খুঁজুন
বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ১০ বৈশাখ, ১৪৩২

শাবান মাসে যেসব আমল বাড়িয়ে দিতেন নবীজি

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৪:৫০ অপরাহ্ণ
শাবান মাসে যেসব আমল বাড়িয়ে দিতেন নবীজি

চলছে শাবান মাস। হিজরি চান্দ্রবর্ষের অষ্টম এই মাসের পরেই আসছে মহিমান্বিত মাস রমজান। রমজানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি হিসেবে শাবানকে ভালোভাবেই কাজে লাগাতেন প্রিয়নবীজি। অন্যদেরকেও বিশেষ আমলে উৎসাহিত করতেন। নিচে শাবান মাসে নবীজির আমলগুলো তুলে ধরা হলো।

১. রোজা রাখা
শাবানকে বলা হয় সর্বাধিক রোজা রাখার মাস। রাসুলুল্লাহ (স.) রমজান ছাড়া শাবান মাসে সবচেয়ে বেশি রোজা রাখতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমি নবী কারিম (স.)-কে শাবান মাসের মতো এত অধিক (নফল) রোজা অন্যকোনো মাসে রাখতে দেখিনি। এ মাসের অল্প ক’দিন ছাড়া বলতে গেলে সারা মাসই তিনি রোজা রাখতেন। (তিরমিজি: ৭৩৭)

শাবান মাসের রোজা খুব প্রিয় ছিল নবীজির। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুল (স.)-এর কাছে অন্যান্য মাসের তুলনায় এ মাসে রোজা রাখা অধিক প্রিয় ছিল। তিনি রমজান পর্যন্ত রোজা রাখতেন। (আবু দাউদ: ২০৭৬)

মূলত রমজানের আগের মাস হওয়ায় অনেকে শাবানের প্রতি গুরুত্বারোপ করে না। সবার মধ্যে এর গুরুত্ব তৈরি করতে রাসুল (স.) সর্বাধিক রোজা রাখতেন এই মাসে। উসামা বিন জায়েদ (রা.) বর্ণনা করেছেন, আমি রাসুল (স.)-কে জিজ্ঞাসা করি, হে আল্লাহর রাসুল, শাবান মাসে আপনি যে পরিমাণ রোজা রাখেন, সেই পরিমাণ রোজা অন্য মাসে রাখতে দেখি না। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, রমজান ও রজবের মধ্যবর্তী এ মাসের ব্যাপারে মানুষ উদাসীন থাকে। এটা এমন মাস, যে মাসে বান্দার আমল আল্লাহর কাছে পেশ করা হয়। আমি চাই, আল্লাহর কাছে আমার আমল এমন অবস্থায় পেশ করা হোক, যখন আমি রোজাদার। (সুনানে নাসায়ি: ২৩৫৭)

তাই শাবান মাসে অন্যান্য নেক আমলের পাশাপাশি সামর্থ্য অনুযায়ী রোজা রাখার চেষ্টা করা কর্তব্য। কিন্তু রোজা রাখবে শাবান মাসের ২৭ তারিখ পর্যন্ত। হাদিসে রমজানের এক-দুই দিন আগে রোজা রাখতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। (দ্র. সহিহ বুখারি: ১৯১৪)

২. শবে বরাতে দীর্ঘসময় ইবাদত করা
শাবান মাসের ১৫তম রাতে ইবাদতের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হজরত আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বর্ণনা করেছেন, আল্লাহ ১৫ শাবানের রাতে অবতরণ করেন। অতঃপর সৃষ্টিজগতের সবাইকে ক্ষমা করেন। কেবল মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া। (ইবনে মাজাহ: ১৩৯০) অন্য হাদিসে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীকে ক্ষমা না করার কথাও এসেছে। এই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফায়সালা করা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘এই রাতে বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ বিষয় ফায়সালা হয়।’ (সুরা দুখান: ৪)

আয়াতের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে ইকরামা (রা.) বলেছেন, এ রাতে যাবতীয় রাতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জীবিতদের তালিকা করা হয় এবং হাজিদের নাম লেখা হয়। এরপর তাতে আর বাড়ানো হয় না এবং কমানো হয় না। (তাবারি: ২১/১০)

