খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৭ ভাদ্র, ১৪৩২

টিকটকে রূপালী-জামালের পরিচয়, পরিণতি করুন মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫, ৬:২৪ অপরাহ্ণ
টিকটকে রূপালী-জামালের পরিচয়, পরিণতি করুন মৃত্যু

মতলব দক্ষিণ উপজেলার ফাতেমা বেগম রূপালী (৩৬) এর সাথে টিকটকে ১১ মাস পূর্বে পরিচয় হয় পটুয়াখালীর মো. জামাল গাজী (৩৮) নামে যুবকের। সন্দেহ আর পারিবারিক কলেহে অবশেষে স্বামীর হাতে হত্যার শিকার হন রূপালী। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামী জামাল গাজীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।

সোমবার দুপুরে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসপি মুহম্মদ আব্দুর রকিব প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

হত্যার শিকার ফাতেমা বেগম রূপালী মতলব দক্ষিণ উপজেলার দক্ষিণ ঘোড়াধারি গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির কালু পাটওয়ারীর মেয়ে। আসামী জামাল পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার পানপট্টি গেড়ামধন গ্রামের মো. মোস্তফা গাজীর ছেলে।

পুলিশ জানায়, ১১ মাস পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকে পরিচয় হয় তাদের। ফাতেমা জামালের কাছে নিজেকে কোর্টের পিপির সহকারী পরিচয় দেয়। প্রকৃত পক্ষে সে একজন গার্মেন্টস কর্মী। টিকটকে পরিচয়ের সূত্র ধরে রূপালী ও জামাল হোসেন কক্সবাজার এবং সিলেট এলাকায় মনোরঞ্জনের জন্য ভ্রমন করে।

গেল বছর আগস্ট মাসে ঢাকা সদরঘাট এলাকায় ৩ লাখ টাকা কাবিনে তাদের বিয়ে হয়। এর পূর্বে জামাল আরো দুটি বিয়ে করে, এটি তার তৃতীয় বিয়ে। রূপালী পূর্বে চারটি বিয়ে করেছে, এটি তার পঞ্চম বিয়ে। বিয়ের পর জামাল রূপালীর বাবার বাড়িতে একমাস ঘর সংসার করে। পারিবারিক কলহ ও জামালের উদ্ধতপূর্ণ আচরণের কারণে রূপালী স্বামীকে সন্দেহ করে। জামাল দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করে এবং তার নিকট টাকা পয়সা পাঠায়। এটিকে কেন্দ্র করে উভয়ই তুমুল ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে রূপালী উক্ত বিষয়ে স্থানীয় লোকজনদের নিকট বিচার দাবী করে। গত ১৮ জুন জামাল রূপালীর ঘরে থাকা ১১ ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালংকার ও নগদ ৩৬ হাজার টাকা নিয়া নারায়নগঞ্জ চলে যায়।

গত ২৫ জুন রূপালী তার আত্মীয় স্বজন ও লোকজনের মাধ্যমে জামালকে তার বাড়িতে ধরে নিয়ে আসে এবং স্বর্ণালংকার ফেরৎ দেয়। কিন্তু নগদ টাকা ফেরৎ দেয়নি। টাকা ফেরৎ না দিলে জামালসহ তার পরিবারের লোকজনদের বিরুদ্ধে মামলা দিবে বলে হুমকি দেয়। রূপালী চার দিন জামালকে কোন খাবার দেয়নি এবং তাকে মারধর করে।

সর্বশেষ ৭ জুলাই রূপালী জামালের কাছে পুনরায় টাকা ফেরৎ চাইলে তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে এবং রূপালী জামালাকে কোরআন শরীফ দিয়ে আঘাত করে। ঘটনার দিন ১১ জুলাই রাত আনুমানিক ২টার দিকে জামাল রূপালীর কাছে ক্ষমা চায় এবং উভয়ে শুয়ে পড়ে। রূপালী ঘুমিয়ে পড়লে রাত সাড়ে ৩টার দিকে জামাল ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে রূপালীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় ও মাথায় দুটি কোপ মারলে তার দেহ নিস্তেজ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তার দেহ টেনে তাদের ব্যবহৃত টয়লেটের ট্যাংকির কাছে নিয়ে রাখে। ফাতেমার মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য সে তার মাথায়, মুখমন্ডলে, ঘাঁড়ে ও গলায় এলোপাতাড়ি একাধিক কোপ মারে। ফাতেমার মৃত্যু নিশ্চিত করার পর তার মৃত দেহটি টয়লেটের ট্যাংকির ভিতরে ফেলে দেয়।

