খুঁজুন
শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার অঙ্গীকার পাকিস্তানের

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৩৪ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার অঙ্গীকার পাকিস্তানের

দীর্ঘ ১৫ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ষষ্ঠ পররাষ্ট্রসচিব-স্তরের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকায়। আর ‘অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ’ এই বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের দৃঢ় সংকল্প প্রতিফলিত হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকের বিষয়ে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব কথা বলেছে। আর শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচের নেতৃত্বে ঢাকায় ষষ্ঠ পররাষ্ট্রসচিব-স্তরের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। আলোচনায় দুই দেশ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও কৌশলগত সহযোগিতাসহ নানা বিষয়ে ব্যাপক মতবিনিময় হয়। পাশাপাশি দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, সাংস্কৃতিক বন্ধন ও জনগণের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হয়।

বৈঠকে নিউইয়র্ক, কায়রো, সামোয়া ও জেদ্দায় সম্প্রতি দুই পক্ষের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের যোগাযোগ নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। ওই সব যোগাযোগ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে বলে উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উভয় দেশ দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলো দ্রুত চূড়ান্তকরণ, নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক সংলাপ এবং বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা ও সংযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। পাকিস্তান তাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ মৎস্য ও সামুদ্রিক বিষয়ে কারিগরি প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছে। পাকিস্তানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির প্রস্তাবে বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছে ও শিক্ষা খাতে আরও গভীর সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সংযোগকে অগ্রাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ওই বৈঠকে দুই পক্ষ করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে সরাসরি নৌযান চলাচল শুরুর বিষয়টিকে স্বাগত জানায়। সেই সঙ্গে উভই পক্ষই আবার আকাশপথে সরাসরি যোগাযোগ চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করে। তাছাড়া ভ্রমণ ও ভিসা সহজীকরণে অগ্রগতির প্রতিও উভয় পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

ক্রীড়া, গণমাধ্যম ও সংস্কৃতিতে বড় পরিসরে সহায়তায় বিভিন্ন সমঝোতা স্মারক নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বৈঠকে উভয় দেশ সার্কের কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করার পক্ষে মত দিয়েছে। এ সময় কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুসারে শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দিয়েছে পাকিস্তান। এছাড়া বৈঠকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও সেখানে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানানো হয়েছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তার সঙ্গে বৈঠকে আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে বাহ্যিক চাপমুক্ত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। শিগগিরই পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মদ ইসহাক দারের বাংলাদেশ সফরের প্রত্যাশার কথা জানানো হয়।

সবশেষে পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানান। দুই দেশের মধ্যে পরবর্তী বৈঠক ২০২৬ সালে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে।

গাজার অবস্থা নরকের চেয়েও খারাপ: রেড ক্রস প্রেসিডেন্ট

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৯:০৭ অপরাহ্ণ
গাজার অবস্থা নরকের চেয়েও খারাপ: রেড ক্রস প্রেসিডেন্ট

ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্যা রেড ক্রস (আইসিআরসি) এর প্রেসিডেন্ট মিরিয়ানা স্পোলয়ারিচ বলেছেন, গাজার অবস্থা নরকের চেয়েও খারাপ হয়ে পড়েছে।

জেনেভায় সংস্থাটির সদর দপ্তরে তিনি বলেন, মানবিকতা ব্যর্থ হচ্ছে। রাষ্ট্রগুলো যুদ্ধ বন্ধ করতে, ফিলিস্তিনের দুর্ভোগের অবসান করতে এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করতে যথেষ্ট করছে না।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের মানবিক মর্যাদা হরণ করা হয়েছে এবং মানবিক কার্যক্রম বিষয়ক আন্তর্জাতিক আইনগুলোকে নাই করে দেওয়া হচ্ছে।

আইসিআরসি এমন একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন যারা যুদ্ধ এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করে। গাজায় তাদের ১৩০ জন কর্মী আছে, যাদের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনি।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে সার্জিক্যাল হাসপাতাল পরিচালনা করে সংস্থাটি। সম্প্রতি এই হাসপাতালের কাছে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, গতকাল সকালে হাসপাতালে ১৮৪ জনকে আনা হয়েছে যার মধ্যে ১৯ জন ছিলেন মৃত। আরও আটজন পরে মারা গেছেন।

আইসিআরসি সাধারণভাবে রেড ক্রস হিসেবে পরিচিত। তাদের জেনেভা কনভেনশনের তত্ত্বাবধায়ক মনে করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য এটি করা হয়েছে।

মিরিয়ানা স্পোলয়ারিচ বলছেন, যুদ্ধের নিয়ম আছে এবং সেটি সব পক্ষের জন্য প্রযোজ্য।

সূত্র: বিবিসি

হাজীগঞ্জ সুন্নিয়া হাফিজিয়া নূরানী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মেধা পুরষ্কার প্রদান

মোঃ ইউসুফ বেপারী
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৮:৫৬ অপরাহ্ণ
হাজীগঞ্জ সুন্নিয়া হাফিজিয়া নূরানী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মেধা পুরষ্কার প্রদান

হাজীগঞ্জ সুন্নীয়া হাফিজিয়া নূরানী দাখিল মাদ্রাসা ও উম্মে হানি সুন্নীয়া হাফিজিয়া নূরানী মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সবক, মেধা পুরষ্কার ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার সকালে হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজার মিঠানিয়া ব্রিজের পূর্ব পাশে অবস্থিত মাদ্রাসার হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাওলানা জুনায়েদ হোসেন আল ক্বাদেরী।

অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মো. আল আমিনের সঞ্চালনায় কোরআন শরীফ প্রতিযোগিতা, কোরআন শরীফ বাংলায় অনুবাদ ও ইংরেজিতে অনুবাদ ও বক্তব্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর শ্রেণিকক্ষের পরিক্ষায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হওয়া শিক্ষার্থীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা।

উক্ত অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার আলিয়া শাখার প্রধান শিক্ষক মাওলানা মো. আমান উল্ল্যাহ সহ মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

দারুল কুরআন আন্তর্জাতিক হিফজ্ মাদ্রাসায় অভিভাবক সমাবেশ ও পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা

মোঃ ইউসুফ বেপারী
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৮:৪৯ অপরাহ্ণ
দারুল কুরআন আন্তর্জাতিক হিফজ্ মাদ্রাসায় অভিভাবক সমাবেশ ও পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা

হাজীগঞ্জ উপজেলার মডেল টাউনে অবস্থিত দারুল কুরআন আন্তর্জাতিক হিফজ্ মাদ্রাসায় অভিভাবক সমাবেশ, হিফজ্ ছাত্রদের সবক প্রদান ও বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার সকালে মাদ্রাসার হলরুমে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মাওলানা শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ক্বারি ও ইসলামী ব্যক্তিত্ব হাফেজ মাওলানা কারী আহসান উল্লাহ সৌরভ এবং হাফেজ কারী ইউসুফ আদনান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাফেজ কারী আহসান উল্লাহ সৌরভ বলেন, পবিত্র কুরআনের হিফজ করা শুধু একজন ছাত্রের নয়, বরং একটি পরিবার, সমাজ এবং জাতির জন্য বড় গর্বের বিষয়। এ ধরনের আয়োজন ছাত্রদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং দ্বীনি শিক্ষায় আরও মনোনিবেশ করতে সহায়তা করে।

তিনি আরও বলেন, হিফজে কুরআন শুধু মুখস্থ করলেই যথেষ্ট নয়, এর শিক্ষাকে অন্তরে ধারণ করাই প্রকৃত সফলতা।

বক্তব্য শেষে মাদ্রাসার ১০ জন হিফজ্ শিক্ষার্থীকে সবক প্রদান করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা এবং কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা ক্বারী নোমান, হাফেজ মাওলানা নাঈম হোসেন, হাফেজ মাওলা ওমর ফারুক, হাফেজ মহিন উদ্দিন ও হাফেজ নাঈম।

সবশেষে সফল শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও মাদ্রাসার পক্ষ থেকে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সাফল্য এবং ইসলামী শিক্ষা বিস্তারের জন্য প্রার্থনা করা হয়।