খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২০ ভাদ্র, ১৪৩২

পাথৈর ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসা বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত

মোঃ সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৭:২৬ অপরাহ্ণ
পাথৈর ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসা বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত

চাঁদপুর জেলার শাহারাস্তি উপজেলার বহু আলোচিত একটি দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জল্পনা কল্পনার গল্পের মাঝে আমরা যেন হাবুডুবু খাচ্ছি। দেশ স্বাধীন হওয়ার ঠিক পরের বছর অর্থাৎ ১৯৭২ সালের পহেলা জানুয়ারি এই প্রতিষ্ঠানটির জন্ম।

স্বাধীনতার ৫৩ বছর শেষে যেন প্রতিষ্ঠানটি তার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে অভিশাপ দিচ্ছে শিক্ষা সংশ্লিষ্টদেরকে!

১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের (তৎকালীন হাজীগঞ্জ থানার এবং কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত) পাথৈর গ্রামের মাঝামাঝি উপজেলার মধ্য দিয়ে বহমান একমাত্র নদী ডাকাতিয়ার দক্ষিণ পাড়ের ৩০০ গজের মধ্যে ৩ একর ৭২ শতক জায়গায় স্থাপিত হয় ‘পাথৈর ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসা’।

এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা হিসেবে তৎকালীন সময়ে অনেকের মধ্যে অন্যতম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাওলানা আলী আকবর এবং প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নির্বাহ করেন মাওলানা এমদাদুল হক।

এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এলাকায় একটি মহল উক্ত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির জায়গা নিজেদের দখলে নিতে উঠে পড়ে লাগেন। তৎকালীন মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায়‌ উদ্যোক্তাগন প্রতিষ্ঠানটি ভালোভাবে পরিচালনায় মাদ্রাসার পক্ষে জোরালো অবস্থান নেন। শুরু থেকে তাদের শক্ত অবস্থানের কারণে কায়েমী স্বার্থবাদীদের অভিলাষ ভেস্তে যায়। দীর্ঘ বছর নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে মামলা চলে। শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালত থেকে মাদ্রাসার পক্ষে রায় আসে। বলা যায় একের পর এক মামলার ঘানি টানতে টানতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পাঠদানে আশাতীত সাফল্যে বিঘ্ন ঘটে।

মাদ্রাসার বর্তমান সুপার মোঃ আব্দুর রহিম বলেন, ১৯৭২ সালে গোড়ার দিকে অত্র এলাকার কতিপয় শিক্ষানুরাগী বিদগ্ধ ব্যক্তিবর্গ এলাকার ছেলে-মেয়েদের শিক্ষাগ্রহনের সুবিধার্থে পাথৈর ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসাটি স্থাপন করেন। শুরুতেই মাদ্রাসাটির জায়গার উপর কুনজর পড়ে একটি কুচক্রী মহলের। তারা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বহু ষড়যন্ত্র করেন। তারা মাদ্রাসাটির জায়গার মালিকানা দাবি করে একের পর এক মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করেন। বহু বছর মামলাগুলো কঠোর হস্তে মোকাবিলা করেন এলাকার বিদুৎসাহী বিশিষ্ট জনেরা। শেষ পর্যন্ত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নিম্ন আদালত ও হাইকোর্ট মাদ্রাসার পক্ষে রায় দেন ২০২৫ সালের গোড়ার দিকে। এসময়ে মামলা মোকদ্দমার পিছনে সময় দিতে গিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় প্রভাব পড়ে। যার ফলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনে অনেকটাই ব্যর্থ হয়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এসময় অত্র প্রতিষ্ঠানের নামে নতুন ভবন নির্মাণে অর্থ মঞ্জুর হলেও মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা থাকায় মঞ্জুর হওয়া অর্থ ভবন নির্মাণ না করে ফেরৎ যায়। তবে এখন আর মাদ্রাসার বিরুদ্ধে কোন মামলা মোকদ্দমা নেই। এখন সময় এসেছে শুধু সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার।

মাদ্রাসাটিতে বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩১৫ জন। কর্মরত শিক্ষকের সংখ্যা ১১ জন আর শিক্ষকের শূন্য পদের সংখ্যা ৯টি, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর সংখ্যা ৫ জন।

অত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠাকালে এলাকার জনসংখ্যা ছিল অনেক কম। ঐ সময় মাদ্রাসাটির মাঠের মাঝামাঝি দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে মাদ্রাসার সীমানা ঘেঁষে উত্তর পাশে নির্ধারিত রাস্তা থাকা সত্ত্বেও মাঝমাঠ দিয়ে এলাকার মানুষ যাতায়াত করতো। সময়ের ব্যবধানে দীর্ঘ ৫৩ বছর শেষে আজ এলাকার জনসংখ্যা বহুগুণ বেড়েছে। এখনও এই প্রতিষ্ঠানটির মাঝখান দিয়ে এলাকার মানুষ পূর্বের ন্যায় যাতায়াত করে। যার ফলে শ্রেণিকক্ষের স্বাভাবিক পাঠদান ও শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। তাই মাদ্রাসার উত্তর পাশ দিয়ে যাতায়াতের রাস্তাটি এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য সংস্কার করা সহ অনতিবিলম্বে মাদ্রাসার বাউন্ডারি ওয়ালটি নির্মাণ করা জরুরি প্রয়োজন।

এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর মাদ্রাসা ক্যাম্পাসের উত্তর প্রান্তে শ্রেণি কক্ষ হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রথমে ২টি টিনের ঘরের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। মাঠের দক্ষিণ প্রান্তে ২টি ছোট পুরানো টিনের ঘরে শিশুদের পাঠদান কার্যক্রম চলছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় পুরোনো টিনের শ্রেণিকক্ষে বৃষ্টির পানি পড়ে শিক্ষার্থীদের বই-খাতা ভিজে সয়লাব।

মাদ্রাসার সুপার জানান, শ্রেণিকক্ষের উপরের টিনের চালা অপেক্ষাকৃত অনেক নীচু হওয়ায় গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড রোদের তাপে পাঠদান কার্যক্রমে‌ শিক্ষার্থীদের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থায় পড়তে হয়। এদিকে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে মাদ্রাসার নামে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর চাঁদপুর থেকে একটি টিনশেড ভবন নির্মাণের জন্য ১৯ লাখ টাকার বরাদ্দ পাওয়া যায়।

উক্ত বরাদ্দে একটি টিনশেড ভবনের নির্মাণ কাজ শেষে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে ৫৩.৬২”×২৬” সাইজের ভবন হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিল উত্তোলন করে চলে যায়।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অফিস বা শ্রেণিকক্ষের যে পরিমাণ প্রশস্ত বারান্দা হওয়া প্রয়োজন নব-নির্মিত উক্ত টিনশেড ভবনে সেটি বিবেচনায় নেয়া হয়নি যা দেখতে অনেক দৃষ্টিকটু।

তাছাড়া উক্ত টিনশেড ভবনের পূর্ব অংশে দুইটি টয়লেট আকৃতির কিছু একটা নির্মাণের কাজ শুরু করে শেষ না করেই হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে শাহরাস্তি উপজেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর চাঁদপুরের সহকারী প্রকৌশলী রাকিবের মোবাইল ফোনে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, সাময়িক একটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে বারান্দা, এর চেয়ে বেশি প্রশস্ত রাখার প্রয়োজন নেই। তাছাড়া এই ভবন নির্মাণের ডিজাইন প্রধান কার্যালয় থেকে করা হয়েছে। জানতে চাইলাম সরকারের ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দে সাময়িক ভবন নির্মাণ করা হবে কেন? এই প্রশ্নের তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

বর্তমানে এই দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি পরিচালনায় ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিচালনা পরিষদ রয়েছে বলে অধ্যক্ষ জানান। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোঃ আবদুল মতিন।

সরজমিনে গিয়ে সাক্ষাৎ মিলে কমিটির বিদ্যুৎসাহী সদস্য মোঃ হাবিব এর সাথে। তিনি অত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও বর্তমানে বিরাজমান সমস্যাসমূহ তুলে ধরে বলেন, শুরু থেকে মাদ্রাসাটির নিজস্ব জায়গা ৭৪ শতাংশ জায়গার উপর একটি জলাশয় রয়েছে। উক্ত জলাশয়টিতে মাছ চাষ করলে যে আয় হতো তা যথাযথভাবে পাওয়া গেলে ঐ আয় দিয়ে মাদ্রাসার দৈনন্দিন খরচ অনায়াসে মিটানো সম্ভব ছিল।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, উক্ত জলাশয়ে বর্ষা মৌসুমে মাছ ছাড়লে জলাশয়ের পূর্ব ও দক্ষিণ পাড়ে বসবাসরত ব্যক্তিবর্গ অবাধে উক্ত জলাশয় থেকে মাছ ধরে নিয়ে যায়। এতে মাদ্রাসাটি আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাছাড়া এই জলাশয়ের সাথেই আরও ৭৬ শতাংশ উঁচুনীচু জায়গা দক্ষিণ অংশে আছে যা এখনও কিছু মানুষ দখলে রেখে ভোগদখল করছে।

তিনি দ্বীনি এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠের মাঝখানে এলাকার মানুষের যাতায়াতের পথটি বন্ধ করে দিয়ে মাদ্রাসার উত্তর পাশের নির্ধারিত রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী সংস্কার করে দেয়া, মাদ্রাসাটির বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ওয়াশ রুম নির্মাণ এবং ছাত্রীদের জন্য নামাজের ঘর নির্মাণের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের বিনীত আবেদন জানান।

তিনি এই মহতী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি শাহরাস্তি উপজেলা প্রশাসনের সহ চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সেই সাথে তিনি শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজিয়া হোসেনকে সরজমিনে মাদ্রাসাটি পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান।

এলাকাবাসীর বক্তব্য, অত্র দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যাতায়াতের রাস্তাগুলো বৃষ্টি বাদলের সময় পানিতে ডুবে যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে যায়। যার ফলে বর্ষা মৌসুমে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াতে অনেক অসুবিধায় পড়তে হয়।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ফ্যাসিলিটিস ডিপার্টমেন্টের দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, এলজিইডি এবং শাহরাস্তি উপজেলা প্রশাসন সহ চাঁদপুর জেলা প্রশাসক তাদের সন্তানদের শিক্ষা গ্রহনের সুবিধার্থে অনতিবিলম্বে সমস্যাসমূহ সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে সকলে আশা করেন।

চাঁদপুরে সড়ক সংস্কার ড্রেনেজ নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবীতে মানববন্ধন

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে সড়ক সংস্কার ড্রেনেজ নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবীতে মানববন্ধন

চাঁদপুর পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ড জি. টি রোড দক্ষিণ, সরকার বাড়ির সড়ক সংস্কার, প্রসস্থকরণ ও পয়ঃনিষ্কাশনের ড্রেনেজ নির্মাণের দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ড সরকার বাড়ির সামনে স্থানীয় শতাধিক বাসিন্দাদের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে চাঁদপুর আইডিয়াল স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুলাহ আল মাহিম ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মিনহাজ হোসাইন বলেন, একটু বৃষ্টি হলে এই সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ফলে তাদের স্কুলে যেতে কষ্ট হয়। স্কুলে যাওয়ার সময় হাতে থাকা বই-খাতা, কলম সহ যাবতীয় আসবাবপত্র পানিতে পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। এবং নোংরা পানির কারণে পায়ে ফোসকা উঠে যায়। তাই দ্রুত এর সড়কটি সংস্কার ও পয়ঃনিষ্কাশনের ড্রেনেজ নির্মাণ করার দাবী তাদের।

স্থানীয় বাসিন্দা সোহাগী আক্তার বলেন, পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক এটি। তবে এই এলাকাটাই বেশি অবহেলিত। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে থাকার কারনে চালাচল করা যায় না। আবার একবার জলাবদ্ধতা হলে কয়েকমাসেও তা নিরসন হয় না। এতে বৃষ্টি হোক বা না হোক সাঁকো ব্যবহার করে বাড়িতে আসা-যাওয়া করগে হয়।

সোহাগীর মতোই দুর্ভোগের বর্ণনা তুলে ধরেন এ্যাডভোকেট ফয়সাল হোসাইন, এ্যাডভোকেট মো. নুরুল হক কোমল, এ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম শাওন, হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ ও মো. আব্দুস সামাদ।

তারা বলেন, এই এলাকায় ১ হাজার পরিবারে ১০ হাজার মানুষের বসবাস। অথচ পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো চিন্তা নেই এই সড়কটি নিয়ে। ১২ নং ওয়ার্ডের সকল শ্রেণীর পেশার মানুষ আজ রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে। চাঁদপুর পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ এ ওয়ার্ড, যেখানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, দায়রা জজ আদালত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তর রয়েছে। অথচ এ ওয়ার্ড সব চেয়ে বেশি অবহেলিত। এ সড়টির বিষয়ে পৌর মেয়র ও পৌর প্রশাসনের কাছে যেতে যেতে আমরা ক্লান্ত। তবুও তারা কোনো সুরাহা করছে না। শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারছে না জলাবদ্ধতার কারনে। এ ওয়ার্ডে কয়েকটি স্কুল এবং মাদ্রাসা রয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এ সড়কটি সংস্কার, প্রসস্থকরণ ও পয়ঃনিষ্কাশনের ড্রেনেজ নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করুন।

মানববন্ধনে ওই সময় চাঁদপুর আইডিয়া স্কুল সহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেনি প্রেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

ছবি ক্যাপশন:- সড়ক সংস্কার, প্রসস্থকরণ ও পয়ঃনিষ্কাশনের ড্রেনেজ নির্মাণের দাবী।

বাতিঘর মানবকল্যাণ সংস্থার কমিটি ঘোষণা

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮:৫৫ অপরাহ্ণ
বাতিঘর মানবকল্যাণ সংস্থার কমিটি ঘোষণা

সামাজিক সংগঠন বাতিঘর মানবকল্যাণ সংস্থার ২০২৫-২৭ অর্থ বছরের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার রাতে সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা সাইফুল ইসলাম সিফাতের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

কমিটিতে মো. জাহাঙ্গীর হোসাইনকে সভাপতি, মো. হোসেন বেপারীকে সাধারণ সম্পাদক ও নিরব আহমেদকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

কমিটির অন্যান্য সদসরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হোসাইন পাটোয়ারী, সহ-সভাপতি এস এম মিরাজ মুন্সী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন বরকন্দাজ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. রনি, তথ্য গবেষণা ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ বেপারী, দপ্তর সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মো. মহিউদ্দিন, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান রিমেল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফারজানা ইসলাম ইয়াসমিন , শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক নাছির উদ্দীন (নাছিমুল বারী), সম্মানিত সদস্য রাজু মির্জা, মো. সোহরাব, মো. তারেক আজিজ ও মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন।

সংগঠনটির সদ্য ঘোষিত সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মো. হোসেন বেপারী বলেন, বাতিঘর মানবকল্যাণ সংস্থা একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সামাজিক সংগঠন। সংগঠনটির সদস্যদের প্রধান কাজ গরিব, অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো। অতীতেও সংগঠনের সদস্যরা মানুষের কল্যাণে কাজ করেছে এবং ভবিষ্যতেও যেন নিঃস্বার্থে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে সেজন্য সকালের সহযোগিতা কামনা করেন তারা।

উল্লেখ্য, সংগঠনটি ২০২২ সালের ২৬ আগস্ট যাত্রা শুরু করে। এর পর থেকে অসহায় পরিবারের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ, হুইল চেয়ার বিতরণ, শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃক্ষ বিতরণ, ঈদ উপহার বিতরণ, ইফতার সামগ্রী বিতরণ, মেধাবী অসহায় শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা ও বই বিতরণ সহ সামাজিক কাজে অবদান রাখছেন।

কচুয়ায় ড্রেজারের বালুর গর্তে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

কচুয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮:৪৬ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় ড্রেজারের বালুর গর্তে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় ড্রেজারের বালুর গর্তের পানিতে ডুবে দু-শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার ৮নং কাদলা ইউনিয়নের শাসনখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুরা হলো: রায়হান (৬) ও রিহান আহমেদ (৩)। তারা মামাতো-ফুফাতো ভাই। রায়হান শাসনখোলা গ্রামের মোশারফের ছেলে। রিহান একই গ্রামের শাহিনের ছেলে।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশে একসঙ্গে খেলছিলো রায়হান ও রিহান। এ সময় পরিবারের লোকজন কাজে ব্যস্ত ছিলেন। খেলতে খেলতে এক পর্যায়ে দু শিশু খেলার ছলে বাড়ির পাশে থাকা একটি ড্রেজারের বালুর গর্তে পড়ে যায়। বাড়ির লোকজন তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
এক পর্যায়ে বালুর গর্তে তারা ডুবে আছে দেখতে পেয়ে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার পানিতে ডুবে যাওয়া দুই শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে আনার পূর্বেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।