারী ও অফিস সহায়ক কর্মরত আছেন।

এসব তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে মতলব দক্ষিণের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এখানে জনবল সংকটের কারনে আমাকেই অফিস সহকারী, অফিস সহায়কসহ সকল দায়িত্ব দাপ্তরিক প্রয়োজনে একা পালন করতে হচ্ছে। পুরনো একটি ল্যাপটপে যাবতীয় দাপ্তরিক কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছি। আমার জন্য মাঠ পর্যায়ের প্রকল্পের তদারকী কাজে ব্যবহারের জন্য দেয়া মোটরসাইকেলটিও অকেজো হয়ে পড়ে আছে। তবে এমন পরিস্থিতিতেও প্রকল্প মনিটরিং কাজসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সচেষ্ট রয়েছি।

স্থানীয়রা বলছেন, এই মতলবে ২টি আশ্রয় কেন্দ্র, ২০টি সেতু নির্মাণ প্রকল্প, ৪৩ জন অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্প, অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি, গ্রামীণ অবকাঠামো সংষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি, টিআর-কাবিখা প্রকল্পের আওতায় ব্যাপক সংখ্যক প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া কম্বল, ঢেউটিন, শুকনো খাবার, জিআর কর্মসূচীও চলমান রয়েছে। তবে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও কার্য সহকারী প্রায়শই কোন প্রকল্প তদারকি কাজে মাঠে গেলে বেশিরভাগ সময়ই কার্যালয়টি তালাবদ্ধ থাকে। এতে দুর্যোগে সাড়াদানসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণের উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমজাদ হোসেন বলেন, জনবল সংকটের বিষয়ে আমি বিগত মার্চ মাসে একটি স্মারক পত্রের মাধ্যমে শুন্য পদ পূরনের জন্য মহাপরিচালক মহোদয়কে অনুরোধ করেছি। আমার বিশ্বাস অচিরেই কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের কর্মসূচী সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে সচেষ্ট হবেন।

একই সুরে কথা বললেন চাঁদপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জাহিদ হাসান খান। তিনি বলেন, শুধু মতলব দক্ষিণ নয়, আমার জেলা কার্যালয়েও জনবল সংকট রয়েছে। এতে বিভাগীয় কার্যক্রম তদারকীও কঠিন হয়ে পড়েছে। দ্রুত সমস্যা সমাধানে আমি এ কথা মহাপরিচালক মহোদয়কে অবহিত করেছি।

চাঁদপুরজমিন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শিবিরের চক্ষু চিকিৎসা অনুষ্ঠিত

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ৭:৪৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরজমিন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শিবিরের চক্ষু চিকিৎসা অনুষ্ঠিত

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৮নং বাগাদী ইউনিয়নের নানুপুর চৌরাস্তা মোড়ে অবস্থিত চাঁদপুরজমিন হাসপাতালে ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর উদ্যোগে রোববার সকালে শিবিরের চক্ষু চিকিৎসা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দৈনিক চাঁদপুরজমিন ও জাতীয় দৈনিক অনুপমা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক, চাঁদপুরজমিন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর চেয়ারম্যান, হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান রোকন। অনুষ্ঠানে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন দৈনিক চাঁদপুরজমিন পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুর হোসেন মঞ্জু।

হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের সিনিয়র সহকারি শিক্ষিকা ইয়াসমিন আক্তারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মোঃ ওসমান খান, বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুর রহমান দুলাল, অন্ধ কল্যাণ সমিতি কুমিল্লার সমন্বয় মোঃ দেলোয়ার হোসেন, হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন শেখ, দৈনিক চাঁদপুরজমিন পত্রিকার ফটো সাংবাদিক শাহনেওয়াজ আহমেদ।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক সমীর চন্দ্র রায় ও পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক নাজির আহমেদ সহ অনেকেই। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া পরিচালনা করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি।

অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, চোখের চিকিৎসা নিতে এসে এখানে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে আপনারা আমাকে জানাবেন।

রোকন বলেন, যার চোখ নেই সে বুঝে চোখের কি মর্যাদা, এজন্যই চোখের যতœ নিতে হবে সবাই চোখ ভালো থাকলে সবই ভালো থাকবে। চোখ আল্লাহ তায়ালার এক বড় নেয়ামত, এজন্য এর যতœ নেওয়া খুবই জরুরী। আমার মত এই ধরনের মানবতার সেবায় সবার এগিয়ে আসা উচিত। তাহলে এলাকায় আর কোন অপরাধ থাকবে না, চোখকে রক্ষা করতে হলে আপনার সন্তানকে মোবাইল থেকে দূরে রাখুন। আমরা যেভাবে সন্তানদেরকে মোবাইল দিয়ে রেখেছি এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে অল্পতেই চোখে সমস্যা দেখা দিবে। এখানে যারা উপস্থিত আছেন বেশির ভাগই বয়স্ক। আপনার সন্তান এবং নাতি নাতনি যারা আছেন তাদেরকে মোবাইল থেকে দূরে সরিয়ে রাখলেই অনেক কিছু থেকে হেফাজত হবে। আমি এই প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পাশে চাঁসক ইসলামী ছাত্র আন্দোলন

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ৮:৪৪ অপরাহ্ণ
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পাশে চাঁসক ইসলামী ছাত্র আন্দোলন

শনিবার সকাল ১১টায় সারাদেশে একযোগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চাঁদপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রের কয়েকটি ভ্যানুতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূরীকরণে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর সরকারি কলেজ শাখার নেতৃবৃন্দ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন রকমের সহায়তা প্রদান করেন। তীব্র গরমের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের ও অভিভাবকদের মাঝে ফ্রীতে মিনারেল ওয়াটারের ব্যাবস্থা করেন। বিভিন্ন শিক্ষা সামগ্রী উপহার হিসেবে প্রদান করেন।

বহু শিক্ষার্থীরা তীব্র যানজটের কারণে উপকেন্দ্রে পৌছাতে দেরি হওয়ায় দ্রুততার সহিত অন্যান্য উপকেন্দ্রে পৌঁছে দেয়ার ব্যাবস্থা করেন।

এছাড়াও শ্রেণীকক্ষ খুঁজে দেওয়া, অভিভাবকদের বসার স্থানের ব্যবস্থা, তাদের আনুষঙ্গিক ব্যাগ মোবাইল জমা রাখা সহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি ডি.এম ফয়সাল, সহ-সভাপতি কে.এম মাসুদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ ফরহাদ, সদস্য আল আমিন সাইফি, ইব্রাহিম মজুমদার, বায়েজিদ বেপারী ও মিনহাজুল ইসলাম প্রমুখ।