খুঁজুন
বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

বিদেশ না গিয়ে উদ্যোক্তা হয়ে মাসে লাখ টাকা আয় সাহাদাতের

মনিরুজ্জামান বাবলু
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫, ১১:৫৪ অপরাহ্ণ
বিদেশ না গিয়ে উদ্যোক্তা হয়ে মাসে লাখ টাকা আয় সাহাদাতের

পড়াশোনার মাঝ পথে প্রবাসে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে উদ্যোক্তা হয়ে উঠলেন চাঁদপুরের বাবুরহাট এলাকার পোল্ট্রি ফার্ম ব্যবসায়ী সাহাদাত সরদার। এখন তার মাসিক আয় লাখ টাকার উপরে। তবে মুরগীর বাচ্চার দাম আর ফিডের দাম কমানো হলে লাভের পরিমাণ আরো বাড়বে বলে প্রত্যাশা তার।
অন্যদিকে প্রাণী সম্পদ বিভাগের পরামর্শ ছাড়াই এমন সাফল্যে এলাকার তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রেরণা এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

যৌথ পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে প্রবাসে যেতে পাসপোর্ট করা সাহাদাত এখন পোল্টি ফিড ও ফার্মের মালিক। তার অধীনে ১০ থেকে ১২ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন। ২০০৫ সাল থেকে ফিড ব্যবসায় জড়িত থাকলেও গেলো ৬ মাস আগে একটি আধুনিক পোল্ট্রি ফার্ম করেন। ফার্ম থেকে এখন মাসিক আয় লাখ টাকার উপরে। তার ফার্মে কাজ করতে পেরে খুশি শ্রমিকেরা।

তার সিয়াম পোল্ট্রি ফার্মের শ্রমিক জানান, ‘আগে ট্রেইলরের কাজ করতাম। ট্রেইলরের কাজ ছেড়ে দিয়ে এই ফার্মে চাকরি নিয়েছি। মুরগির ফার্মে বেতন পাই ১৫-২০ হাজার টাকা। পরিবারের ৪ জন নিয়া এখন সুখে আছি।’

আরেক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা ফার্ম পরিচালনা করি। সকালে এসে ৬টার সময় খাবার দেই, পানি দেই, মেডিসিনের প্রয়োজন হলে মেডিসিন দেই। তারপর এই ভূষিগুলো প্রতিনিয়ত নাড়তে হয়। এটা নাড়লে ভূষিগুলো শুকনা থাকলে মুরগির রোগবালাই কম হয়। এভাবে আমরা পরিচালনা করি। আর খাওয়াতে হয় সকালে- দুপুরে- রাতে। আবার ছোটদের এক ধরণের ফিড, বড়দের এক ধরণের ফিড ব্যবহার করছি।’

২০ লাখ টাকা ব্যায়ে আধুনিক পোল্ট্রি ফার্মে রয়েছে টিনসিডে ঝরণার মাধ্যমে তাপ নিয়ন্ত্রণ রাখার ব্যবস্থা। যা হিট থেকে মুরগীর বাচ্চাকে বাঁচানো যায়। এছাড়া রয়েছে হিট লাইটিং, শীতে তাপ দেয়ার জন্য হিট লাইটিং ও গ্যাস হোপার দেয়ার ব্যবস্থা।

বাবুরহাট দাসাদী গ্রামে এই প্রথম এমন ফার্ম দেখে তরুণদের মাঝে উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে বলে জানান এলাকাবাসী।

ফার্মের পাশ^বর্তী বাড়ীর ফারজানা বেগম বলেন, ‘জমিনটা পড়ে আছে। পরে শাহাদৎ ভাই কিনে খামার দিছে আর এখন লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে। আমি আমার ছেলেরেও চাই এমন একটা পথ ধরিয়ে দিতে, ব্যবসা দিতে।’

এলাকাবাসীর পক্ষে জাকির হোসেন বলেন, ‘এই খামারটা অনেক সুন্দর করেছেন। এটা প্রযুক্তি নির্ভর খামার। যেটাতে ৭-৮ জন লোক কাজ করছে। সেখানে তারা মোটামুটি প্রতি মাসে ভালো একটা ইনকাম করছে। তাদের দেখায় দেখায় হয়তো আশেপাশের গ্রামের অনেকেই খামার করতে আগ্রহ প্রকাশ করবে।’
এলাকার মুরব্বী লোকমান সরদার বলেন, ‘শাহাদাৎ বিদেশে না গিয়ে আজকে দেশে স্বল্প পুজিঁতে খুব ভালো আছে।’

আধুনিক ফার্মে লেবার কম, খরচ কম, মুরগী ভালো থাকে। ৬ হাজার মুরগীর জন্য ২ বার পানি দিতে হয়। ৪ জনের স্থলে ২ জনেই এখন তা করছে। সূইচ দিলেই পানি উঠে যায়। ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে এখন সিয়াম পোল্ট্রি ফার্ম, মেসার্স একতা পোল্ট্রি ফিড ও মাছের প্রজেক্টের উদ্যোক্তা সাহাদাত সরদার। শ্রমিকদের বেতন ও আনুষাঙ্গিক খরচা মিটিয়ে এখন মাসিক আয় লাখ টাকার উপরে তার।

উদ্যোক্তা মো. সাহাদাত সরদার বলেন, ‘এখানে ৬ হাজার মুরগি পালি। ২০ লাখ টাকা ব্যয় করে, প্রথম ব্যাচে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা লাভ হইছে, ২য় ব্যাচে ২ লাখ টাকা লাভ হইছে আর এই ৩য় ব্যাচে দেড় লাখ টাকা লাভ হইছে। বাচ্চার দাম আর ফিডের দাম একটু বেশি থাকার কারণে লাভের অংশ কমে গেছে। এই পোল্ট্রি ফার্ম দেয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে একটাই, মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। এখন আমার আন্ডারে অনেক লোক কাজ করে প্রায় ১০-১২ জন।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই ফার্মটা আমার নিজের। আমার ফিডের দোকান আছে একতা পোল্ট্রি ফিড নামে ওয়্যারলেস বাজারে। আমি ২০০৫ সাল থেকে ব্যবসা করি। এখন নিজে কিছু প্রজেক্ট দিতেছি। আমার প্রায় ১০০-১৫০ খামারি আছে, তাদের আমি ফিড বাচ্চা দেই এবং আমিই ফিডের ডিলার। কিন্ত ফার্ম চালাতে গিয়ে আমরা সরকারিভাবে কোনো সাহায্য পাই না। সরকারি কোনো ডাক্তার আমাদের এই ফার্মের কেয়ার টেক করে না। কোম্পানীর যে ডাক্তার আছে তাদের নিয়েই আমরা এই ফার্ম পরিচালনা করি।’

উদ্যেক্তা সাহাদাত এখন পুরোদমে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী। তিনি চাঁদপুর পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ড বাবুরহাট দাসাদী এলাকার সরদার বাড়ীর বাসিন্দা। পরিবারে দুই ভাই, পাঁচ বোন আর স্ত্রী ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে তার।

গাজার অবস্থা নরকের চেয়েও খারাপ: রেড ক্রস প্রেসিডেন্ট

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৯:০৭ অপরাহ্ণ
গাজার অবস্থা নরকের চেয়েও খারাপ: রেড ক্রস প্রেসিডেন্ট

ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্যা রেড ক্রস (আইসিআরসি) এর প্রেসিডেন্ট মিরিয়ানা স্পোলয়ারিচ বলেছেন, গাজার অবস্থা নরকের চেয়েও খারাপ হয়ে পড়েছে।

জেনেভায় সংস্থাটির সদর দপ্তরে তিনি বলেন, মানবিকতা ব্যর্থ হচ্ছে। রাষ্ট্রগুলো যুদ্ধ বন্ধ করতে, ফিলিস্তিনের দুর্ভোগের অবসান করতে এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করতে যথেষ্ট করছে না।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের মানবিক মর্যাদা হরণ করা হয়েছে এবং মানবিক কার্যক্রম বিষয়ক আন্তর্জাতিক আইনগুলোকে নাই করে দেওয়া হচ্ছে।

আইসিআরসি এমন একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন যারা যুদ্ধ এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করে। গাজায় তাদের ১৩০ জন কর্মী আছে, যাদের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনি।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে সার্জিক্যাল হাসপাতাল পরিচালনা করে সংস্থাটি। সম্প্রতি এই হাসপাতালের কাছে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, গতকাল সকালে হাসপাতালে ১৮৪ জনকে আনা হয়েছে যার মধ্যে ১৯ জন ছিলেন মৃত। আরও আটজন পরে মারা গেছেন।

আইসিআরসি সাধারণভাবে রেড ক্রস হিসেবে পরিচিত। তাদের জেনেভা কনভেনশনের তত্ত্বাবধায়ক মনে করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য এটি করা হয়েছে।

মিরিয়ানা স্পোলয়ারিচ বলছেন, যুদ্ধের নিয়ম আছে এবং সেটি সব পক্ষের জন্য প্রযোজ্য।

সূত্র: বিবিসি

হাজীগঞ্জ সুন্নিয়া হাফিজিয়া নূরানী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মেধা পুরষ্কার প্রদান

মোঃ ইউসুফ বেপারী
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৮:৫৬ অপরাহ্ণ
হাজীগঞ্জ সুন্নিয়া হাফিজিয়া নূরানী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মেধা পুরষ্কার প্রদান

হাজীগঞ্জ সুন্নীয়া হাফিজিয়া নূরানী দাখিল মাদ্রাসা ও উম্মে হানি সুন্নীয়া হাফিজিয়া নূরানী মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সবক, মেধা পুরষ্কার ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার সকালে হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজার মিঠানিয়া ব্রিজের পূর্ব পাশে অবস্থিত মাদ্রাসার হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাওলানা জুনায়েদ হোসেন আল ক্বাদেরী।

অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মো. আল আমিনের সঞ্চালনায় কোরআন শরীফ প্রতিযোগিতা, কোরআন শরীফ বাংলায় অনুবাদ ও ইংরেজিতে অনুবাদ ও বক্তব্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর শ্রেণিকক্ষের পরিক্ষায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হওয়া শিক্ষার্থীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা।

উক্ত অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার আলিয়া শাখার প্রধান শিক্ষক মাওলানা মো. আমান উল্ল্যাহ সহ মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

দারুল কুরআন আন্তর্জাতিক হিফজ্ মাদ্রাসায় অভিভাবক সমাবেশ ও পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা

মোঃ ইউসুফ বেপারী
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৮:৪৯ অপরাহ্ণ
দারুল কুরআন আন্তর্জাতিক হিফজ্ মাদ্রাসায় অভিভাবক সমাবেশ ও পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা

হাজীগঞ্জ উপজেলার মডেল টাউনে অবস্থিত দারুল কুরআন আন্তর্জাতিক হিফজ্ মাদ্রাসায় অভিভাবক সমাবেশ, হিফজ্ ছাত্রদের সবক প্রদান ও বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার সকালে মাদ্রাসার হলরুমে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মাওলানা শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ক্বারি ও ইসলামী ব্যক্তিত্ব হাফেজ মাওলানা কারী আহসান উল্লাহ সৌরভ এবং হাফেজ কারী ইউসুফ আদনান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাফেজ কারী আহসান উল্লাহ সৌরভ বলেন, পবিত্র কুরআনের হিফজ করা শুধু একজন ছাত্রের নয়, বরং একটি পরিবার, সমাজ এবং জাতির জন্য বড় গর্বের বিষয়। এ ধরনের আয়োজন ছাত্রদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং দ্বীনি শিক্ষায় আরও মনোনিবেশ করতে সহায়তা করে।

তিনি আরও বলেন, হিফজে কুরআন শুধু মুখস্থ করলেই যথেষ্ট নয়, এর শিক্ষাকে অন্তরে ধারণ করাই প্রকৃত সফলতা।

বক্তব্য শেষে মাদ্রাসার ১০ জন হিফজ্ শিক্ষার্থীকে সবক প্রদান করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা এবং কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা ক্বারী নোমান, হাফেজ মাওলানা নাঈম হোসেন, হাফেজ মাওলা ওমর ফারুক, হাফেজ মহিন উদ্দিন ও হাফেজ নাঈম।

সবশেষে সফল শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও মাদ্রাসার পক্ষ থেকে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সাফল্য এবং ইসলামী শিক্ষা বিস্তারের জন্য প্রার্থনা করা হয়।