খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৭ ভাদ্র, ১৪৩২

কচুয়ার এসআই জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ

চাঁদা না দেওয়ায় ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতার ভাইকে রাজনৈতিক মামলায় পাঠালেন জেল হাজতে

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫, ১২:৪৪ অপরাহ্ণ
চাঁদা না দেওয়ায় ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতার ভাইকে রাজনৈতিক মামলায় পাঠালেন জেল হাজতে

চাঁদপুর কচুয়া থানার এস আই জাহাঙ্গীরের চাঁদাবাজি, হয়রানির শিকার হয়ে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। তার চাঁদাবাজি ও অনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয় উল্লেখ করে ২৮ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কচুয়া উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমানে যুব অধিকার নেতা শাহজালাল পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ প্রদান করেন।

অভিযোগ সূত্রে ও সরজামিনে জানা যায়, কচুয়া উপজেলার ১১ নং গোহাট দক্ষিণ ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মৃত. হারুনুর রশিদের ছেলে শাহজালালের বড় ভাই দিনমজুরে ইলেক্ট্রিশিয়ান মোস্তফা কামালকে ২২ মে গভীর রাতে ঘর থেকে ওসির বরাত দিয়ে এস আই জাহাঙ্গীর ধরে নিয়ে যান।

সকালবেলা পরিবারের লোকজন থানায় গেলে এসআই জাহাঙ্গীর তাদের কাছ থেকে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। এই টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে পরবর্তীতে ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য বলেন।

টাকা না দেওয়ায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ৪ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখের চাঁদপুর ফয়সাল মার্কেটের হামলা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের মারধরের ঘটনায় ২৭শে আগস্ট চাঁদপুর মডেল থানার জি আর ৫৮৫ দায়ের করা রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতার দেখিয়ে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করেন।

শাহজালাল জানায়, ছোটবেলায় আমাদের বাবা মারা গিয়েছে, আমরা ৪ ভাই ১ বোন। ভাইদের মধ্যে মোস্তফা কামালই বড়, তিনি ইলেকট্রিক কাজ করে অনেক কষ্ট করে আমাদেরকে বড় করেছেন। আমার অন্যান্য ভাইয়েরাও ছোটখাটো ব্যবসা করেন। আমি চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি, ২০১৮ সাল থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকায় ছিলাম। কিন্তু আমার কোন ভাই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়। ৫ আগস্টে যদি স্বৈরাচার হাসিনার পতন না হতো তাহলে আমার নামে ৮-১০ টি মামলা থাকতো, অথচ দুঃখজনক বিষয় হলো সত্য, একটি কুচক্র মহলের ষড়যন্ত্র এসআই জাহাঙ্গীর আমার ভাইকে থানায় ধরে নিয়ে যায়।

দাবীকৃত ৩০ হাজার টাকা না দেওয়ায় আমার নিরপরাধ ভাইকে চাঁদপুরের মামলায় এরেস্ট দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেন। আমি আমার দলীয় নেতা কর্মীদেরকে নিয়ে পুলিশ সুপার বরাবর এসআই জাহাঙ্গীরের অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি, আশা করি তিনি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

ওই ইউনিয়নের বিএনপি’র সাবেক ও বর্তমান একাধিক নেতাকর্মীরা জানান, মোস্তফা কামাল কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নয়, সে একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান দিনমজুরে খেটে খাওয়া মানুষ, যেহেতু সেই ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি, সে দল মত নির্বিশেষে সবার বাসা বাড়ি, অফিসে ইলেক্ট্রিক কাজই করতেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।

কচুয়ার যুব অধিকার নেতা মহিউদ্দিন জানান, মোস্তফা কামাল কোনো রাজনৈতিক সহিংসতায় জড়িত নয়, তিনি একজন নিরীহ শ্রমজীবী মানুষ। অথচ, তাকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে শুধুমাত্র চাঁদা না দেওয়ার কারণে! আমরা এমন চাঁদাবাজ পুলিশ চাই না। আমরা দেশের স্বার্থে জনগণের কল্যাণে সৎ সাহসী পুলিশ চাই।

চাঁদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান জানান, শাহজালাল ২০১৮ সাল থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও বর্তমানে গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তার নিরহ ভাই মোস্তফা কামাল’কে পুলিশ অন্যায় ভাবে আটক করে যে মামলায় দিয়েছেন তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি চাঁদপুরের পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি এবং বলেছি তার বিরুদ্ধে অবিলম্বে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য, তিনি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
চাঁদপুর-২ কচুয়া আসনে গণআধিকার পরিষদ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী কচুয়র কৃতি সন্তান গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ গণমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত হাসিব বলেন, আমি বিষয়টি শুনে ওসির সাথে কথা বলেছি, তিনি এস আই জাহাঙ্গীরের এ ধরনের অনতিক কর্মকান্ডে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানিয়েছেন।

কচুয়ার গণ-যুব-ছাত্র অধিকারের নেতৃবৃন্দরা বলেন, আগামী ২৪ ঘটনার মধ্যে এসআই জাহাঙ্গীরকে ক্লোজ করতে হবে অন্যথায় রাজপথে নামতে বাধ্য হবো। ২৪-এর বাংলাদেশে আমরা চাই জনতার পুলিশ নিষ্ঠাবান, দেশপ্রেমিক এবং জনগণের বিশ্বস্ত সাথী।

এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকের পরিষদের সামাজিক যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বীর তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে এসআই জাহাঙ্গীরের অপসারণ দাবি করেন এবং তিনি আরো লিখেন, ‘এই রাষ্ট্র আমাদের স্বপ্নের বাস্তবতা, তাই রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গ যেন হয়ে ওঠে জনগণের শক্তির প্রতিচ্ছবি। পুলিশের ইউনিফর্মে যেন প্রতিফলিত হয় জনগণের সম্মান, বিশ্বাস, ও সুরক্ষা। কিন্তু কিছু অল্প সংখ্যক অসাধু, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী সদস্যদের কারণে সমগ্র পুলিশ বাহিনী প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিলো। জনতার টাকায় পরিচালিত এই বাহিনীর একমাত্র কর্তব্য হবে জনসেবা, ন্যায় ও মানবাধিকারের রক্ষা।
২৪-এর বাংলাদেশ নতুন শপথে উদিত হোক অসাধুদের বিদায়, জনতার পুলিশই আমাদের ভবিষ্যৎ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ চলবে, ন্যায়বিচার আদায় না হওয়া পর্য!।’

এ বিষয়ে এসআই জাহাঙ্গীরকে ফোন করলে তিনি প্রথমে ওসির বরাত দেন, পরবর্তীতে তিনি টাকার বিষয়ে অস্বীকার করেন এবং মোস্তফা কামালের আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে ছবি রয়েছে বলে জানান। মোস্তফা কামাল আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর পুলিশ সুপার জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। ২৮ মে চাঁদপুরের ও কচুয়ার গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ আমাকে অবহিত করেছেন এবং মোস্তফা কামালের ভাই ছাত্রঅধিকার পরিষদের নেত আমার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমি বিষয়টি তদন্ত করার জন্য মতলব সার্কেলকে দিয়েছি। যদি ঘটনা সত্য হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

শাহরাস্তিতে মাদক ও স্বৈরাচার বিরোধী আলোচনা সভা

মোঃ সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ণ
শাহরাস্তিতে মাদক ও স্বৈরাচার বিরোধী আলোচনা সভা

মাদকের বিষয়ে শাহরাস্তি উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো একটি প্রতিবাদী আলোচনা সভা ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মাদক ব্যবসায়ী ও স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।

আলোচনা সভায় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বিল্লাল শিকদারের সভাপতিত্ব ও টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবদলের নেতা মো. মমিন শিকদার (লিটন মাস্টার) এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের ব্রাঞ্চ অফিসার মনির হাওলাদার।

এছাড়াও অন্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকশামীম আহমেদ, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বিল্লাহ হোসেন শিকদার, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেরাজুন নবী (রাজু), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল প্রিন্স, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম (মানিক), সৌদি আরবের রিয়াদ শাখার বিএনপির সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদিন, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক দিদার হোসেন মজুমদার।

সভায়বক্তারা মাদকের ভয়াবহতা এবং সমাজে এর বিস্তার রোধে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্সের ওপর জোর দেন এবং এই সামাজিক ব্যাধি থেকে যুবসমাজকে রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

আলোচনা সভা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। যা স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এই আয়োজনের মাধ্যমে এলাকার মাদক নির্মূল ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় এক নতুন বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

শাহরাস্তিতে ​মহিলা মাদরাসার কমিটির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

মো. সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ
শাহরাস্তিতে ​মহিলা মাদরাসার কমিটির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

শাহরাস্তিতে বলশিদ মহিলা মডেল আলিম মাদরাসার নতুন কমিটি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামকে সভাপতি করার পর থেকেই এই বিতর্ক শুরু হয়। তার পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে কমিটির তিনজন সদস্য পদত্যাগও করেছেন।

​স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদরাসার কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াটি ছিল অস্বচ্ছ ও গোপনে। তারা বলছেন, মাদরাসার নাম তিনবার পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রথমে “ফজিলতের নেছা মহিলা মাদরাসা”, পরে “শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা মাদরাসা” এবং এখন “বলশিদ মডেল মহিলা আলিম মাদরাসা” নাম রাখা হয়েছে। যদিও মাদরাসার ফটকে এখনও আগের নামফলকই ঝুলছে। ​এছাড়াও সভাপতি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে আরও কিছু গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

​তিনি একসাথে একাধিক মাদরাসার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। ​তার স্ত্রী নাজমা বেগম মাদরাসার অফিস সহকারী হলেও তিনি নাকি বাড়িতে বসেই হাজিরা খাতায় সই করেন। ​তাদের পরিবারের আরও পাঁচজন সদস্য মাদরাসার বিভিন্ন পদে চাকরি করছেন।

অভিভাবক সদস্য খোরশেদ আলম জানান, “আমার দুই মেয়ে এখানে পড়ে। আমাকে হঠাৎ ডেকে অভিভাবক সদস্য হিসেবে সই করতে বলা হয়। এটা একটা কৌশল ছিল বুঝতে পেরে আমি পদত্যাগ করেছি।”

​ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন বলেন, “গোপনে অসৎ উদ্দেশ্যে এই কমিটি করা হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানতাম না।”

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন জানান, অধ্যক্ষের কক্ষের চাবি ও কমিটির সব নথিপত্র সভাপতির কাছেই থাকে।

​সভাপতি আমিনুল ইসলাম সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “মাদরাসার নাম দুইবার পরিবর্তন হয়েছে, তিনবার নয়। অন্য প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হয়েও এখানে সভাপতি হওয়া নিয়মসিদ্ধ। যারা পদত্যাগ করেছেন, সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।”

​উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিয়া হোসেন জানিয়েছেন, “কমিটি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”

স্থানীয়দের দাবি, এই বিতর্কিত কমিটি বাতিল করে একটি স্বচ্ছ কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে যদি সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সুপার মনিরুজ্জামানকে অপসারণ করা না হয়, তাহলে তারা আরও কঠোর আন্দোলন করবেন।

এলাকাবাসীর সর্বস্তরের জনগণের অংশ গ্রহনে  মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন,ওই সময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় এলাকাবাসী সৈয়দ আহমেদ দুলাল, কামরুল আহসান মজুমদার, মমতাজ উদ্দিন ভূঁইয়া, শাহ আলম খান, বাবুল হোসেন পাটোয়ারী, গিয়াস উদ্দিন মিয়াজী, লিপন, মনির হোসেন, রুহুল আমিন পাটোয়ারী, কিরণ মুন্সি, মোশারেফ মেম্বার, হেলাল মুন্সী, সাগরসহ বহু অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায় শিশুসহ মা ও মেয়ে আহত

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:৩০ অপরাহ্ণ
লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায় শিশুসহ মা ও মেয়ে আহত

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের মাঝি বাড়িতে পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় বসত ঘর ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়ও প্রতিপক্ষের হামলায় শিশু সহ মা ও মেয়ে আহত হয়েছে। এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ঘটনার বিবরনে ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের মাঝি বাড়ির দুলাল গংদের সাথে শাহানারা বেগমের সাথে সম্পত্তিগত ও পারিবারিক ভাবে বিরোধ চলে আসছে। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুলাল, সানু (৫০) ও তাদের ৩ মেয়ে বিথী, রিমা, সাবিনা জোরপূর্বক শাহানারা বেগমের বসত ঘরে প্রবেশ করে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় শাহানারা বেগম, তার মেয়ে জান্নাত আক্তার ও নাতনি ১০ বছরের শিশু উম্মে আইমান গুরুতর আহত হয়। এছাড়াও হামলাকারীরা তাদের বসত ঘর সহ ভিতরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। শাহানারা বেগমদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা চলে যায়। পরে উপস্থিত লোকজন শাহানারা বেগম সহ আহতদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। শাহানারা বেগম ও নাতিন উম্মে আইমানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এবং জান্নাত আক্তারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি দেন।

জান্নাত আক্তার বলেন, তাদের সাথে আগে থেকেই পারিবারিক বিষয় নিয়ে একটু দ্বন্দ ছিলো। তারা প্রতিনিয়ত আমাদেরকে প্রাণে মারার হুমকি দিত এবং নুন থেকে চুন ঘষলেই তারা আমাকে ও আমার মাকে মারতে আসতো। রবিবার আমি ঘরে বসে আমার মামাতো বোনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতেছি, এ সময় আমাদের ঘরের পাশ দিয়ে রিমা যাওয়ার সময় কি শুনে তার বাবা মা ও বোনদেরকে নিয়ে এসে আমাদেরকে মারধর করে এবং গালিগালাজ করতে থাকে।

শাহানারা বেগমের ছেলে অলিউল্লাহ বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না। যখনই আমি বাড়ি থেকে সরে যাই তখনই তারা আমার মাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয়। আমার বোন স্বামীর বাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসছে, তাদের উপর এভাবে হামলা করেছে এবং পরবর্তীতে আমার বোন ও আমি বাড়িতে না থাকলে আমার মাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আমাদের অপরাধ আমরা তাদের বংশের না এবং স্থানীয় না, আমরা মামার বাড়িতে থাকি এজন্য আমরা বাড়ি থেকে সরে যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয়। তাই আমি প্রশাসনের কাছে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসীদের শাস্তির আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার চাই।

শাহানারা বেগমের ছেলে অলিউল্লাহ বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় দুলাল, সানু, বিথী, রিমা, সাবিনাকে বিবাদী কের একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ বাহার মিয়া বলেন, বিষয়টি জেনেছি, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখতেছি।