খুঁজুন
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৮ ভাদ্র, ১৪৩২

সারাদেশে রেলপথ ব্লকেডের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:১৩ অপরাহ্ণ
সারাদেশে রেলপথ ব্লকেডের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা ও গুলি ছোড়ার প্রতিবাদ এবং ছয়দফা দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে এবার ঢাকাসহ সারাদেশে রেলপথ ব্লকেডের ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তারা অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।

বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা মোড়ে দিনভর অবস্থান কর্মসূচি শেষে এ ঘোষণা দেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি জুবায়ের পাটোয়ারী।

তিনি বলেন, দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার আমরা সারাদেশে অসহযোগ আন্দোলন করবো। সেই সঙ্গে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে রেলপথ ব্লকেড করা হবে।

কখন থেকে এবং কোথায় এ কর্মসূচি করা হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে শিক্ষার্থীরা জানান, সময় ও স্থানসহ তাদের কর্মসূচির বিস্তারিত ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ’ নামের ফেসবুক পেজে জানানো হবে।

কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রতিনিধি জুবায়ের পাটোয়ারী বলেন, দিনভর আমরা ঢাকাসহ সারাদেশে সড়ক অবরোধ করেছি। আজকে মানুষের যে ভোগান্তি, সেটাই সামনে আসছে; সমালোচনা হচ্ছে। কিন্তু যৌক্তিক দাবি নিয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছি, অথচ আমাদের ভাইদের গুলি করা হয়েছে; রক্ত ঝরেছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর যদি কোনো ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা গুলি খেয়ে থাকে, সেটা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটেও প্রিন্সিপালের নির্দেশে হামলা করা হয়েছে। সরকার আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা প্রিন্সিপালকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছি। অথচ সরকার সারা দিনেও একজন প্রিন্সিপালকে সরাতে পারেনি। একজন প্রিন্সিপালকে সরাতে সারাদিন লাগলে তারা দেশ চালাবেন কীভাবে?
জুবায়ের পাটোয়ারি বলেন, দেশের উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অনেক। আমরা সরকারকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আমাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবেন না। যদি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেন, তাহলে সামাল দিতে পারবেন না। দাবি আদায় করেই আমরা রাজপথ ছাড়বো।

বুধবার সকালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সাতরাস্তা মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। ঢাকার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সারাদেশে জেলায় জেলায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

বিকেলে সাতরাস্তা মোড়ে যান কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শোয়াইব আহমাদ খান। তিনি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে পদোন্নতিতে ‘ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের’ কোনো কোটা রাখা হবে না বলেও জানান।

ডিজি ও অধ্যক্ষের আশ্বাসের পরও সাতরাস্তা মোড়ে অবস্থান অব্যাহত রাখেন শিক্ষার্থীরা। তারা দাবি করেন, প্রত্যেকটি দাবি পূরণে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা লিখিতভাবে জানাতে হবে। সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা বাস্তবায়নের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।

তবে আশ্বাস দেওয়ার পরও শিক্ষার্থীরা রাস্তা না ছাড়ায় কারিগরি অধিদপ্তরের ডিজি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষের কার্যালয়ে চলে যান। সন্ধ্যার দিকে সেখান থেকে কর্মকর্তারা ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান।

বিকেলে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড.খ.ম কবিরুল ইসলাম বলেন, ছয় দফা দাবির মধ্যে পদোন্নতিতে (জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে) ৩০ শতাংশ কোটা (ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের) রয়েছে বা আদালতের নির্দেশনা আছে বলে ওরা বলছে, এটা সত্য নয়। তারা ভুল তথ্যের ওপর আন্দোলন করছেন। আমরা বলেছি, ওখানে ৩০ শতাংশ কোটা থাকবে না। তাহলে তো হয়ে গেলো।

‘আরেকটা দাবি আছে, যেখানে ওরা বলছে-কারিগরির বাইরের সবাইকে সরিয়ে দিতে হবে। ওটা তো হুট করে সম্ভব নয়। এটা ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন হবে। ওই পথ চলাটা আমরা শুরু করে দিয়ে যাবো।’

বাকি চারটি দাবি পূরণে কাজ শুরু হয়ে গেছে জানিয়ে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব বলেন, ‘বাকি যেগুলো আছে, সেগুলো নিয়ে কাজ শুরু হয়ে গেছে। ওরা তো নিজের ভালো-মন্দ খুব বেশি বোঝে না। ওদের জন্য আরও বড় বড় কাজ করছি আমরা। যে কাজগুলো হাতে নেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়ন হলে দেশের কারিগরি শিক্ষা অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে।’

শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি-
১. জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

২. জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক) পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক ডিপ্লোমা প্রকৌশল ডিগ্রি থাকতে হবে।

৩. ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরসহ দেশের কারিগরি সব পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিতে হবে।

৪. কারিগরি (পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদের জন্য) সব বিভাগীয় শহরগুলোতে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে।

৫. কারিগরি শিক্ষা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কারিগরি শিক্ষা চালু ও শিক্ষক পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের চাকরির আবেদনের সুযোগ বাস্তবায়ন করতে হবে।

৬. ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য প্রাইভেট সেক্টরে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দিতে হবে।

আহ্বায়ক মাহাবুব সদস্য সচিব শাহাদাত

রামপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন

জাহাঙ্গীর আলম রাজু
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১:৩৯ পূর্বাহ্ণ
রামপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন

নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক মো. মাহাবুব আলম ও সদস্য সচিব মো. শাহাদাত হোসেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. আবু হানিফ কাকন ও সদস্য সচিব পীরজাদা মো. জুনায়েদ উল্যাহ খান স্বাক্ষরিত সংগঠনের ফেইডে মো. মাহাবুব আলমকে আহ্বায়ক ও মো. শাহাদাত হোসেনকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট এ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটির অন্যান্যরা হলো সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তোফায়েল আহমেদ তোহা, যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন মিজি, বিল্লাল হোসেন পাটওয়ারী, মো. রাশেদুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম সুজন, সম্মানিত সদস্য জহিরুল ইসলাম জহির, আরিফ হোসেন মোল্লা, মো. ইমরান হোসেন, মো. আল আমিন, খোরশেদ আলম, মো. আরিফ মুন্সি, মো. নূরুল্লাহ রুবেল, মো. হোসেন খলিফা, মো. মোশারফ হোসেন, মো. মাহবুব শেখ, শিমুল চন্দ্র দাস, মো. সুমন গাজী, মো. শাহাজান সর্দার, মো. বাবুল গাজী।

তাৎক্ষনিক এক বিবৃতিতে নবগঠিত আহ্বায়ক মো. মাহাবুব আলম ও সদস্য সচিব মো. শাহাদাত হোসেন কমিটির সবার পক্ষ থেকে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. আবু হানিফ কাকন ও সদস্য সচিব পীরজাদা মো. জুনায়েদ উল্যাহ খান সহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।

তারা জানান, এছাড়াও আমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক, হৃদয়ের অন্তস্থল ও অহংকার জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ভাইয়ের প্রতি। আমরা আমাদের ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সকল নেতৃবৃন্দ ও সমর্থক ভাইদের শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ভাইয়ের পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানাই।

শাহরাস্তির আনসার কর্মকর্তা তুলসী দেবনাথের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:০৭ অপরাহ্ণ
শাহরাস্তির আনসার কর্মকর্তা তুলসী দেবনাথের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তুলসী দেবনাথের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তর সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করেছে।

স্থানীয় আনসার-ভিডিপি সদস্যদের অভিযোগ অনুযায়ী, দীর্ঘ ৮–১০ বছর ধরে একই উপজেলায় কর্মরত থেকে তুলসী দেবনাথ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নানাভাবে আর্থিক অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডিউটির জন্য নিয়োগ দিতে জনপ্রতি ৫শ’ থেকে ১হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ, মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণে অংশ নিতে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা দাবি, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণে ২শ’ থেকে আড়াই হাজার টাকা উৎকোচ, দলনেতা-দলনেত্রীদের মাসিক ভাতা থেকে নিয়মিত টাকা কর্তন, এমনকি নির্বাচনকালীন সরকারি ভাতা বণ্টনেও ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

অভিযোগের ভিত্তিতে কুমিল্লা রেঞ্জ পরিচালক আশীষ কুমার ভট্টাচার্য ও ১৭ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক ফাতেমাতুজ জোহরার নেতৃত্বে তদন্ত পরিচালিত হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে তুলসী দেবনাথের বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতির অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।

এদিকে, দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় উত্তর ইউনিয়নের দলনেতা মো. মোস্তফা কামালকে ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে। দীর্ঘ ২০ বছরের কর্মজীবনে সততার সাথে দায়িত্বপালনকারী এ সদস্য ২০১৬ সালে “প্রেসিডেন্ট ভিডিপি সেবা পদক” অর্জন করেছিলেন।

তিনি অভিযোগ করেন, এটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক এবং দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় তাকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি পুনর্বহাল ও স্থগিত ভাতা চালুর দাবি জানিয়েছেন।

মোস্তফা কামাল সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে আবেদন দাখিল করে বহিষ্কার আদেশ বাতিল ও পুনঃবহালের অনুরোধ করেছেন।

তিনি তার আবেদনে উল্লেখ করেন, ২০০৪ সাল থেকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করলেও, উপজেলা আনসার কর্মকর্তা তুলসী দেবনাথ ও প্রশিক্ষক পিন্টু চন্দ্র দাসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণেই তাকে এবং আরও কয়েকজন দলনেতাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

তিনি জানান, তদন্তে মৌখিক ও লিখিতভাবে তথ্য-প্রমাণ দেওয়ার পরও উল্টো তার বিরুদ্ধে অসদাচরণের মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। জেলা ও রেঞ্জ পর্যায়ের কয়েক দফা তদন্তে অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়লেও শেষ পর্যন্ত যথাযথ ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

এতে শুধু তিনি নন, তার সঙ্গে দুইবার “প্রেসিডেন্ট আনসার সেবা পদক” অর্জন করা কোম্পানি কমান্ডার আব্দুস ছাত্তার ও পৌর দলনেতা মোজাম্মেল হোসেনকেও একই অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়।

মোস্তফা কামাল আরও বলেন, “আমি ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট ভিডিপি সেবা পদক পাই। অথচ জুলাই/২০২৪ থেকে আমার সম্মানী ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছি। সরকারের নিকট আমার একটাই আবেদন, বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে আমাকে পুনঃবহাল করা হোক।”

এদিকে গত ৭ সেপ্টেম্বর (রবিবার) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে এক গণমাধ্যমকর্মী পেশাগত দায়িত্ব পালনের পথে শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের ফরিদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত গ্রামভিত্তিক ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের প্রথম দিনে গিয়ে দেখেন ঘোষিত ৭০ জন প্রশিক্ষণার্থীর স্থলে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৪১ জন (৭ জন মেয়ে ও ৩৪ জন ছেলে)। এমনকি ওইদিন নতুন করে আরও ৪ জন ভর্তি হতে আসেন। পরে ১০ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে প্রশিক্ষণের চতুর্থ দিনে গণমাধ্যমকর্মীরা গিয়ে দেখেন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা আরও কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে (২৪ জন পুরুষ ও ১০ জন মহিলা)।

বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশিক্ষক তুলসী দেবনাথের কাছে জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, “এখন পর্যন্ত মোট ৫৫ জন ভর্তি হয়েছে। অন্যরা আশপাশে আছে, হয়তো পরবর্তী দিনে যোগ দেবে। প্রশিক্ষণে মোট ৭০ জন অংশ নেবে এবং প্রশিক্ষণ শেষে তাদের প্রত্যেককে সনদপত্র ও প্রতিদিন ১৫০ টাকা হারে মোট দেড় হাজার টাকা ভাতা প্রদান করা হবে, তবে ১০ টাকা কেটে রাখা হবে।

প্রশ্ন উঠেছে—যখন চতুর্থ দিনে উপস্থিত সদস্য সংখ্যা মাত্র ৩৪ জন, তখন অনুপস্থিত বাকিদের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ ছাড়াই কীভাবে ভাতা ও সনদ বিতরণ করা হবে? ভুক্তভোগী আনসার সদস্যরা মনে করেন, এটি আনসার কর্মকর্তার দুর্নীতির আরেকটি স্পষ্ট দৃষ্টান্ত।

স্থানীয় ভিডিপি সদস্যরা জানান, একজন দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা তুলসী দেবনাথ ও পিন্টু দাস এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু সদস্যদের ক্ষতিই করছে না, বরং পুরো বাহিনীর ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করছে। যারা অনিয়মের প্রতিবাদ করেন, তাদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হয়। ভুক্তভোগী সদস্যরা সরকারের কাছে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রকৃত কর্মঠ সদস্যদের মর্যাদা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে তুলসী দেবনাথকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, কিসের দুর্নীতি। আপনারা আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করুন।

শাহরাস্তিতে মাদক ও স্বৈরাচার বিরোধী আলোচনা সভা

মোঃ সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ণ
শাহরাস্তিতে মাদক ও স্বৈরাচার বিরোধী আলোচনা সভা

মাদকের বিষয়ে শাহরাস্তি উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো একটি প্রতিবাদী আলোচনা সভা ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মাদক ব্যবসায়ী ও স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।

আলোচনা সভায় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বিল্লাল শিকদারের সভাপতিত্ব ও টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবদলের নেতা মো. মমিন শিকদার (লিটন মাস্টার) এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের ব্রাঞ্চ অফিসার মনির হাওলাদার।

এছাড়াও অন্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকশামীম আহমেদ, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বিল্লাহ হোসেন শিকদার, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেরাজুন নবী (রাজু), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল প্রিন্স, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম (মানিক), সৌদি আরবের রিয়াদ শাখার বিএনপির সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদিন, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক দিদার হোসেন মজুমদার।

সভায়বক্তারা মাদকের ভয়াবহতা এবং সমাজে এর বিস্তার রোধে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্সের ওপর জোর দেন এবং এই সামাজিক ব্যাধি থেকে যুবসমাজকে রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

আলোচনা সভা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। যা স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এই আয়োজনের মাধ্যমে এলাকার মাদক নির্মূল ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় এক নতুন বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়।