প্রিয়নবীজি শবে বরাতে দীর্ঘ সেজদার সঙ্গে নামাজ আদায় করতেন। হজরত আলা ইবনুল হারিছ (রহ) থেকে বর্ণিত, হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (স.) রাতে নামাজে দাঁড়ান এবং এত দীর্ঘ সেজদা করেন যে, আমার ধারণা হলো তিনি হয়তো মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তখন উঠে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করলেন তখন আমাকে লক্ষ করে বললেন, হে আয়েশা, অথবা বলেছেন, ও হুমায়রা, তোমার কি এই আশংকা হয়েছে যে, আল্লাহর রাসুল তোমার হক নষ্ট করবেন? আমি উত্তরে বললাম, না, ইয়া রাসুলুল্লাহ। আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার আশংকা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কিনা। নবীজি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি জানো এটা কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই ভালো জানেন। রাসুলুল্লাহ (স.) তখন ইরশাদ করলেন- هذه ليلة النصف من شعبان، إن الله عز وجل يطلع على عباده في ليلة النصف من شعبان، فيغفر للمستغفرين ويرحم المسترحمين ويؤخر أهل الحقد كما هم ‘এটা হল অর্ধ-শাবানের রাত। (শাবানের চৌদ্দ তারিখের দিবাগত রাত।) আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে তাঁর বান্দার প্রতি মনোযোগ দেন এবং ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহপ্রার্থীদের প্রতি অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই।’ (শুআবুল ঈমান, বায়হাকি ৩/৩৮২-৩৮৩)

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এ রাতের নফল আমলসমূহ, বিশুদ্ধ মতানুসারে একাকীভাবে করণীয়। ফরজ নামাজ তো অবশ্যই মসজিদে আদায় করতে হবে। এরপর যতটুকু নফল পড়ার তা নিজ নিজ ঘরে একাকী পড়বে। এসব নফল আমলের জন্য দলে দলে মসজিদে এসে সমবেত হওয়ার কোনো প্রমাণ হাদিস শরিফেও নেই আর সাহাবায়ে কেরামের যুগেও এর রেওয়াজ ছিল না। (দ্র. ইকতিজাউস সিরাতিল মুসতাকিম ২/৬৩১-৬৪১; মারাকিল ফালাহ, পৃ. ২১৯)

৩. বেশি বেশি দান সাদকা ও কোরআন তেলাওয়াত
শাবান মাস শুরু হলে নবীজির দান-সদকা ও কোরআন তেলাওয়াতের পরিমাণ বেড়ে যেত। নবীজির দেখাদেখি সাহাবিরাও এসব নেক আমলে বিশেষ মনোযোগী হতেন। আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন, প্রিয়নবীজির সাহাবায়ে কেরাম শাবান মাসের চাঁদ দেখলে বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াতে মশগুল হয়ে পড়তেন। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, যাঁদের ওপর জাকাত ফরজ হয়েছে, তাঁরা মালের জাকাত আদায় করে দিতেন। যাতে গরিব ও অসহায় মুসলমানদের রোজা রাখার ব্যবস্থা হয়ে যায়। বিচারকরা কয়েদিদের ডেকে শাস্তির হকদার হলে শাস্তি দিতেন, না হয় মুক্তি দিয়ে দিতেন। (লাতায়েফুল মায়ারেফ: ১/২২১)

৪. রমজানের মাসায়েল নিয়ে আলোচনা
রাসুলুল্লাহ (স.) ও সাহাবায়ে কেরাম শাবান মাসে রমজানের মাসয়ালা-মাসায়েল নিয়ে আলোচনা করতেন। আমাদেরও বিষয়টি নিয়ে মনোযোগী হওয়া বাঞ্ছনীয়। রমজানের রোজা যেহেতু বছরে একবার আসে সেহেতু তার বিধি-বিধানগুলো অনেকের কাছে স্মরণ নাও থাকতে পারে। তাই শাবান মাসে আমাদের করণীয় হলো, রমজানের বিধি-বিধান জেনে নেওয়া। যাতে রমজানের নিয়ামত আমাদের হাতছাড়া হয়ে না যায়।

৫. শাবানের প্রত্যেকটা দিন হিসাব রাখা
রমজানের প্রস্তুতির জন্য আরেকটি উত্তম কাজ হতে পারে শাবান মাসের তারিখের হিসাব রাখা। মুসলমানদের জন্য চন্দ্রমাসের হিসাব রাখা ফরজে কেফায়া। অনেকেই তা রাখেন। তবে রমজানের আগমনের সঠিক হিসাব রাখার জন্য শাবান মাসের তারিখের হিসাব রাখা সুন্দর একটি আমল। আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল (স.) শাবান মাসের তারিখ এতটাই মনে রাখতেন, যতটা অন্য মাসের তারিখ মনে রাখতেন না। শাবানের ২৯ তারিখ চাঁদ দেখা গেলে পরের দিন রমজানের রোজা রাখতেন। আর সেই দিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে শাবান ৩০তম দিন পূর্ণ করে রমজানের রোজা শুরু করতেন। (সুনানে আবু দাউদ: ২৩২৭)

৬. বরকতের দোয়া
রমজানের দুই মাস আগ থেকেই রাসুল (স.) একটি দোয়া বেশি বেশি পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আনাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, রজব মাস শুরু হলে রাসুল (স.) দোয়া পাঠ করতেন— اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ (অর্থ) ‘হে আল্লাহ, আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকত দিন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন। (বায়হাকি: ৩৫৩৪; নাসায়ি: ৬৫৯; মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৬)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শাবান মাসে নবীজির অনুসরণে যত সম্ভব নফল রোজা রাখার তাওফিক দান করুন। দোয়া ও ইবাদত-বন্দেগিতে কাটানোর তাওফিক দান করুন। আমিন।

বিজয়ীর উদ্যোগে বিনামূল্যে চোখের ছানী অপারেশন

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:০৩ অপরাহ্ণ
বিজয়ীর উদ্যোগে বিনামূল্যে চোখের ছানী অপারেশন

বিজয়ীর উদ্যোগে বিনামূল্যে ৭ জন গরিব ও দুস্থ রোগীর চোখের ছানি, নেত্রনালী অপারেশন হয়েছে চাঁদপুর মাজহারুল হক বি এন এস চক্ষু হাসপাতালে। রবিবার ৪ জনের এবং মঙ্গলবার চাঁদপুরের অসহায় ৩ জন রোগীদের দিনব্যাপী এ ফ্রি অপারেশন অনুষ্ঠিত হয়।

অসহায় ৭ জন রোগীকে বৃহস্পতিবার প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। এর মধ্যে ২ জন রোগীর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ায় তাদেরকে ডায়াবেটিস হসপিটালের সদস্য করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয় শুক্রবার। শনিবার সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা রিপোর্ট পর্যালোচনা করে হসপিটালে ভর্তি করানো হয়। মঙ্গলবারে সকাল অপারেশনে করানো হয়।

“বিজয়ীর আলো” স্লোগানে দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দিতে এই অপারেশন এর আয়োজক বিজয়ী এর প্রেসিডেন্ট খালেদা ইয়াসমিন রুবি বলেন, বিজয়ী দীর্ঘ ৫ বছর মানুষের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছে, ইনশাআল্লাহ সামনে আরও জনসেবা মূলক কাজ করবে। ১লা ফেব্রুয়ারীতে বিজয়ীর ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প থেকে অসুস্থ রোগী নির্বাচিত করে আমরা আমাদের পারিবারিক ভাবে অর্থনৈতিক সাপোর্টে বিজয়ীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১০ জন রোগীর অপারেশন এর ব্যবস্থা করেছি। ইনশাআল্লাহ সামনে আরও রোগীকে চক্ষু চিকিৎসা দেওয়া হবে বিজয়ীর তত্ত্বাবধানে। আপনারা সবাই দোয়া করবেন বিজয়ীর জন্য।

বিজয়ীর ফাউন্ডার তানিয়া ইশতিয়াক খান বলেন, মানুষের মৌলিক প্রয়োজন অন্ন বস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা চিকিৎসা নিয়ে কাজ করেছে। বিজয়ী মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টির লক্ষ্যে নানা রকম হাতে কলমে বিনা-মূল্য প্রশিক্ষন দিয়ে আসছে। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় উৎসাহদানে নানা রকম শিক্ষা সামগ্রী সহ প্রশিক্ষন প্রদান করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের বিনামূল্যে পরামর্শ প্রদান, ঔষধ বিতরন, চক্ষু শিবির করে চশমা বিতরন এবং যাদের চোখের অপারেশন দরকার তাদের অপারেশন এর ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। আর এসব সম্ভব হচ্ছে বিজয়ীর এডভাইজার জামিলা আপু এবং নিলুফার করিম আপু এবং বিজয়ীর স্বপ্নদ্রষ্টা আশিক খানের সার্বিক সহযোগিতায়। ইনশাআল্লাহ এভাবে প্রতিমাসেই নানা রকম জনকল্যাণমুখী কাজ করে যাবে বিজয়ী।

