খুঁজুন
শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২৩ কার্তিক, ১৪৩২

দৈনিক চাঁদপুর সংবাদ পত্রিকার ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:০৩ পূর্বাহ্ণ
দৈনিক চাঁদপুর সংবাদ পত্রিকার ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

দৈনিক চাঁদপুর সংবাদ পত্রিকার ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ নুর আলম দীন।

চাঁদপুর জেলার বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনায় বহুল প্রচারিত স্থানীয় “দৈনিক চাঁদপুর সংবাদ” পত্রিকার ৩০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার বিকালে চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা, অতিথিদের সংবর্ধনা ও মাল্যদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানটি উদযাপন সম্পন্ন হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে মাল্যদান ও ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে অতিথিদের সংবর্ধিত করেন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আবদুর রহমান। এ সময় সংবর্ধিত অতিথিরা সম্পাদক ও প্রকাশক আবদুর রহমানের কাছ থেকে ফুলের মালা ও ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে দৈনিক চাঁদপুর সংবাদ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক ও প্রকাশক আবদুর রহমান এঁর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ নুর আলম দীন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, পাঠক আপনাকে যেভাবে বিচার করবে আমি সেটাই বলছি। পাঠক সাংবাদিকতার দুইটি দিক বিচার করবে একটি পজিটিভ আরেকটি নেগেটিভ। চাঁদপুর সাংবাদিকদের একটি উজ্জ্বল চারণ ভূমি। যেখানে আমরা একটি ভালো সাংবাদিকতার প্র্যাকটিস করছি। আমাদের চাঁদপুরের অনেক সাংবাদিক প্রেস মিডিয়ার বিভিন্ন জায়গায় সুনামের সাথে এবং দক্ষতার সাথে উনাদের দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরে আমি আসার পরে দেখলাম ২২টি বা ২৩টি দৈনিক সংবাদ পত্র আছে। সেখানে আমি যদি একটি পেপার পড়ি তাহলে আমার সব পেপার পড়া হয়ে যায়। পড়লে দেখা যায় প্রতিটি পেপার এর ভাষা এক, লেখা এক, হেডলাইন এক। এটা সাংবাদিকতার চর্চা নয়। এখান থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। সংবাদ একই হোক কিন্তু আমাদের উপস্থাপন যেন ভিন্ন হয়। নতুবা পাঠক সমাজে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না।

চাঁদপুর সংবাদ পত্রিকার ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি শাখাওয়াত হোসেন মিন্টু’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সহকারি নৌ পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রহিম বাদশা। সংবর্ধিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সিটি এডিটর মিজান মালিক, ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক স্বদেশ বাংলার সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার পলাশ, ফেমাস স্পেশালাইজড হসপিটাল এন্ড ট্রমা সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ইউনুস উল্লাহ।

এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও ইটিভি চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি নেয়ামত হোসেন, চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন রাসেল, চাঁদপুর সংবাদের সহ-সম্পাদক ও মতলব প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ফরিদগঞ্জ অফিস প্রধান মোঃ মহিউদ্দিন, কচুয়া অফিস প্রধান সন্তোষ চন্দ্র সেন, স্টাফ রিপোর্টার এস.এম শাহ আলম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জালাল চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা জাকির, জি এম শাহীন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, দৈনিক আলোকিত চাঁদপুর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ জাকির হোসেন, ইন্টিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মনিরুজ্জামান বাবলু, দৈনিক প্রিয় চাঁদপুর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক বোরহান উদ্দিন ডালিম, দৈনিক চাঁদপুর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কে এম মাসুদ, দৈনিক আদি বাংলা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোঃ এমরান হোসেন রাজন, মফস্বল সম্পাদক রাসেল গাজী, দৈনিক চাঁদপুর সময় পত্রিকার প্রধান সম্পাদক এম ফরিদুল ইসলাম উকিল, প্রকাশক মোঃ এরশাদ খান, দৈনিক চাঁদপুর দিগন্ত পত্রিকার সহকারী সম্পাদক জামান আহমেদ আকন্দ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম, দৈনিক মেঘনা বার্তা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক আনোয়ারুল হক।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক চাঁদপুর সংবাদ পত্রিকার প্রধান নির্বাহী সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা সাইফুল্লাহ, বার্তা সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন সুমন, চীফ রিপোর্টার মোঃ মনির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার রহমত আলী রিপন, আলমগীর বাবু , ওমর শরীফ, রিজভী চৌধুরী, আমির হোসেন, মোহাম্মদ মাসুম হোসেন, নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, চীফ ফটোগ্রাফার আরিফুর রহমান সাগর, ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি ফারুক আহমেদ, হাইমচর উপজেলা প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ, শাহারাস্তি উপজেলা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, কচুয়া উপজেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ হোসেন, রাজিব চন্দ্র শীল, মতলব উত্তর উপজেলা প্রতিনিধি আবদুল আউয়াল, হাইমচর উপজেলা প্রতিনিধি নাছির আহমেদ সহ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্যে পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আবদুর রহমান বলেন, আপনাদের সহযোগিতায় চাঁদপুর সংবাদ পত্রিকার আজকের এই দীর্ঘ পথ চলা। আমরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে আসছি। দীর্ঘ পথ চলায় আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। আজ এ অনুষ্ঠানে সকলের উপস্থিতির জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি।

রামপুরে বিদ্যাঘর পাঠাগার উদ্বোধন

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ
রামপুরে বিদ্যাঘর পাঠাগার উদ্বোধন

“বই পড়লে আলোকিত হই, না পড়লে অন্ধকারে রই” বইয়ের সঙ্গেই গড়ে উঠুক সুন্দর সমাজ এই স্লোগানে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের বদরখোলা বাজারে বিদ্যাঘর পাঠাগার উদ্বোধন করা হয়েছে। যুব সমাজকে মাদক ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখতে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে পাশাপাশি গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান এই পাঠাগারের মূল উদ্দেশ্য।

শুক্রবার ৩১ অক্টোবর বিকালে বদরখোলা বাজারে বিদ্যাঘর পাঠাগার ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাণুরাগীও সমাজসেবক মাওলানা জসিম উদ্দিন পাটওয়ারী।


বিদ্যাঘর পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও বিদ্যাঘর পাঠাগারের সচিব আমিরুল ইসলাম রিয়াজের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলাম মাষ্টার, সাবেক সহকারী উপাধ্যক্ষ মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মমিনুল হক রাজাপুরী, নাসিরকোট ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মোঃ শরীফুল্লাহ।

এছাড়াও এলাকার নবীণ প্রবীণ ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বিদ্যাঘর পাঠাগারের মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ যাতে জ্ঞান অর্জন করতে পারে, সেজন্য বিভিন্ন মনিষীদের বই পাঠাগারে রাখতে হবে। পাশাপাশি ইসলামী জ্ঞান চর্চার জন্য ইসলামী বই সংরক্ষণ করতে হবে।

ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ

শ্যামল সরকার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৫০ অপরাহ্ণ
ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ

ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখতে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে গত ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছিল ২২ দিনের ইলিশ আহরণ নিষেধাজ্ঞা। এসময় নদীতে মাছ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ছিল। দীর্ঘ বিরতির পর শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে নদীতে নামবেন জেলেরা।

শেষ সময়ে কেউ মেরামত করছেন নৌকা, কেউবা পুরোনো জাল সেলাই করে নিচ্ছেন নতুন করে। চোখে মুখে আনন্দের অনুভূতি থাকলেও আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলেরা। তারা বলছেন, এবছর ভরা মৌসুমেও নদীতে ইলিশের দেখা মেলেনি। আর এখন মৌসুম শেষ। জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেলে কষ্টের পাল্লা ভারী হবে।

এদিকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন চাঁদপুরে নিবন্ধিত ৪৫ হাজার ৬১৫ জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। কিন্তু তা ছিল জেলেদের কাছে অপ্রতুল। ওই সময় জীবিকা হারিয়ে চরম কষ্টে পড়েন জেলেরা।

এদিকে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীতে মাছ ধরতে না গেলেও নিষেধাজ্ঞার পর বেশ কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা না পেয়ে এবং মহাজন ও এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণ করে তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করতে হয়েছে বলে আক্ষেপ করেছেন।

তাদের অভিযোগ, মূল জেলেদের কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা থেকে বাদ পড়েছে। অথচ যারা মাছ ধরতে জীবনেও নদীতে নামেনি এমন বিভিন্ন পেশার বেশ কিছু মানুষ সরকারী সহায়তার কার্ড পেয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তারা ক্ষোভ জানিয়েছেন। এমনকি বেশ কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা পেয়েও সরকারের নির্দেশনা না মেনে অবৈধভাবে নির্বিচারে মা ইলিশ শিকার করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে সরকারের পরবর্তী সহযোগিতা থেকে বাদ দেওয়ারও আহ্বান জানান।

মৎস্য কর্মকর্তারা আশা করছেন, ২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে এবার গত বছরের চেয়ে মাছের উৎপাদন রেকর্ড পরিমাণে বাড়তে পারে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে মাছ শিকার করতে দেওয়া হয়নি। এবার রেকর্ড পরিমাণে ইলিশ উৎপাদন হতে পারে।

তিনি আরও জানান, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা ইলিশ রক্ষায় প্রতি বছরের মতো এবারও ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিনের জন্য দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত নিষিদ্ধ করেছিল সরকার।

এই সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চালানো ৪৪৫ টি অভিযানে ৭৭ টি মামলা ও ৭৪ টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১১৯ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাঁজা প্রদান করা হয়। এছাড়া ৬ কোটি মিটার অবৈধ জাল, ১১০০ টন ইলিশ জব্দ করে বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় প্রদান করাহয়।

জনশ্রুতি আছে অভিযানে সময় অনেক জেলে সরকারের বরাদ্দ করা চাল পাননি বলেও অভিযোগ রয়েছে।

শনিবার মধ্যরাতে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকেই উপকূলের জেলেরা জাল, নৌকা, ট্রলার ও অন্যান্য সরঞ্জাম প্রস্তুত করে ইলিশ শিকারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন। বিশেষ করে হরিনা ঘাট, আখনের ঘাট, পুরানবাজার রনাগোয়াল, লঞ্চ ঘাট, হাইমচরের নীলকমল, মতলব উত্তর মোহনপুর নৌঅঞ্চলের জেলেরা এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

ফরিদগঞ্জে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ আটক ১

শ্যামল সরকার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩২ অপরাহ্ণ
ফরিদগঞ্জে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ আটক ১

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে গঠিত যৌথবাহিনি। এ ঘটনায় দুই মাদক কারবারি পালিয়ে গেলেও একজনকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার সকালে উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সকদিরামপুর গ্রামের ছোট বাড়ি এলাকা থেকে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসীর খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জেলা ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর আর্মি ক্যাম্পের অপারেশনাল অফিসার লেফটেন্যান্ট জাবিদ হাসান ও ফরিদগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত রাজিব চক্রবর্তী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকদিরামপুর গ্রামের খলিল বেপারির ছেলে মাদক কারবারি আল-আমিন (২৫) ও তার সহযোগী হত্যা মামলার আসামি রুবেল হোসেন (২৮) ফজরের নামাজের পর একটি প্রাইভেটকারে করে বিপুল পরিমাণ গাঁজা নিয়ে আসে। পরে আল-আমিনের বাড়ির গোসলখানায় গাঁজাগুলো লুকিয়ে রাখে। এ সময় স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।

পরে এলাকাবাসী পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দিলে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে।

এলাকাবাসী জানায়, রুবেল হোসেন এর আগে একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। গত ১০ দিন আগে তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই আবারও মাদক ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে ওঠে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি একই ইউনিয়নের বাইক্কারবাগানের পাশের ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মাদক ব্যবসায়ী সোহেল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে মামলার অন্যতম আসামি ছিল রুবেল হোসেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন স্বপন মিয়াজী জানান, সকালে ফজরের নামাজের পর এলাকাবাসী আমাকে জানায়, এ এলাকার কুখ্যাত মাদক কারবারি রুবেল জেল থেকে বের হয়ে আবারও মাদক কারবারির সাথে জড়িয়ে পড়েছে এবং বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ এলাকায় প্রবেশ করলে তাদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে থানা পুলিশকে খবর দেই। তিনি আরো জানান, তাদের কারনে এ এলাকার যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ্ আলম বলেন, সকালে এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ডিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করি। তবে মূল মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। আল-আমিনের বাবা খলিল বেপারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।