খুঁজুন
রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ৩ কার্তিক, ১৪৩২

শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড জাতীয় অর্থনীতিকে অচলের নীলনকশা: কাস্টমস অ্যাসোসিয়েশন

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:৪৩ অপরাহ্ণ
শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড জাতীয় অর্থনীতিকে অচলের নীলনকশা: কাস্টমস অ্যাসোসিয়েশন

ঢাকা ও চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক সময়ের ধারাবাহিক তিনটি বড় অগ্নিকাণ্ড দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সর্বশেষ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা ঘাটতির বড় ইঙ্গিত দিয়েছে।

সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ইতোমধ্যে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা পেয়ে পুলিশের সব ইউনিট ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মাঠে নেমে গভীরভাবে তদন্ত শুরু করেছে। তারা খতিয়ে দেখছে—এসব অগ্নিকাণ্ড নাশকতা, নাকি নিছক দুর্ঘটনা।

গত ১৪ অক্টোবর মিরপুরের একটি পোশাক কারখানা ও কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু, ১৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) আদম ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল কারখানা, টঙ্গীর কেমিক্যাল গুদাম এবং ১৮ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন—এই ধারাবাহিক ঘটনাগুলো সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অতীতের নিমতলী, চুড়িহাট্টা ও বেইলি রোড ট্র্যাজেডি প্রমাণ করেছে—অগ্নিনিরাপত্তায় বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে। এসব দুর্ঘটনায় যেমন প্রাণহানি ঘটছে, তেমনি হাজার কোটি টাকার সম্পদও পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে।

এই প্রেক্ষাপটে শাহজালাল বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি বলছে, এই অগ্নিকাণ্ড দেশের শিল্পকারখানা, আমদানি-রফতানি ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বিপর্যস্ত করে জাতীয় অর্থনীতিকে অচল করার একটি ‘পরিকল্পিত নীলনকশার’ অংশ হতে পারে।

রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান বলেন, শনিবারের আগুনে বিমানবন্দরের আমদানি পণ্যের গুদাম ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ও ফায়ার সার্ভিস যথাসময়ে পৌঁছাতে না পারায় ক্ষয়ক্ষতি আরও বেড়েছে।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে গুদামটি সম্পূর্ণ অচল অবস্থায় রয়েছে। সংস্কার ছাড়া সেখানে আমদানি কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা সম্ভব নয়। “এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিতভাবে দেশের শিল্প ও বাণিজ্য ব্যবস্থাকে পঙ্গু করার অপচেষ্টা হতে পারে,” বলেন তিনি।

পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশনটি:

১. ঘটনাটির প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন।
২. তদন্তে দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ।
৩. বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও অগ্নিনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পুনর্মূল্যায়ন করে আধুনিকায়ন।
৪. ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ।
৫. নির্মাণাধীন নতুন গুদাম অস্থায়ীভাবে চালু করে আমদানি কার্যক্রম সচল রাখা।

অ্যাসোসিয়েশনটি আরও জানিয়েছে, এই অগ্নিকাণ্ডের পেছনে দেশের অর্থনীতিকে অচল করার কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না—তা গভীরভাবে তদন্ত করা প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, শনিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরাও অভিযানে অংশ নেন। প্রায় সাত ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত সোয়া ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আগুন লাগার কারণে বিমানবন্দরে সাত ঘণ্টা ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকে। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বিকল্পভাবে সিলেট ও চট্টগ্রামে অবতরণ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর রাত ৯টার দিকে ফ্লাইট চলাচল পুনরায় শুরু হলেও রবিবারও ফ্লাইট বিলম্বের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি অব্যাহত রয়েছে, বিশেষ করে ট্রানজিট যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

নভেম্বরে গণভোট-পিআরসহ ৫ দাবিতে ইসলামি দলগুলোর নতুন কর্মসূচি

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:০৩ অপরাহ্ণ
নভেম্বরে গণভোট-পিআরসহ ৫ দাবিতে ইসলামি দলগুলোর নতুন কর্মসূচি

পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামি দলগুলো। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে গণভোট আয়োজন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন প্রভৃতি।

রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদের।

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, আগামী ২০ অক্টোবর রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করা হবে। ২৫ অক্টোবর সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল। ২৭ অক্টোবর সব জেলা শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করবে ইসলামি দলগুলো।

আগামী ২৭ অক্টোবরের মধ্যে দাবি মানা না হলে দেশব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে জানান খেলাফত মজলিসের এই নেতা।

লিখিত বক্তব্যে আহমেদ আবদুল কাদের বলেন, এরই মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ভয়ভীতিমুক্ত গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছি। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ, ভোটকেন্দ্র দখল, পেশিশক্তি প্রদর্শন ও ভোটের বিভিন্ন অনিয়ম ও অপতৎপরতা বন্ধ, কোয়ালিটি-সম্পন্ন পার্লামেন্ট এবং দক্ষ আইনপ্রণেতা তৈরিসহ প্রতিটি ভোট মূল্যায়নের লক্ষ্যে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি। বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, কলামিস্ট, লেখক, গবেষক, শিক্ষাবিদ ও নানান শ্রেণিপেশার মানুষ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি জনগণের দাবিসমূহ কার্যকর করার কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এ অবস্থায় জনগণের দাবি আদায়ের জন্য গণআন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। তাই জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে গণভোট আয়োজন করে তার আলোকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমরা কর্মসূচি দিয়েছি।

পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:

১.জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে গণভোট আয়োজন।
২.আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে/ উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু।
৩.অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
৪.ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা।
৫.স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী, জাগপার মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির মহাসচিব নিজামুল হক নাঈম প্রমুখ।

জামায়াতের ‘পিআর আন্দোলন’ সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা: নাহিদ ইসলাম

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৫০ অপরাহ্ণ
জামায়াতের ‘পিআর আন্দোলন’ সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর তথাকথিত ‘আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) আন্দোলন’ একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক ইংরেজি ভাষার পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নাহিদ দাবি করেন, পিআর আন্দোলনের নামে জামায়াত একটি কৌশলগত ষড়যন্ত্র চালিয়েছে। তিনি বলেন, এই আন্দোলনের মাধ্যমে মূলত ঐকমত্য কমিশনের সংস্কার প্রক্রিয়াকে ভ্রান্ত পথে চালিত করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং রাষ্ট্র ও সংবিধান পুনর্গঠন-সংক্রান্ত জাতীয় সংলাপকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হয়েছে।

নাহিদ লেখেন, ‘ভোটের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে একটি উচ্চকক্ষ গঠনের মূল সংস্কার দাবি ছিল সংবিধানিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা। আমরা এমন একটি গণআন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছিলাম যা জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে সংবিধানের কাঠামোগত পরিবর্তন আনবে।’

তবে তার অভিযোগ, জামায়াত ও তার মিত্ররা এই এজেন্ডা ‘ছিনতাই’ করে নিজেদের সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে ‘পিআর ইস্যু’ ব্যবহার করেছে। তাদের লক্ষ্য ছিল না কোনো বাস্তব সংস্কার, বরং ‘কৌশলী প্রতারণা’।

তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াত কখনোই গঠনমূলক আলোচনায় অংশ নেয়নি—না জুলাই অভ্যুত্থানের আগে, না পরে। তারা কোনো সাংবিধানিক প্রস্তাব বা গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গিও উপস্থাপন করেনি।’

নাহিদের দাবি, জামায়াতের হঠাৎ ‘সংস্কারের’ পক্ষে অবস্থান গ্রহণ কোনো আদর্শগত রূপান্তর নয়, বরং এটা ছিল রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ এবং সংস্কারের ছদ্মবেশে নাশকতা চালানোর একটি প্রয়াস।

তিনি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের জনগণ এ প্রতারণা স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছে। জনগণ এখন জেগে উঠেছে এবং আর কোনো ভুয়া সংস্কারবাদী বা ষড়যন্ত্রকারীর দ্বারা প্রতারিত হবে না।’

আগামী ৩ দিন নন-শিডিউল ফ্লাইটের খরচ মওকুফ: বিমান উপদেষ্টা

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩৬ অপরাহ্ণ
আগামী ৩ দিন নন-শিডিউল ফ্লাইটের খরচ মওকুফ: বিমান উপদেষ্টা

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগামী ৩ দিন নন-শিডিউল ফ্লাইটগুলোর সব ধরনের খরচ মওকুফ করা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৮ নম্বর কার্গো গেটের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের ঘটনায় এ ছাড় দেওয়া হয়।

উপদেষ্টা বলেন, গতকাল (শনিবার) বেলা সোয়া ২টার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিটের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে আগুন সম্পূর্ণভাবে নেভানো সম্ভব হয়। আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল রাত ৯টার মধ্যে বিমানবন্দর চালু করা, আমরা তা করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, বর্তমানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে ড্যামেজ অ্যাসেসমেন্টের কাজ চলছে। ধ্বংসের আর্থিক ক্ষতি ও ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের ওজন নির্ধারণের পাশাপাশি খাতভিত্তিক বিশ্লেষণের কাজও করা হচ্ছে।

অগ্নিকাণ্ডের কারণে প্রায় ২১টি ফ্লাইট ডাইভার্ট ও বাতিল করতে হয়েছিল জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আগামী তিন দিন যেসব নন-শিডিউল ফ্লাইট আসবে, তাদের সব খরচ আমরা মওকুফ করেছি। যাত্রীদের খাবার, থাকা ও সেবার দায়িত্বও আমরা নিয়েছি। তবে একসঙ্গে অনেক ইস্যু সামলাতে হচ্ছে, ফলে কিছু ব্যত্যয় ঘটতে পারে।