খুঁজুন
শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২১ ভাদ্র, ১৪৩২

মতলব উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাড. ফজলুল হক সরকারের মাগফিরাত কামনায় দোয়া

আলআমীন পারভেজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৩ মে, ২০২৫, ৭:২৪ অপরাহ্ণ
মতলব উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাড. ফজলুল হক সরকারের মাগফিরাত কামনায় দোয়া

চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ‘ব্রাহ্মণচক গ্রিন ইউনিটি’ এর আয়োজনে নারায়ণগঞ্জ বিবি রোড ‘হোয়াইট হাউস রেস্টুরেন্ট’ এ মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা অবিভক্ত মতলব উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট ফজলুল হক সরকার হান্নান এর স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার ২ মে জুম্মার পরে নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া বঙ্গবন্ধু রোড হোয়াইট হাউস রেস্টুরেন্টে মতলব উত্তরের ব্রাহ্মণচক গ্রামের প্রায় একশো জনের উপস্থিতিতে এই দোয়া ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথমে হোয়াইট হাউস রেস্টুরেন্টের কর্ণধার মোঃ কাউসার আলমের কুরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠান শুরু হয়।

পরে ব্রাহ্মণচক গ্রামের কৃতি সন্তানেরা একেকজন একেক জায়গায় থাকায় সকলে এক-এক করে সবাই সবার সাথে পরিচয় পর্ব শেষ করেন।

মরহুম এ্যাডভোকেট ফজলুল হক সরকার হান্নান এর বড় ছেলে মেহেদী হাসান সবুজ এবং ছোট ছেলে মাহমুদুল হাসান সম্রাট তার বাবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মরহুম এ্যাডভোকেট ফজলুল হক সরকার হান্নান এর ভাতিজা মমিনুর রহমান মোহন, ভাগিনা আবু বকর সিদ্দিক, কাউসার আলম, পূর্বান ঢালী, ওহেদুল ইসলাম, কবির সরকার, ফ্রেন্ডস ৯৫ এর ট্রেজারার মোঃ ইউসুফ আলী ও দুলাল মেম্বার সহ ব্রাহ্মণচক গ্রামের আরও অনেকে।

আলোচনায় সকলে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং বলেন, আল্লাহ যেন এ্যাডভোকেট ফজলুল হক সরকার হান্নান কে জান্নাতুল ফেরদাউসের উচ্চ মর্যাদা দান করেন।

পরিশেষে, মরহুম এ্যাডভোকেট ফজলুল হক সরকার হান্নান এর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া, মাহফিল ও মোনাজাত করা হয়। হোয়াইট হাউস রেস্টুরেন্টে সকলের মধ্যাহ্নভোজের মাধ্যমে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠান শেষ হয়।

চবি শিক্ষার্থী মামুনের খুলি ফ্রিজে সংরক্ষণ, ব্যান্ডেজে লেখা ‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না’

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৭:২০ অপরাহ্ণ
চবি শিক্ষার্থী মামুনের খুলি ফ্রিজে সংরক্ষণ, ব্যান্ডেজে লেখা ‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মামুন মিয়া স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে টানা চার দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত বুধবার তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সংঘর্ষে দেশীয় ধারালো অস্ত্রের কোপে তার মাথায় মারাত্মক জখম হয়। অপারেশনে তার মাথা থেকে ১৩টি হাড়ের টুকরো বের করা হয়। বর্তমানে তার মাথার খুলি ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, সুস্থ হয়ে উঠলে প্রায় দুই মাস পর খুলিটি পুনরায় প্রতিস্থাপন করা হবে।

