খুঁজুন
সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১১ কার্তিক, ১৪৩২

কচুয়ার এসআই জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ

চাঁদা না দেওয়ায় ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতার ভাইকে রাজনৈতিক মামলায় পাঠালেন জেল হাজতে

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫, ১২:৪৪ অপরাহ্ণ
চাঁদা না দেওয়ায় ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতার ভাইকে রাজনৈতিক মামলায় পাঠালেন জেল হাজতে

চাঁদপুর কচুয়া থানার এস আই জাহাঙ্গীরের চাঁদাবাজি, হয়রানির শিকার হয়ে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। তার চাঁদাবাজি ও অনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয় উল্লেখ করে ২৮ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কচুয়া উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমানে যুব অধিকার নেতা শাহজালাল পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ প্রদান করেন।

অভিযোগ সূত্রে ও সরজামিনে জানা যায়, কচুয়া উপজেলার ১১ নং গোহাট দক্ষিণ ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মৃত. হারুনুর রশিদের ছেলে শাহজালালের বড় ভাই দিনমজুরে ইলেক্ট্রিশিয়ান মোস্তফা কামালকে ২২ মে গভীর রাতে ঘর থেকে ওসির বরাত দিয়ে এস আই জাহাঙ্গীর ধরে নিয়ে যান।

সকালবেলা পরিবারের লোকজন থানায় গেলে এসআই জাহাঙ্গীর তাদের কাছ থেকে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। এই টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে পরবর্তীতে ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য বলেন।

টাকা না দেওয়ায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ৪ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখের চাঁদপুর ফয়সাল মার্কেটের হামলা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের মারধরের ঘটনায় ২৭শে আগস্ট চাঁদপুর মডেল থানার জি আর ৫৮৫ দায়ের করা রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতার দেখিয়ে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করেন।

শাহজালাল জানায়, ছোটবেলায় আমাদের বাবা মারা গিয়েছে, আমরা ৪ ভাই ১ বোন। ভাইদের মধ্যে মোস্তফা কামালই বড়, তিনি ইলেকট্রিক কাজ করে অনেক কষ্ট করে আমাদেরকে বড় করেছেন। আমার অন্যান্য ভাইয়েরাও ছোটখাটো ব্যবসা করেন। আমি চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি, ২০১৮ সাল থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকায় ছিলাম। কিন্তু আমার কোন ভাই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়। ৫ আগস্টে যদি স্বৈরাচার হাসিনার পতন না হতো তাহলে আমার নামে ৮-১০ টি মামলা থাকতো, অথচ দুঃখজনক বিষয় হলো সত্য, একটি কুচক্র মহলের ষড়যন্ত্র এসআই জাহাঙ্গীর আমার ভাইকে থানায় ধরে নিয়ে যায়।

দাবীকৃত ৩০ হাজার টাকা না দেওয়ায় আমার নিরপরাধ ভাইকে চাঁদপুরের মামলায় এরেস্ট দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেন। আমি আমার দলীয় নেতা কর্মীদেরকে নিয়ে পুলিশ সুপার বরাবর এসআই জাহাঙ্গীরের অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি, আশা করি তিনি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

ওই ইউনিয়নের বিএনপি’র সাবেক ও বর্তমান একাধিক নেতাকর্মীরা জানান, মোস্তফা কামাল কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নয়, সে একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান দিনমজুরে খেটে খাওয়া মানুষ, যেহেতু সেই ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি, সে দল মত নির্বিশেষে সবার বাসা বাড়ি, অফিসে ইলেক্ট্রিক কাজই করতেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।

কচুয়ার যুব অধিকার নেতা মহিউদ্দিন জানান, মোস্তফা কামাল কোনো রাজনৈতিক সহিংসতায় জড়িত নয়, তিনি একজন নিরীহ শ্রমজীবী মানুষ। অথচ, তাকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে শুধুমাত্র চাঁদা না দেওয়ার কারণে! আমরা এমন চাঁদাবাজ পুলিশ চাই না। আমরা দেশের স্বার্থে জনগণের কল্যাণে সৎ সাহসী পুলিশ চাই।

চাঁদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান জানান, শাহজালাল ২০১৮ সাল থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও বর্তমানে গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তার নিরহ ভাই মোস্তফা কামাল’কে পুলিশ অন্যায় ভাবে আটক করে যে মামলায় দিয়েছেন তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি চাঁদপুরের পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি এবং বলেছি তার বিরুদ্ধে অবিলম্বে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য, তিনি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
চাঁদপুর-২ কচুয়া আসনে গণআধিকার পরিষদ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী কচুয়র কৃতি সন্তান গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ গণমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত হাসিব বলেন, আমি বিষয়টি শুনে ওসির সাথে কথা বলেছি, তিনি এস আই জাহাঙ্গীরের এ ধরনের অনতিক কর্মকান্ডে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানিয়েছেন।

কচুয়ার গণ-যুব-ছাত্র অধিকারের নেতৃবৃন্দরা বলেন, আগামী ২৪ ঘটনার মধ্যে এসআই জাহাঙ্গীরকে ক্লোজ করতে হবে অন্যথায় রাজপথে নামতে বাধ্য হবো। ২৪-এর বাংলাদেশে আমরা চাই জনতার পুলিশ নিষ্ঠাবান, দেশপ্রেমিক এবং জনগণের বিশ্বস্ত সাথী।

এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকের পরিষদের সামাজিক যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বীর তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে এসআই জাহাঙ্গীরের অপসারণ দাবি করেন এবং তিনি আরো লিখেন, ‘এই রাষ্ট্র আমাদের স্বপ্নের বাস্তবতা, তাই রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গ যেন হয়ে ওঠে জনগণের শক্তির প্রতিচ্ছবি। পুলিশের ইউনিফর্মে যেন প্রতিফলিত হয় জনগণের সম্মান, বিশ্বাস, ও সুরক্ষা। কিন্তু কিছু অল্প সংখ্যক অসাধু, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী সদস্যদের কারণে সমগ্র পুলিশ বাহিনী প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিলো। জনতার টাকায় পরিচালিত এই বাহিনীর একমাত্র কর্তব্য হবে জনসেবা, ন্যায় ও মানবাধিকারের রক্ষা।
২৪-এর বাংলাদেশ নতুন শপথে উদিত হোক অসাধুদের বিদায়, জনতার পুলিশই আমাদের ভবিষ্যৎ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ চলবে, ন্যায়বিচার আদায় না হওয়া পর্য!।’

এ বিষয়ে এসআই জাহাঙ্গীরকে ফোন করলে তিনি প্রথমে ওসির বরাত দেন, পরবর্তীতে তিনি টাকার বিষয়ে অস্বীকার করেন এবং মোস্তফা কামালের আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে ছবি রয়েছে বলে জানান। মোস্তফা কামাল আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর পুলিশ সুপার জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। ২৮ মে চাঁদপুরের ও কচুয়ার গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ আমাকে অবহিত করেছেন এবং মোস্তফা কামালের ভাই ছাত্রঅধিকার পরিষদের নেত আমার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমি বিষয়টি তদন্ত করার জন্য মতলব সার্কেলকে দিয়েছি। যদি ঘটনা সত্য হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ

শ্যামল সরকার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৫০ অপরাহ্ণ
ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ

ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখতে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে গত ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছিল ২২ দিনের ইলিশ আহরণ নিষেধাজ্ঞা। এসময় নদীতে মাছ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ছিল। দীর্ঘ বিরতির পর শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে নদীতে নামবেন জেলেরা।

শেষ সময়ে কেউ মেরামত করছেন নৌকা, কেউবা পুরোনো জাল সেলাই করে নিচ্ছেন নতুন করে। চোখে মুখে আনন্দের অনুভূতি থাকলেও আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলেরা। তারা বলছেন, এবছর ভরা মৌসুমেও নদীতে ইলিশের দেখা মেলেনি। আর এখন মৌসুম শেষ। জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেলে কষ্টের পাল্লা ভারী হবে।

এদিকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন চাঁদপুরে নিবন্ধিত ৪৫ হাজার ৬১৫ জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। কিন্তু তা ছিল জেলেদের কাছে অপ্রতুল। ওই সময় জীবিকা হারিয়ে চরম কষ্টে পড়েন জেলেরা।

এদিকে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীতে মাছ ধরতে না গেলেও নিষেধাজ্ঞার পর বেশ কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা না পেয়ে এবং মহাজন ও এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণ করে তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করতে হয়েছে বলে আক্ষেপ করেছেন।

তাদের অভিযোগ, মূল জেলেদের কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা থেকে বাদ পড়েছে। অথচ যারা মাছ ধরতে জীবনেও নদীতে নামেনি এমন বিভিন্ন পেশার বেশ কিছু মানুষ সরকারী সহায়তার কার্ড পেয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তারা ক্ষোভ জানিয়েছেন। এমনকি বেশ কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা পেয়েও সরকারের নির্দেশনা না মেনে অবৈধভাবে নির্বিচারে মা ইলিশ শিকার করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে সরকারের পরবর্তী সহযোগিতা থেকে বাদ দেওয়ারও আহ্বান জানান।

মৎস্য কর্মকর্তারা আশা করছেন, ২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে এবার গত বছরের চেয়ে মাছের উৎপাদন রেকর্ড পরিমাণে বাড়তে পারে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে মাছ শিকার করতে দেওয়া হয়নি। এবার রেকর্ড পরিমাণে ইলিশ উৎপাদন হতে পারে।

তিনি আরও জানান, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা ইলিশ রক্ষায় প্রতি বছরের মতো এবারও ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিনের জন্য দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত নিষিদ্ধ করেছিল সরকার।

এই সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চালানো ৪৪৫ টি অভিযানে ৭৭ টি মামলা ও ৭৪ টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১১৯ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাঁজা প্রদান করা হয়। এছাড়া ৬ কোটি মিটার অবৈধ জাল, ১১০০ টন ইলিশ জব্দ করে বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় প্রদান করাহয়।

জনশ্রুতি আছে অভিযানে সময় অনেক জেলে সরকারের বরাদ্দ করা চাল পাননি বলেও অভিযোগ রয়েছে।

শনিবার মধ্যরাতে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকেই উপকূলের জেলেরা জাল, নৌকা, ট্রলার ও অন্যান্য সরঞ্জাম প্রস্তুত করে ইলিশ শিকারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন। বিশেষ করে হরিনা ঘাট, আখনের ঘাট, পুরানবাজার রনাগোয়াল, লঞ্চ ঘাট, হাইমচরের নীলকমল, মতলব উত্তর মোহনপুর নৌঅঞ্চলের জেলেরা এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

ফরিদগঞ্জে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ আটক ১

শ্যামল সরকার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩২ অপরাহ্ণ
ফরিদগঞ্জে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ আটক ১

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে গঠিত যৌথবাহিনি। এ ঘটনায় দুই মাদক কারবারি পালিয়ে গেলেও একজনকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার সকালে উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সকদিরামপুর গ্রামের ছোট বাড়ি এলাকা থেকে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসীর খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জেলা ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর আর্মি ক্যাম্পের অপারেশনাল অফিসার লেফটেন্যান্ট জাবিদ হাসান ও ফরিদগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত রাজিব চক্রবর্তী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকদিরামপুর গ্রামের খলিল বেপারির ছেলে মাদক কারবারি আল-আমিন (২৫) ও তার সহযোগী হত্যা মামলার আসামি রুবেল হোসেন (২৮) ফজরের নামাজের পর একটি প্রাইভেটকারে করে বিপুল পরিমাণ গাঁজা নিয়ে আসে। পরে আল-আমিনের বাড়ির গোসলখানায় গাঁজাগুলো লুকিয়ে রাখে। এ সময় স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।

পরে এলাকাবাসী পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দিলে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে।