ওই দিন ভোরে কোন কিছু বুঝে উঠার আগে জামাল কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় ওইদিনই রূপালীর ছেলে টিপু পাটওয়ারী জামালকে আসামী করে মতলব দক্ষিণ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।

পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, মামলা হওয়ার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. লুৎফুর রহমানের তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ দল গঠন হয়। পুলিশ জামাল গাজীকে নারায়নগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, পটুয়াখালী, ঝিনাইদহ জেলা অনুসরণ করে একাধিক গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করে। সর্বশেষ কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার বৃত্তিপাড়া বাজার এলাকা হতে ২০ জুলাই দুপুরে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী তার স্ত্রী হত্যার কথা শিকার করেন। তাকে দুপুরে চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

শাহরাস্তিতে মাদক ও স্বৈরাচার বিরোধী আলোচনা সভা

মোঃ সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ণ
শাহরাস্তিতে মাদক ও স্বৈরাচার বিরোধী আলোচনা সভা

মাদকের বিষয়ে শাহরাস্তি উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো একটি প্রতিবাদী আলোচনা সভা ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মাদক ব্যবসায়ী ও স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।

আলোচনা সভায় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বিল্লাল শিকদারের সভাপতিত্ব ও টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবদলের নেতা মো. মমিন শিকদার (লিটন মাস্টার) এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের ব্রাঞ্চ অফিসার মনির হাওলাদার।

এছাড়াও অন্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকশামীম আহমেদ, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বিল্লাহ হোসেন শিকদার, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেরাজুন নবী (রাজু), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল প্রিন্স, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম (মানিক), সৌদি আরবের রিয়াদ শাখার বিএনপির সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদিন, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক দিদার হোসেন মজুমদার।

সভায়বক্তারা মাদকের ভয়াবহতা এবং সমাজে এর বিস্তার রোধে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্সের ওপর জোর দেন এবং এই সামাজিক ব্যাধি থেকে যুবসমাজকে রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

আলোচনা সভা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। যা স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এই আয়োজনের মাধ্যমে এলাকার মাদক নির্মূল ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় এক নতুন বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

শাহরাস্তিতে ​মহিলা মাদরাসার কমিটির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

মো. সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ
শাহরাস্তিতে ​মহিলা মাদরাসার কমিটির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

শাহরাস্তিতে বলশিদ মহিলা মডেল আলিম মাদরাসার নতুন কমিটি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামকে সভাপতি করার পর থেকেই এই বিতর্ক শুরু হয়। তার পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে কমিটির তিনজন সদস্য পদত্যাগও করেছেন।

​স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদরাসার কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াটি ছিল অস্বচ্ছ ও গোপনে। তারা বলছেন, মাদরাসার নাম তিনবার পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রথমে “ফজিলতের নেছা মহিলা মাদরাসা”, পরে “শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা মাদরাসা” এবং এখন “বলশিদ মডেল মহিলা আলিম মাদরাসা” নাম রাখা হয়েছে। যদিও মাদরাসার ফটকে এখনও আগের নামফলকই ঝুলছে। ​এছাড়াও সভাপতি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে আরও কিছু গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

​তিনি একসাথে একাধিক মাদরাসার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। ​তার স্ত্রী নাজমা বেগম মাদরাসার অফিস সহকারী হলেও তিনি নাকি বাড়িতে বসেই হাজিরা খাতায় সই করেন। ​তাদের পরিবারের আরও পাঁচজন সদস্য মাদরাসার বিভিন্ন পদে চাকরি করছেন।

অভিভাবক সদস্য খোরশেদ আলম জানান, “আমার দুই মেয়ে এখানে পড়ে। আমাকে হঠাৎ ডেকে অভিভাবক সদস্য হিসেবে সই করতে বলা হয়। এটা একটা কৌশল ছিল বুঝতে পেরে আমি পদত্যাগ করেছি।”

​ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন বলেন, “গোপনে অসৎ উদ্দেশ্যে এই কমিটি করা হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানতাম না।”

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন জানান, অধ্যক্ষের কক্ষের চাবি ও কমিটির সব নথিপত্র সভাপতির কাছেই থাকে।

