খুঁজুন
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৬ ভাদ্র, ১৪৩২

‘ওসিকে বলেন আসতে, আমি মনজিল ভাইয়ের শ্যালক, আমি ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট’

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৭:৪৫ অপরাহ্ণ
‘ওসিকে বলেন আসতে, আমি মনজিল ভাইয়ের শ্যালক, আমি ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট’

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ঘটনা তদন্তে যাওয়া এক পুলিশ পরিদর্শককে হুমকি ধমকি দিয়ে লাঞ্ছিতকারী ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি শাওন কে বহিষ্কার করেছে দলটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরালের পর ওই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পরদিন দলটি থেকে এই বহিষ্কারাদেশের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিকালে এ বহিষ্কারের তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর জেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল।

তিনি জানান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদপুর জেলা শাখার অধীনস্থ ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৬ নং রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শাওন কাবীকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির আজ এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সাথে কোনরূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। যা প্রেস রিলিজের মাধ্যমে সবাইকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।

এর আগে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, শাওন কাবীকে শালীনভাবে পুলিশের এক এসআই একটি অভিযোগ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করে সদুত্তর না পেলে তাকে থানায় যেতে বলেন। এতে কাবী দাম্ভিকতার সাথে সেই এসআইকে বলেন, আমি যাবোনা, আপনার ওসি স্যাররে বলেন এখানে আসতে। আমি মনজিল ভাইয়ের শ্যালক (মনজিল হচ্ছেন ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক) ও ইউনিয়ন ছাত্র দলের প্রেসিডেন্ট। এসময় তিনি সবার উপস্থিতিতেই পুলিশকে বার বার শাসাতে থাকেন এবং দেখে নেয়ার হুমকি ধমকি দিতে থাকেন।

থানায় অভিযোগ দেয়া ভিক্টিম নুরে আলম বলেন, আমরা প্রাইভেটকার যোগে লক্ষীপুরের রায়পুর থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফরিদগঞ্জে আমার বোনের বাড়ি বেড়াতে যাচ্ছিলাম। সেখানে বর্ডার নামক স্থানে আমাদের গাড়ীর সামনে থাকা একটি লড়িকে আমরা ওভারটেক করার চেষ্টা করলে সামনে হঠাৎ ডানপাশে আরো একটি গাড়ী আসার কারনে আমাদের গাড়ী সামনে এগুতে পারছিলো না। এসময় আমাদের গাড়ীর পেছনে থাকা অন্য মোটরসাইকেল পেছনে পড়ে যায়। যে ব্যাপারে আমরা মোটেও অবগত ছিলাম না। পরে আমরা আমাদের মতো যখন ওখান থেকে চলে যাচ্ছিলাম। তখন হঠাৎ করেই গৃদকালিন্দিয়ার জোড় কবর নামক স্থানে এসে সেই বাইকযোগের আরোহীরা আমাদের গাড়ী গতিরোধ করে। এর এক পর্যায়ে ওদের কেউ খবর দিলে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে ওই শাওন নামের ছেলেটি ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলযোগে এসে আমাদের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু করে এবং এক পর্যায়ে দলবলসহ আমাদের মারধরসহ হেনস্তা করে গাড়ীর চাবিসহ টাকা পয়সা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করতে থাকে। পরে বাধ্য হয়ে নিরাপত্তা পেতে বিষয়টি আমরা থানা পুলিশকে অবগত করি এবং এর প্রেক্ষিতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে সে পুলিশের সাথেও দাম্ভিকতার সাথে বাকবিতন্ডা করে পুলিশ হেনস্তার চেষ্টা করে। যা ভিডিও করে আমাদের সাথেরই একজন। তা আমরা সামাজিক মাধ্যমে ছাড়ার পরই বিষয়টি সবার সামনে আসে এবং তার শাস্তির দাবী উঠে।

এদিকে ঘটনাস্থলে যাওয়া হেনস্তার স্বীকার হওয়া চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার এসআই খোকন চন্দ্র দাশ বলেন, নুরে আলম নামে এক ব্যক্তি প্রাইভেটকারযোগে রায়পুর থেকে ফরিদগঞ্জে আসছিলো। পথে বর্ডার নামক স্থানে প্রাইভেটকারের পেছনে মোটরসাইকেলে দুইজন পড়ে আহত হয়। এতে সামনের প্রাইভেটকারের কোন দোষ না থাকলেও তারা কতিপয় যুবকের কাছে জিম্মি হয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে নিরাপত্তা পেতে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেয়। এরপর প্রাইভেটকারে থাকা ব্যক্তিদের অভিযোগের ভিত্তিতেই আমরা ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্ত শাওন কাবী রিজা আমাদের সাথেও খারাপ আচরন শুরু করে এবং আমার মুঠোফোন কেড়ে নিতে চেষ্টা করতে থাকে। এরপর তাকে থানায় আসতে বললে সে বলে আমি যাবো না আপনার ওসি স্যাররে বলেন এখানে আসতে। পরে উর্দ্ধতনের নির্দেশে আমরা তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি।

এ বিষয়ে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোঃ শাহ আলম বলেন, রাতেই শাওন নামের ওই ছাত্রদল নেতাকে আমরা আটক করেছি। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

 

শাহরাস্তিতে মাদক ও স্বৈরাচার বিরোধী আলোচনা সভা

মোঃ সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ণ
শাহরাস্তিতে মাদক ও স্বৈরাচার বিরোধী আলোচনা সভা

মাদকের বিষয়ে শাহরাস্তি উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো একটি প্রতিবাদী আলোচনা সভা ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মাদক ব্যবসায়ী ও স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।

আলোচনা সভায় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বিল্লাল শিকদারের সভাপতিত্ব ও টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবদলের নেতা মো. মমিন শিকদার (লিটন মাস্টার) এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের ব্রাঞ্চ অফিসার মনির হাওলাদার।

এছাড়াও অন্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকশামীম আহমেদ, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বিল্লাহ হোসেন শিকদার, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেরাজুন নবী (রাজু), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল প্রিন্স, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম (মানিক), সৌদি আরবের রিয়াদ শাখার বিএনপির সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদিন, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক দিদার হোসেন মজুমদার।

সভায়বক্তারা মাদকের ভয়াবহতা এবং সমাজে এর বিস্তার রোধে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্সের ওপর জোর দেন এবং এই সামাজিক ব্যাধি থেকে যুবসমাজকে রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

আলোচনা সভা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। যা স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এই আয়োজনের মাধ্যমে এলাকার মাদক নির্মূল ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় এক নতুন বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

শাহরাস্তিতে ​মহিলা মাদরাসার কমিটির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

মো. সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ
শাহরাস্তিতে ​মহিলা মাদরাসার কমিটির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

শাহরাস্তিতে বলশিদ মহিলা মডেল আলিম মাদরাসার নতুন কমিটি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামকে সভাপতি করার পর থেকেই এই বিতর্ক শুরু হয়। তার পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে কমিটির তিনজন সদস্য পদত্যাগও করেছেন।

​স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদরাসার কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াটি ছিল অস্বচ্ছ ও গোপনে। তারা বলছেন, মাদরাসার নাম তিনবার পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রথমে “ফজিলতের নেছা মহিলা মাদরাসা”, পরে “শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা মাদরাসা” এবং এখন “বলশিদ মডেল মহিলা আলিম মাদরাসা” নাম রাখা হয়েছে। যদিও মাদরাসার ফটকে এখনও আগের নামফলকই ঝুলছে। ​এছাড়াও সভাপতি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে আরও কিছু গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

​তিনি একসাথে একাধিক মাদরাসার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। ​তার স্ত্রী নাজমা বেগম মাদরাসার অফিস সহকারী হলেও তিনি নাকি বাড়িতে বসেই হাজিরা খাতায় সই করেন। ​তাদের পরিবারের আরও পাঁচজন সদস্য মাদরাসার বিভিন্ন পদে চাকরি করছেন।

অভিভাবক সদস্য খোরশেদ আলম জানান, “আমার দুই মেয়ে এখানে পড়ে। আমাকে হঠাৎ ডেকে অভিভাবক সদস্য হিসেবে সই করতে বলা হয়। এটা একটা কৌশল ছিল বুঝতে পেরে আমি পদত্যাগ করেছি।”

​ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন বলেন, “গোপনে অসৎ উদ্দেশ্যে এই কমিটি করা হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানতাম না।”

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন জানান, অধ্যক্ষের কক্ষের চাবি ও কমিটির সব নথিপত্র সভাপতির কাছেই থাকে।

​সভাপতি আমিনুল ইসলাম সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “মাদরাসার নাম দুইবার পরিবর্তন হয়েছে, তিনবার নয়। অন্য প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হয়েও এখানে সভাপতি হওয়া নিয়মসিদ্ধ। যারা পদত্যাগ করেছেন, সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।”

​উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিয়া হোসেন জানিয়েছেন, “কমিটি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”

স্থানীয়দের দাবি, এই বিতর্কিত কমিটি বাতিল করে একটি স্বচ্ছ কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে যদি সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সুপার মনিরুজ্জামানকে অপসারণ করা না হয়, তাহলে তারা আরও কঠোর আন্দোলন করবেন।

এলাকাবাসীর সর্বস্তরের জনগণের অংশ গ্রহনে  মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন,ওই সময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় এলাকাবাসী সৈয়দ আহমেদ দুলাল, কামরুল আহসান মজুমদার, মমতাজ উদ্দিন ভূঁইয়া, শাহ আলম খান, বাবুল হোসেন পাটোয়ারী, গিয়াস উদ্দিন মিয়াজী, লিপন, মনির হোসেন, রুহুল আমিন পাটোয়ারী, কিরণ মুন্সি, মোশারেফ মেম্বার, হেলাল মুন্সী, সাগরসহ বহু অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায় শিশুসহ মা ও মেয়ে আহত

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:৩০ অপরাহ্ণ
লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায় শিশুসহ মা ও মেয়ে আহত

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের মাঝি বাড়িতে পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় বসত ঘর ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়ও প্রতিপক্ষের হামলায় শিশু সহ মা ও মেয়ে আহত হয়েছে। এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ঘটনার বিবরনে ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের মাঝি বাড়ির দুলাল গংদের সাথে শাহানারা বেগমের সাথে সম্পত্তিগত ও পারিবারিক ভাবে বিরোধ চলে আসছে। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুলাল, সানু (৫০) ও তাদের ৩ মেয়ে বিথী, রিমা, সাবিনা জোরপূর্বক শাহানারা বেগমের বসত ঘরে প্রবেশ করে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় শাহানারা বেগম, তার মেয়ে জান্নাত আক্তার ও নাতনি ১০ বছরের শিশু উম্মে আইমান গুরুতর আহত হয়। এছাড়াও হামলাকারীরা তাদের বসত ঘর সহ ভিতরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। শাহানারা বেগমদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা চলে যায়। পরে উপস্থিত লোকজন শাহানারা বেগম সহ আহতদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। শাহানারা বেগম ও নাতিন উম্মে আইমানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এবং জান্নাত আক্তারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি দেন।

জান্নাত আক্তার বলেন, তাদের সাথে আগে থেকেই পারিবারিক বিষয় নিয়ে একটু দ্বন্দ ছিলো। তারা প্রতিনিয়ত আমাদেরকে প্রাণে মারার হুমকি দিত এবং নুন থেকে চুন ঘষলেই তারা আমাকে ও আমার মাকে মারতে আসতো। রবিবার আমি ঘরে বসে আমার মামাতো বোনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতেছি, এ সময় আমাদের ঘরের পাশ দিয়ে রিমা যাওয়ার সময় কি শুনে তার বাবা মা ও বোনদেরকে নিয়ে এসে আমাদেরকে মারধর করে এবং গালিগালাজ করতে থাকে।

শাহানারা বেগমের ছেলে অলিউল্লাহ বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না। যখনই আমি বাড়ি থেকে সরে যাই তখনই তারা আমার মাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয়। আমার বোন স্বামীর বাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসছে, তাদের উপর এভাবে হামলা করেছে এবং পরবর্তীতে আমার বোন ও আমি বাড়িতে না থাকলে আমার মাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আমাদের অপরাধ আমরা তাদের বংশের না এবং স্থানীয় না, আমরা মামার বাড়িতে থাকি এজন্য আমরা বাড়ি থেকে সরে যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয়। তাই আমি প্রশাসনের কাছে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসীদের শাস্তির আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার চাই।

শাহানারা বেগমের ছেলে অলিউল্লাহ বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় দুলাল, সানু, বিথী, রিমা, সাবিনাকে বিবাদী কের একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ বাহার মিয়া বলেন, বিষয়টি জেনেছি, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখতেছি।