খুঁজুন
সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭ পৌষ, ১৪৩২

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন

বগুড়াসহ তিন আসনে লড়তে পারেন খালেদা জিয়া

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ৭:৪৪ অপরাহ্ণ
বগুড়াসহ তিন আসনে লড়তে পারেন খালেদা জিয়া

প্রায় দুই দশক ধরে সরাসরি নির্বাচনী মাঠে অনুপস্থিত বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে পারেন। এই খবরেই যেন নতুন করে চাঙা হয়ে উঠেছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু বগুড়া।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে, খালেদা জিয়াকে এবার বগুড়া, ফেনী ও দিনাজপুর- এই তিনটি আসনে প্রার্থী করার সম্ভাবনা বেশি। এর মধ্যে বগুড়া-৬ অথবা ৭ আসন থেকে তার নির্বাচনে অংশগ্রহণ অনেকটাই নিশ্চিত। বগুড়া-৭ আসনটি (গাবতলী-শাহজাহানপুর) শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি হওয়ায় এটি বরাবরই বিএনপির কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

বগুড়া দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে একাধিকবার এখান থেকে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন এবং প্রতিবারই জয়ী হয়েছেন। ফলে বিএনপির রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা ও শক্তি পুনর্গঠনে বগুড়া থেকে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ দল ও সমর্থকদের মধ্যে ভরসা ও আশার আলো জাগিয়েছে।

বিএনপির এক নেতা বলেন, বগুড়া আমাদের জন্য শুধু একটি আসন নয়, এটি আমাদের রাজনীতির প্রতীক। খালেদা জিয়া এখান থেকেই গণমানুষের বার্তা দিতে চান। এতে দলের ভেতরে যে বিভক্তি শুরু হয়েছিল, সেটিও অনেকটা বন্ধ হবে।

দলীয় উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বেগম খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৬ অথবা ৭ এবং দিনাজপুর জেলার একটি আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন। এরই মধ্যে সম্ভাব্য মনোনয়নের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।

দলীয় নেতারা জানিয়েছেন, বেগম জিয়ার মতো শুধু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও একাধিক আসনে নির্বাচন করার অনুমতি পাবেন।

২০০৮ সালের পর ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনটি আসনে প্রার্থী হলেও কথিত দুর্নীতির মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল। তবে ২০২৪ সালে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে থাকা সব মামলা আদালতের রায়ে খারিজ হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্ট তাকে দুটি মামলায় খালাস দেওয়ায় তার নির্বাচনে অংশগ্রহণে আর কোনো আইনি বাধা নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বগুড়া জেলা বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বলেন, ম্যাডাম জিয়া এখন দেশে ফিরেছেন, শারীরিকভাবে আগের চেয়ে ভালো আছেন। তিনি মনোবল হারাননি। আমরা আশাবাদী, তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং আবারও আমাদের নেতৃত্ব দেবেন।

বগুড়া জেলা বিএনপির নেতাদের মতে, খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ শুধু দলের কর্মীদের নয়, সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও বড় ধরনের সাড়া ফেলবে।

দলের একজন সাবেক সংসদ সদস্য বলেন, বেগম জিয়ার প্রার্থিতা মানেই মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার প্রতীক। বগুড়া থেকে তার অংশগ্রহণ আমাদের আন্দোলনকে শক্তিশালী করবে।

১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে পাঁচটি আসনে প্রার্থী হয়ে সবগুলোতেই জয়ী হন বেগম খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালে চেয়েও আইনি জটিলতায় লড়তে পারেননি। এবার তার সরাসরি অংশগ্রহণ শুধু নির্বাচন নয়, একটি নতুন রাজনৈতিক সময়েরও বার্তা দিচ্ছে।

বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বেগম জিয়া হচ্ছেন জনগণের আস্থার প্রতীক। আমরা বিশ্বাস করি, তার নেতৃত্বেই দেশে গণতন্ত্র আবার প্রতিষ্ঠিত হবে। তার নির্বাচনে অংশগ্রহণ মানে হচ্ছে দেশে ভোটাধিকার ও ন্যায়ের বিজয়।

বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচনী ইতিহাস এক অনন্য উদাহরণ হয়ে আছে। একাধিকবার একাধিক আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে প্রতিবারই তিনি জয়লাভ করেছেন। দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির উত্থান-পতনের নানা সময়েও বেগম জিয়ার নির্বাচনী মাঠে অবস্থান ছিল দৃঢ় ও প্রভাবশালী।

খালেদা জিয়ার বগুড়া থেকে নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষণ করাই একটি রাজনৈতিক বার্তা। দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর বগুড়া তার প্রত্যাবর্তনের কেন্দ্রস্থল হচ্ছে, এতে নির্বাচন নিয়ে বিএনপি এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে এক ধরনের আগ্রহ ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হবে।

বিশেষ করে বগুড়া, ফেনী, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা- এই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক এলাকাগুলোতে তার জনপ্রিয়তা এবং ভোটের ব্যবধান ছিল অত্যন্ত লক্ষণীয়। তিনি কখনোই নির্বাচনী মাঠে পরাজয়ের মুখ দেখেননি, যতবারই ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন, বিজয় তার পক্ষেই এসেছে।

১৯৯১ সালে নির্বাচনে তিনি ৫টি আসনে প্রার্থী হয়ে ৫টিতেই জয়ী হন। উল্লেখযোগ্য আসন ছিল বগুড়া, ফেনী ও ঢাকা। ১৯৯৬ সালেও তিনি একইভাবে ৫টি আসনে প্রার্থী হয়ে সবগুলোতেই জয় পান। তখন তার নির্বাচনী এলাকা ছিল বগুড়া ও চট্টগ্রামসহ আরও কয়েকটি।