এলাকাবাসী জানায়, রুবেল হোসেন এর আগে একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। গত ১০ দিন আগে তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই আবারও মাদক ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে ওঠে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি একই ইউনিয়নের বাইক্কারবাগানের পাশের ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মাদক ব্যবসায়ী সোহেল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে মামলার অন্যতম আসামি ছিল রুবেল হোসেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন স্বপন মিয়াজী জানান, সকালে ফজরের নামাজের পর এলাকাবাসী আমাকে জানায়, এ এলাকার কুখ্যাত মাদক কারবারি রুবেল জেল থেকে বের হয়ে আবারও মাদক কারবারির সাথে জড়িয়ে পড়েছে এবং বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ এলাকায় প্রবেশ করলে তাদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে থানা পুলিশকে খবর দেই। তিনি আরো জানান, তাদের কারনে এ এলাকার যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ্ আলম বলেন, সকালে এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ডিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করি। তবে মূল মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। আল-আমিনের বাবা খলিল বেপারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ধানের শীষ প্রতীকের গণসংযোগ শুরু করলেন ইঞ্জি. মমিনুল হক

মো. ইউসুফ বেপারী
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:২১ অপরাহ্ণ
ধানের শীষ প্রতীকের গণসংযোগ শুরু করলেন ইঞ্জি. মমিনুল হক

হাজীগঞ্জে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে নিজ ইউনিয়নে গণসংযোগ ও পথসভা শুরু করলেন বিএনপির কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক ইঞ্জি. মমিনুল হক।

শুক্রবার দিনব্যাপী তিনি উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা শুরু করেন। এরমধ্যে তিনি ইউনিয়নের নোয়াদ্দা, উত্তর রায়চোঁ, বড়কুল রামকানাই উচ্চ বিদ্যালয়, রায়চোঁ বাজার, মধ্য বড়কুল, আড়ুলি, মোল্লাডহর, দিকচাইল, সেন্দ্রা ও কোন্দ্রা এলাকায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন।

পথসভায় ইঞ্জি. মমিনুল হক চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে ইউনিয়নবাসীর সম্মতি চাইলে উপস্থিত লোকজন একযোগে হাত উঁচিয়ে সম্মতি প্রকাশ এবং ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এসময় তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির ২২টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভায় গণসংযোগ ও পথসভা কার্যক্রম শুরু করলাম। দেশের মানুষ বিএনপিকে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষমান রয়েছে। তারা ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করে তারেক রহমানকে আগামির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাছান মিয়াজীর সভাপতিত্বে গণসংযোগ ও পথসভায় সফর সঙ্গী ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ রহিম পাটওয়ারী, বিএনপি নেতা আব্দুল কাদের মিয়া, ইঞ্জি. জাহাঙ্গীর আলম, ইমান হোসেন, অহিদুল ইসলাম মোহন, আব্দুল গফুর পাটওয়ারী, ওলি উল্যাহ, আলমগীর হোসেন, মোশারফ হোসেন, তাফাজ্জল হোসেন বতু, শাহাদাত হোসেন মিলন, জামাল মেম্বার, মিজানুর রহমান, মাসুদ রানা, উপজেলা মৎসজীবি দলের সভাপতি মো. ইমান হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম চৌধুরী মিঠু, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক এসএম ফয়সাল হোসাইন, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব দ্বীন ইসলাম টগর, ছাত্রনেতা শামছুদ্দিন খাঁন নূর, কবির হোসেন রাজু, ইউনিয়ন যুবদল নেতা আব্দুল জব্বার, ইকবাল বেপারী, ইমাম হোসেন, আব্দুল মতিন, আলাউদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, হোসেন মজুমদার, স্বেচ্ছাসেবক নেতা মাসুম চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, সুমন রাজ, হাসানাত, সোহাগ, কৃষক নেতা মিজানুর রহমান, ছাত্রনেতা আলামিন দিনু, হাবিবুর রহমান, ওসমান গণি, সাব্বির হোসেন, শেখ ফরিদসহ সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।