খুঁজুন
শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ, ১৪৩২

আগস্টে ঘোষণা হতে পারে হজ প্যাকেজ, খরচ কমাতে চায় সরকার

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫, ৭:০১ অপরাহ্ণ
আগস্টে ঘোষণা হতে পারে হজ প্যাকেজ, খরচ কমাতে চায় সরকার

সৌদি সরকারের রোডম্যাপ অনুযায়ী, আগামী বছরের (২০২৬ সাল) হজের কার্যক্রম বেশ আগেভাগেই সম্পন্ন করতে হবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে হজের এত আগে নিবন্ধন সম্পন্ন করে প্যাকেজের টাকা সৌদি প্রান্তে পাঠানো বড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়া রয়েছে অন্য কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের চাপ।

এরই মধ্যে নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে সৌদি সরকার আগামী হজের কোটা জানিয়ে দিয়েছে। গত কয়েক বছরের মতো আগামী বছরও বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন। যদিও গত দুই হজে কোটা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের মে মাসের শেষ সপ্তাহে সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত হজযাত্রী নিবন্ধন চললেও রোডম্যাপ অনুযায়ী, এবার ১২ অক্টোবরের মধ্যে প্যাকেজের পুরো টাকা নিয়ে হজের নিবন্ধন শেষ করতে হবে। সেবা প্যাকেজের (তাঁবু ভাড়া ও মাশায়ের প্যাকেজ) প্রয়োজনীয় অর্থ সৌদিতে পাঠাতে হবে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে সেবা গ্রহণের চূড়ান্ত চুক্তি করতে হবে। একই সঙ্গে মক্কা ও মদিনায় হজযাত্রীদের বাড়ি বা হোটেল এবং পরিবহন চুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ স্থানান্তর শুরু হবে ২০ জানুয়ারি। বাংলাদেশ সরকার ও সৌদি সরকারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক হজচুক্তি সই ‍হবে ৯ নভেম্বর। রোডম্যাপের নির্ধারিত সময়সূচির মধ্যে কোনো কাজ সম্পন্ন না হলে হজ পালন অনিশ্চিত হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে সৌদি আরব।

চলতি বছরের হজযাত্রীদের প্রাথমিক নিবন্ধন শুরু হয় গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর। আগামী বছরের হজের প্রাথমিক নিবন্ধন রোববার (২৭ জুলাই) থেকে শুরু হয়েছে। চলতি বছর হজ হয়েছিল ৫ জুন। গত বছরের ৩০ অক্টোবর হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল সরকার।

আগামী হজ সামনে রেখে এখন প্যাকেজ ঘোষণা করা হচ্ছে সরকারের বড় কাজ। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, তারা এখন সৌদি প্রান্তের খরচ ও দেশে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া নির্ধারণের অপেক্ষা করছেন। আগস্টের মধ্যে হজ প্যাকেজ ঘোষণার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছেন তারা।

এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ-১ এর মাধ্যমে খরচ হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা। প্যাকেজ-২ এর মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয় ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। আর বেসরকারিভাবে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা। এর ভিত্তিতে প্যাকেজ নির্ধারণ করেছে হজ এজেন্সিগুলো।

ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে আরও জানা যায়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় আগামী হজেও দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা নিয়ে কাজ হচ্ছে। সাধারণ প্যাকেজ হিসেবে প্যাকেজ-১ এর খরচ কমানোর চেষ্টা চলছে। চলতি বছর হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ছিল এক লাখ ৬৭ হাজার ৮২০ টাকা। আগামী বছর তা দেড় লাখের নিচে নামিয়ে আনতে চায় মন্ত্রণালয়।

এ প্যাকেজের ভিত্তিতেই এজেন্সিগুলো তাদের প্যাকেজ নির্ধারণ করবে। অন্যদিকে, সরকারি প্যাকেজ-২ হবে বিশেষ প্যাকেজ। এ প্যাকেজে হজযাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে। খরচও হবে বেশি। এ প্যাকেজের খরচ হবে ৭ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা। এ প্যাকেজের বাড়ি বা হোটেল থাকবে হারাম শরিফের ৫০০ থেকে ৭০০ মিটারের মধ্যে।

চার লাখ টাকা দিয়ে রোববার (২৭ জুলাই) থেকে প্রাথমিক নিবন্ধন করা যাচ্ছে। তবে হজ এজেন্সি মালিকরা এর বিরোধিতা করছেন। তারা বলছেন, প্রাথমিক নিবন্ধনে চার লাখ টাকা বেশি হয়ে যাচ্ছে। এতে সাড়া কম পাওয়া যাবে। কারণ, হজের এত আগে একসঙ্গে এত টাকা দেওয়া অনেকের জন্য কষ্টকর। এছাড়া প্যাকেজ ঘোষণা না হওয়ায় হজে গমনেচ্ছুরা জানতে পারছেন না, এবার হজ পালন তার সাধ্যের মধ্যে থাকছে নাকি থাকছে না।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক বলেন, ‘হজ হচ্ছে একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার বিষয়। তারা রোডম্যাপ দিয়েছে। এটা নিয়ে আমরা হাবের সঙ্গে বসেছি। হজ প্যাকেজ ঘোষণাসহ যে সব কাজ রয়েছে, সেগুলো পর্যায়ক্রমে করতে হবে। একটু আগেই এবার এগুলো করতে হবে।

তিনি বলেন, সৌদি প্রান্তের খরচের হিসাব না পাওয়া ও বিমান ভাড়া নির্ধারিত না হওয়ায় আমরা প্যাকেজটা করতে পারছি না। সৌদি প্রান্তে সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর কাছে চুক্তি, মিনা-আরাফায় তাঁবু ভাড়া, বাড়ি ভাড়া আগেই করতে হবে।

সৌদি প্রান্তের খরচের হিসাব পাওয়ার পর প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে জানিয়ে সচিব বলেন, সৌদি আরবে আমাদের হজ মিশন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আমাদের এদিকেও কিছু কাজ রয়েছে। বিমান ভাড়া নির্ধারণের বিষয়টি রয়েছে। বিমান ভাড়া নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। খরচগুলো পেলে যত দ্রুত পারি নির্বাহী কমিটি সভায় বসে প্যাকেজ ঘোষণা করে দেবো।

‘প্যাকেজ আগস্টের মধ্যেই করতে হবে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি’ বলেন আফতাব হোসেন প্রামাণিক।

ধর্ম সচিব আরও বলেন, আমরা চাই হজের খরচ কমুক, যাতে বেশি সংখ্যক মানুষ হজে যাওয়ার সুযোগ পায়। ওই প্রান্তের ও আমাদের প্রান্তের খরচ যদি কমাতে পারি তাহলে খরচ কমবে।

‘অনেকে একটা বিশেষ প্যাকেজ নেওয়ার কথা বলেছে। তারা বলেছেন আরও কাছাকাছি থাকতে চান। ৫০০ থেকে ৭০০ মিটারের মধ্যে করা যায় কি না আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। আমরা এটা নিয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেবো। কিছু কিছু মানুষ আছে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হারাম শরিফে পড়তে চান, এজন্য তারা বেশি খরচ করতেও রাজি।’

ইতোমধ্যে সৌদি সরকার আমাদের কোটা নির্ধারণ করে দিয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘আগামী বছরের হজে বাংলাদেশের কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে সৌদি সরকার কোটা জানিয়ে দিয়েছে। কয়েক বছর ধরে আমাদের কোটা এটাই ছিল।’

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, এবার সৌদি সরকারের যে টাইমলাইন (রোডম্যাপ), সেটা আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। গত বছর থেকে এবার সময় এগিয়ে এসেছে। আমাদের হজযাত্রীদের তো মাথায় থাকে যে, হজের দু-তিন মাস আগে সব করবেন। কিন্তু সৌদি সরকার এবার ছয় মাস আগেই সব কাজ শেষ করতে চাইছে। এটা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ।

তিনি বলেন, এবার হাজিরা বলছেন, আরও কাছে থাকতে চাইছেন। বেশি সুযোগ-সুবিধা চান তারা। তাই প্যাকেজ-২ বিশেষ প্যাকেজ হিসেবে রাখার চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে। প্যাকেজ-১ এ তিন কিলোমিটারের মধ্যে হোটেলের ব্যবস্থা করার কথা ছিল। কিন্তু আমরা হাজিদের দেড় থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যে রাখতে পেরেছি। আমাদের উদ্দেশ্য হাজিদের দূরে রাখা যাবে না। এবারও এটা আমাদের মূল উদ্দেশ্য থাকবে। আমরা হাজিদের সেবাটা নিশ্চিত করতে চাই।

হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘সৌদি রোডম্যাপের পরিপ্রেক্ষিতে এবার কিছুটা তো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে নিবন্ধনের সময় যে চার লাখ টাকা দেওয়ার নিয়ম করা হয়েছে, এটা একটু বেশি। মানুষের তো প্রাথমিকভাবে এত টাকার প্রস্তুতি থাকে না। আমাদের দাবি ছিল এ টাকাটা দুই ভাগে নেওয়ার জন্য। প্রাথমিক টাকা যাতে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার মধ্যে থাকে। এটা হজযাত্রীদের দাবি।’

এবার কোরবানি ও খাবার সৌদি কর্তৃপক্ষ তাদের ব্যবস্থাপনায় নিয়ে নিচ্ছে- এর বিরোধিতা করে হাব মহাসচিব বলেন, ‘এটা সম্ভব নয়। আমাদের দেশের হাজিরা কেউ ৫০০ রিয়াল দিয়ে কোরবানি দেন, কেউ পনেরশ’ রিয়াল দিয়েও দেন। কোরবানিটা তো যার যার সামর্থ্যের বিষয়। একই ফরম্যাটে রাখলে তো সমস্যা দেখা দেবে।’

তিনি বলেন, ‘আর মিনা ও আরাফায় সৌদি কর্তৃপক্ষ তিন-চারদিনের খাবার দিতো, এটা নিয়েই হজযাত্রীদের অভিযোগের শেষ নেই। তাদের খাবারটা মানে ভালো নয়। তারা যদি এক মাস ধরে খাবারের দায়িত্ব নেয়, তাহলে হাজিদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটা মন্ত্রণালয়ও জানে। আশা করি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সরকার এ বিষয়গুলো সুরাহা করবে।

যেভাবে করা যাবে প্রাথমিক নিবন্ধন:

আগামী বছরের (২০২৬) হজের প্রাথমিক নিবন্ধন এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। ২০২৬ সালে হজে গমনেচ্ছুক ব্যক্তিরা প্রাথমিকভাবে চার লাখ টাকা জমা দিয়ে হজের প্রাথমিক নিবন্ধন করতে পারছেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, সৌদি সরকারের রোডম্যাপ অনুসারে এ বছরের ১২ অক্টোবরের মধ্যে হজের চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ সময়ের মধ্যেই হজযাত্রীদের প্রাথমিক নিবন্ধন ও পরবর্তীসময়ে হজ প্যাকেজ মূল্যের অবশিষ্ট টাকা জমা দিয়ে চূড়ান্ত নিবন্ধন করতে হবে।

সরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীরা ই-হজ সিস্টেম, লাব্বাইক মোবাইল অ্যাপ, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয়, জেলা ও বায়তুল মোকাররম অফিস এবং আশকোনা হজ অফিস থেকে প্রাথমিক ও চূড়ান্ত নিবন্ধন করতে পারবে। তবে বেসরকারি মাধ্যমে হজ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের অনুমোদিত হজ এজেন্সির মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নতুন প্রো-ভিসি ফরিদগঞ্জের অধ্যাপক ড. মাসুম ইকবাল

তারেক রহমান তারু
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৩২ অপরাহ্ণ
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নতুন প্রো-ভিসি ফরিদগঞ্জের অধ্যাপক ড. মাসুম ইকবাল

‘ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র নতুন প্রো-ভিসি নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়টির ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস এন্ড এন্ট্রেপ্রেনিউরশিপের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাসুম ইকবালকে এই পদে নিয়োগ দিয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অধ্যাপক মাসুম ইকবাল ফরিদগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান। তার বাড়ি উপজেলার গাজীপুর গ্রাম।

জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর ধারা ৩২ (১) অনুযায়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাসুম ইকবালকে তিন শর্তে এই নিয়োগ প্রদান করা হয়।

এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে, প্রো-ভিসি পদে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাসুম ইকবালের নিয়োগের মেয়াদ হবে যোগদানের তারিখ হতে ৪ বছর। তবে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর যে কোনো সময় এ নিয়োগ আদেশ বাতিল করতে পারবেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন এবং পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধাদি ভোগ করবেন; তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাসুম ইকবালের জন্ম চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গাজীপুর গ্রামে। তার দাদা মরহুম মুসলিম সওদাগর গাজীপুর আহম্মদিয়া ফাজিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তার পিতা মো. ইদ্রিস মিয়া। ড. মাসুম ইকবাল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পাশাপাশির দেশ বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত আছেন। দেশি এবং বিদেশি জার্নালে তার প্রকাশনা সংখ্যা ৫০ এর বেশি। তার সহধর্মিনী ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতায় ২০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অধ্যাপক মাসুম ইকবাল ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্ট কর্তৃক সেরা শিক্ষকের পুরস্কারসহ উচ্চশিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য পেয়েছেন নানান পুরস্কার।

চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের দায়িত্ব হস্তান্তর

মিজান লিটন
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫, ৭:১৮ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের দায়িত্ব হস্তান্তর

বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার নব-নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের কাছে বিগত পরিষদ দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

বৃহস্পতিবার ৩১ জুলাই বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাব ভবনের ৩য় তলায় বিদায়ী সভাপতি এম এ লতিফ ও সাধারণ সম্পাদক সহ অনান্যরা নবাগত সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত ( চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ) ও সাধারণ সম্পাদক শাওন পাটওয়ারী সহ নবাগত কার্যকরী কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়।

দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের বিদায়ী সভাপতি এমএ লতিফ । পরিচালনা করেন সাবেক ও বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাওন পাটওয়ারী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত সভাপতি অ্যাড. ইয়াসিন আরাফাত (চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম), সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম অনিক, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শরীফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক সজিব খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদ হোসেন অপু, কোষাধ্যক্ষ শেখ আল মামুন, দপ্তর সম্পাদক মানিক দাস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আনোয়ারুল হক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক ইমাম হোসেন গাজী, কার্যকরী সদস্য এম এ লতিফ, কেএম মাসুদ, মিজানুর রহমান লিটন বিদায়ী কোষাধ্যক্ষ কে এম সালাউদ্দিন।

দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাংগঠনিক কাগজপত্রাদি বিদায়ী পরিষদের সদস্যরা নবনির্বাচিত নতুন পরিষদের সদস্যদের হাতে তুলে দেন।

উল্লেখ্য, নির্বাচিত এই পরিষদ ২০২৫ সালের ১ লা আগষ্ট থেকে আগামী ২ বছরের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

অপেক্ষা করেন, কিছুদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা:আইন উপদেষ্টা

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ৮:১৪ অপরাহ্ণ
অপেক্ষা করেন, কিছুদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা:আইন উপদেষ্টা

আগামী কিছুদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংস্কার ও সমসাময়িক বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ কথা জানান।

গত তিন-চারটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি, সামনে আমরা ভোট দিতে পারবো তো? জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই পারবেন, ভোট দিতে সবাই পারবেন।

আপনাদের উদ্যোগটা কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের হেন উদ্যোগ নেই, যা নেওয়া হচ্ছে না। ভোটাধিকারের কথা বলছেন? ক্লাসে যখন যেতাম। জিজ্ঞেস করতাম ছাত্রদের- আপনাদের মধ্যে কে কে ভোট দিয়েছেন- তারা হাসাহাসি শুরু করতেন। কেউ কেউ বলতেন স্যার ভোট দিয়েছি, তবে ১০/১২টা। ৯০ শতাংশ বলতেন তারা ভোট দেননি। যাই হোক আমাদের সেই দুঃখ ঘুঁচবে। আমরা ১৮ বছর ধরে ভোট দিতে পারিনি।

কবে আগামী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের সময় তো জাস্ট ওয়েট করুন, কিছুদিনের মধ্যে ঘোষণা শুনবেন।

২০০৮-এ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যে নির্বাচন হয়েছিল সেটা নিয়ে প্রশ্ন নেই। এর পরের নির্বাচনগুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আপনারা এবার কি করবেন যে এই নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে? এ বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই, এর সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করি। ২০০৮-এর নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ আছে। আপনারা যারা সাংবাদিকরা আছেন কাজ করেন, অনেক ভয়াবহ তথ্য পাবেন ২০০৮-এর নির্বাচন নিয়ে।

উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনী কার্যক্রমতো নির্বাচন কমিশন দেখবে। আমি শুধু আমাদের সরকারের নিয়তের কথা আপনাদের বলতে পারি। আমাদের নিয়ত আছে বাংলাদেশের ইতিহাসে বেস্ট ইলেকশন দেওয়া, এটা স্যার (প্রধান উপদেষ্টা) আমাদের সব সময় বলেন।