
পরিবারে জন্ম নেওয়াদের বেশির ভাগই বাক ও শারিরিক প্রতিবন্ধী। ওই পরিবারের বিভিন্ন বয়সের ৮ জন বাক ও দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী রয়েছেন। তারা কেউ কথা বলতে পারেন না। দিন মজুরের কাজ করলেও কথা শুনতে না পারায় এবং কাজের ধরণ বুঝতে না পারায় সচরাচর তাদের কাজও মিলছে না। এ কারনে প্রতিবন্ধী ভাতার সীমিত টাকার উপর নির্ভর করে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর ভাবে জীবন যাপন করছে ওই পরিবারটি।
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার মেঘদাইর গ্রামের নতুনপাড়ায় এক বাড়িতে ৮ জন বাক ও দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মেঘদাইর গ্রামের নতুন পাড়ার অধিবাসী আবুল হাসেম জন্মগত ভাবেই একজন বাক প্রতিবন্ধী। তার ছেলে ইসমাইল হোসেন, মেয়ে কুহিনুর আক্তার, বোন সাহিদা আক্তার ও নাতনি রিয়া আক্তার, নাতি সিয়াম হোসেন ও মেয়ের জামাই মহিউদ্দিন শারীরিক প্রতিবন্ধী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবুল হাসেম প্রথমে বাক প্রতিবন্ধী হয়। পরবর্তীতে একে একে তার বোন, মেয়ে ও নাতি-নাতনিসহ পরিবারে প্রতিবন্ধীর সংখ্যা বেড়ে যায়। ফলে এ পরিবারটি এতো সংখ্যক প্রতিবন্ধী নিয়ে পড়েছে বিপাকে। চিকিৎসার অভাবে ধুকে ধুকে মরছে এসব অসহায় প্রতিবন্ধীরা। পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মানবতার কাজে নিয়োজিতদের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
কচুয়া উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মো. নাহিদ ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আবুল হাসেম ও তার পরিবারের অপর শারিরিক প্রতিবন্ধী সদস্যরা সমাজসেবার আওতায় ভাতা পাচ্ছেন। এর বাহিরে অপর সদস্যদের জন্য হুইল চেয়ার ও অন্যান্য সুবিধা দেয়ার সুযোগ থাকলে পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে।
এদিকে বাক প্রতিবন্ধী আবুল হাসেম ও তার মেয়ের জামাতা শারিরিক প্রতিবন্ধী মহিউদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের স্বেচ্ছায় কেউ সহায়তা করতে চাইলে ০১৭০৩-৩৭৯৬৪৬ নাম্বারে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছেন অসহায় এ পরিবারটি।
আপনার মতামত লিখুন