খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৫ ভাদ্র, ১৪৩২

হাইমচর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন

দলের বদনাম ও মানুষের কষ্ট যেন না হয় খেয়াল রাখবেন: হাজী মোস্তাক মিয়া

মোঃ শরীফ হোসেন
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ
দলের বদনাম ও মানুষের কষ্ট যেন না হয় খেয়াল রাখবেন: হাজী মোস্তাক মিয়া

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোস্তাক মিয়া।

হাইমচর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোস্তাক মিয়া বলেন, আজকে এখানে একটি সঠিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হবে। যে নেতৃত্ব আগামী দিনে হাইমচরের প্রতিটি এলাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের দুর্গ গড়ে তুলবে। শহীদ জিয়ার, খালেদা জিয়ার, তারেক রহমানের দুর্গ গড়ে তুলবেন। এবং আজকে যে নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হবে এই হাইমচরের দুঃখী মানুষের পাশে থাকবে এই নেতাকর্মীরা থাকবে আমি আশা করি। আপনারা জানেন দীর্ঘ ১৬ বছর বিগত ফেসিস্ট, ভোটার ভোটার বিহীন নির্বাচনের শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সেই ধ্বংস হিসেবে হাইমচরেরও বিভিন্ন এলাকা ধ্বংস করে দিয়েছে।

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন চাঁদপুর জেলা বিএনপি সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।

তিনি বলেন, আমরা শুনেছি এখানে আপনাদের পাশেই সারা বাংলাদেশেই যে বদনামটি হয়েছিল চাঁদপুরের বালু খেকো একটি নাম। সেই বালু খেকোর যাতে আবার জন্ম না হয়। আজকের এই নেতৃত্ব সেটি খেয়াল রাখতে হবে। মানুষ যাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কোন বদনাম করতে না পারে, মানুষের যাতে কষ্ট না হয়। আজকের নেতাকর্মীদের সেটি খেয়াল রাখতে হবে। কারণ আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মানুষের রাজনীতি করি। সাধারণ মানুষের রাজনীতি করে এলাকার উন্নয়নের রাজনীতি করে এলাকার মানুষের পাশে থাকবে সেটাই স্বাভাবিক।

বিগত দিনে আপনারা দেখেছেন আমাদের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিএনপি সরকারের আমলে দেশ পরিচালনা করেছেন। বাংলাদেশকে স্বনির্ভর দেশ গড়ে তুলেছিলেন। খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলেন ও শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করেছিলেন।
মানুষ উন্নয়ন চায় তাই আজকে সময় এসেছে আবারো বাংলাদেশের মানুষের জাতীয়তাবাদী দলকে আগামী দিনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় নিয়ে আসার সেই সুযোগ এসেছে। যেমনি ভাবে ১৬ বছর দলের গণতন্ত্র কে ধ্বংস করে দিয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য কে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষের লুটপাট রাহাজানি টেন্ডারবাজি সারা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছি সেই হাসিনা সরকারের দোসরা। এ অবস্থার পুনরাআবৃত্তি যাতে বাংলাদেশ আর না হয়। সেটার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এদেশের মানুষ ১৬ বছর কেন আন্দোলন করেছে, এই ১৬ বছরে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা মামলা মোকদ্দমা কেন খেয়েছ। এই ১৬ বছরে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা রক্ত দিয়েছে। গুম হয়েছে কেন কারণ বাংলাদেশের মানুষ একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন চায়। যেই নির্বাচনী প্রত্যেকেই মতামত স্বাধীনভাবে দিতে পারবে। প্রত্যেকের মতামত তাদের ইচ্ছেমতো প্রকাশ করতে পারবে আর সেটার জন্যই আমাদের দীর্ঘ ১৬ বছরের আন্দোলন। কিন্তু আজকে ষড়যন্ত্র চলছে কিভাবে আজকের এই সফলতাকে নস্যাৎ করা যায়। একটা কুচুক্রি মহল একটি লোভী অংশ বিকৃত হওয়ার চেষ্টা করছে।

আমরা একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই কোন তালবাহানা বাংলাদেশের মাটিতে চলবেনা। সাময়িকভাবে করতে পারবেন কিন্তু লাভ হবে না। নির্বাচন দিতে হবে এবং সেই নির্বাচনে আপনাদের রায় নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ইনশাআল্লাহ ক্ষমতায় আসবে সেটা আমরা আশা করি।

বুধবার বিকেলে হাইমচরের দুর্গাপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চাঁদপুর জেলা বিএনপি সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সলিম উল্যাহ সেলিম।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন উল্লাহ বেপারীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাজহারুল ইসলাম শফিক পাটওয়ারীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হযরত আলী ঢালী, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফয়সাল গাজী বাহার, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাঈল হোসেন পাটওয়ারী, হাইমচর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম মাঝি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সদস্য সচিব জহির মিয়াজী প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আবদুল খালেক খান, প্রভাষক হারুনর রশীদ, হাজী ইসহাক খোকন, মোঃ মিজানুর রহমান শেখ, মোঃ বিল্লাল হোসেন আখন, আজিজুল হক বাবুল, সরদার আবু তাহের, উপজেলা বিএনপি’র সদস্য আবুল কালাম আজাদ, মোঃ জহিরুল ইসলাম মাঝি, মোঃ বোরহান উদ্দিন জুটন, দিদারুল ইসলাম জমাদার, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবদুল মান্নান আখন, উপজেলা সেচ্চাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান ভুঁইয়া, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ আখন, সাধারন সম্পাদক মোঃ মিলাদ হোসেন মাঝি, হাইমচর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ আহসান হাবিব, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফয়েজ আহমেদসহ উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপিসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

শাহরাস্তিতে মাদক ও স্বৈরাচার বিরোধী আলোচনা সভা

মোঃ সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ণ
শাহরাস্তিতে মাদক ও স্বৈরাচার বিরোধী আলোচনা সভা

মাদকের বিষয়ে শাহরাস্তি উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো একটি প্রতিবাদী আলোচনা সভা ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মাদক ব্যবসায়ী ও স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।

আলোচনা সভায় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বিল্লাল শিকদারের সভাপতিত্ব ও টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবদলের নেতা মো. মমিন শিকদার (লিটন মাস্টার) এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের ব্রাঞ্চ অফিসার মনির হাওলাদার।

এছাড়াও অন্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকশামীম আহমেদ, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বিল্লাহ হোসেন শিকদার, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেরাজুন নবী (রাজু), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল প্রিন্স, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম (মানিক), সৌদি আরবের রিয়াদ শাখার বিএনপির সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদিন, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক দিদার হোসেন মজুমদার।

সভায়বক্তারা মাদকের ভয়াবহতা এবং সমাজে এর বিস্তার রোধে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্সের ওপর জোর দেন এবং এই সামাজিক ব্যাধি থেকে যুবসমাজকে রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

আলোচনা সভা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। যা স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এই আয়োজনের মাধ্যমে এলাকার মাদক নির্মূল ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় এক নতুন বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

শাহরাস্তিতে ​মহিলা মাদরাসার কমিটির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

মো. সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ
শাহরাস্তিতে ​মহিলা মাদরাসার কমিটির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

শাহরাস্তিতে বলশিদ মহিলা মডেল আলিম মাদরাসার নতুন কমিটি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামকে সভাপতি করার পর থেকেই এই বিতর্ক শুরু হয়। তার পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে কমিটির তিনজন সদস্য পদত্যাগও করেছেন।

​স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদরাসার কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াটি ছিল অস্বচ্ছ ও গোপনে। তারা বলছেন, মাদরাসার নাম তিনবার পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রথমে “ফজিলতের নেছা মহিলা মাদরাসা”, পরে “শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা মাদরাসা” এবং এখন “বলশিদ মডেল মহিলা আলিম মাদরাসা” নাম রাখা হয়েছে। যদিও মাদরাসার ফটকে এখনও আগের নামফলকই ঝুলছে। ​এছাড়াও সভাপতি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে আরও কিছু গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

​তিনি একসাথে একাধিক মাদরাসার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। ​তার স্ত্রী নাজমা বেগম মাদরাসার অফিস সহকারী হলেও তিনি নাকি বাড়িতে বসেই হাজিরা খাতায় সই করেন। ​তাদের পরিবারের আরও পাঁচজন সদস্য মাদরাসার বিভিন্ন পদে চাকরি করছেন।

অভিভাবক সদস্য খোরশেদ আলম জানান, “আমার দুই মেয়ে এখানে পড়ে। আমাকে হঠাৎ ডেকে অভিভাবক সদস্য হিসেবে সই করতে বলা হয়। এটা একটা কৌশল ছিল বুঝতে পেরে আমি পদত্যাগ করেছি।”

​ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন বলেন, “গোপনে অসৎ উদ্দেশ্যে এই কমিটি করা হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানতাম না।”

