খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫, ৩১ আষাঢ়, ১৪৩২

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন

বগুড়াসহ তিন আসনে লড়তে পারেন খালেদা জিয়া

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ৭:৪৪ অপরাহ্ণ
বগুড়াসহ তিন আসনে লড়তে পারেন খালেদা জিয়া

প্রায় দুই দশক ধরে সরাসরি নির্বাচনী মাঠে অনুপস্থিত বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে পারেন। এই খবরেই যেন নতুন করে চাঙা হয়ে উঠেছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু বগুড়া।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে, খালেদা জিয়াকে এবার বগুড়া, ফেনী ও দিনাজপুর- এই তিনটি আসনে প্রার্থী করার সম্ভাবনা বেশি। এর মধ্যে বগুড়া-৬ অথবা ৭ আসন থেকে তার নির্বাচনে অংশগ্রহণ অনেকটাই নিশ্চিত। বগুড়া-৭ আসনটি (গাবতলী-শাহজাহানপুর) শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি হওয়ায় এটি বরাবরই বিএনপির কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

বগুড়া দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে একাধিকবার এখান থেকে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন এবং প্রতিবারই জয়ী হয়েছেন। ফলে বিএনপির রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা ও শক্তি পুনর্গঠনে বগুড়া থেকে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ দল ও সমর্থকদের মধ্যে ভরসা ও আশার আলো জাগিয়েছে।

বিএনপির এক নেতা বলেন, বগুড়া আমাদের জন্য শুধু একটি আসন নয়, এটি আমাদের রাজনীতির প্রতীক। খালেদা জিয়া এখান থেকেই গণমানুষের বার্তা দিতে চান। এতে দলের ভেতরে যে বিভক্তি শুরু হয়েছিল, সেটিও অনেকটা বন্ধ হবে।

দলীয় উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বেগম খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৬ অথবা ৭ এবং দিনাজপুর জেলার একটি আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন। এরই মধ্যে সম্ভাব্য মনোনয়নের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।

দলীয় নেতারা জানিয়েছেন, বেগম জিয়ার মতো শুধু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও একাধিক আসনে নির্বাচন করার অনুমতি পাবেন।

২০০৮ সালের পর ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনটি আসনে প্রার্থী হলেও কথিত দুর্নীতির মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল। তবে ২০২৪ সালে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে থাকা সব মামলা আদালতের রায়ে খারিজ হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্ট তাকে দুটি মামলায় খালাস দেওয়ায় তার নির্বাচনে অংশগ্রহণে আর কোনো আইনি বাধা নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বগুড়া জেলা বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বলেন, ম্যাডাম জিয়া এখন দেশে ফিরেছেন, শারীরিকভাবে আগের চেয়ে ভালো আছেন। তিনি মনোবল হারাননি। আমরা আশাবাদী, তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং আবারও আমাদের নেতৃত্ব দেবেন।

বগুড়া জেলা বিএনপির নেতাদের মতে, খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ শুধু দলের কর্মীদের নয়, সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও বড় ধরনের সাড়া ফেলবে।

দলের একজন সাবেক সংসদ সদস্য বলেন, বেগম জিয়ার প্রার্থিতা মানেই মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার প্রতীক। বগুড়া থেকে তার অংশগ্রহণ আমাদের আন্দোলনকে শক্তিশালী করবে।

১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে পাঁচটি আসনে প্রার্থী হয়ে সবগুলোতেই জয়ী হন বেগম খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালে চেয়েও আইনি জটিলতায় লড়তে পারেননি। এবার তার সরাসরি অংশগ্রহণ শুধু নির্বাচন নয়, একটি নতুন রাজনৈতিক সময়েরও বার্তা দিচ্ছে।

বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বেগম জিয়া হচ্ছেন জনগণের আস্থার প্রতীক। আমরা বিশ্বাস করি, তার নেতৃত্বেই দেশে গণতন্ত্র আবার প্রতিষ্ঠিত হবে। তার নির্বাচনে অংশগ্রহণ মানে হচ্ছে দেশে ভোটাধিকার ও ন্যায়ের বিজয়।

বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচনী ইতিহাস এক অনন্য উদাহরণ হয়ে আছে। একাধিকবার একাধিক আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে প্রতিবারই তিনি জয়লাভ করেছেন। দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির উত্থান-পতনের নানা সময়েও বেগম জিয়ার নির্বাচনী মাঠে অবস্থান ছিল দৃঢ় ও প্রভাবশালী।

খালেদা জিয়ার বগুড়া থেকে নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষণ করাই একটি রাজনৈতিক বার্তা। দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর বগুড়া তার প্রত্যাবর্তনের কেন্দ্রস্থল হচ্ছে, এতে নির্বাচন নিয়ে বিএনপি এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে এক ধরনের আগ্রহ ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হবে।

