খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১৬ বৈশাখ, ১৪৩২

চাঁদপুরে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে করণীয় বৈঠক

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ
চাঁদপুরে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে করণীয় বৈঠক

চাঁদপুরে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে করণীয় বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসক গোলাম জাকারিয়া।

চাঁদপুরে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে করণীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার শহরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপি, জাতীয় পার্টি, গণ-অধিকার পরিষদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি, প্রশাসন, পুলিশ, সাংবাদিক, সমাজের প্রতিনিধি, যুব সংগঠন প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসক গোলাম জাকারিয়া।

তিনি বক্তব্যে বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আমরা সমস্যার কথা সবাই জানি ও বলি। তবে এর সমাধান আমাদেরকেই বের করতে হবে। সকলকে রাষ্ট্রীয় আইন মেনে চলতে হবে। সমাজ পরিবর্তনে শুধু প্রশাসন, পুলিশের একা দায়িত্ব নয়, তা আপনার আমার সকলের দায়িত্ব। সকলে ন্যায় সঙ্গত কাজের সাথে থাকবেন।

তিনি আরো বলেন, আত্ম-সামাজিক উন্নয়ন করতে হবে। এর মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ কয়েকটি বিষয় জড়িত। মেয়েদের শিক্ষার মান না বাড়লেও হার বেড়েছে। আমাদের মধ্যে কিছু কালচার বিদ্যমান রয়েছে। এর মধ্যে খারাপ কালচার থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

ম্যাফ চাঁদপুরের সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মুনির চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি রহিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের পলাশ, জেলা মহিলা অধিদপ্তরের ফিল্ড অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা গন অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ জাকির হোসেন।

ম্যাফের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহার ও দপ্তর সম্পাদিক নাহিদা সুলতানা সেতুর পরিচালনায় আরোও বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলাদলের নেত্রী অ্যাড. রেহেনা ইয়াসমিন কচি, তালতলা পাটওয়ারী বাড়ি জামে মসজিদের খতিব মাওঃ আব্দুস সালাম, সদর থানা জাতীয়পার্টি সভাপতি জাকির হোসেন হিরু, জেলা কৃষকদলের সভাপতি ও ম্যাফের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ খোকন, চাঁদপুর প্রভাতি কাগজের সম্পাদক ও প্রকাশক আব্দুল আউয়াল রুবেল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি সাকিবুল ইসলাম, পৌর মহিলাদলের সহ-সভাপতি ফারজানা রুজি, সদর থানা ছাত্রদলের সভাপতি জিসান আহমেদ, তারণ্যের অগ্রদুতের সাধারণ সম্পাদক তাহসিনুর রহমান বুনন।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার আবুল বাশার। সভার শুরুতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ম্যাফের সদস্য তানিয়া ইসলাম।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে চাঁদপুরে বাল্যবিবাহের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে কোভিড-১৯ চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে বাল্য বিবাহের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। দরিদ্র পরিবারের অভিভাবকগন জীবনযাপনের ব্যয়ভার কমাতে অনেক সময় কন্যা সন্তানের দ্রুত বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। এছাড়া বর্তমান সামাজিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তার অভাবে বাল্যবিবাহের প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। আলোচনায় জানানো হয়, ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের অপরিণত সন্তান জন্মদান বা কম ওজনের সন্তান জন্মদানের আশঙ্কা ৩৫-৫৫ শতাংশ বেশি। এক্ষেত্রে ১৮ বছরের নিচে বয়সী মায়েদের শিশু মৃত্যুর হার ৬০ শতাংশ বেশি বলে জানান তারা। এজন্য সম্মিলিতভাবে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দেন।

সভায় বক্তারা যে সকল সমস্যা ও সুপারিশ তুলে ধরেন তা হলো- বর্তমানে চাঁদপুরে বাল্যবিবাহের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে কোভিড-১৯ চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে বাল্য বিবাহের এ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাল্যবিবাহ তুলনামূলক ভাবে রিমোট এলাকাগুলোতে বেশি সংগঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ২নং ওয়ার্ড থেকে ৮ নং ওয়ার্ড পর্যন্ত ব্যাপক হারে হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য হলো ৭ নং ওয়ার্ডের ব্যাপারে কয়েকটি স্কুল যেমন- শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়, আক্কাস আলী, উত্তর শ্রীরামদি প্রাথমিক স্কুল, এছাড়াও অন্যান্য ওয়ার্ডের প্রাথমিক বিদ্যালয়েরও একই অবস্থা। লক্ষনীয় বিষয় হল তৃতীয় শ্রেনী থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিশুদের বাল্যবিবাহ ঘটছে বেশী। এই কনফারেন্স হতে চাঁদপুরে বাল্যবিবাহের মত জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে নাগরিক সমাজ, প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান করা হয়।

চাঁদপুর জেলায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সকল সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন। এজন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সরকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে স্থানীয় জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ঐক্যমত প্রতিষ্ঠার করণীয় ঠিক করতে মাল্টি-পার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম (এমএএফ) চাদঁপুর এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

যুক্তরাজ্যের এফসিডিও -এর অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশন্যাল পরিচালিত বি-স্পেস প্রকল্প এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে সহায়তা করে।

চাঁদপুর শহর জামায়াতের গণসংযোগ ও পথসভা

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:৫০ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর শহর জামায়াতের গণসংযোগ ও পথসভা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর শহর শাখার উদ্যোগে দাওয়াতী পক্ষ অভিযান উপলক্ষে গণসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে চাঁদপুর শহরের হাকিমপ্লাজা, হকার্স মার্কেট, জোড় পুকুরপাড় সড়ক ও বাইতুল আমীন চত্বর ব্যাপক দাওয়াতী কাজ এবং পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশের শূরার সদস্য ও চাঁদপুর জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা বিল্লাল হোসাইন মিয়াজী।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করতে চায়। আমরা বিশ্বাস করি, জমিন আল্লাহর কাজেই এই জমিনের মধ্যে হুকুম চলবে আল্লাহর। আল্লাহর আইনের মধ্যে কোন ভুল নাই, মানুষের তৈরি আইনের মধ্যে ভুল আছে। মানুষ যখনই আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে মানুষের তৈরি আইনের দিকে যায়, তখন বারবার হোচঁট খায়, প্রতারিত হয় এবং মানুষ তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত ও শোষণমুক্ত করার জন্য তিনি সবাইকে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।

আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর শহর জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট শাহজাহান খান। উপস্থিত ছিলেন শহর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মো: সাইফুল ইসলাম সবুজ, জামায়াতের ১০নং ওয়ার্ড আমীর গোলাম মাওলা, ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি ও সম্ভাব্য কমিশনার প্রার্থী নুর মোহাম্মদ খোকা, ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি মাইনুল ইসলাম প্রধান, সম্ভাব্য কমিশনার প্রার্থী হাসান আল বান্না, আলাউদ্দিন ঢালী, আলমগীর বন্ধুকশীসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।

কচুয়ায় খড়ের গাঁদা আনতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষাণীর মৃত্যু

মনিরুজ্জামান বাবলু
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:২৯ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় খড়ের গাঁদা আনতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষাণীর মৃত্যু

বজ্রপাতে নিহত কৃষাণী বিশখা।

কচুয়ায় বজ্রপাতে বিশখা সরকার (৩৫) নামে এক কৃষাণীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার উত্তর কচুয়া ইউনিয়নের নাহারা গ্রামের রাধা গবিন্দ বাড়ির কৃষাণী বাড়ির পাশে অবস্থিত জমি হতে খড়ের গাঁদা আনতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন।

নিহত বিশখা সরকার উত্তর কচুয়া ইউনিয়নের নাহারা গ্রামের হরিপদের স্ত্রী। বিশখা সরকার তিন কন্যা সন্তানের জননী।

পরিবার ও এলাকাবাসী জানান, বাড়ির পাশে খড়ের গাঁদা আনতে বাড়ী থেকে বের হবার পথে ঝড়-বৃষ্টির কবলে পড়েন। পরে বজ্রপাতের শিকার হন তিনি। তাকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. জাহিদ হোসাইন জানান, তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে বজ্রপাতে আতঙ্কিত হয়ে মারা যেতে পারেন। তাকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান। আকাশে কালো মেঘ দেখলেই নিজেদের প্রতি প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও নিরাপদ আশ্রয়ে যেত বলছেন এই চিকিৎসক।

