খুঁজুন
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১ কার্তিক, ১৪৩২

বিদেশ না গিয়ে উদ্যোক্তা হয়ে মাসে লাখ টাকা আয় সাহাদাতের

মনিরুজ্জামান বাবলু
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫, ১১:৫৪ অপরাহ্ণ
বিদেশ না গিয়ে উদ্যোক্তা হয়ে মাসে লাখ টাকা আয় সাহাদাতের

পড়াশোনার মাঝ পথে প্রবাসে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে উদ্যোক্তা হয়ে উঠলেন চাঁদপুরের বাবুরহাট এলাকার পোল্ট্রি ফার্ম ব্যবসায়ী সাহাদাত সরদার। এখন তার মাসিক আয় লাখ টাকার উপরে। তবে মুরগীর বাচ্চার দাম আর ফিডের দাম কমানো হলে লাভের পরিমাণ আরো বাড়বে বলে প্রত্যাশা তার।
অন্যদিকে প্রাণী সম্পদ বিভাগের পরামর্শ ছাড়াই এমন সাফল্যে এলাকার তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রেরণা এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

যৌথ পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে প্রবাসে যেতে পাসপোর্ট করা সাহাদাত এখন পোল্টি ফিড ও ফার্মের মালিক। তার অধীনে ১০ থেকে ১২ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন। ২০০৫ সাল থেকে ফিড ব্যবসায় জড়িত থাকলেও গেলো ৬ মাস আগে একটি আধুনিক পোল্ট্রি ফার্ম করেন। ফার্ম থেকে এখন মাসিক আয় লাখ টাকার উপরে। তার ফার্মে কাজ করতে পেরে খুশি শ্রমিকেরা।

তার সিয়াম পোল্ট্রি ফার্মের শ্রমিক জানান, ‘আগে ট্রেইলরের কাজ করতাম। ট্রেইলরের কাজ ছেড়ে দিয়ে এই ফার্মে চাকরি নিয়েছি। মুরগির ফার্মে বেতন পাই ১৫-২০ হাজার টাকা। পরিবারের ৪ জন নিয়া এখন সুখে আছি।’

আরেক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা ফার্ম পরিচালনা করি। সকালে এসে ৬টার সময় খাবার দেই, পানি দেই, মেডিসিনের প্রয়োজন হলে মেডিসিন দেই। তারপর এই ভূষিগুলো প্রতিনিয়ত নাড়তে হয়। এটা নাড়লে ভূষিগুলো শুকনা থাকলে মুরগির রোগবালাই কম হয়। এভাবে আমরা পরিচালনা করি। আর খাওয়াতে হয় সকালে- দুপুরে- রাতে। আবার ছোটদের এক ধরণের ফিড, বড়দের এক ধরণের ফিড ব্যবহার করছি।’

২০ লাখ টাকা ব্যায়ে আধুনিক পোল্ট্রি ফার্মে রয়েছে টিনসিডে ঝরণার মাধ্যমে তাপ নিয়ন্ত্রণ রাখার ব্যবস্থা। যা হিট থেকে মুরগীর বাচ্চাকে বাঁচানো যায়। এছাড়া রয়েছে হিট লাইটিং, শীতে তাপ দেয়ার জন্য হিট লাইটিং ও গ্যাস হোপার দেয়ার ব্যবস্থা।

বাবুরহাট দাসাদী গ্রামে এই প্রথম এমন ফার্ম দেখে তরুণদের মাঝে উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে বলে জানান এলাকাবাসী।

ফার্মের পাশ^বর্তী বাড়ীর ফারজানা বেগম বলেন, ‘জমিনটা পড়ে আছে। পরে শাহাদৎ ভাই কিনে খামার দিছে আর এখন লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে। আমি আমার ছেলেরেও চাই এমন একটা পথ ধরিয়ে দিতে, ব্যবসা দিতে।’

এলাকাবাসীর পক্ষে জাকির হোসেন বলেন, ‘এই খামারটা অনেক সুন্দর করেছেন। এটা প্রযুক্তি নির্ভর খামার। যেটাতে ৭-৮ জন লোক কাজ করছে। সেখানে তারা মোটামুটি প্রতি মাসে ভালো একটা ইনকাম করছে। তাদের দেখায় দেখায় হয়তো আশেপাশের গ্রামের অনেকেই খামার করতে আগ্রহ প্রকাশ করবে।’
এলাকার মুরব্বী লোকমান সরদার বলেন, ‘শাহাদাৎ বিদেশে না গিয়ে আজকে দেশে স্বল্প পুজিঁতে খুব ভালো আছে।’

আধুনিক ফার্মে লেবার কম, খরচ কম, মুরগী ভালো থাকে। ৬ হাজার মুরগীর জন্য ২ বার পানি দিতে হয়। ৪ জনের স্থলে ২ জনেই এখন তা করছে। সূইচ দিলেই পানি উঠে যায়। ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে এখন সিয়াম পোল্ট্রি ফার্ম, মেসার্স একতা পোল্ট্রি ফিড ও মাছের প্রজেক্টের উদ্যোক্তা সাহাদাত সরদার। শ্রমিকদের বেতন ও আনুষাঙ্গিক খরচা মিটিয়ে এখন মাসিক আয় লাখ টাকার উপরে তার।

উদ্যোক্তা মো. সাহাদাত সরদার বলেন, ‘এখানে ৬ হাজার মুরগি পালি। ২০ লাখ টাকা ব্যয় করে, প্রথম ব্যাচে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা লাভ হইছে, ২য় ব্যাচে ২ লাখ টাকা লাভ হইছে আর এই ৩য় ব্যাচে দেড় লাখ টাকা লাভ হইছে। বাচ্চার দাম আর ফিডের দাম একটু বেশি থাকার কারণে লাভের অংশ কমে গেছে। এই পোল্ট্রি ফার্ম দেয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে একটাই, মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। এখন আমার আন্ডারে অনেক লোক কাজ করে প্রায় ১০-১২ জন।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই ফার্মটা আমার নিজের। আমার ফিডের দোকান আছে একতা পোল্ট্রি ফিড নামে ওয়্যারলেস বাজারে। আমি ২০০৫ সাল থেকে ব্যবসা করি। এখন নিজে কিছু প্রজেক্ট দিতেছি। আমার প্রায় ১০০-১৫০ খামারি আছে, তাদের আমি ফিড বাচ্চা দেই এবং আমিই ফিডের ডিলার। কিন্ত ফার্ম চালাতে গিয়ে আমরা সরকারিভাবে কোনো সাহায্য পাই না। সরকারি কোনো ডাক্তার আমাদের এই ফার্মের কেয়ার টেক করে না। কোম্পানীর যে ডাক্তার আছে তাদের নিয়েই আমরা এই ফার্ম পরিচালনা করি।’

উদ্যেক্তা সাহাদাত এখন পুরোদমে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী। তিনি চাঁদপুর পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ড বাবুরহাট দাসাদী এলাকার সরদার বাড়ীর বাসিন্দা। পরিবারে দুই ভাই, পাঁচ বোন আর স্ত্রী ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে তার।

বর্ণাঢ্য আয়োজনে চাঁদপুর কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:১৪ অপরাহ্ণ
বর্ণাঢ্য আয়োজনে চাঁদপুর কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

সত্য সাহস ও সুন্দর এই পথচলায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে দৈনিক কালবেলার ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চাঁদপুরে আলোচনা সভা ও কেক কাটা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ৩য় তলায় এ সভা ও কেক কাটা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চাঁদপুর জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্লাহ সেলিম বলেন, মানুষ পত্র-পত্রিকার মাধ্যমেই নানাবিধ সমস্যার সমাধান খুঁজে। যেমন এই শহরে যানজট নিত্যদিনের সমস্যা। সেই সমস্যা সমাধানে বাইপাস রাস্তাসহ ইচুলী দিয়ে যদি ডাকাতিয়া নদীর ওপর একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয় তাহলে এক রাস্তায় গাড়ী যেতো অন্য রাস্তায় আসতো। তবে এই যানজট হয়তো কিছুটা কমতো। আবার বিনোদনের জন্যও তেমন ভালো কোন শিশু পার্ক নেই। এমন নানাবিধ সমস্যা পত্রিকার মাধ্যমে তুলে ধরলেই সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টিগোচর হলে এগুলোর সমাধান দ্রুত হবে।

তিনি আরও বলেন, আমি নিজেও একসময় লেখালেখি করতাম। আমার একটি পাক্ষিক পত্রিকাও ছিলো। তবে এখন এটি আর বের হয় না। তবে সমাজ বিনির্মাণে সাংবাদিকদের লেখনীর বিকল্প নেই। আমি যে কয়টি পত্রিকা পড়ি তার মধ্যে কালবেলাও রয়েছে। আমি এই পত্রিকার সাংবাদিকসহ পত্রিকাটির উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি রহিম বাদশা বলেন, সাংবাদিকদের কাছে মানুষ অতিরঞ্জিত প্রত্যাশা রাখে। তবে ভাবা দরকার, সবাই ঘুমিয়ে থাকবে আর সাংবাদিকরা জেগে থাকবে তা হয়না। এর পরেও কোন ঘটনা ঘটলে তা ঠিকই প্রকাশ করেন সাংবাদিকরা। কোনভাবেই তা চেপে রাখা সম্ভব নয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ জালাল চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মুনীর চৌধুরী, এনসিপি চাঁদপুর জেলার মুখ্য সমন্বয়ক মাহবুব আলম, জেলা গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন, জেলা যুব দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহার, জেলা বাসদ এর সমন্বয়ক কমরেড শাহজাহান তালুকদারসহ অন্যরা।

দৈনিক কালবেলার চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি অমরেশ দত্ত জয় এর সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ হোসেন অপু, দৈনিক কালবেলার কচুয়া প্রতিনিধি মানিক ভৌমিক, শাহরাস্তি প্রতিনিধি স্বপন কর্মকার মিঠুন, মতলব উত্তর প্রতিনিধি মমিনুল ইসলাম, হাইমচর প্রতিনিধি শিমুল অধিকারী সুমন, ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি আব্দুল কাদের, মতলব দক্ষিণ প্রতিনিধি আল আমিন ভূঁইয়া, হাজীগঞ্জ প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম, দৈনিক চাঁদপুর দর্পণের স্টাফ রিপোর্টার সুজন চৌধুরী, দৈনিক মতলবের আলোর প্রতিনিধি হোসেন গাজী, ইলশেপাড়ের প্রতিনিধি আল আমিন ছৈয়াল প্রমূখ।

বক্তারা আগামীতেও দৈনিক কালবেলা জনগণের প্রত্যাশা পূরণে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য নির্ভর সাংবাদিকতা ও সংবাদ পাঠক সমাজকে উপহার দিবে বলে প্রত্যাশা করেন।

মতলব দক্ষিণে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত

মোঃ রবিউল আলম
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১:১৫ পূর্বাহ্ণ
মতলব দক্ষিণে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত

‘হাত ধোয়ার নায়ক হোন’ স্লোগানকে সামনে রেখে মতলব দক্ষিণ উপজেলা প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং মতলব পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে৷ বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলা পরিষদ কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে র্র্যালী ও হাত ধোয়া প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। একই সাথে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়ার পদ্ধতি শিখানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমজাদ হোসেন। এসময় তিনি বলেন, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ। অনক সময় মানুষের মধ্যে রোগ জীবানু স্থানান্তর হওয়ার মাধ্যম হয়ে থাকে হাত। তাই আমাদের এই হাত ধোয়ার গুরুত্ব আছে। আমরা সুস্থ জাতি গঠন করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের জাতিকে হিরো বানাতে চাই।আগামী প্রজন্ম যারা জাতিকে পরিচালনা করবে তারা সুস্থ হয়ে বেড়ে উঠুক এই প্রত্যাশা রাখি। আমরা আমাদের আগামী প্রজন্মকে হিরো হিসেবে দেখতে চাই। সবাইকে উজ্জ্বল নক্ষত্র হতে হবে। তাহলে আমরা সে উজ্জ্বল নক্ষত্রকে অনুসরণ করবো।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস আহমেদ, মতলব পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুর রহমান, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার আবুল হাসানাত, মতলব দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোজাহিদুল ইসলাম কিরণ, মতলব প্রেসক্লাবের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক গোলাম সারওয়ার সেলিমসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সাংবাদিকবৃন্দ ।

তোফাজ্জল হোসেন ঢালী উবিতে শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় সভা

মোঃ রবিউল আলম
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১:০৯ পূর্বাহ্ণ
তোফাজ্জল হোসেন ঢালী উবিতে শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় সভা

মতলবের আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন ঢালী উচ্চ বিদ্যালয়ের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমজাদ হোসেন।

মতলব দক্ষিণ উপজেলার আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন ঢালী উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা এবং ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাশ নিশ্চিত করণ শীর্ষক
করণীয় সভা ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়।

বিদ্যালয়ের সভাপতি আলমগীর হোসেন ঢালীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমজাদ হোসেন।

এসময় অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও নৈতিক বিকাশের ওপর জোর দিতে হবে। এতে শিক্ষার্থীর প্রাত্যহিক পড়া, বাড়ির কাজ এবং সামগ্রিক আচরণের বিষয়ে আলোচনা থাকবে। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা এবং সমাজের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালনের গুরুত্বও উল্লেখ করা উচিত। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি নিয়মিত খোঁজখবর নিতে হবে।
তাদেরকে শুধু পড়াশোনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে মানবিক ও সামাজিক মূল্যবোধ শেখাতে উৎসাহিত করতে হবে। শিক্ষক ও
শিক্ষকদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলতে হবে।

শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা কোন রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হবেন না। এতে আপনারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। যেমন গত ৫ আগস্টের পর অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ চাকুরী ছেড়ে পালিয়ে গেছে, আবার অনেক শিক্ষক অপমানিত ও লাঞ্ছিত হয়েছে। তাই আপনারা আপনাদের সম্মানটুকু ধরে রাখবেন। নিজের সন্তানের মতো মনে করেই শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করবেন।

ঢাকা নবেল কলেজের শিক্ষক এস ইউ বাহারের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ শুক্কুর পাটোয়ারী, মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সালেহ আহমেদ।

অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রুহুল আমিন, অত্র প্রতিষ্ঠানের নব নিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্বাস মিয়া, নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজের গভর্ণিং বডির সভাপতি মাসুদ হাজী, বিএনপি নেতা এম এ আজিজ ঢালী, মোস্তফা মেম্বার, অভিভাবক সদস্য হারুন অর রশীদ প্রমুখ।