বিশেষ করে বগুড়া, ফেনী, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা- এই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক এলাকাগুলোতে তার জনপ্রিয়তা এবং ভোটের ব্যবধান ছিল অত্যন্ত লক্ষণীয়। তিনি কখনোই নির্বাচনী মাঠে পরাজয়ের মুখ দেখেননি, যতবারই ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন, বিজয় তার পক্ষেই এসেছে।

১৯৯১ সালে নির্বাচনে তিনি ৫টি আসনে প্রার্থী হয়ে ৫টিতেই জয়ী হন। উল্লেখযোগ্য আসন ছিল বগুড়া, ফেনী ও ঢাকা। ১৯৯৬ সালেও তিনি একইভাবে ৫টি আসনে প্রার্থী হয়ে সবগুলোতেই জয় পান। তখন তার নির্বাচনী এলাকা ছিল বগুড়া ও চট্টগ্রামসহ আরও কয়েকটি।

২০০১ সালের নির্বাচনেও তিনি ৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে ৫টিতেই বিজয় অর্জন করেন। তখন তিনি বগুড়া ও খুলনা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

২০০৮ সালে, রাজনৈতিকভাবে কঠিন এক সময়ে খালেদা জিয়া তিনটি আসনে প্রার্থী হয়ে তিনটিতেই বিজয়ী হন। এর মধ্যে বগুড়া-৬ ও ফেনী-১ ছিল গুরুত্বপূর্ণ আসন।

এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে, তিনি তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও, দুর্নীতির মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়। ফলে সেই নির্বাচন তিনি অংশগ্রহণ করতে পারেননি।

বগুড়া জেলা বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার বগুড়া থেকে নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষণ করাই একটি রাজনৈতিক বার্তা। দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর বগুড়া তার প্রত্যাবর্তনের কেন্দ্রস্থল হচ্ছে, এতে নির্বাচন নিয়ে বিএনপি এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে এক ধরনের আগ্রহ ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হবে। দেশের রাজনীতিতেও এটি হবে একটি নতুন অধ্যায়।

জালিয়াতি ও দুর্নীতির দায়ে

উপাধ্যক্ষ কামরুল আহসান চৌধুরীর অপসারণের দাবি এলাকাবাসীর

মোঃ সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ৯:২০ অপরাহ্ণ
উপাধ্যক্ষ কামরুল আহসান চৌধুরীর অপসারণের দাবি এলাকাবাসীর

শাহরাস্তি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চিতোষী ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ কামরুল আহসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। কলেজ সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, অভিভাবক এবং স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, কামরুল আহসান চৌধুরী ২০২৪ সালের ২২ আগস্ট কোনো বৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া ছাড়াই এবং কলেজ গভর্নিং বডির রেজুলেশন ব্যতিরেকেই উপাধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে তিনি তৎকালীন ইউএনও ও গভর্নিং বডির সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে ঘোষণা করেন, যা সম্পূর্ণ অবৈধ ও বিধিবহির্ভূত।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দায়িত্ব গ্রহণের পর কামরুল আহসান কলেজের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ৭০ লাখ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন, যার একটি মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। এছাড়াও, শিক্ষক এবং কর্মচারীদের বিভিন্ন আর্থিক দাবি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে মেনে না চলায় কলেজে একাধিকবার অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়।

২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল এবং ২৪ মে তারিখে কলেজে শিক্ষকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মিটিংয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগও উঠে এসেছে। অভিযোগে বলা হয়, এক ঘটনায় শিক্ষক মো. আবু ছায়েদ কলেজ অধ্যক্ষকে ঘুষি মেরে আহত করেন এবং অপর একটি ঘটনায় অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে হাজিরা খাতা ছিনিয়ে নেওয়া হয়, যা এখনো জমা দেওয়া হয়নি।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, বৈধ এমপিওভুক্ত অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়াকে জোরপূর্বক কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়, যার সিসিটিভি ফুটেজ এখনো সংরক্ষিত আছে। গভর্নিং বডির গঠনে স্বচ্ছতা ও নিয়ম অনুসরণ না করে তিনি নিজের অনুগত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করেন, যার ফলে প্রতিষ্ঠানটি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়ে পড়ে এবং শিক্ষার পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে কলেজে নতুন অধ্যক্ষের যোগদানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ অবস্থায় অভিভাবক ও এলাকাবাসীর দাবি, একজন ওয়ারেন্টভুক্ত ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি কীভাবে একটি স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে থাকতে পারেন? তারা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত, কলেজে নিরপেক্ষ গভর্নিং বডি গঠন এবং কামরুল আহসান চৌধুরীর দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক কামরুল আহসান মুঠোফোনে জানান, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের মামলাটি চলমান রয়েছে।

প্রেসক্লাবের ৩ দিনের শোক কর্মসূচি

শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আমরুজ্জামান’র দাফন সম্পন্ন

মোঃ সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ৯:১০ অপরাহ্ণ
শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আমরুজ্জামান’র দাফন সম্পন্ন

শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক, দৈনিক ইনকিলাব ও চাঁদপুর প্রবাহের প্রতিনিধি সৈয়দ আমরুজ্জামান সবুজ (৭২) ইন্তেকাল করিয়াছেন (ইন্না-লিল্লাহ ওয়াইন্না ইলাইহে রাজিউন)।

তিনি দির্ঘ ১ বৎসর যাবৎ দুরারোগ্য ফুসফুসে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মহাখালী ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৩ জুলাই দিবাগত রাত ১২:৪৫ মিনিটে তিনি ঢাকায় একটি হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি ৩ কন্যা, ১ পুত্র ও স্ত্রী সহ বহু আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান।

পরে তার মরদেহ পৌরসভাধীন শ্রীপুর মিয়া বাড়ীতে নিয়ে আসলে তার লাশ দেখতে শত শত লোক সমবেত হন। বাদ জোহর শ্রীপুর মিয়া বাড়ী মাজার সংলগ্ন মসজিদে জানাজা নামাজ শেষে তাকে মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাহরাস্তি পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শেখ বেলায়েত হোসেন সেলিম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: ফারুক হোসেন মিয়াজী, শাহরাস্তি প্রেসক্লাব সভাপতি মো হাবিবুর রহমান ভুইঁয়া, সাধারণ সম্পাদক নোমান হোসেন আখন্দ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মাসুদ রানা, কার্যকরী সদস্য অধ্যাপক মোঃ আবুল কালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: রুহুল আমিন তরুণ, দপ্তর সম্পাদক মো : নুরে আলম, সদস্য মোঃ শাখাওয়াত হোসেন হ্নদয়, এলাকা বাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন মো: এহতেশামুল হক সজীব, মরহুমের বড় ছেলের রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ।

এদিকে মরহুমের মৃত্যুতে ৩ দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে শাহরাস্তি প্রেসক্লাব। এক শোক বার্তায় শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সভাপতি মো হাবিবুর রহমান ভুইঁয়া ও সাধারণ সম্পাদক নোমান হোসেন আখন্দ জানান, সৈয়দ আমরুজ্জামান সবুজের প্রেসক্লাব একজন নিবেদিত প্রাণ সাংবাদিককে হারালো। তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।

এছাড়াও এ গুনী সাংবাদিকের মৃত্যুতে উপজেলা বিএনপি, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম শাহরাস্তি শাখা, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, একজন নিভৃতচারী সাদা মনের মানুষ ছিলেন তিনি। যার মধ্যে ছিল না কোন হিংসা, অহংকার। যিনি সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে ছিলেন অবিচল। তার শাহরাস্তি প্রেসক্লাব ও পএিকার জন্য ছিল অগাধ ভালোবাসা। সাংবাদিক সৈয়দ আমরুজ্জামান সবুজ দীর্ঘ ৩০ বৎসর যাবৎ সংবাদ পেশায় কাজ করে আসছিলেন। তিনি আমৃত্যু শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক ইনকিলাব ও চাঁদপুর প্রবাহ পএিকায় দায়িত্ব পালন করেন।

সাংবাদিক আকিবের অসুস্থ্যতার খোঁজ খবর নিলেন জামায়াত নেতারা

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ৮:৫৬ অপরাহ্ণ
সাংবাদিক আকিবের অসুস্থ্যতার খোঁজ খবর নিলেন জামায়াত নেতারা

জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘চাঁদপুর টাইমস্’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও চাঁদপুর সাংবাদিক সমবায় সমিতির সভাপতি মুসাদ্দেক আল আকিব গত কয়েকদিন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে শহরের হিলশা মেডিকেল সেন্টার চিকিৎসাধীন। তার অসুস্থ্যতার খোঁজ খবর নিয়েছেন জামায়াত নেতারা।

সোমবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় এই সংবাদিকের অসুস্থ্যতার খোঁজ খবর নেন এবং আল্লাহর কাছে তার রোগমুক্তি কামনা করেন চাঁদপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া ও শহর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান খান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সাংবাদিক সমিতির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও হিলশা মেডিকেল সেন্টার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু বকর ছিদ্দিক।

সাংবাদিক মুসাদ্দেক আল আকিব তার রোগমুক্তি কামনায় সকলের দোয়া চেয়েছেন।