খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১৬ বৈশাখ, ১৪৩২

দৈনিক চাঁদপুর সংবাদ পত্রিকার ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:০৩ পূর্বাহ্ণ
দৈনিক চাঁদপুর সংবাদ পত্রিকার ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

দৈনিক চাঁদপুর সংবাদ পত্রিকার ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ নুর আলম দীন।

চাঁদপুর জেলার বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনায় বহুল প্রচারিত স্থানীয় “দৈনিক চাঁদপুর সংবাদ” পত্রিকার ৩০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার বিকালে চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা, অতিথিদের সংবর্ধনা ও মাল্যদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানটি উদযাপন সম্পন্ন হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে মাল্যদান ও ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে অতিথিদের সংবর্ধিত করেন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আবদুর রহমান। এ সময় সংবর্ধিত অতিথিরা সম্পাদক ও প্রকাশক আবদুর রহমানের কাছ থেকে ফুলের মালা ও ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে দৈনিক চাঁদপুর সংবাদ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক ও প্রকাশক আবদুর রহমান এঁর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ নুর আলম দীন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, পাঠক আপনাকে যেভাবে বিচার করবে আমি সেটাই বলছি। পাঠক সাংবাদিকতার দুইটি দিক বিচার করবে একটি পজিটিভ আরেকটি নেগেটিভ। চাঁদপুর সাংবাদিকদের একটি উজ্জ্বল চারণ ভূমি। যেখানে আমরা একটি ভালো সাংবাদিকতার প্র্যাকটিস করছি। আমাদের চাঁদপুরের অনেক সাংবাদিক প্রেস মিডিয়ার বিভিন্ন জায়গায় সুনামের সাথে এবং দক্ষতার সাথে উনাদের দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরে আমি আসার পরে দেখলাম ২২টি বা ২৩টি দৈনিক সংবাদ পত্র আছে। সেখানে আমি যদি একটি পেপার পড়ি তাহলে আমার সব পেপার পড়া হয়ে যায়। পড়লে দেখা যায় প্রতিটি পেপার এর ভাষা এক, লেখা এক, হেডলাইন এক। এটা সাংবাদিকতার চর্চা নয়। এখান থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। সংবাদ একই হোক কিন্তু আমাদের উপস্থাপন যেন ভিন্ন হয়। নতুবা পাঠক সমাজে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না।

চাঁদপুর সংবাদ পত্রিকার ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি শাখাওয়াত হোসেন মিন্টু’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সহকারি নৌ পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রহিম বাদশা। সংবর্ধিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সিটি এডিটর মিজান মালিক, ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক স্বদেশ বাংলার সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার পলাশ, ফেমাস স্পেশালাইজড হসপিটাল এন্ড ট্রমা সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ইউনুস উল্লাহ।

এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও ইটিভি চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি নেয়ামত হোসেন, চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন রাসেল, চাঁদপুর সংবাদের সহ-সম্পাদক ও মতলব প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ফরিদগঞ্জ অফিস প্রধান মোঃ মহিউদ্দিন, কচুয়া অফিস প্রধান সন্তোষ চন্দ্র সেন, স্টাফ রিপোর্টার এস.এম শাহ আলম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জালাল চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা জাকির, জি এম শাহীন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, দৈনিক আলোকিত চাঁদপুর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ জাকির হোসেন, ইন্টিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মনিরুজ্জামান বাবলু, দৈনিক প্রিয় চাঁদপুর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক বোরহান উদ্দিন ডালিম, দৈনিক চাঁদপুর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কে এম মাসুদ, দৈনিক আদি বাংলা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোঃ এমরান হোসেন রাজন, মফস্বল সম্পাদক রাসেল গাজী, দৈনিক চাঁদপুর সময় পত্রিকার প্রধান সম্পাদক এম ফরিদুল ইসলাম উকিল, প্রকাশক মোঃ এরশাদ খান, দৈনিক চাঁদপুর দিগন্ত পত্রিকার সহকারী সম্পাদক জামান আহমেদ আকন্দ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম, দৈনিক মেঘনা বার্তা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক আনোয়ারুল হক।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক চাঁদপুর সংবাদ পত্রিকার প্রধান নির্বাহী সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা সাইফুল্লাহ, বার্তা সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন সুমন, চীফ রিপোর্টার মোঃ মনির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার রহমত আলী রিপন, আলমগীর বাবু , ওমর শরীফ, রিজভী চৌধুরী, আমির হোসেন, মোহাম্মদ মাসুম হোসেন, নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, চীফ ফটোগ্রাফার আরিফুর রহমান সাগর, ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি ফারুক আহমেদ, হাইমচর উপজেলা প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ, শাহারাস্তি উপজেলা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, কচুয়া উপজেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ হোসেন, রাজিব চন্দ্র শীল, মতলব উত্তর উপজেলা প্রতিনিধি আবদুল আউয়াল, হাইমচর উপজেলা প্রতিনিধি নাছির আহমেদ সহ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্যে পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আবদুর রহমান বলেন, আপনাদের সহযোগিতায় চাঁদপুর সংবাদ পত্রিকার আজকের এই দীর্ঘ পথ চলা। আমরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে আসছি। দীর্ঘ পথ চলায় আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। আজ এ অনুষ্ঠানে সকলের উপস্থিতির জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি।

চাঁদপুর শহর জামায়াতের গণসংযোগ ও পথসভা

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:৫০ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর শহর জামায়াতের গণসংযোগ ও পথসভা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর শহর শাখার উদ্যোগে দাওয়াতী পক্ষ অভিযান উপলক্ষে গণসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে চাঁদপুর শহরের হাকিমপ্লাজা, হকার্স মার্কেট, জোড় পুকুরপাড় সড়ক ও বাইতুল আমীন চত্বর ব্যাপক দাওয়াতী কাজ এবং পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশের শূরার সদস্য ও চাঁদপুর জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা বিল্লাল হোসাইন মিয়াজী।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করতে চায়। আমরা বিশ্বাস করি, জমিন আল্লাহর কাজেই এই জমিনের মধ্যে হুকুম চলবে আল্লাহর। আল্লাহর আইনের মধ্যে কোন ভুল নাই, মানুষের তৈরি আইনের মধ্যে ভুল আছে। মানুষ যখনই আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে মানুষের তৈরি আইনের দিকে যায়, তখন বারবার হোচঁট খায়, প্রতারিত হয় এবং মানুষ তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত ও শোষণমুক্ত করার জন্য তিনি সবাইকে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।

আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর শহর জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট শাহজাহান খান। উপস্থিত ছিলেন শহর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মো: সাইফুল ইসলাম সবুজ, জামায়াতের ১০নং ওয়ার্ড আমীর গোলাম মাওলা, ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি ও সম্ভাব্য কমিশনার প্রার্থী নুর মোহাম্মদ খোকা, ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি মাইনুল ইসলাম প্রধান, সম্ভাব্য কমিশনার প্রার্থী হাসান আল বান্না, আলাউদ্দিন ঢালী, আলমগীর বন্ধুকশীসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।

কচুয়ায় খড়ের গাঁদা আনতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষাণীর মৃত্যু

মনিরুজ্জামান বাবলু
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:২৯ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় খড়ের গাঁদা আনতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষাণীর মৃত্যু

বজ্রপাতে নিহত কৃষাণী বিশখা।

কচুয়ায় বজ্রপাতে বিশখা সরকার (৩৫) নামে এক কৃষাণীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার উত্তর কচুয়া ইউনিয়নের নাহারা গ্রামের রাধা গবিন্দ বাড়ির কৃষাণী বাড়ির পাশে অবস্থিত জমি হতে খড়ের গাঁদা আনতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন।

নিহত বিশখা সরকার উত্তর কচুয়া ইউনিয়নের নাহারা গ্রামের হরিপদের স্ত্রী। বিশখা সরকার তিন কন্যা সন্তানের জননী।

পরিবার ও এলাকাবাসী জানান, বাড়ির পাশে খড়ের গাঁদা আনতে বাড়ী থেকে বের হবার পথে ঝড়-বৃষ্টির কবলে পড়েন। পরে বজ্রপাতের শিকার হন তিনি। তাকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. জাহিদ হোসাইন জানান, তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে বজ্রপাতে আতঙ্কিত হয়ে মারা যেতে পারেন। তাকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান। আকাশে কালো মেঘ দেখলেই নিজেদের প্রতি প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও নিরাপদ আশ্রয়ে যেত বলছেন এই চিকিৎসক।

বাংলাদেশে লাইসেন্স পেলো স্টারলিংক

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:১৯ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশে লাইসেন্স পেলো স্টারলিংক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনজিএসও সেবাদাতা স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার তিনি এ লাইসেন্স অনুমোদন করেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ২৫ মার্চ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) নন-জিওসটেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিসেস অপারেটর ইন বাংলাদেশ শীর্ষক লাইসেন্সিং গাইডলাইন জারি করে।

ওই গাইডলাইনের আওতায় স্টারলিংক সার্ভিসেস বাংলাদেশ নন-জিওসটেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিসেস অপারেটর লাইসেন্সপ্রাপ্তির জন্য প্রযোজ্য ফি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিটিআরসি বরাবর আবেদন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে আবেদনকৃত লাইসেন্স ইস্যুর জন্য গত ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ২৯৪তম কমিশন সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

স্টারলিংক বাংলাদেশের ইন্টারনেটে নতুন সংযোজন। শ্রীলংকার পরে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশে বৈশ্বিক এ স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করলো।

এ প্রসঙ্গে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ে শেখ হাসিনা সরকারের উপর্যুপরি ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে স্টারলিংককে বাংলাদেশে নিয়ে আসা একটা গণদাবিতে পরিণত হয়েছিল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিনিয়োগবান্ধব হিসেবে একটা বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল প্রধান উপদেষ্টার। বাংলাদেশের হাওর-বাওড় দ্বীপাঞ্চলে, দুর্গম পার্বত্য এলাকায়, বিশেষভাবে উপকূলীয় দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেসব অঞ্চলে এখনো ফাইবার পৌঁছেনি সেখানে দ্রুততম সময়ে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা স্বউদ্যোগী হয়ে স্পেসএক্স সিইও ইলন মাস্ককে ফোন করে ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংককে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার আহ্বান জানান।

এ লক্ষ্য অর্জনে বিডা, বিটিআরসি, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নিবিড়ভাবে কাজ করেছে বলেও জানান তিনি।

ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, স্টারলিংকের সেবাগুলোর মধ্যে একটা প্রাথমিক সেবা হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট, যেখানে লোডশেডিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে না, যেটা আইএসপির ক্ষেত্রে হয়। অনেক ক্ষেত্রে যদি লম্বা সময় ধরে লোডশেডিং থাকে, মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারির ব্যাকআপ ফুরিয়ে গেলে মোবাইল ইন্টারনেটেও বিঘœ ঘটে। স্টারলিংকের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা হবে না।

‘আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশে ফাইবার নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি সীমিত। উপরন্তু এই ফাইবার নেটওয়ার্কের উল্লেখযোগ্য অংশ টেলকো গ্রেডের নয়। বাংলাদেশের অন্তত ৬৫ শতাংশ টেলিযোগাযোগ টাওয়ার এখনো ফাইবারাইজেশনের বাইরে, সেখানে মাইক্রোওয়েভ দিয়ে সেবা দেওয়া হয়, খুবই সীমিত ধারণক্ষমতা। আবার আমাদের মোবাইল নেটওয়ার্কের যে কাভারেজ ও ক্যাপাসিটি আছে, তাতেও সমস্যা আছে, হাইওয়ে মোবিলিটি কভারেজের সমস্যা আছে। স্টারলিংক এসব সমস্যার সমাধান করবে’- বলেন তিনি।

ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, স্টারলিংক বাংলাদেশের মোবাইল ফোন এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক করবে। এর মাধ্যমে ভয়েস কল এবং ডেটা বান্ডেলভিত্তিক গতানুগতিক ইন্টারনেট সেবাদান ব্যবস্থা ডিজিটাল সার্ভিসকেন্দ্রিক নতুন রূপান্তরে মধ্য দিয়ে যাবে।

‘স্টারলিংকের সার্ভিসের ফলে কমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রিতে ডিরেগুলেশনের সূচনা হবে, প্রতিযোগিতা বাড়বে, শহর কিংবা গ্রামভেদে নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট প্রাপ্তির নিশ্চয়তা তৈরি হবে’- যোগ করেন তিনি।