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন জানান, অধ্যক্ষের কক্ষের চাবি ও কমিটির সব নথিপত্র সভাপতির কাছেই থাকে।

​সভাপতি আমিনুল ইসলাম সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “মাদরাসার নাম দুইবার পরিবর্তন হয়েছে, তিনবার নয়। অন্য প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হয়েও এখানে সভাপতি হওয়া নিয়মসিদ্ধ। যারা পদত্যাগ করেছেন, সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।”

​উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিয়া হোসেন জানিয়েছেন, “কমিটি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”

স্থানীয়দের দাবি, এই বিতর্কিত কমিটি বাতিল করে একটি স্বচ্ছ কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে যদি সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সুপার মনিরুজ্জামানকে অপসারণ করা না হয়, তাহলে তারা আরও কঠোর আন্দোলন করবেন।

এলাকাবাসীর সর্বস্তরের জনগণের অংশ গ্রহনে  মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন,ওই সময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় এলাকাবাসী সৈয়দ আহমেদ দুলাল, কামরুল আহসান মজুমদার, মমতাজ উদ্দিন ভূঁইয়া, শাহ আলম খান, বাবুল হোসেন পাটোয়ারী, গিয়াস উদ্দিন মিয়াজী, লিপন, মনির হোসেন, রুহুল আমিন পাটোয়ারী, কিরণ মুন্সি, মোশারেফ মেম্বার, হেলাল মুন্সী, সাগরসহ বহু অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায় শিশুসহ মা ও মেয়ে আহত

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:৩০ অপরাহ্ণ
লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায় শিশুসহ মা ও মেয়ে আহত

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের মাঝি বাড়িতে পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় বসত ঘর ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়ও প্রতিপক্ষের হামলায় শিশু সহ মা ও মেয়ে আহত হয়েছে। এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ঘটনার বিবরনে ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের মাঝি বাড়ির দুলাল গংদের সাথে শাহানারা বেগমের সাথে সম্পত্তিগত ও পারিবারিক ভাবে বিরোধ চলে আসছে। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুলাল, সানু (৫০) ও তাদের ৩ মেয়ে বিথী, রিমা, সাবিনা জোরপূর্বক শাহানারা বেগমের বসত ঘরে প্রবেশ করে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় শাহানারা বেগম, তার মেয়ে জান্নাত আক্তার ও নাতনি ১০ বছরের শিশু উম্মে আইমান গুরুতর আহত হয়। এছাড়াও হামলাকারীরা তাদের বসত ঘর সহ ভিতরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। শাহানারা বেগমদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা চলে যায়। পরে উপস্থিত লোকজন শাহানারা বেগম সহ আহতদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। শাহানারা বেগম ও নাতিন উম্মে আইমানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এবং জান্নাত আক্তারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি দেন।

জান্নাত আক্তার বলেন, তাদের সাথে আগে থেকেই পারিবারিক বিষয় নিয়ে একটু দ্বন্দ ছিলো। তারা প্রতিনিয়ত আমাদেরকে প্রাণে মারার হুমকি দিত এবং নুন থেকে চুন ঘষলেই তারা আমাকে ও আমার মাকে মারতে আসতো। রবিবার আমি ঘরে বসে আমার মামাতো বোনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতেছি, এ সময় আমাদের ঘরের পাশ দিয়ে রিমা যাওয়ার সময় কি শুনে তার বাবা মা ও বোনদেরকে নিয়ে এসে আমাদেরকে মারধর করে এবং গালিগালাজ করতে থাকে।

শাহানারা বেগমের ছেলে অলিউল্লাহ বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না। যখনই আমি বাড়ি থেকে সরে যাই তখনই তারা আমার মাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয়। আমার বোন স্বামীর বাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসছে, তাদের উপর এভাবে হামলা করেছে এবং পরবর্তীতে আমার বোন ও আমি বাড়িতে না থাকলে আমার মাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আমাদের অপরাধ আমরা তাদের বংশের না এবং স্থানীয় না, আমরা মামার বাড়িতে থাকি এজন্য আমরা বাড়ি থেকে সরে যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয়। তাই আমি প্রশাসনের কাছে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসীদের শাস্তির আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার চাই।

শাহানারা বেগমের ছেলে অলিউল্লাহ বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় দুলাল, সানু, বিথী, রিমা, সাবিনাকে বিবাদী কের একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ বাহার মিয়া বলেন, বিষয়টি জেনেছি, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখতেছি।