খুঁজুন
রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

‘সংস্কারের আলোচনা যতবেশি দীর্ঘায়িত হবে দেশ ততবেশি সংকটে পড়বে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:১৯ পূর্বাহ্ণ
‘সংস্কারের আলোচনা যতবেশি দীর্ঘায়িত হবে দেশ ততবেশি সংকটে পড়বে’

সংস্কার প্রস্তাবের আলাপ-আলোচনা যতবেশি দীর্ঘায়িত হবে দেশ ততবেশি সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, যদি নির্বাচন প্রক্রিয়া দেরি হয়, যদি সংস্কার সংস্কার করে আমরা সংস্কারের আলোচনা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করতে থাকি তাহলে যে স্বৈরাচারকে বাংলাদেশের সকল মানুষ, দল-মত নির্বিশেষে, শ্রেণিপেশা নির্বিশেষে সকল মানুষ একত্রিত হয়ে এদেশ থেকে বিতাড়িত করে দিয়েছে তারা সুযোগ পেয়ে যাবে আবার দেশের মানুষের কাঁধে চেপে বসার। কাজেই সমাজের বিজ্ঞ, সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ যারা সংস্কারের কথা বলছেন আপনাদের সকলের কাছে রাজনৈতিক দলের অবস্থান থেকে আপনাদের কাছে আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, সংস্কার সংস্কার বক্তব্য রেখে এই আলাপ দয়া করে দীর্ঘায়িত করবেন না। কারণ আপনারা সংস্কারের আলাপ যত দীর্ঘায়িত করবেন দেশ ততবেশি সংকটের মুখে পড়বে, আপনারা সংস্কার আলাপ যত দীর্ঘায়িত করবেন দেশে তত ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পাবে।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কদমতলীতে রাষ্ট্র মেরামতে দলটির এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে শ্যামপুরের কদমতলীর বালুর মাঠে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়। এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধান অতিথি তারেক রহমান।

তারেক রহমান বলেন, বহু মানুষ ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য হতাহত হয়েছে। জবাবদিহিতা নিশ্চিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই। এর মাধ্যমে সমস্যার জট খুলতে শুরু করবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কাজ যত দ্রুত শুরু হবে, তত দ্রুত দেশকে রক্ষা করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারের সামনে একমাত্র বিএনপিই সংস্কারের কথা বলেছিল। আড়াই বছর আগেই এই ৩১ দফা দেওয়া হয়েছিল। ৩১ দফার সাথে সরকারের সংস্কার প্রস্তাবনায় খুব বেশি ফারাক নেই। এসময় ১০ টাকা কেজি চাল দেওয়ার মতো মিথ্যা আশ্বাস না দিয়ে বাস্তবতার আলোকে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে চাই।

নির্বাচন ছাড়া কোনো ভিন্ন পথ নেই মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, সংস্কারের প্রস্তাবগেুলো যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে সবার আগে নির্বাচন প্রয়োজন। নির্বাচনের মাধ্যমে যাদেরকে জনগণ দায়িত্ব দেবে সংস্কারের কাজ তারাই শুরু করতে পারবে, তাদেরকে শুরু করতেই হবে। সংস্কারের কাজ করতে হলে তা নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই সংস্কার বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে হবে। কারণ যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে তারা জনগণের কাছে ওয়াদাই করবে যে, তারা সুযোগ পেলে বাস্তবায়ন করবে এই সব সংস্কার।

তিনি আরও বলেন, সংস্কারকে যত দ্রুত বাস্তবায়ন করা যাবে দেশের মানুষকে তত দ্রুত আমরা বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারব। কাজেই আসুন এই সংস্কারকে বাস্তবায়ন করতে হলে উপায় একটাই যে সংস্কার প্রস্তাব বিএনপি দিয়েছে, যে সংস্কার প্রস্তাব অন্তবর্তীকালীন সরকারের কমিশনগুলো তৈরি করে দিয়েছে। এই সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে হলে নির্বাচন ছাড়া আর কোনো রাস্তা নাই।

তারেক রহমান বলেন, আমি মনে করি, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায় এটা সকলকে অনুধাবন করতে হবে। কোনো কোনো ব্যক্তি বলেন যে, নির্বাচন হলেই কি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? আমি বলি, সাথে সাথে সব সমস্যার সমাধান হবে না। কিন্তু নির্বাচন হলে জনগণের ভোটের মাধ্যমে, জনগণের রায়ের মাধ্যমে যে দল বা যে ব্যক্তি বা যারা দেশ পরিচালনার সুযোগ পাবে তারা সমস্যার জট বা সমস্যার যে গিট্টু সেগুলো আস্তে আস্তে খুলতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশ ও মানুষের সেবা করা। দেশের মানুষ ১৫ বছর যাবৎ স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে ভোটের জন্য, বাক স্বাধীনতা অর্জন করার জন্য, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। মানুষের চাহিদা, দেশের উন্নয়নের বিষয় বিবেচনায় রেখে বিএনপি প্রথমে ২৭ দফা ঘোষণা করেছিল। তার পরবর্তীতে বিএনপি যাদেরকে নিয়ে স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে কাজ করেছে তাদেরকে নিয়ে আমরা ৩১ দফা প্রণয়ন করেছি। যারা সংস্কার সংস্কার করছেন প্রতিদিন। এই মানুষগুলোকে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখিনি। আজকে যারা সংস্কারের কথা বলছেন তাদেরকে আমরা আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। অথচ দুই আড়াই বছর আগে বিএনপি বলেছিল সংস্কারের কথা। কারণ আমরা জানতাম স্বৈরাচারের পতন হবে। আমরা আগস্টের ৫ তারিখ সেটা হবে হয়তো সেটা জানতাম না।

তারেক রহমান বলেন, যানজট একটা ভয়ানক সমস্যা। প্রত্যেক মানুষকে যানজটের যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। এই যানজটকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। কাজেই আমাদের উপায় বের করতে হবে। বায়ু দূষণে ঢাকা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। দিল্লির সাথে বায়ু দূষণে কম্পিটিশন চলছে। কোনোদিন দিল্লি এক নম্বরে ঢাকা দ্বিতীয়, কোনোদিন ঢাকা প্রথম দিল্লি দ্বিতীয়। আমি রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বুঝি জবাবদিহিতা না থাকলে কোন রাষ্ট্র টিকিয়ে রাখা সম্ভব না। আমাদের সংসারেও কিন্তু জবাবদিহিতা থাকে। জবাবদিহিতা ছিল না বলেই দেশের সম্পত্তি লুটপাট করে বিদেশে পাচার করতে পেরেছে শেখ হাসিনা ও তার দোসররা। যদি সত্যিকার অর্থে মানুষের ভোটে সকল পর্যায়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতো তাহলে এসব সমস্যা থাকতো না। আপনারা যে মানুষটিকে নির্বাচন করতেন তিনি সবকিছু দেখতেন আপনাদের সমস্যা থাকতো না। কারণ নিবাচিত ব্যক্তি চিন্তা করতো মানুষের সমস্যার সমাধানের চেষ্টা যদি না করি; তাহলে যখন আবার ভোট হবে তখন আমি হেরে যাব। ১৭ বছরে বিএনপিসহ বিরোধী দলের অসংখ্য নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। গুম-খুন হয়েছেন, সারাদেশে দলের লক্ষ লক্ষ মানুষ নির্যাতিত হয়েছে অধিকারের আদায়ের জন্য। জবাবদিহিতা হচ্ছে নির্বাচন, সেটা জাতীয় নির্বাচনই হোক, আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনই হোক। একটা নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হতে হবে। দশ টাকার কথা বলে ৭০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়ানো হলে ৫ আগস্ট এর মতো অবস্থা হবে। আমরা যদি দেশের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চাই, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চাই; তাহলে অবশ্যই নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতে হবে। যত দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব দিতে পারব তত দেশকে ধ্বংস হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারব। নির্বাচন হলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে তা আমরা বলিনি। কিন্তু যারা নির্বাচিত হবেন তারা জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য হবেন। ভোটের অধিকারের জন্য বহু মানুষ জীবন দিয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন ভোটের অধিকারের জন্য। লক্ষ লক্ষ মানুষ গত ১৭ বছরে বাংলাদেশে বাংলাদেশের বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হয়েছেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব সালাহউদ্দিন আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন প্রমুখ।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পাশে চাঁসক ইসলামী ছাত্র আন্দোলন

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ৮:৪৪ অপরাহ্ণ
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পাশে চাঁসক ইসলামী ছাত্র আন্দোলন

শনিবার সকাল ১১টায় সারাদেশে একযোগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চাঁদপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রের কয়েকটি ভ্যানুতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূরীকরণে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর সরকারি কলেজ শাখার নেতৃবৃন্দ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন রকমের সহায়তা প্রদান করেন। তীব্র গরমের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের ও অভিভাবকদের মাঝে ফ্রীতে মিনারেল ওয়াটারের ব্যাবস্থা করেন। বিভিন্ন শিক্ষা সামগ্রী উপহার হিসেবে প্রদান করেন।

বহু শিক্ষার্থীরা তীব্র যানজটের কারণে উপকেন্দ্রে পৌছাতে দেরি হওয়ায় দ্রুততার সহিত অন্যান্য উপকেন্দ্রে পৌঁছে দেয়ার ব্যাবস্থা করেন।

এছাড়াও শ্রেণীকক্ষ খুঁজে দেওয়া, অভিভাবকদের বসার স্থানের ব্যবস্থা, তাদের আনুষঙ্গিক ব্যাগ মোবাইল জমা রাখা সহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি ডি.এম ফয়সাল, সহ-সভাপতি কে.এম মাসুদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ ফরহাদ, সদস্য আল আমিন সাইফি, ইব্রাহিম মজুমদার, বায়েজিদ বেপারী ও মিনহাজুল ইসলাম প্রমুখ।

ফেসবুকে পরকিয়া সম্পর্ক করে প্রবাসীর স্ত্রীকে ভারতে পাচার, আটক নারী

শওকত আলী
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ৮:২৯ অপরাহ্ণ
ফেসবুকে পরকিয়া সম্পর্ক করে প্রবাসীর স্ত্রীকে ভারতে পাচার, আটক নারী

চাঁদপুরে এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরের প্রতারক সুজিত সরকার আকাশের। দির্ঘদিন তাদের সম্পর্কে একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে প্রবাসীর স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে উত্তপ্ত করত। অবশেষে দেখা করার কথা বলে চাঁদপুরে এসে কৌশলে প্রবাসীর স্ত্রীকে গাড়িতে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এই ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রীর ভাই নয়ন চন্দ্র শীল বাদী হয়ে তিনজনকে বিবাদী করে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অপহরণের মামলা দায়ের করেন।

মামলা প্রেক্ষিতে চাঁদপুর মডেল থানার এসআই বিল্লাল হবিগঞ্জের মাধবপুর ৪নং আদাঐর ইউনিয়ন থেকে মামলার দ্বিতীয় আসামী শৈলেন সরকারের মেয়ে স্বরনিকা সরকারকে আটক করে চাঁদপুর মডেল থানা নিয়ে আসে।

শনিবার দুপুরে পুলিশের হাতে আটক হওয়া দ্বিতীয় আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। তবে প্রবাসীর স্ত্রীকে বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়ায় পাচার করেছ বলে ধারণা করছে পুলিশ।

এই ঘটনায় মামলার বাদী নয়ন চন্দ্র শীল জানায়, আমার ছোট বোনকে মোবাইল ফোনে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করত প্রধান আসামি আকাশ। পরে তারা তিনজন মিলে চাঁদপুরে এসে বাবুরহাট স্কুলের সামনে থেকে গাড়িতে উঠিয়ে তুলে নিয়ে ইন্ডিয়ায় পাচার করে দেয়। এ সময় বোনের সাথে স্বর্ণালংকার ছিল তা অপহরণকারীরা নিয়ে যায়।