এদিকে তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিতে দেখা যায়, আহত মামুনের মাথায় ব্যান্ডেজ। সেখানে লেখা, ‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না’। তার মাথার কিছু অংশে খুলি না থাকায় সতর্কতার স্বার্থে এটি লেখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে গত রবিবার সংঘর্ষে স্থানীয় বাসিন্দাদের দেশীয় অস্ত্রের কোপে মামুনের মাথায় মারাত্মকভাবে জখম হয়। পরে অপারেশন করে তার মাথা থেকে ১৩ টুকরো হাড় বের করা হয়েছে। তার খুলি এখন ফ্রিজে সংরক্ষিত রয়েছে বলে জানা গেছে। সুস্থ হয়ে উঠলে দুই মাস পর মামুনের মাথার খুলি লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এছাড়া তার নাকে ও মুখে রক্তক্ষরণের পাশাপাশি কানের পর্দা ফেটে গেছে।

মামুনের বন্ধু রাসেল রানা বলেন, ওর অবস্থা বর্তমানে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। কেবিনে শিফট করা হয়েছে। ইশারার মাধ্যমে কথা বলার চেষ্টা করছে। ওর মাথার হাড় ভেঙে ভেতরে টুকরা টুকরো হয়ে গিয়েছিল। ভেতরে রক্ত জমাট বেঁধেছিল। এজন্য মাথার পেছনে ব্রেইনের অংশে অপারেশন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, খুলি পুনরায় লাগাতে ডাক্তার সাধারণত দুই মাস সময় চেয়েছেন। পরিস্থিতি ভালো হলে এক মাসের মধ্যে লাগানো যাবে। যদি অবনতি হয় তাহলে আরও বেশি সময় লাগতে পারে। তবে বর্তমানে সে শঙ্কামুক্ত আছে।

এ বিষয়ে চবির সমাজতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, গত ৩১ আগস্ট প্রায় চার ঘণ্টা ধরে মামুনের অপারেশন করা হয়। অপারেশনে মামুনের মাথা থেকে ১৩ টুকরো হাড় বের করা হয়েছে। তার খুলি এখন ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। তাকে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার ফলে ব্রেইনের ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়েছে।

পার্কভিউ হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) জিয়াউদ্দিন বলেন, মামুন মোটামুটি ভালো আছে। তার সেন্সও ফিরে আসছে। এখন কেবিনে তার চিকিৎসা চলছে। মাথার ব্রেনের অংশে অপারেশন করায় আপাতত খুলি খুলে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এ অবস্থায় তার মাথায় হাড় নেই। এক-দুই মাস পর অথবা অবস্থা অনুযায়ী খুলি আবার লাগানো হবে। সায়েমের অবস্থা এখন আশঙ্কাজনকই বলা যায়।

তিনি আরও বলেন, গতকাল মেডিকেল বোর্ড বসেছিল। এখন আবার অপারেশন করতে হতে পারে, অথবা নরমাল চিকিৎসা যেভাবে চলছে, এভাবে চালিয়ে অপেক্ষা করতে হবে।

গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে গতকাল বিকাল ৪টা পর্যন্ত দফায় দফায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

শ্রেণিকক্ষে স্মার্টফোন নিষিদ্ধের দাবি জোরালো হচ্ছে

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:৫৮ অপরাহ্ণ
শ্রেণিকক্ষে স্মার্টফোন নিষিদ্ধের দাবি জোরালো হচ্ছে

শিক্ষার্থীদের মনোযোগ নষ্ট হওয়া থেকে শুরু করে পড়াশোনার ক্ষতি—এমন নানা যুক্তিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্কুলগুলোতে স্মার্টফোন নিষিদ্ধের দাবি ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষার পাশাপাশি অলসতা ও বিভ্রান্তির নতুন পথ খুলে দিয়েছে বলেও অভিভাবক ও শিক্ষকেরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

গত ২৭ আগস্ট দক্ষিণ কোরিয়া শ্রেণিকক্ষে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করার আইন পাস করেছে। এর আগে চীন, ফিনল্যান্ডসহ একাধিক দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বহু অঙ্গরাজ্যও বিভিন্ন মাত্রায় এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটি স্রেফ প্রযুক্তিবিরোধী মনোভাব নয়। শিশু-কিশোররা সবসময় নিজেদের কল্যাণের বিষয়ে সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। ফলে গণিত বা অন্যান্য পাঠে ফোন সরিয়ে রাখলেও প্রযুক্তি শেখার সুযোগ নষ্ট হবে না; শ্রেণিকক্ষের বাইরে ও নির্দিষ্ট পাঠে তারা যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জন করে।

ভারতের এক সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, শ্রেণিকক্ষে ফোন নিষিদ্ধ করলে ফলাফলে সামান্য হলেও উন্নতি হয়। তিন বছর ধরে ১৭ হাজার উচ্চশিক্ষার শিক্ষার্থীকে নিয়ে করা ওই ‘র‌্যান্ডমাইজড কন্ট্রোল্ড ট্রায়াল’-এ দেখা যায়, সবচেয়ে দুর্বল শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছে।

ইংল্যান্ড ও স্পেনের গবেষণাতেও একই ধরনের ফল মিলেছে, যদিও সুইডেনের এক গবেষণা ভিন্ন চিত্র দেখিয়েছে।

শিক্ষাবিদেরা মনে করছেন, পরীক্ষার ফলাফল উন্নতির পাশাপাশি ফোনের ব্যবহার সীমিত করলে শিক্ষার্থীদের সামাজিক চাপও কমে আসে।

গবেষণায় দেখা গেছে, একসময় শিক্ষার্থীরাই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছে। কারণ, সবাই যখন ফোন ব্যবহার করে, তখন আলাদা হয়ে পড়াশোনায় মনোযোগী হতে গেলে তারা সামাজিকভাবে বঞ্চিত বোধ করে। কিন্তু সমষ্টিগতভাবে ফোন সরিয়ে দিলে আর কিছু মিস করার থাকে না।

বিশ্বজুড়ে যখন শিক্ষার মানোন্নয়ন নানা চ্যালেঞ্জের মুখে, তখন শ্রেণিকক্ষে স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রণকে তুলনামূলক সহজ সমাধান হিসেবে দেখছেন নীতিনির্ধারকেরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদেরই ক্ষতি হবে। এক সময় হয়তো তারাই স্কুলের এই সিদ্ধান্তের জন্য কৃতজ্ঞ থাকবে।

দুর্গাপূজায় ৫০০ কেজি করে চাল পাবে ৩৩ হাজার মণ্ডপ

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:২৩ অপরাহ্ণ
দুর্গাপূজায় ৫০০ কেজি করে চাল পাবে ৩৩ হাজার মণ্ডপ

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের ৬৪ জেলায় ৩২ হাজার ৯৯০টি পূজামণ্ডপে বিতরণের জন্য ১৬ হাজার ৪৯৬ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। প্রতিটি মণ্ডপ ৫০০ কেজি হারে চাল পাচ্ছে।

বুধবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে চালের বরাদ্দপত্র জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর।

বরাদ্দপত্রে বলা হয়েছে, শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব উদযাপনের লক্ষ্যে দেশের ৬৪টি জেলার ৩২ হাজার ৯৯০টি পূজামণ্ডপে আগত ভক্তদের আহার্য বাবদ বিতরণের জন্য মণ্ডপ প্রতি ৫০০ কেজি হারে মোট ১৬ হাজার ৪৯৫ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হলো।

এতে আরও বলা হয়, জেলা প্রশাসক তার জেলার পূজামণ্ডপের সংখ্যা, আকার, ব্যাপকতা, আর্থিক সামর্থ্য/স্বচ্ছলতা/দারিদ্রতা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়াবলী বিবেচনা করে উপজেলাওয়ারী চাল উপ-বরাদ্দ করবেন। মণ্ডপ/মন্দিরের সংখ্যা কম হলে অতিরিক্ত চাল মজুত রেখে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরকে জানাবেন এবং নিরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় হিসাব সংরক্ষণ করবেন।