এক নজরে

আজকের কিছু সংক্ষিপ্ত সংবাদ

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ১:০৭ পূর্বাহ্ণ
আজকের কিছু সংক্ষিপ্ত সংবাদ

২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা থেকে সংক্ষেপে কিছু সংবাদ থাকছে আলোকিত চাঁদপুর পত্রিকার পাঠকদের জন্য-

মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবের রহমান
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে যোগদান করেছেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার কলাকান্দা গ্রামের সন্তান অতিরিক্ত সচিব মোঃ মাহবুবের রহমান। তিনি ১৮ তম বিসিএস এর একজন কর্মকর্তা।
গত ১৭ এপ্রিল তিনি এপদে যোগদান করেন। এরআগে ১৫ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে বদলিপূর্বক প্রেষণে পদায়নের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

চাঁদপুরে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন করে চাঁদপুরে খাবার তৈরীতে ভেজাল মিশিয়ে বিক্রি করার দায়ে ৩ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের পুরান বাজারে নিয়মিত বাজার তদারকি অভিযান পরিচালনাকালে শহরের পুরান বাজার অভিযান চালিয়ে কাচা কলায় ক্ষতিকর রাসায়নিক স্প্রে করে পাকানোর দায়ে মোক্তার হোসেন নামে ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার, নষ্ট পচা মরিচ ভাঙিয়ে বিক্রয় করায় ইউসুফ খান নামে ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার এবং হলুদের সাথে রং মিশিয়ে বিক্রয় করায় ব্যবসায়ী দুলাল সাহাকে ৩০ হাজার টাকাসহ মোট ৬০ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। অভিযান পরিচালনা করনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান।

হাইকোর্টের নির্দেশের ১৫ বছরেও হয়নি স্কুল সরকারীকরণ, ৫ শিক্ষকের মানবেতর জীবন
হাইকোর্টের নির্দেশের ১৫ বছরেও স্কুল সরকারীকরণ না হওয়ায় বিনা বেতনে পাঠদান করে মানবেতর জীবন কাটছে পাঁচ শিক্ষকের। ২০১৩ সালে চাঁদপুরের বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরকারীকরণ হলেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও বৈষম্যের গ্যাঁড়াকলে আটকে যায় চাঁদপুরের ফরিদঞ্জের একটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫নং পূর্ব গুপ্টি ইউনিয়নের ত্রিদোনা রেজিষ্টার বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। চার কক্ষ বিশিষ্ট্য টিনসেডে ১৬২ শিক্ষার্থী আর ৫ শিক্ষক নিয়ে চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। গেল ১৯৯৩ সালে গ্রামবাসীর উদ্যোগে নির্মিত হয় বিদ্যালয়টি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন বলেন, সবশেষ ২০২৩ সালে বিদ্যালয়টি হাইকোর্টের নির্দেশনুযায়ী একীভূত করতে প্রাথমিক র্শিক্ষা অধিদপ্তরে সুপারিশ প্রেরণ করেন।