২০০১ সালের নির্বাচনেও তিনি ৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে ৫টিতেই বিজয় অর্জন করেন। তখন তিনি বগুড়া ও খুলনা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

২০০৮ সালে, রাজনৈতিকভাবে কঠিন এক সময়ে খালেদা জিয়া তিনটি আসনে প্রার্থী হয়ে তিনটিতেই বিজয়ী হন। এর মধ্যে বগুড়া-৬ ও ফেনী-১ ছিল গুরুত্বপূর্ণ আসন।

এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে, তিনি তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও, দুর্নীতির মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়। ফলে সেই নির্বাচন তিনি অংশগ্রহণ করতে পারেননি।

বগুড়া জেলা বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার বগুড়া থেকে নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষণ করাই একটি রাজনৈতিক বার্তা। দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর বগুড়া তার প্রত্যাবর্তনের কেন্দ্রস্থল হচ্ছে, এতে নির্বাচন নিয়ে বিএনপি এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে এক ধরনের আগ্রহ ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হবে। দেশের রাজনীতিতেও এটি হবে একটি নতুন অধ্যায়।

বিজয়ের দিনে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করলেন শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক

মিজান লিটন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:৪৪ অপরাহ্ণ
বিজয়ের দিনে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করলেন শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক

মহান বিজয় দিবস একটি ভালো দিন তাই আমি মনোনয়নপত্র সংগ্রহে এই দিনটি বেছে নিলাম। বিজয়ের দিনে মনোনয়নপত্র উত্তোলন কালে চাঁদপুর – ৩ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী
শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক এ কথা বলেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র উত্তোলনের প্রথম দিন
(১৬ই ডিসেম্বর) মঙ্গলবার বিকেল ৩ টায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক নাজমুল হাসান সরকারের কাছ থেকে এ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি ও চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেন, আজকের এই দিনটি মহান বিজয়ের দিন এটি একটি ভালো দিন আমার সৌভাগ্য এই দিনটিতে আমি আমার মনোনয়োন সংগ্রহ করতে পেরেছি। চাঁদপুরের পাঁচটি আসনের সর্বপ্রথম আমিই মনোনয়ন সংগ্রহ করলাম। আমি আমরা আশাবাদী একটি সুষ্ট, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।

এ সময় তিনি আরো বলেন, ১৭ বছর আমরা যেই দিনটির জন্য অপেক্ষায় ছিলাম আজ সেই কাঙ্খিত দিনটি সামনে এসেছে। তাই আমরা চাই প্রশাসন যেন নিরপেক্ষ থেকে একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়।

মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ কালে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সলিম উল্যা সেলিম, জসিম উদ্দিন খান বাবুল, দেওয়ান মোহাম্মদ শফিকুজ্জামান, সংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির চৌধুরী।

কচুয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনে স্বাস্থ্যগত ঝুকি মোকাবিলা অবহিতকরন সভা

মো. ইউনুস
প্রকাশিত: বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩:০৯ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনে স্বাস্থ্যগত ঝুকি মোকাবিলা অবহিতকরন সভা
কচুয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্যগত ঝুকি মোকাবিলা ও প্রতিরোধ বিষয়ক অবহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১০ ডিসেম্বর বুধবার ব্রাকের আয়োজনে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়৷
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কি রোগ হতে পারে, যেমন ডেঙ্গু, মেলেরিয়া, চিকুনবুনিয়া ঠান্ডা কাশি শাস।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সোহেল রানা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন  modc  ডাঃ  পংকজ চন্দ্র সরকার, নার্সিং সুপার ভাইজার তাসনীমা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র স্টাফ নার্স মাকসুদা ও বাসন্তী দেবনাথ,  mt  ইপি আই বোরহান, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ব্রজ পোদ্দার, ব্রাকের cco অফিসার মোঃ বেলাল হোসেন ও প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ সহিদুল ইসলাম সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

দৈনিক আলোকিত চাঁদপুরের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক রাজুর মায়ের দাফন সম্পন্ন 

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ
দৈনিক আলোকিত চাঁদপুরের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক রাজুর মায়ের দাফন সম্পন্ন 
দৈনিক আলোকিত চাঁদপুর পত্রিকার যুগ্ম বার্তা সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম রাজুর মা ফেরদৌসী বেগম (৬৫) এর জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের সকদি পাঁচগাঁও গ্রামের মিয়াজী বাড়ির মরহুম আব্দুছ ছাত্তার মিয়াজির স্ত্রী, সাংবাদিক মো. জাহাঙ্গীর আলম রাজুর মমতাময়ী ‘মা’ ফেরদৌসী বেগম দীর্ঘদিন ফুসফুসে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৫ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা ১৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
৬ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় মরহুমার
জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে, ২ মেয়ে ও নাতি নাতনি সহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুমার জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক আলোকিত চাঁদপুর পত্রিকার সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মনিরুজ্জামান বাবলু, বার্তা সম্পাদক মিজান লিটন ভূঁইয়া, দৈনিক প্রিয় চাঁদপুর পত্রিকার বার্তা সম্পাদক আরিফুল ইসলাম শান্ত, সাংবাদিক মারুফ হোসেন,  অলিউল্লাহ মাহবুব, মরহুমার আত্মীয়-স্বজনসহ স্থানীয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
জানাজার নামাজে ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা আব্দুল হাকিম।
সাংবাদিক রাজুর মায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দৈনিক আলোকিত চাঁদপুর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. জাকির হোসেন ও জেলা সাংবাদিক ক্লাবের নেতৃবৃন্দ।
ওনারা মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।