​সভাপতি আমিনুল ইসলাম সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “মাদরাসার নাম দুইবার পরিবর্তন হয়েছে, তিনবার নয়। অন্য প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হয়েও এখানে সভাপতি হওয়া নিয়মসিদ্ধ। যারা পদত্যাগ করেছেন, সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।”

​উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিয়া হোসেন জানিয়েছেন, “কমিটি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”

স্থানীয়দের দাবি, এই বিতর্কিত কমিটি বাতিল করে একটি স্বচ্ছ কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে যদি সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সুপার মনিরুজ্জামানকে অপসারণ করা না হয়, তাহলে তারা আরও কঠোর আন্দোলন করবেন।

এলাকাবাসীর সর্বস্তরের জনগণের অংশ গ্রহনে  মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন,ওই সময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় এলাকাবাসী সৈয়দ আহমেদ দুলাল, কামরুল আহসান মজুমদার, মমতাজ উদ্দিন ভূঁইয়া, শাহ আলম খান, বাবুল হোসেন পাটোয়ারী, গিয়াস উদ্দিন মিয়াজী, লিপন, মনির হোসেন, রুহুল আমিন পাটোয়ারী, কিরণ মুন্সি, মোশারেফ মেম্বার, হেলাল মুন্সী, সাগরসহ বহু অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায় শিশুসহ মা ও মেয়ে আহত

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:৩০ অপরাহ্ণ
লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায় শিশুসহ মা ও মেয়ে আহত

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের মাঝি বাড়িতে পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় বসত ঘর ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়ও প্রতিপক্ষের হামলায় শিশু সহ মা ও মেয়ে আহত হয়েছে। এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ঘটনার বিবরনে ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের মাঝি বাড়ির দুলাল গংদের সাথে শাহানারা বেগমের সাথে সম্পত্তিগত ও পারিবারিক ভাবে বিরোধ চলে আসছে। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুলাল, সানু (৫০) ও তাদের ৩ মেয়ে বিথী, রিমা, সাবিনা জোরপূর্বক শাহানারা বেগমের বসত ঘরে প্রবেশ করে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় শাহানারা বেগম, তার মেয়ে জান্নাত আক্তার ও নাতনি ১০ বছরের শিশু উম্মে আইমান গুরুতর আহত হয়। এছাড়াও হামলাকারীরা তাদের বসত ঘর সহ ভিতরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। শাহানারা বেগমদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা চলে যায়। পরে উপস্থিত লোকজন শাহানারা বেগম সহ আহতদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। শাহানারা বেগম ও নাতিন উম্মে আইমানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এবং জান্নাত আক্তারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি দেন।

জান্নাত আক্তার বলেন, তাদের সাথে আগে থেকেই পারিবারিক বিষয় নিয়ে একটু দ্বন্দ ছিলো। তারা প্রতিনিয়ত আমাদেরকে প্রাণে মারার হুমকি দিত এবং নুন থেকে চুন ঘষলেই তারা আমাকে ও আমার মাকে মারতে আসতো। রবিবার আমি ঘরে বসে আমার মামাতো বোনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতেছি, এ সময় আমাদের ঘরের পাশ দিয়ে রিমা যাওয়ার সময় কি শুনে তার বাবা মা ও বোনদেরকে নিয়ে এসে আমাদেরকে মারধর করে এবং গালিগালাজ করতে থাকে।

শাহানারা বেগমের ছেলে অলিউল্লাহ বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না। যখনই আমি বাড়ি থেকে সরে যাই তখনই তারা আমার মাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয়। আমার বোন স্বামীর বাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসছে, তাদের উপর এভাবে হামলা করেছে এবং পরবর্তীতে আমার বোন ও আমি বাড়িতে না থাকলে আমার মাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আমাদের অপরাধ আমরা তাদের বংশের না এবং স্থানীয় না, আমরা মামার বাড়িতে থাকি এজন্য আমরা বাড়ি থেকে সরে যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয়। তাই আমি প্রশাসনের কাছে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসীদের শাস্তির আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার চাই।

শাহানারা বেগমের ছেলে অলিউল্লাহ বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় দুলাল, সানু, বিথী, রিমা, সাবিনাকে বিবাদী কের একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ বাহার মিয়া বলেন, বিষয়টি জেনেছি, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখতেছি।