খুঁজুন
শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা

দেশ থেকেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো শিক্ষাব্যবস্থার স্বপ্ন দেখি

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫, ৫:০২ অপরাহ্ণ
দেশ থেকেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো শিক্ষাব্যবস্থার স্বপ্ন দেখি

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব নিয়ে অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) বলেন, আমি এমন শিক্ষাব্যবস্থার স্বপ্ন দেখি, যেখানে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা দেশের ভেতরেই তাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পাবে। এবং বাংলাদেশ থেকেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে।
বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে বিদায় এবং সিআর আবরারের যোগদান উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সি আর আবরার বলেন, আমি জীবনে কোনোদিন এ ধরনের পরিসরে এসে বসে, এই দিকে বসবো, এটা কিন্তু কখনোই ভাবা হয়নি। বিভিন্ন সময় আইন-নীতি পরিবর্তন করার বিষয়ে মন্ত্রী-সচিবদের সঙ্গে বসেছি। আমি শিক্ষকতার পাশাপাশি শ্রম অভিবাসন, শরণার্থী, বাস্তুচ্যুত মানুষ, ক্যাম্পে উর্দুভাষী জনগোষ্ঠী- এ বিষয়গুলো নিয়ে মোটামুটি সক্রিয় নাগরিক হিসেবে কাজ করেছি।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছি, নিয়ম-কানুন মেনে, নৈতিকতা মেইনটেইন করে, জ্ঞাতসারে ক্লাস মিস করিনি। পরীক্ষার খাতা মোটামুটি সময়মতো জমা দিয়েছি। শিক্ষক হিসেবে যেসব প্রশাসনিক দায়িত্ব এসেছে সেগুলো পালনের চেষ্টা করেছি।

‘আমি মনে করেছি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে যে সুযোগ-সুবিধা আমি পেয়েছি, আমি সবসময় সে বিষয়ে সচেতন থাকার চেষ্টা করেছি। সেই দায়িত্ববোধ থেকে আমি বিভিন্ন ধরনের কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। সমাজ আমাকে দিয়েছে, এখন আমার সময় এসেছে যতটুকু সম্ভব সমাজকে দেওয়ার।’

নতুন উপদেষ্টা আরও বলেন, এ ধরনের দায়িত্ব যে আমাকে নিতে হবে সেটা আমি বুঝিনি। গত চার-পাঁচ দিন আগে প্রধান উপদেষ্টা আমাকে ডেকে পাঠালেন, অন্য অনেক কথার পর উনি যখন বললেন, স্যার (ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ) এ দায়িত্ব আর পালন করতে চাচ্ছেন না। প্রধান উপদেষ্টা বললেন, আমি যেন এ দায়িত্বটা গ্রহণ করি। এতে আমি রীতিমতো অবাক হয়েছি।

‘আমি বললাম, আমার তো এ ধরনের অভিজ্ঞতা নেই। তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) বললেন, ইউ কমিট ইয়োরসেলফ, তাহলে তুমি এটা পারবে। আমি মনে করি, এটা আমার জন্য একটা চমৎকার সুযোগ যে, এ ধরনের আস্থা তিনি আমার ওপরে রাখছেন।’

তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন ধরনের নাজুক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। বড় ধরনের একটা পরিবর্তন হয়েছে। আমরা কিন্তু কখনোই ভাবিনি, আমাদের জীবদ্দশায় মুক্তভাবে কথা বলতে পারবো।
কর্মকর্তাদের উদ্দ্যেশে নতুন উপদেষ্টা বলেন, সমস্যা আছে সমস্যা থাকবে। আমি মনে করি আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে আমাদের যে গুরুত্ব দায়িত্ব সেটা পালন করবো। আমরা জনগণের টাকায় বড় হয়েছি, সে কারণেই তাদের প্রতি আমাদের একটা দায়িত্ববোধ আছে। সেই দায়িত্ব আমাদের যোগ্যতা, নিষ্ঠা ও ইনটিগ্রিটি নিয়ে পালন করতে হবে।

‘আমি মনে করি শিক্ষা হচ্ছে বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ বাহন। আমি এমন এক শিক্ষাব্যবস্থার কথা ভাবি, যা হবে ব্যক্তির কর্মদক্ষতা অর্জন, তার আত্মোন্নয়নের উপযুক্ত পথ; যা হবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক উৎকর্ষের সহায়ক এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মূল্যবোধসম্পন্ন নাগরিক তৈরির উপায়।’

‘আমি এমন শিক্ষাব্যবস্থার স্বপ্ন দেখি, যেখানে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা দেশের ভেতরেই তাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পাবে। এবং বাংলাদেশ থেকেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে।’

এ প্রসঙ্গে সি আর আবরার আরও বলেন, তা হয়তো এক বছরে হবে না, পাঁচ বছরে হবে না। কিন্তু এজন্য যে ভিত্তি তৈরি করে দেওয়া, এজন্য অনেকগুলো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি অনেক কিছু আছে। ৮-১০ মাসের মধ্যে এ সরকারের মেয়াদকালীন বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা স্বল্পমেয়াদি বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করবো। সেগুলোর ব্যাপারে কাজ শুরু করবো। দীর্ঘমেয়াদি যে ইস্যুগুলো আছে, এগুলো সমাধান করতে হবে বলে আমরা যদি মনে করি, তবে অংশীজনদের সঙ্গে সেগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু করবো।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন যত প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আশা করি আমরা একই সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারবো। স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা হচ্ছে জনগণের বড় রকমের অধিকার। এই ফাউন্ডেশনাল খাত নিয়ে যে দায়িত্ব আমাদের ওপর অর্পিত হয়েছে, আশা করি সেই দায়িত্ব আমরা যৌথভাবে পালন করবো। সহযাত্রী হিসেবে আমরা সবাই থাকবো।