এই ঘটনায় পুলিশ প্রধান আসামিকে ধরার জন্য হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরে অভিযান চালায়। কিন্তু এর পূর্বেই ছোট বোনকে আসামি আকাশ কৌশলে ইন্ডিয়ায় পাচার করে দেয়। এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত আকাশের বোন জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণ পায় পুলিশ। আমি আমার বোনকে দ্রুত উদ্ধার করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

পুলিশ জানায়, মোবাইল ফোনে পরিচয় হওয়ার পর বাবুরহাট এলাকা থেকে প্রবাসীর স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যায় হবিগঞ্জে। পরে ভিকটিমকে উদ্ধার করার জন্য সেখানে গিয়ে পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় মামলার দ্বিতীয় আসামিকে আটক করে চাঁদপুরে এনে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উদ্ধার করার চেষ্টা করা হবে।

কচুয়ায় এক পরিবারের ৮ জন প্রতিবন্ধীর মানবেতর জীবন-যাপন

কচুয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ৮:০০ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় এক পরিবারের ৮ জন প্রতিবন্ধীর মানবেতর জীবন-যাপন

পরিবারে জন্ম নেওয়াদের বেশির ভাগই বাক ও শারিরিক প্রতিবন্ধী। ওই পরিবারের বিভিন্ন বয়সের ৮ জন বাক ও দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী রয়েছেন। তারা কেউ কথা বলতে পারেন না। দিন মজুরের কাজ করলেও কথা শুনতে না পারায় এবং কাজের ধরণ বুঝতে না পারায় সচরাচর তাদের কাজও মিলছে না। এ কারনে প্রতিবন্ধী ভাতার সীমিত টাকার উপর নির্ভর করে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর ভাবে জীবন যাপন করছে ওই পরিবারটি।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার মেঘদাইর গ্রামের নতুনপাড়ায় এক বাড়িতে ৮ জন বাক ও দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মেঘদাইর গ্রামের নতুন পাড়ার অধিবাসী আবুল হাসেম জন্মগত ভাবেই একজন বাক প্রতিবন্ধী। তার ছেলে ইসমাইল হোসেন, মেয়ে কুহিনুর আক্তার, বোন সাহিদা আক্তার ও নাতনি রিয়া আক্তার, নাতি সিয়াম হোসেন ও মেয়ের জামাই মহিউদ্দিন শারীরিক প্রতিবন্ধী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবুল হাসেম প্রথমে বাক প্রতিবন্ধী হয়। পরবর্তীতে একে একে তার বোন, মেয়ে ও নাতি-নাতনিসহ পরিবারে প্রতিবন্ধীর সংখ্যা বেড়ে যায়। ফলে এ পরিবারটি এতো সংখ্যক প্রতিবন্ধী নিয়ে পড়েছে বিপাকে। চিকিৎসার অভাবে ধুকে ধুকে মরছে এসব অসহায় প্রতিবন্ধীরা। পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মানবতার কাজে নিয়োজিতদের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

কচুয়া উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মো. নাহিদ ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আবুল হাসেম ও তার পরিবারের অপর শারিরিক প্রতিবন্ধী সদস্যরা সমাজসেবার আওতায় ভাতা পাচ্ছেন। এর বাহিরে অপর সদস্যদের জন্য হুইল চেয়ার ও অন্যান্য সুবিধা দেয়ার সুযোগ থাকলে পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে।

এদিকে বাক প্রতিবন্ধী আবুল হাসেম ও তার মেয়ের জামাতা শারিরিক প্রতিবন্ধী মহিউদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের স্বেচ্ছায় কেউ সহায়তা করতে চাইলে ০১৭০৩-৩৭৯৬৪৬ নাম্বারে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছেন অসহায় এ পরিবারটি।