খুঁজুন
বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ১০ বৈশাখ, ১৪৩২

হাইমচর বাজাপ্তী রমনী মোহন উবি’র প্রধান শিক্ষক

ফ্যাসিবাদের দোসর আব্দুল মান্নান শিকদারের খুঁটির জোর কোথায়?

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:৫৫ অপরাহ্ণ
ফ্যাসিবাদের দোসর আব্দুল মান্নান শিকদারের খুঁটির জোর কোথায়?

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সময়ে গড়ে ওঠা দুর্নীতিবাজ হাইমচর বাজাপ্তী রমনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফ্যাসিবাদের দোসর আব্দুল মান্নান বহাল তবিয়তে রয়ে গেছেন।
তার বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সময় দুর্নীতির নানা অভিযোগ উঠলেও সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যদের সহযোগিতায় কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি তার বিরুদ্ধে। এখন তিনি রং বদলে, ভোল পাল্টে, সুবিধা মতো কখনো জামায়াত, কখনো বিএনপির সমর্থক বলে নিজেকে পরিচয় দিচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের ছাত্র অভিভাবক জানায়, ২০০৯ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে আব্দুল মান্নান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের দখলে চলে যায়। অভিযোগ আছে উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি নুর হোসেন পাটওয়ারীর প্রেসক্রিপশনে তাকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। আর এই নিয়োগের পর থেকে শুরু হয় বিদ্যালয়টি আওয়ামীকরণ। বিদ্যালয়ের যে কোনো অনুষ্ঠানে সবসময় অতিথি করা হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের উপর হামলা-মামলার ১নং আসামি উপজেলা চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারীকে।
কমিটির সদস্য জানান, আব্দুল মান্নান বিদ্যালয়ের সকল কিছু একক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে করে থাকেন। উপজেলার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্ব ভাগিয়ে নেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর শিক্ষক আব্দুল মান্নান। এভাবে শিক্ষক আব্দুল মান্নান হয়ে যান হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। আওয়ামীলীগের হাইমচর উপজেলা অঘোষিত শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। উপজেলা চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারীর ডান হাত হিসেবে পরিচিত আব্দুল মান্নান থেমে থাকিননি কোন অপকর্ম থেকে। উপজেলা চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারীর নির্বাচনী সকল প্রচার-প্রচারণা, বিভিন্ন কলাম লেখা এবং নূর হোসেন পাটোয়ারীর বক্তব্য স্ক্রিপ লিখে দেওয়ার দায়িত্ব আসে শিক্ষক আব্দুল মান্নানের হাতে। এভাবেই আওয়ামী লীগের কাজ করে যান হাইমচর উপজেলাতে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুর পুরাণ বাজার ডিগ্রি কলেজর অধ্যক্ষ রতন কুমার যেমন ডা. দীপু মনির হয়ে কাজ করতেন। তেমনি হাইমচর উপজেলা চেয়ারম্যান নুর হোসেনের হয়ে কাজ করেন আওয়ামী শিক্ষক আব্দুল মান্নান।
তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে হাইমচরের চরাঞ্চলে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নৌকা মার্কার হয়ে প্রচার-প্রচারণা করে থাকেন। ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো হাইমচর উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নুর হোসেন বিজয়ী হয়ে চট্টগ্রামে শপথ অনুষ্ঠানের ছবিতে দেখা যায় আওয়ামী শিক্ষক আব্দুল মান্নানকে। হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে তিনি প্রতিষ্ঠিত করতেও সক্ষম হন তিনি। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ডাঃ দীপু মনি হাইমচর সফরে আসলে প্রটোকল দিতেন আওয়ামী শিক্ষক আব্দুল মান্নান। দীপু মনির সাথে বিভিন্ন ছবিতে দেখা যায় তাকে।
সাবেক এক ছাত্র জানান, হাসিনার আমলে আওয়ামী লীগের ক্ষমতাবলে পুরো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেকোনো সিদ্ধান্ত হতো তার সিন্ডিকেট মাধ্যমে। বিএনপি-জামায়াতের শিক্ষকদের সব যায়গায় কোনঠাসা করে রাখাসহ নানান ধরনের হয়রানি করতেন শিক্ষক আব্দুল মান্নান। বিভিন্ন ইস্যুতে শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি। ক্ষমতা ও শিক্ষকদেরকে ভয়ভীতি দেখানোর জন্য তিনি সাংবাদিক না হয়েও উপজেলা চেয়ারম্যান নিয়ন্ত্রিত তৎকালীন হাইমচর প্রেসক্লাবের সদস্য পদ বাগিয়ে নেন। এই আওয়ামী প্রেসক্লাব ৫ আগস্টের পর বিলুপ্ত হয়ে যায়।
এক শিক্ষক জানান, বাজাপ্তী রমনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয়কে তিনি আওয়ামীলীগের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের মতো করে পরিচালনা করে থাকেন। এখানে যে কোনো অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের মতো করেই পরিচালনা করে থাকেন। তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ ও দুর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন করেন। প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে স্কুলে একক আওয়ামী আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ম্যানেজিং কমিটিতে কোন পরিবর্তন আসেনি।
প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান শিকদারের সাথে কথা তিনি বলেন, আমার ব্যাপারে যে অভিযোগগুলো মিথ্যা। আমি কোন ফ্যাসিবাদ ছিলাম না। আমার সাথে নুর হোসেন পাটওয়ারীর সাথে আওয়ামীলীগের সম্পর্ক ছিলো না। আমার সাথে একজন দাতা সদস্যের সমস্যা সে এই অভিযোগগুলো ফেইজবুকে দিয়েছে।
স্কুলের জমি দাতা সদস্য ইঞ্জি: আ: রহিম তালুকদার অভিযোগ করেন, তার জমিতে তার অনুমতি ছাড়া আওয়ামীলীগের ক্ষমতা ব্যবহার করে ফ্যাসিষ্ঠ মান্নান সিকদার ১টি দ্বিতলা ভবন নির্মান করেন।
জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের জমিদাতা ও বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষানুরাগী সদস্য, নয়ানী লক্ষীপুর গ্রামের হাসান ইমাম মাসুদ।
তার অভিযোগগুলো হচ্ছে- ১। শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম করতেন। যত নিয়োগ হয়েছিল প্রত্যেকের কাছ থেকে বিপুল পরিমান টাকা নিয়ে নিয়োগ দিয়েছেন। বিশেষ করে লাইব্রিয়ান নিয়োগে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে জাল সার্টিফিকেটের (ডিপ্লোমা) ধারীকে নিয়োগ দিয়েছেন।
২। অভ্যন্তরীণ স্কুলের বেতন বৈষম্য-অভ্যন্তরীণ বন্টন নীতিমালা অনুসরণ না করে প্রধান শিক্ষক প্রতি মাসে প্রায় ২৫,০০০/-টাকা নেয়, সাথে মোবাইল বিল ও মোটরসাইকেল এর জ্বালানী তেলের বিল নেয়। কিন্তু অন্যান্য শিক্ষকদেরকে প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা দেয়। সার্টিফিকেট ফি ও প্রসংশাপত্র ফিসহ অন্যান্য সকল ফি প্রধান শিক্ষক নিজে নিয়ে নেয়। অন্য শিক্ষকরা এর কিছুই পায় না।
৩। বিদ্যালয়ের প্রতিটি সরকারি বরাদ্দকৃত উন্নয়নমূলক কাজ বাবদ স্কুলের অভ্যন্তরীণ ক্যাশ থেকে ১০% থেকে ২০% কমিশন নিতেন। বিশেষ করে প্রতিবছর এসএসসি পরীক্ষার্থীর কোর্চিং এর ফি থেকে অনিয়ম করে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা উন্নয়নের নামে নিতেন। কিন্তু উন্নয়নের কোন হিসাব দিতেন না।
৪। বিদ্যালয়ের বড় দুইটি টিনের ঘর ছিল। ঘর দু’টি প্রধান শিক্ষক তার নিজের লোকদের কাছে নিয়ম বর্হিভূত ভাবে বিক্রি করে ছিলেন। ঘর দু’টির আনুমানিক বাজার মূল্য ৬ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকা। সঠিক নিয়মে ঘর দু’টি বিক্রি হয়েছে কিনা এবং সরকার সঠিক মূল্য পেয়েছে কিনা তা তদন্ত করা দরকার।
৫। বিগত বারো (১২) বছর যাবত গোপনে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন করেছিলেন এবং তার ইচ্ছেমত সদস্য ও সভাপতি নির্বাচিত করে পরের দিন ঘোষণা দিতেন। যাতে কেউ আইন অনুযায়ী ইচ্ছা করলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে।
৬। নিয়ম থাকলেও প্রধান শিক্ষক স্কুলে কোন ক্লাশ নেয় না। স্কুলে হাজিরা খাতায় সই দিয়ে চলে যায়। অনেক সময় অনুপুস্থিত থেকেও পরের দিন হাজিরা খাতায় সই করেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত একটানা দুই মাস ইন্ডিয়াতে অবস্থান করে। উল্লেখ্য যে, প্রতি বছর সে একবার হলেও ইন্ডিয়াতে অবস্থান করেন।
৭। গত ১২ বৎসর যাবত স্কুলে নামমাত্র অর্থ কমিটির মাধ্যমে হিসাব নিকাশ করেন। প্রধান শিক্ষকের ইচ্ছেমত খরচ এবং ভাউচার করেন। স্কুলে হিসাব নিকাশের জন্য জরুরি ভাবে অডিট করা প্রয়োজন।
৮। প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন সময় শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও ম্যানেজিং কিমিটির কিছু সদস্যের সাথে অশোভন আচরণ করতেন। বিশেষ করে ম্যনেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল মান্নান গাজীকে তার আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা হয়রানি ও হেনস্তা করেছেন। কোন শিক্ষক অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে তাকে অন্যায়ভাবে হেনস্তা এবং শোকজ করেছেন। এই পর্যন্ত কয়েকজন শিক্ষককে অন্যায়ভাবে শোকজ করেছেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অনিয়মের অভিযোগ আছে। যা তদন্ত করিলে বাহির হবে।
কিন্তু এতকিছু পরও আওয়ামী শিক্ষক আব্দুল মান্নান দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছেন উপজেলার সর্বস্তরে। সে মনে করেন এখনো আওয়ামীলীগ ক্ষমতায়।

বিজয়ীর উদ্যোগে বিনামূল্যে চোখের ছানী অপারেশন

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:০৩ অপরাহ্ণ
বিজয়ীর উদ্যোগে বিনামূল্যে চোখের ছানী অপারেশন

বিজয়ীর উদ্যোগে বিনামূল্যে ৭ জন গরিব ও দুস্থ রোগীর চোখের ছানি, নেত্রনালী অপারেশন হয়েছে চাঁদপুর মাজহারুল হক বি এন এস চক্ষু হাসপাতালে। রবিবার ৪ জনের এবং মঙ্গলবার চাঁদপুরের অসহায় ৩ জন রোগীদের দিনব্যাপী এ ফ্রি অপারেশন অনুষ্ঠিত হয়।

অসহায় ৭ জন রোগীকে বৃহস্পতিবার প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। এর মধ্যে ২ জন রোগীর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ায় তাদেরকে ডায়াবেটিস হসপিটালের সদস্য করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয় শুক্রবার। শনিবার সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা রিপোর্ট পর্যালোচনা করে হসপিটালে ভর্তি করানো হয়। মঙ্গলবারে সকাল অপারেশনে করানো হয়।

“বিজয়ীর আলো” স্লোগানে দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দিতে এই অপারেশন এর আয়োজক বিজয়ী এর প্রেসিডেন্ট খালেদা ইয়াসমিন রুবি বলেন, বিজয়ী দীর্ঘ ৫ বছর মানুষের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছে, ইনশাআল্লাহ সামনে আরও জনসেবা মূলক কাজ করবে। ১লা ফেব্রুয়ারীতে বিজয়ীর ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প থেকে অসুস্থ রোগী নির্বাচিত করে আমরা আমাদের পারিবারিক ভাবে অর্থনৈতিক সাপোর্টে বিজয়ীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১০ জন রোগীর অপারেশন এর ব্যবস্থা করেছি। ইনশাআল্লাহ সামনে আরও রোগীকে চক্ষু চিকিৎসা দেওয়া হবে বিজয়ীর তত্ত্বাবধানে। আপনারা সবাই দোয়া করবেন বিজয়ীর জন্য।

বিজয়ীর ফাউন্ডার তানিয়া ইশতিয়াক খান বলেন, মানুষের মৌলিক প্রয়োজন অন্ন বস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা চিকিৎসা নিয়ে কাজ করেছে। বিজয়ী মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টির লক্ষ্যে নানা রকম হাতে কলমে বিনা-মূল্য প্রশিক্ষন দিয়ে আসছে। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় উৎসাহদানে নানা রকম শিক্ষা সামগ্রী সহ প্রশিক্ষন প্রদান করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের বিনামূল্যে পরামর্শ প্রদান, ঔষধ বিতরন, চক্ষু শিবির করে চশমা বিতরন এবং যাদের চোখের অপারেশন দরকার তাদের অপারেশন এর ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। আর এসব সম্ভব হচ্ছে বিজয়ীর এডভাইজার জামিলা আপু এবং নিলুফার করিম আপু এবং বিজয়ীর স্বপ্নদ্রষ্টা আশিক খানের সার্বিক সহযোগিতায়। ইনশাআল্লাহ এভাবে প্রতিমাসেই নানা রকম জনকল্যাণমুখী কাজ করে যাবে বিজয়ী।

এক নজরে

আজকের কিছু সংক্ষিপ্ত সংবাদ

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ১:০৭ পূর্বাহ্ণ
আজকের কিছু সংক্ষিপ্ত সংবাদ

২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা থেকে সংক্ষেপে কিছু সংবাদ থাকছে আলোকিত চাঁদপুর পত্রিকার পাঠকদের জন্য-

মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবের রহমান
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে যোগদান করেছেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার কলাকান্দা গ্রামের সন্তান অতিরিক্ত সচিব মোঃ মাহবুবের রহমান। তিনি ১৮ তম বিসিএস এর একজন কর্মকর্তা।
গত ১৭ এপ্রিল তিনি এপদে যোগদান করেন। এরআগে ১৫ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে বদলিপূর্বক প্রেষণে পদায়নের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

চাঁদপুরে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন করে চাঁদপুরে খাবার তৈরীতে ভেজাল মিশিয়ে বিক্রি করার দায়ে ৩ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের পুরান বাজারে নিয়মিত বাজার তদারকি অভিযান পরিচালনাকালে শহরের পুরান বাজার অভিযান চালিয়ে কাচা কলায় ক্ষতিকর রাসায়নিক স্প্রে করে পাকানোর দায়ে মোক্তার হোসেন নামে ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার, নষ্ট পচা মরিচ ভাঙিয়ে বিক্রয় করায় ইউসুফ খান নামে ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার এবং হলুদের সাথে রং মিশিয়ে বিক্রয় করায় ব্যবসায়ী দুলাল সাহাকে ৩০ হাজার টাকাসহ মোট ৬০ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। অভিযান পরিচালনা করনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান।

হাইকোর্টের নির্দেশের ১৫ বছরেও হয়নি স্কুল সরকারীকরণ, ৫ শিক্ষকের মানবেতর জীবন
হাইকোর্টের নির্দেশের ১৫ বছরেও স্কুল সরকারীকরণ না হওয়ায় বিনা বেতনে পাঠদান করে মানবেতর জীবন কাটছে পাঁচ শিক্ষকের। ২০১৩ সালে চাঁদপুরের বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরকারীকরণ হলেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও বৈষম্যের গ্যাঁড়াকলে আটকে যায় চাঁদপুরের ফরিদঞ্জের একটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫নং পূর্ব গুপ্টি ইউনিয়নের ত্রিদোনা রেজিষ্টার বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। চার কক্ষ বিশিষ্ট্য টিনসেডে ১৬২ শিক্ষার্থী আর ৫ শিক্ষক নিয়ে চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। গেল ১৯৯৩ সালে গ্রামবাসীর উদ্যোগে নির্মিত হয় বিদ্যালয়টি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন বলেন, সবশেষ ২০২৩ সালে বিদ্যালয়টি হাইকোর্টের নির্দেশনুযায়ী একীভূত করতে প্রাথমিক র্শিক্ষা অধিদপ্তরে সুপারিশ প্রেরণ করেন।

বেইলি ব্রীজের দুপাশের রাস্তা ভাঙ্গন আতংকে গ্রামবাসী
চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে ধনাগোদা নদীতে দাঁড়িয়ে আছে বেইলি ব্রীজ। নদীর জলে ভেসে গেল দুপাশের দুই কিলোমিটার রাস্তা। ফসলী জমি ও বসতভিটা নিয়ে আতংকে পাঁচ গ্রামের নদীপাড়ের শত শত পরিবার। বসতভিটা ও ফসলি জমি রক্ষায় একটি স্থায়ী প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড।
চাঁদপুরের ধনাগোদা নদীর উপরে দাঁড়িয়ে আছে একটি বেইলি ব্রীজ। ব্রীজটি দেখলে বুঝার উপায় নেই, ব্রীজের উপর দিয়ে যানবাহন ও গ্রামবাসীর চলাচল ছিল। ব্রীজটির দুই পাশের প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা নদীতে বিলীন।
চাঁদপুর সদরের বিষ্ণুপুর নতুন বাজার থেকে মতলব দক্ষিণের বরদিয়া আড়ং বাজারের কানুদি- বরদিয়া সড়ক ছিল এটি। রাস্তা বিলীন হওয়ার পর এখন ভাঙ্গছে নদীপাড়ের পাঁচ গ্রামের মানুষের বসতভিটা ও ফসলি জমি। বসতভিটার ভাঙ্গন আতংকে নদীপাড়ের মানুষের কাটছে নির্ঘুম রাত।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, একটি স্থায়ী প্রকল্পের জন্য আমরা ইতোমধ্যে কারিগরি কমিটি গঠন করেছি। আমরা নকশা প্রণয়নের নিমিত্তে ডিজাইন দপ্তরে লিখেছি, তো নকশা পাওয়া গেলে আমরা দ্রুতই কারিগরি কমিটি প্রতিবেদন এবং ডিপিপি দাখিল করবো এলাকায়।’ এই রাস্তা ও চারটি ব্রীজ নির্মিত হয় ২০০৮ সালে, গেলো ৩/৪ বছর ধরে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে রাস্তাটি। ধনাগোদা নদীর ভাঙ্গনের কবলে দুই উপজেলার কানুদি, মনোয়ারখাদী, বিষ্ণুপুর, লালপুর ও বরদিয়া গ্রাম।

শেখ হাসিনা ও টিউলিপকে দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে
দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ।
মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কাজ শুরু করেছি। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য দুদক প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেড অ্যালার্ট নিয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। এটি এখনো কমিশনে আলোচিত হয়নি।
এটি কবে আলোচিত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরবর্তী কমিশন সভায়। এ সপ্তাহে যদি না হয়, আগামী সপ্তাহে হবে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাকে (শেখ হাসিনা) ফেরত পাঠানোর জন্য। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন সংস্থার সঙ্গে আমাদের চুক্তি প্রক্রিয়াধীন। চুক্তি হলে আমরা তাদের কাছ থেকে সাহায্য পাব।

পারভেজ হত্যাকান্ডে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা গ্রেফতার
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত হৃদয় মিয়াজি (২৩) নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্য সচিব। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাহিদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে রোববার মধ্যরাতে ঢাকার মহাখালী ওয়ারলেস গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে পারভেজ হত্যায় তিনজনকে গ্রেফতার করে বনানী থানা পুলিশ। তারা হলেন- মো. আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯)। তবে তারা কেউ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন, মামলার এজাহারেও তাদের নাম নেই। সোমবার এই তিনজনের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তারা এখন পুলিশি রিমান্ডে।

চাঁদপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ
চাঁদপুরের সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির আর্থ-সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সুফলভোগী ৪৮টি পরিবারের মাঝে ক্রসবীড বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল প্রাঙ্গনে এ বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
বকনা বাছুর বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকত, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ মুকবুল হোসেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কম্পিউটার প্রশিক্ষক মোঃ তানভীর হোসেন, ফিল্ড ফেসিলেটর অমিত ত্রিপুরা সহ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সুফলভোগীরা।

চাঁদপুরে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্টস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:৪৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন করে চাঁদপুরে খাবার তৈরীতে ভেজাল মিশিয়ে বিক্রি করার দায়ে ৩ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে শহরের পুরান বাজারে নিয়মিত বাজার তদারকি অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান।

তিনি বলেন, শহরের পুরান বাজার অভিযান চালিয়ে কাচা কলায় ক্ষতিকর রাসায়নিক স্প্রে করে পাকানোর দায়ে মোক্তার হোসেন নামে ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা, নষ্ট পচা মরিচ ভাঙিয়ে বিক্রয় করায় ইউসুফ খান নামে ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা এবং হলুদের সাথে রং মিশিয়ে বিক্রয় করায় ব্যবসায়ী দুলাল সাহাকে ৩০ হাজার টাকাসহ মোট ৬০ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

অভিযান পরিচালনাকালে সকল ব্যবসায়ীদের দৃশ্যমান স্থানে পণ্যের মূল্য তালিকা টাঙানো, ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি করা, ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ করা, নকল ও ভেজাল পণ্য-ঔষধ বিক্রয় থেকে বিরত থাকা এবং অবৈধ মজুদদারী করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়।
ক্যাবের প্রতিনিধি এবং পুলিশের একটি দল অভিযানে সার্বিক সহায়তা প্রদান করে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।