খুঁজুন
শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ২৯ চৈত্র, ১৪৩১

ফরিদগঞ্জে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে

নদীরঘাট ভেঙ্গে রাতের আধারেই চলছে গণশৌচাগার নির্মাণ

বারাকাত উল্লাহ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১:৩৪ পূর্বাহ্ণ
নদীরঘাট ভেঙ্গে রাতের আধারেই চলছে গণশৌচাগার নির্মাণ

ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মোহাম্মদ শাহজাহান পাটওয়ারী সরকারি সম্পত্তি নিরাপদ রাখা তার দায়িত্ব। অভিযোগ উঠেছে তিনিই দখলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ডাকাতিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ও পাকা ঘাট বন্ধ করছেন তিনি। সেখানে (নদীতে) টয়লেট নির্মাণ করবেন। যা একাধারে জনস্বার্থ বিরোধী ও সরকারী নিয়ম-নীতির লংঘন। তার সাথে রয়েছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। ব্যবসায়ীদের অপর অংশ ও এলাকাবাসী এটা চায় না। কিন্তু, চেয়ারম্যান পক্ষ নেয়ায় তারা জোরালো ভূমিকা নিতে পারছেন না। চলছে উত্তেজনা। আইন শৃংখলার অবনতি হতেও পারে- দাবী এলাকাবাসীর। ঘটনাস্থল চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের গল্লাক বাজার।
এদিকে, চেয়ারম্যানের এমন ভূমিকায় বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ী, এলাকাবাসী ও সমাজের সচেতন মহল।
জানা গেছে, ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী গল্লাক বাজার। বাজারটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অনেকগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাজারের পাশেই আছে কলেজ, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা ও মসজিদ। ঘাটে নেমে ও বসে নদীতে প্রবাহমান পানি ব্যবহার করেন প্রায় সকল শ্রেণি পেশার মানুষ।
স্থানীয় ও উপজেলা ভূমি অফিসে যোগাযোগ করা হয়েছিলো। দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ রেকর্ড দেখে জানিয়েছেন ডাকাতিয়া নদী ১নং খাস খতিয়ান মূক্ত। এ সব ভূমি দখল করা আইনতঃ বেআইনি। অপরদিকে, পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কোনোভাবেই এ কাজ সমর্থন করা যাবে না। বরং, তা বন্ধ করাই সরকারের দায়িত্বশীলদের কাজ। খাস ভূমিতে সরকারি কর্তৃপক্ষ ব্যতীত কেউ কোনো প্রকার স্থাপনা করতে পারেন না। করলে আইনতঃ দন্ডনীয় অপরাধ।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঐতিহ্যবাহী জনগুরুত্বপূর্ণ ওই খেয়াঘাট বন্ধ করা হয়েছে। একই সাথে ঘাট দখলে নিয়ে শৌচাগার নির্মাণ কাজ চলমান আছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান পাটওয়ারী শৌচাগার নির্মাণের জন্য জায়গাটি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এ কথা বলেছেন, বাজার ব্যবসায়ী কমিটির আহবায়ক মোঃ ইমান হোসেন। শৌচাগার নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দিতে প্রকল্পের ব্যবস্থাও করে দেন তিনি।
নির্মাণ কাজ শুরুর পর ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের একাংশ সরকারী সম্পত্তি দখল এবং সম্ভাব্য পরিবেশ দূষনের আশঙ্কায় আপত্তি তোলেন। বিষয়টি নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এতে, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আপাতত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নির্দেশনা অমান্য করে উল্টো কাজের গতি দ্বিগুণ করা হয়েছে। বরং, দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে রাতের অন্ধকারে তড়িঘড়ি কাজ চলছে। এ জন্য সরকারের দায়িত্বশীলদের প্রতি ক্ষোভ দেখা দিয়েছে এলাকাবাসীর।
অধিকাংশ এলাকা সিআইপি’র আওতায় থাকা সত্ত্বেও, গত বছর ভয়াবহ জলাবদ্ধতায় ফরিদগঞ্জ উপজেলা ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয়। পরবর্তীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর হোসেন দুলালের নেতৃত্বে ডাকাতিয়া নদী ও খালগুলোকে স্বাভাবিক রূপে ফিরিয়ে দিতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে ‘ডাকাতিয়া নদী ও খাল খনন সংগ্রাম কমিটি’। জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় প্রশাসনও তাতে সাড়া দিয়ে উপজেলাব্যাপী সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরই মধ্যে খেয়াঘাট দখল করে নদীর তীরে শৌচাগার নির্মাণ কার্যক্রম জন্ম দিয়েছে ব্যাপক সমালোচনা ও ক্ষোভের।
খাস ভূমিতে শৌচাগার নির্মাণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নে, ‘না’ সূচক জবাব দিয়েছেন গল্লাক বাজার ব্যবসায়ী কমিটির আহবায়ক মোঃ ইমান হোসেন। বাজার ব্যবসায়ী কমিটি সংঘবদ্ধভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে শৌচাগার নির্মাণ করছে, বিষয়টি ন্যায়সঙ্গত কিনা? খেয়াঘাট ভেঙে শৌচাগার নির্মাণ বাজার কেন্দ্রিক সম্ভাব্য শিল্পায়ন এবং ব্যবসায়ীদের বৃহত্তর স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে কিনা? খাস জমিতে ব্যক্তিগত ইচ্ছায় কোনো করতে পারেন কি না। তিনি, এসব প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ আর জাহিদ হাসান বলেন, খোঁজ নিচ্ছি। এখানে আইন লঙ্ঘন হয়ে থাকলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া বলেছেন, খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবো। কাউকে কাজের অনুমতি আমি দেইনি। সরকারী জায়গা দখল মুক্ত করতে শীঘ্রই কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে হ্যাঁ সূচক জবাব দিয়ে বলেন, ঘাট বন্ধ করে ডাকাতিয়ায় শৌচাগার নির্মাণে ইউপি চেয়ারম্যানের ভূমিকা থাকলে আমি তাকে এ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলবো।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। কিছু করণীয় থাকলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো।

ড.জালালের পক্ষে মুন্সীরহাটে অগ্নিকান্ডস্থল পরিদর্শন করেন এনামুল হক বাদল

মোঃ রবিউল আলম
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:০৪ অপরাহ্ণ
ড.জালালের পক্ষে মুন্সীরহাটে অগ্নিকান্ডস্থল পরিদর্শন করেন এনামুল হক বাদল

মতলবের মুন্সীরহাট বাজারে অগ্নিকান্ডস্থল পরিদর্শন করেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার বিকালে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব ড. মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনের পক্ষে আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকান মালিকদের সাথে কথা বলেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও মতলব পৌরসভার সাবেক মেয়র এনামুল হক বাদল।

এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদেরকে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা আলহাজ্ব ড. মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানান এবং তারা যেন এ ক্ষতি পুষিয়ে পুনরায় ব্যবসা কার্যক্রম চালিয়ে আসতে পারেন সেজন্য দোয়া করেন। এ ক্ষেত্রে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি ব্যক্তিগত সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেয়া হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সফিকুল ইসলাম সাগর এবং মতলব পৌর ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম নয়ন হাজরা, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনসহ স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী।

পরিদর্শনকালে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব ড. মোঃ জালাল উদ্দিনের পক্ষে থেকে সান্তনা দেন এবং সমবেদনা জানান উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক বাদল।

উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে একটি ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে মুন্সীরহাট বাজারের ১৮ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

হাইমচরে বাংলা নববর্ষ কে স্বাগত জানিয়ে ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

মোঃ শরীফ হোসেন
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৫২ অপরাহ্ণ
হাইমচরে বাংলা নববর্ষ কে স্বাগত জানিয়ে ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

‘বিজাতীয় অপসংস্কৃতি নয়, মুসলিম সংস্কৃতিই এদেশের ঐতিহ্য’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে হাইমচর উপজেলায় বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ তারুন্য মঞ্চে নূরের খোঁজে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অপসংস্কৃতির পরিবর্তে ইসলামিক ভাবধারাপূর্ণ বিভিন্ন গজল পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিল্পীরা।

শুক্রবার সকালে এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নূরের খোঁজে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা জুলফিকার হাসান মুরাদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন সুমন।

হৃদয় মানবতা সামাজিক সংগঠনের সভাপতি বোরহান উদ্দিন শিহাবের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হাইমচর প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা আলী আকবর এবং প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সাহেদ হোসেন দিপু পাটোয়ারী।

অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, বরেণ্য ওলামা মাশায়েখ, স্থানীয় রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক এবং এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ইসলামিক সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরার এই ব্যতিক্রমী আয়োজন সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। বক্তারা তাদের বক্তব্যে মুসলিম সংস্কৃতির গুরুত্ব এবং অপসংস্কৃতির প্রভাব সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন সুমন এই ধরনের ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং আমাদের সংস্কৃতি একটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতি। এই ধরনের অনুষ্ঠান সমাজের সকল স্তরের মানুষকে একত্রিত করতে এবং সঠিক পথে পরিচালিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

বিশেষ অতিথিবৃন্দও তাদের বক্তব্যে ইসলামিক সংস্কৃতির চর্চা এবং এর প্রসারের উপর জোর দেন। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশনকারী শিল্পীরা ইসলামিক গান ও হামদ-নাত পরিবেশনের মাধ্যমে দর্শকদের মুগ্ধ করেন।

নূরের খোঁজে ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ হাইমচরে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যেখানে নিজস্ব সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে উৎসবকে উদযাপন করা হচ্ছে।

কচুয়ায় ১২০ বছরের বৃদ্ধ জায়েদা বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছেন রফিকুল ইসলাম রনি

ইউনুছ মিয়া
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:১৯ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় ১২০ বছরের বৃদ্ধ জায়েদা বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছেন রফিকুল ইসলাম রনি

Oplus_131072

কচুয়ায় ১২০ বছরের বৃদ্ধ অসহায় জায়েদা বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছেন কচুয়ার কৃতি সন্তান ও বাংলাদেশ বিআরবি ক্যাবলস লিমিটেডের মার্কেটিং ডাইরেক্টর শিক্ষানুরাগী রফিকুল ইসলাম রনি। সে উপজেলার সাচার ইউনিয়নের হাতিরবন্দ গ্রামের মিয়াজি বাড়ির মৃত বস্কর আলীর স্ত্রী। বৃদ্ধ জায়েদা বেগম দুনিয়াতে স্বামী, সন্তান ও পরিবারের লোকজন না থাকায় জীবন যুদ্ধ সংগ্রামে দিন কাটাচ্ছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃদ্ধ জায়েদা বেগম স্বামী বস্কর আলীর মৃত্যুর পর স্বামীর ভালোবাসার মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কারণে আর বিয়ে করেননি। যৌবন জীবনটা কাটিয়েছেন স্বামীর ভালোবাসার শ্রদ্ধা ও মায়ার বন্ধনে।

বস্কর আলী ও বৃদ্ধ জায়েদা বেগমের একটি ছেলে থাকলেও অভাব অনটনে কারণে মাকে ছেড়ে ছেলের পরিবার নিয়ে জীবন কাটছে হিমশিমে। ছোট্ট একটি ঝুপড়ি ঘরে ১২০ বছরের বৃদ্ধা জায়েদা বেগমের জীবন কাটছে দুঃখ-কষ্টে ও সংগ্রামে। বেঁচে থাকার জন্য বৃদ্ধ জায়েদা বেগম জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। জায়েদা বেগম সরকারি ও বেসরকারিভাবে কোন সহায়তা পাচ্ছেনা তেমন। থাকার জন্য একটি সরকারি গৃহ নির্মাণের প্রকল্প থেকে একটি ঘরের জন্য জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের কাছে গেলেও কেউ সাড়া দেননি তার ডাকে। এরকম পরিস্থিতিতে বৃদ্ধ জায়েদা বেগম জীবন সংগ্রাম নিয়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হলে কচুয়ার কৃতি সন্তান, বাংলাদেশ বিআরবি ক্যাবলস লিমিটেডের মার্কেটিং ডাইরেক্টর ও শিক্ষানুরাগী রফিকুল ইসলাম রনির নজরে আসলে সে বৃদ্ধ মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। শুক্রবার শিক্ষানুরাগী রফিকুল ইসলাম রনির প্রতিনিধি একটি দল বৃদ্ধ জায়েদা বেগমের বাড়িতে গিয়ে কয়েক মাসের খাবারের জন্য বাজার ও ঝুড়ি ছোট্ট ঘরটি থেকে বৃদ্ধ জায়েদা বেগম স্বস্তিতে জীবন কাটার জন্য ঘর মেরামত করার জন্য নগদ অর্থ প্রদান করেন।

শিক্ষানুরাগী রফিকুল ইসলাম রনির মানবতার দৃষ্টি স্থাপন দেখে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।