ফরিদগঞ্জে সিমস্ প্রকল্পের প্রশিক্ষনে সচেতন হচ্ছে তরুণরা


‘জেনে বুঝে বিদেশ গেলে অর্থ সম্মান দুইয়ে মিলে’ এই স্লোগান কে সামনে রেখে চাঁদপুর জেলার ৬ টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে সিমস্ ফেইজ-২ প্রকল্প।
সুইস দাতা সংস্থা এসডিসির অর্থায়নে হেলভেটাস বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় চাঁদপুরে মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে আসছে বেসরকারি উন্নয়ন মূলক সংস্থা সেন্টার ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট এ্যাসিসটেন্স (সিসিডিএ)। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি মাসে প্রকল্প চলমান ইউনিয়ন গুলোতে কমপক্ষে একটি করে পিডিএমও প্রশিক্ষন অর্থাৎ প্রাক সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হলেও বেকারত্বের হার অনেক বেশি। এই বিশাল সংখ্যক বেকার যুবকরা নিজেদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বিদেশে পাড়ি জমায় কিন্তু এই বিদেশ যাত্রা স্বপ্ন পূরণ করতে ব্যর্থ হয়।
যার মূল কারন, অসাবধান হয়ে বিদেশ গমন। অবৈধ এবং দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে অনেক অভিবাসি কর্মীর জীবন হুমকির মুখে পড়ে।
এই প্রকল্পের আওতায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য বৈধভাবে বিদেশ গমনের লক্ষ্যে তথ্য প্রচার করা হয়। এতে সচেতনতা বাড়তে দেখা গেছে তরুণদের মাঝে। তরুণরা এখন থেকে বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে বৈধ উপায়ে গমনের আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাব এজেন্টদের সাথে পূর্বে বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে টাকা পয়সা লেনদেনের কোনো প্রমান রাখতো না মানুষ। ভিসা, চুক্তিপত্র, মেডিকেল, পাসপোর্ট এগুলো সরকারি ভাবে সঠিক ভাবে করার প্রবনতা বাড়ছে সিমস্ প্রকল্পের তথ্য সহায়তার মাধ্যমে।
এ বিষয়ে ওয়াসি আকরাম বাবু নামে একজন কর্মী জানান, আমি বিদেশ যাবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং দালাল কে টাকা পয়সাও দিয়ে ফেলেছি। সিমস্ প্রকল্পের প্রাক সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রশিক্ষন নিয়ে আমি অনেক তথ্য জানতে পারি। তথ্য জানার পর আমি ভিসা এবং চুক্তি পত্র দালালের কাছে চাইলে দালাল সেটা সঠিক ভাবে দিতে পারেনি। পরবর্তীতে সালিশি চুক্তির মাধ্যমে আমি নিশ্চিত হয়ে বিদেশ গমন করে প্রতারণার বিষয়ে আগে থেকে সচেতন হই।
এই বিষয়ে সজিব হোসেন নামের এক তরুণ জানান, সিমস্ প্রকল্পের আওতায় বড় একটি বার্তা দেওয়া হয় যে বিদেশ যাওয়ার আগে কাজ শিখে গেলে লাভবান হওয়া যায়, লেভার হিসেবে গেলে খুব একটা লাভ হয় না। আমি তাদের থেকে তথ্য পেয়ে কম্পিউটার এবং ড্রাইভিং শিখছি। আমি দক্ষতা অর্জন করেই বিদেশ যাবো।
এ বিষয়ে সিমস্ প্রকল্পের ফরিদগঞ্জ উপজেলা সমন্বয়ক মাহমুদুল হাসান জানান, এই প্রকল্পের সেবা আমার প্রকল্প এরিয়া গুলোর সবখানে পৌছে দিতে চেষ্টা করছি। স্থানীয় অংশীজনদের নিয়ে এই প্রকল্প একটি ভালো যায়গায় পৌছাবে বলে আশাবাদী আমরা।
আপনার মতামত লিখুন