বাংলাদেশে লাইসেন্স পেলো স্টারলিংক

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:১৯ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশে লাইসেন্স পেলো স্টারলিংক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনজিএসও সেবাদাতা স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার তিনি এ লাইসেন্স অনুমোদন করেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ২৫ মার্চ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) নন-জিওসটেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিসেস অপারেটর ইন বাংলাদেশ শীর্ষক লাইসেন্সিং গাইডলাইন জারি করে।

ওই গাইডলাইনের আওতায় স্টারলিংক সার্ভিসেস বাংলাদেশ নন-জিওসটেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিসেস অপারেটর লাইসেন্সপ্রাপ্তির জন্য প্রযোজ্য ফি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিটিআরসি বরাবর আবেদন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে আবেদনকৃত লাইসেন্স ইস্যুর জন্য গত ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ২৯৪তম কমিশন সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

স্টারলিংক বাংলাদেশের ইন্টারনেটে নতুন সংযোজন। শ্রীলংকার পরে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশে বৈশ্বিক এ স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করলো।

এ প্রসঙ্গে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ে শেখ হাসিনা সরকারের উপর্যুপরি ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে স্টারলিংককে বাংলাদেশে নিয়ে আসা একটা গণদাবিতে পরিণত হয়েছিল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিনিয়োগবান্ধব হিসেবে একটা বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল প্রধান উপদেষ্টার। বাংলাদেশের হাওর-বাওড় দ্বীপাঞ্চলে, দুর্গম পার্বত্য এলাকায়, বিশেষভাবে উপকূলীয় দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেসব অঞ্চলে এখনো ফাইবার পৌঁছেনি সেখানে দ্রুততম সময়ে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা স্বউদ্যোগী হয়ে স্পেসএক্স সিইও ইলন মাস্ককে ফোন করে ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংককে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার আহ্বান জানান।

এ লক্ষ্য অর্জনে বিডা, বিটিআরসি, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নিবিড়ভাবে কাজ করেছে বলেও জানান তিনি।

ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, স্টারলিংকের সেবাগুলোর মধ্যে একটা প্রাথমিক সেবা হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট, যেখানে লোডশেডিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে না, যেটা আইএসপির ক্ষেত্রে হয়। অনেক ক্ষেত্রে যদি লম্বা সময় ধরে লোডশেডিং থাকে, মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারির ব্যাকআপ ফুরিয়ে গেলে মোবাইল ইন্টারনেটেও বিঘœ ঘটে। স্টারলিংকের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা হবে না।

‘আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশে ফাইবার নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি সীমিত। উপরন্তু এই ফাইবার নেটওয়ার্কের উল্লেখযোগ্য অংশ টেলকো গ্রেডের নয়। বাংলাদেশের অন্তত ৬৫ শতাংশ টেলিযোগাযোগ টাওয়ার এখনো ফাইবারাইজেশনের বাইরে, সেখানে মাইক্রোওয়েভ দিয়ে সেবা দেওয়া হয়, খুবই সীমিত ধারণক্ষমতা। আবার আমাদের মোবাইল নেটওয়ার্কের যে কাভারেজ ও ক্যাপাসিটি আছে, তাতেও সমস্যা আছে, হাইওয়ে মোবিলিটি কভারেজের সমস্যা আছে। স্টারলিংক এসব সমস্যার সমাধান করবে’- বলেন তিনি।

ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, স্টারলিংক বাংলাদেশের মোবাইল ফোন এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক করবে। এর মাধ্যমে ভয়েস কল এবং ডেটা বান্ডেলভিত্তিক গতানুগতিক ইন্টারনেট সেবাদান ব্যবস্থা ডিজিটাল সার্ভিসকেন্দ্রিক নতুন রূপান্তরে মধ্য দিয়ে যাবে।

‘স্টারলিংকের সার্ভিসের ফলে কমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রিতে ডিরেগুলেশনের সূচনা হবে, প্রতিযোগিতা বাড়বে, শহর কিংবা গ্রামভেদে নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট প্রাপ্তির নিশ্চয়তা তৈরি হবে’- যোগ করেন তিনি।