খুঁজুন
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২

হাইমচর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন

দলের বদনাম ও মানুষের কষ্ট যেন না হয় খেয়াল রাখবেন: হাজী মোস্তাক মিয়া

মোঃ শরীফ হোসেন
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ
দলের বদনাম ও মানুষের কষ্ট যেন না হয় খেয়াল রাখবেন: হাজী মোস্তাক মিয়া

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোস্তাক মিয়া।

হাইমচর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোস্তাক মিয়া বলেন, আজকে এখানে একটি সঠিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হবে। যে নেতৃত্ব আগামী দিনে হাইমচরের প্রতিটি এলাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের দুর্গ গড়ে তুলবে। শহীদ জিয়ার, খালেদা জিয়ার, তারেক রহমানের দুর্গ গড়ে তুলবেন। এবং আজকে যে নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হবে এই হাইমচরের দুঃখী মানুষের পাশে থাকবে এই নেতাকর্মীরা থাকবে আমি আশা করি। আপনারা জানেন দীর্ঘ ১৬ বছর বিগত ফেসিস্ট, ভোটার ভোটার বিহীন নির্বাচনের শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সেই ধ্বংস হিসেবে হাইমচরেরও বিভিন্ন এলাকা ধ্বংস করে দিয়েছে।

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন চাঁদপুর জেলা বিএনপি সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।

তিনি বলেন, আমরা শুনেছি এখানে আপনাদের পাশেই সারা বাংলাদেশেই যে বদনামটি হয়েছিল চাঁদপুরের বালু খেকো একটি নাম। সেই বালু খেকোর যাতে আবার জন্ম না হয়। আজকের এই নেতৃত্ব সেটি খেয়াল রাখতে হবে। মানুষ যাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কোন বদনাম করতে না পারে, মানুষের যাতে কষ্ট না হয়। আজকের নেতাকর্মীদের সেটি খেয়াল রাখতে হবে। কারণ আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মানুষের রাজনীতি করি। সাধারণ মানুষের রাজনীতি করে এলাকার উন্নয়নের রাজনীতি করে এলাকার মানুষের পাশে থাকবে সেটাই স্বাভাবিক।

বিগত দিনে আপনারা দেখেছেন আমাদের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিএনপি সরকারের আমলে দেশ পরিচালনা করেছেন। বাংলাদেশকে স্বনির্ভর দেশ গড়ে তুলেছিলেন। খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলেন ও শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করেছিলেন।
মানুষ উন্নয়ন চায় তাই আজকে সময় এসেছে আবারো বাংলাদেশের মানুষের জাতীয়তাবাদী দলকে আগামী দিনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় নিয়ে আসার সেই সুযোগ এসেছে। যেমনি ভাবে ১৬ বছর দলের গণতন্ত্র কে ধ্বংস করে দিয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য কে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষের লুটপাট রাহাজানি টেন্ডারবাজি সারা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছি সেই হাসিনা সরকারের দোসরা। এ অবস্থার পুনরাআবৃত্তি যাতে বাংলাদেশ আর না হয়। সেটার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এদেশের মানুষ ১৬ বছর কেন আন্দোলন করেছে, এই ১৬ বছরে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা মামলা মোকদ্দমা কেন খেয়েছ। এই ১৬ বছরে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা রক্ত দিয়েছে। গুম হয়েছে কেন কারণ বাংলাদেশের মানুষ একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন চায়। যেই নির্বাচনী প্রত্যেকেই মতামত স্বাধীনভাবে দিতে পারবে। প্রত্যেকের মতামত তাদের ইচ্ছেমতো প্রকাশ করতে পারবে আর সেটার জন্যই আমাদের দীর্ঘ ১৬ বছরের আন্দোলন। কিন্তু আজকে ষড়যন্ত্র চলছে কিভাবে আজকের এই সফলতাকে নস্যাৎ করা যায়। একটা কুচুক্রি মহল একটি লোভী অংশ বিকৃত হওয়ার চেষ্টা করছে।

আমরা একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই কোন তালবাহানা বাংলাদেশের মাটিতে চলবেনা। সাময়িকভাবে করতে পারবেন কিন্তু লাভ হবে না। নির্বাচন দিতে হবে এবং সেই নির্বাচনে আপনাদের রায় নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ইনশাআল্লাহ ক্ষমতায় আসবে সেটা আমরা আশা করি।

বুধবার বিকেলে হাইমচরের দুর্গাপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চাঁদপুর জেলা বিএনপি সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সলিম উল্যাহ সেলিম।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন উল্লাহ বেপারীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাজহারুল ইসলাম শফিক পাটওয়ারীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হযরত আলী ঢালী, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফয়সাল গাজী বাহার, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাঈল হোসেন পাটওয়ারী, হাইমচর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম মাঝি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সদস্য সচিব জহির মিয়াজী প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আবদুল খালেক খান, প্রভাষক হারুনর রশীদ, হাজী ইসহাক খোকন, মোঃ মিজানুর রহমান শেখ, মোঃ বিল্লাল হোসেন আখন, আজিজুল হক বাবুল, সরদার আবু তাহের, উপজেলা বিএনপি’র সদস্য আবুল কালাম আজাদ, মোঃ জহিরুল ইসলাম মাঝি, মোঃ বোরহান উদ্দিন জুটন, দিদারুল ইসলাম জমাদার, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবদুল মান্নান আখন, উপজেলা সেচ্চাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান ভুঁইয়া, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ আখন, সাধারন সম্পাদক মোঃ মিলাদ হোসেন মাঝি, হাইমচর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ আহসান হাবিব, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফয়েজ আহমেদসহ উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপিসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ

শ্যামল সরকার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৫০ অপরাহ্ণ
ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ

ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখতে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে গত ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছিল ২২ দিনের ইলিশ আহরণ নিষেধাজ্ঞা। এসময় নদীতে মাছ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ছিল। দীর্ঘ বিরতির পর শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে নদীতে নামবেন জেলেরা।

শেষ সময়ে কেউ মেরামত করছেন নৌকা, কেউবা পুরোনো জাল সেলাই করে নিচ্ছেন নতুন করে। চোখে মুখে আনন্দের অনুভূতি থাকলেও আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলেরা। তারা বলছেন, এবছর ভরা মৌসুমেও নদীতে ইলিশের দেখা মেলেনি। আর এখন মৌসুম শেষ। জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেলে কষ্টের পাল্লা ভারী হবে।

এদিকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন চাঁদপুরে নিবন্ধিত ৪৫ হাজার ৬১৫ জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। কিন্তু তা ছিল জেলেদের কাছে অপ্রতুল। ওই সময় জীবিকা হারিয়ে চরম কষ্টে পড়েন জেলেরা।

এদিকে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীতে মাছ ধরতে না গেলেও নিষেধাজ্ঞার পর বেশ কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা না পেয়ে এবং মহাজন ও এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণ করে তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করতে হয়েছে বলে আক্ষেপ করেছেন।

তাদের অভিযোগ, মূল জেলেদের কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা থেকে বাদ পড়েছে। অথচ যারা মাছ ধরতে জীবনেও নদীতে নামেনি এমন বিভিন্ন পেশার বেশ কিছু মানুষ সরকারী সহায়তার কার্ড পেয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তারা ক্ষোভ জানিয়েছেন। এমনকি বেশ কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা পেয়েও সরকারের নির্দেশনা না মেনে অবৈধভাবে নির্বিচারে মা ইলিশ শিকার করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে সরকারের পরবর্তী সহযোগিতা থেকে বাদ দেওয়ারও আহ্বান জানান।

মৎস্য কর্মকর্তারা আশা করছেন, ২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে এবার গত বছরের চেয়ে মাছের উৎপাদন রেকর্ড পরিমাণে বাড়তে পারে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে মাছ শিকার করতে দেওয়া হয়নি। এবার রেকর্ড পরিমাণে ইলিশ উৎপাদন হতে পারে।

তিনি আরও জানান, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা ইলিশ রক্ষায় প্রতি বছরের মতো এবারও ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিনের জন্য দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত নিষিদ্ধ করেছিল সরকার।

এই সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চালানো ৪৪৫ টি অভিযানে ৭৭ টি মামলা ও ৭৪ টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১১৯ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাঁজা প্রদান করা হয়। এছাড়া ৬ কোটি মিটার অবৈধ জাল, ১১০০ টন ইলিশ জব্দ করে বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় প্রদান করাহয়।

জনশ্রুতি আছে অভিযানে সময় অনেক জেলে সরকারের বরাদ্দ করা চাল পাননি বলেও অভিযোগ রয়েছে।

শনিবার মধ্যরাতে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকেই উপকূলের জেলেরা জাল, নৌকা, ট্রলার ও অন্যান্য সরঞ্জাম প্রস্তুত করে ইলিশ শিকারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন। বিশেষ করে হরিনা ঘাট, আখনের ঘাট, পুরানবাজার রনাগোয়াল, লঞ্চ ঘাট, হাইমচরের নীলকমল, মতলব উত্তর মোহনপুর নৌঅঞ্চলের জেলেরা এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

ফরিদগঞ্জে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ আটক ১

শ্যামল সরকার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩২ অপরাহ্ণ
ফরিদগঞ্জে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ আটক ১

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে গঠিত যৌথবাহিনি। এ ঘটনায় দুই মাদক কারবারি পালিয়ে গেলেও একজনকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার সকালে উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সকদিরামপুর গ্রামের ছোট বাড়ি এলাকা থেকে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসীর খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জেলা ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর আর্মি ক্যাম্পের অপারেশনাল অফিসার লেফটেন্যান্ট জাবিদ হাসান ও ফরিদগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত রাজিব চক্রবর্তী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকদিরামপুর গ্রামের খলিল বেপারির ছেলে মাদক কারবারি আল-আমিন (২৫) ও তার সহযোগী হত্যা মামলার আসামি রুবেল হোসেন (২৮) ফজরের নামাজের পর একটি প্রাইভেটকারে করে বিপুল পরিমাণ গাঁজা নিয়ে আসে। পরে আল-আমিনের বাড়ির গোসলখানায় গাঁজাগুলো লুকিয়ে রাখে। এ সময় স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।

পরে এলাকাবাসী পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দিলে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে।

এলাকাবাসী জানায়, রুবেল হোসেন এর আগে একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। গত ১০ দিন আগে তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই আবারও মাদক ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে ওঠে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি একই ইউনিয়নের বাইক্কারবাগানের পাশের ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মাদক ব্যবসায়ী সোহেল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে মামলার অন্যতম আসামি ছিল রুবেল হোসেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন স্বপন মিয়াজী জানান, সকালে ফজরের নামাজের পর এলাকাবাসী আমাকে জানায়, এ এলাকার কুখ্যাত মাদক কারবারি রুবেল জেল থেকে বের হয়ে আবারও মাদক কারবারির সাথে জড়িয়ে পড়েছে এবং বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ এলাকায় প্রবেশ করলে তাদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে থানা পুলিশকে খবর দেই। তিনি আরো জানান, তাদের কারনে এ এলাকার যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ্ আলম বলেন, সকালে এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ডিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করি। তবে মূল মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। আল-আমিনের বাবা খলিল বেপারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ধানের শীষ প্রতীকের গণসংযোগ শুরু করলেন ইঞ্জি. মমিনুল হক

মো. ইউসুফ বেপারী
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:২১ অপরাহ্ণ
ধানের শীষ প্রতীকের গণসংযোগ শুরু করলেন ইঞ্জি. মমিনুল হক

হাজীগঞ্জে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে নিজ ইউনিয়নে গণসংযোগ ও পথসভা শুরু করলেন বিএনপির কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক ইঞ্জি. মমিনুল হক।

শুক্রবার দিনব্যাপী তিনি উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা শুরু করেন। এরমধ্যে তিনি ইউনিয়নের নোয়াদ্দা, উত্তর রায়চোঁ, বড়কুল রামকানাই উচ্চ বিদ্যালয়, রায়চোঁ বাজার, মধ্য বড়কুল, আড়ুলি, মোল্লাডহর, দিকচাইল, সেন্দ্রা ও কোন্দ্রা এলাকায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন।

পথসভায় ইঞ্জি. মমিনুল হক চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে ইউনিয়নবাসীর সম্মতি চাইলে উপস্থিত লোকজন একযোগে হাত উঁচিয়ে সম্মতি প্রকাশ এবং ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এসময় তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির ২২টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভায় গণসংযোগ ও পথসভা কার্যক্রম শুরু করলাম। দেশের মানুষ বিএনপিকে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষমান রয়েছে। তারা ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করে তারেক রহমানকে আগামির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাছান মিয়াজীর সভাপতিত্বে গণসংযোগ ও পথসভায় সফর সঙ্গী ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ রহিম পাটওয়ারী, বিএনপি নেতা আব্দুল কাদের মিয়া, ইঞ্জি. জাহাঙ্গীর আলম, ইমান হোসেন, অহিদুল ইসলাম মোহন, আব্দুল গফুর পাটওয়ারী, ওলি উল্যাহ, আলমগীর হোসেন, মোশারফ হোসেন, তাফাজ্জল হোসেন বতু, শাহাদাত হোসেন মিলন, জামাল মেম্বার, মিজানুর রহমান, মাসুদ রানা, উপজেলা মৎসজীবি দলের সভাপতি মো. ইমান হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম চৌধুরী মিঠু, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক এসএম ফয়সাল হোসাইন, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব দ্বীন ইসলাম টগর, ছাত্রনেতা শামছুদ্দিন খাঁন নূর, কবির হোসেন রাজু, ইউনিয়ন যুবদল নেতা আব্দুল জব্বার, ইকবাল বেপারী, ইমাম হোসেন, আব্দুল মতিন, আলাউদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, হোসেন মজুমদার, স্বেচ্ছাসেবক নেতা মাসুম চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, সুমন রাজ, হাসানাত, সোহাগ, কৃষক নেতা মিজানুর রহমান, ছাত্রনেতা আলামিন দিনু, হাবিবুর রহমান, ওসমান গণি, সাব্বির হোসেন, শেখ ফরিদসহ সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।