বেইলি ব্রীজের দুপাশের রাস্তা ভাঙ্গন আতংকে গ্রামবাসী
চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে ধনাগোদা নদীতে দাঁড়িয়ে আছে বেইলি ব্রীজ। নদীর জলে ভেসে গেল দুপাশের দুই কিলোমিটার রাস্তা। ফসলী জমি ও বসতভিটা নিয়ে আতংকে পাঁচ গ্রামের নদীপাড়ের শত শত পরিবার। বসতভিটা ও ফসলি জমি রক্ষায় একটি স্থায়ী প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড।
চাঁদপুরের ধনাগোদা নদীর উপরে দাঁড়িয়ে আছে একটি বেইলি ব্রীজ। ব্রীজটি দেখলে বুঝার উপায় নেই, ব্রীজের উপর দিয়ে যানবাহন ও গ্রামবাসীর চলাচল ছিল। ব্রীজটির দুই পাশের প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা নদীতে বিলীন।
চাঁদপুর সদরের বিষ্ণুপুর নতুন বাজার থেকে মতলব দক্ষিণের বরদিয়া আড়ং বাজারের কানুদি- বরদিয়া সড়ক ছিল এটি। রাস্তা বিলীন হওয়ার পর এখন ভাঙ্গছে নদীপাড়ের পাঁচ গ্রামের মানুষের বসতভিটা ও ফসলি জমি। বসতভিটার ভাঙ্গন আতংকে নদীপাড়ের মানুষের কাটছে নির্ঘুম রাত।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, একটি স্থায়ী প্রকল্পের জন্য আমরা ইতোমধ্যে কারিগরি কমিটি গঠন করেছি। আমরা নকশা প্রণয়নের নিমিত্তে ডিজাইন দপ্তরে লিখেছি, তো নকশা পাওয়া গেলে আমরা দ্রুতই কারিগরি কমিটি প্রতিবেদন এবং ডিপিপি দাখিল করবো এলাকায়।’ এই রাস্তা ও চারটি ব্রীজ নির্মিত হয় ২০০৮ সালে, গেলো ৩/৪ বছর ধরে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে রাস্তাটি। ধনাগোদা নদীর ভাঙ্গনের কবলে দুই উপজেলার কানুদি, মনোয়ারখাদী, বিষ্ণুপুর, লালপুর ও বরদিয়া গ্রাম।

শেখ হাসিনা ও টিউলিপকে দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে
দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ।
মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কাজ শুরু করেছি। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য দুদক প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেড অ্যালার্ট নিয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। এটি এখনো কমিশনে আলোচিত হয়নি।
এটি কবে আলোচিত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরবর্তী কমিশন সভায়। এ সপ্তাহে যদি না হয়, আগামী সপ্তাহে হবে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাকে (শেখ হাসিনা) ফেরত পাঠানোর জন্য। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন সংস্থার সঙ্গে আমাদের চুক্তি প্রক্রিয়াধীন। চুক্তি হলে আমরা তাদের কাছ থেকে সাহায্য পাব।

পারভেজ হত্যাকান্ডে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা গ্রেফতার
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত হৃদয় মিয়াজি (২৩) নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্য সচিব। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাহিদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে রোববার মধ্যরাতে ঢাকার মহাখালী ওয়ারলেস গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে পারভেজ হত্যায় তিনজনকে গ্রেফতার করে বনানী থানা পুলিশ। তারা হলেন- মো. আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯)। তবে তারা কেউ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন, মামলার এজাহারেও তাদের নাম নেই। সোমবার এই তিনজনের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তারা এখন পুলিশি রিমান্ডে।

চাঁদপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ
চাঁদপুরের সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির আর্থ-সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সুফলভোগী ৪৮টি পরিবারের মাঝে ক্রসবীড বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল প্রাঙ্গনে এ বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
বকনা বাছুর বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকত, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ মুকবুল হোসেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কম্পিউটার প্রশিক্ষক মোঃ তানভীর হোসেন, ফিল্ড ফেসিলেটর অমিত ত্রিপুরা সহ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সুফলভোগীরা।

চাঁদপুরে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্টস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:৪৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন করে চাঁদপুরে খাবার তৈরীতে ভেজাল মিশিয়ে বিক্রি করার দায়ে ৩ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে শহরের পুরান বাজারে নিয়মিত বাজার তদারকি অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান।

তিনি বলেন, শহরের পুরান বাজার অভিযান চালিয়ে কাচা কলায় ক্ষতিকর রাসায়নিক স্প্রে করে পাকানোর দায়ে মোক্তার হোসেন নামে ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা, নষ্ট পচা মরিচ ভাঙিয়ে বিক্রয় করায় ইউসুফ খান নামে ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা এবং হলুদের সাথে রং মিশিয়ে বিক্রয় করায় ব্যবসায়ী দুলাল সাহাকে ৩০ হাজার টাকাসহ মোট ৬০ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

অভিযান পরিচালনাকালে সকল ব্যবসায়ীদের দৃশ্যমান স্থানে পণ্যের মূল্য তালিকা টাঙানো, ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি করা, ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ করা, নকল ও ভেজাল পণ্য-ঔষধ বিক্রয় থেকে বিরত থাকা এবং অবৈধ মজুদদারী করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়।
ক্যাবের প্রতিনিধি এবং পুলিশের একটি দল অভিযানে সার্বিক সহায়তা প্রদান করে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।