গাজার অবস্থা নরকের চেয়েও খারাপ: রেড ক্রস প্রেসিডেন্ট

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৯:০৭ অপরাহ্ণ
গাজার অবস্থা নরকের চেয়েও খারাপ: রেড ক্রস প্রেসিডেন্ট

ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্যা রেড ক্রস (আইসিআরসি) এর প্রেসিডেন্ট মিরিয়ানা স্পোলয়ারিচ বলেছেন, গাজার অবস্থা নরকের চেয়েও খারাপ হয়ে পড়েছে।

জেনেভায় সংস্থাটির সদর দপ্তরে তিনি বলেন, মানবিকতা ব্যর্থ হচ্ছে। রাষ্ট্রগুলো যুদ্ধ বন্ধ করতে, ফিলিস্তিনের দুর্ভোগের অবসান করতে এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করতে যথেষ্ট করছে না।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের মানবিক মর্যাদা হরণ করা হয়েছে এবং মানবিক কার্যক্রম বিষয়ক আন্তর্জাতিক আইনগুলোকে নাই করে দেওয়া হচ্ছে।

আইসিআরসি এমন একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন যারা যুদ্ধ এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করে। গাজায় তাদের ১৩০ জন কর্মী আছে, যাদের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনি।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে সার্জিক্যাল হাসপাতাল পরিচালনা করে সংস্থাটি। সম্প্রতি এই হাসপাতালের কাছে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, গতকাল সকালে হাসপাতালে ১৮৪ জনকে আনা হয়েছে যার মধ্যে ১৯ জন ছিলেন মৃত। আরও আটজন পরে মারা গেছেন।

আইসিআরসি সাধারণভাবে রেড ক্রস হিসেবে পরিচিত। তাদের জেনেভা কনভেনশনের তত্ত্বাবধায়ক মনে করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য এটি করা হয়েছে।

মিরিয়ানা স্পোলয়ারিচ বলছেন, যুদ্ধের নিয়ম আছে এবং সেটি সব পক্ষের জন্য প্রযোজ্য।

সূত্র: বিবিসি

হাজীগঞ্জ সুন্নিয়া হাফিজিয়া নূরানী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মেধা পুরষ্কার প্রদান

মোঃ ইউসুফ বেপারী
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৮:৫৬ অপরাহ্ণ
হাজীগঞ্জ সুন্নিয়া হাফিজিয়া নূরানী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মেধা পুরষ্কার প্রদান

হাজীগঞ্জ সুন্নীয়া হাফিজিয়া নূরানী দাখিল মাদ্রাসা ও উম্মে হানি সুন্নীয়া হাফিজিয়া নূরানী মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সবক, মেধা পুরষ্কার ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার সকালে হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজার মিঠানিয়া ব্রিজের পূর্ব পাশে অবস্থিত মাদ্রাসার হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাওলানা জুনায়েদ হোসেন আল ক্বাদেরী।

অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মো. আল আমিনের সঞ্চালনায় কোরআন শরীফ প্রতিযোগিতা, কোরআন শরীফ বাংলায় অনুবাদ ও ইংরেজিতে অনুবাদ ও বক্তব্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর শ্রেণিকক্ষের পরিক্ষায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হওয়া শিক্ষার্থীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা।

উক্ত অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার আলিয়া শাখার প্রধান শিক্ষক মাওলানা মো. আমান উল্ল্যাহ সহ মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

দারুল কুরআন আন্তর্জাতিক হিফজ্ মাদ্রাসায় অভিভাবক সমাবেশ ও পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা

মোঃ ইউসুফ বেপারী
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৮:৪৯ অপরাহ্ণ
দারুল কুরআন আন্তর্জাতিক হিফজ্ মাদ্রাসায় অভিভাবক সমাবেশ ও পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা

হাজীগঞ্জ উপজেলার মডেল টাউনে অবস্থিত দারুল কুরআন আন্তর্জাতিক হিফজ্ মাদ্রাসায় অভিভাবক সমাবেশ, হিফজ্ ছাত্রদের সবক প্রদান ও বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার সকালে মাদ্রাসার হলরুমে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মাওলানা শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ক্বারি ও ইসলামী ব্যক্তিত্ব হাফেজ মাওলানা কারী আহসান উল্লাহ সৌরভ এবং হাফেজ কারী ইউসুফ আদনান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাফেজ কারী আহসান উল্লাহ সৌরভ বলেন, পবিত্র কুরআনের হিফজ করা শুধু একজন ছাত্রের নয়, বরং একটি পরিবার, সমাজ এবং জাতির জন্য বড় গর্বের বিষয়। এ ধরনের আয়োজন ছাত্রদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং দ্বীনি শিক্ষায় আরও মনোনিবেশ করতে সহায়তা করে।

তিনি আরও বলেন, হিফজে কুরআন শুধু মুখস্থ করলেই যথেষ্ট নয়, এর শিক্ষাকে অন্তরে ধারণ করাই প্রকৃত সফলতা।

বক্তব্য শেষে মাদ্রাসার ১০ জন হিফজ্ শিক্ষার্থীকে সবক প্রদান করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা এবং কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা ক্বারী নোমান, হাফেজ মাওলানা নাঈম হোসেন, হাফেজ মাওলা ওমর ফারুক, হাফেজ মহিন উদ্দিন ও হাফেজ নাঈম।

সবশেষে সফল শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও মাদ্রাসার পক্ষ থেকে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সাফল্য এবং ইসলামী শিক্ষা বিস্তারের জন্য প্রার্থনা করা হয়।