খুঁজুন
শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২৩ কার্তিক, ১৪৩২

চাঁদপুরে ঔষধ ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

শওকত আলী
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ৬:২৯ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে ঔষধ ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

ঔষধ ব্যবসায়ীরেদর ৪ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগ্রিস্টস সমিতি চাঁদপুর জেলা শাখার আয়োজনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত চাঁদপুর শহরের বায়তুল আমিন জামে মসজিদ সংলগ্ন শপথ চত্ত্বর এলাকায় এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মানবন্ধনে কেন্দ্রীয় ঔষধ সমিতির কর্মসূচি অনুযায়ী ৪ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চাঁদপুর জেলা শহর ছাড়াও কচুয়া, ফরিদগঞ্জ, মতলব, হাজীগঞ্জ সহ ৭ টি উপজেলার কেমিস্ট এন্ড ড্রাগ্রিস্টস সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

৪ দফা দাবীর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি কর্তৃক ঔষধ বিক্রি কমিশন বৃদ্ধি করা, ঔষধ ব্যবসায়ীদের দোকানে থাকা মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরৎ নেওয়া এবং তা প্রতিস্থাপন করা, ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন ফার্মেসীতে ঔষধ কোম্পানি কর্তৃক ঔষধ সরবরাহ বন্ধ করা ও সকল ঔষধের মূল্য সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করতে হবে।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগ্রিস্টস সমিতি চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মোস্তফা রুহুল আনোয়ার, সিনিয়র সহ-সভাপতি এবিএম নজরুল আমিন সাজু, সহ-সভাপতি বাবু সুবাশ সাহা, মনির হোসেন গাজী, ফরিদগঞ্জ শাখার সভাপতি সমির চন্দ্র দে, সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার পাঠান টিপু, জেলা সদস্য মো. সৈয়দ হোসেন গাজী, শাওন চৌধুরী, বিমল সেন সহ সকল পর্যায়ের কেমিস্টগণ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানিগুলো ঔষধ ব্যবসায়ীদেরকে যে ১২-১৩% কমিশন দেওয়া হয় তার মধ্যে তারা ক্রেতাকে ১০% ছেড়ে দেওয়ার পর তাদের হাতে ২-৩% কমিশন থাকে। তা দিয়ে তারা দোকান ভাড়া কর্মচারী বেতন সহ বিভিন্ন খরচ দিয়ে তাদের জিবিকা নির্বাহ করতে হয় অতি কষ্টে। তারা তাদের সন্তানদের নিত্যদিনের ভরণ পোষণ ও লেখাপড়া করাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় বলে জানান।

তারা আরো জনান, ঔষধ কোম্পানি বিগত বছরে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ফেরৎ নিলেও বর্তমানে তারা তা ফেরৎ নিচ্ছেনা। এতে করে তাদের লোকসান গুনতে হয়। তাই তারা মানববন্ধনে প্রতিবাদ করে জানান, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরৎ নিতে হবে এবং তাদেরকে সে ঔষধ প্রতিস্থাপন করার জন্য দিতে হবে।

এছাড়া বক্তরা বলেন, শহর ও গ্রামগঞ্জে যেখানে সেখানে ঔষধ ফার্মেসী গড়ে উঠেছে, যাদের কোন ড্রাগ লাইসেন্স নেই। তাই ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন ফার্মেসীতে ঔষধ কোম্পানি কর্তৃক ঔষধ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হবে।

অপরদিকে ব্যবসায়ীরা দাবী করে বলেন, বর্তমানে ঔষধের মূল্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে ক্রেতারা ঔষধ কিনতে পারছেনা। তাই ব্যবসায়ীদের দাবী অতিসত্তর সকল ঔষধের মূল্য সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করতে হবে। অন্যথায় তারা কঠোর কর্মসূচীর দাবী জানান।

চাঁদপুরের ঔষধ ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, আমরা দিন শেষে রাতে পকেট শূন্য হয়ে বাড়ি যেতে হয়, আমাদের সন্তানদের জন্য আমরা কোন কিছু করতে পারিনা, আমাদের নিরুপায় হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। অন্য পেশার লোকেরা স্কুটার দিয়ে চলাফেরা করে, সেক্ষেত্রে আমাদের সাধারণভাবে জীবন যাপন করা কষ্ট হয়ে পড়েছে। সরকার কর্তৃক ঔষধের মূল্য নির্ধারণ করা এখন শুধু আমাদের দাবী নয়, তা এখন গণ মানুষের দাবীতে পরিনত হয়েছে।

রামপুরে বিদ্যাঘর পাঠাগার উদ্বোধন

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ
রামপুরে বিদ্যাঘর পাঠাগার উদ্বোধন

“বই পড়লে আলোকিত হই, না পড়লে অন্ধকারে রই” বইয়ের সঙ্গেই গড়ে উঠুক সুন্দর সমাজ এই স্লোগানে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের বদরখোলা বাজারে বিদ্যাঘর পাঠাগার উদ্বোধন করা হয়েছে। যুব সমাজকে মাদক ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখতে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে পাশাপাশি গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান এই পাঠাগারের মূল উদ্দেশ্য।

শুক্রবার ৩১ অক্টোবর বিকালে বদরখোলা বাজারে বিদ্যাঘর পাঠাগার ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাণুরাগীও সমাজসেবক মাওলানা জসিম উদ্দিন পাটওয়ারী।


বিদ্যাঘর পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও বিদ্যাঘর পাঠাগারের সচিব আমিরুল ইসলাম রিয়াজের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলাম মাষ্টার, সাবেক সহকারী উপাধ্যক্ষ মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মমিনুল হক রাজাপুরী, নাসিরকোট ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মোঃ শরীফুল্লাহ।

এছাড়াও এলাকার নবীণ প্রবীণ ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বিদ্যাঘর পাঠাগারের মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ যাতে জ্ঞান অর্জন করতে পারে, সেজন্য বিভিন্ন মনিষীদের বই পাঠাগারে রাখতে হবে। পাশাপাশি ইসলামী জ্ঞান চর্চার জন্য ইসলামী বই সংরক্ষণ করতে হবে।

ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ

শ্যামল সরকার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৫০ অপরাহ্ণ
ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ

ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখতে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে গত ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছিল ২২ দিনের ইলিশ আহরণ নিষেধাজ্ঞা। এসময় নদীতে মাছ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ছিল। দীর্ঘ বিরতির পর শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে নদীতে নামবেন জেলেরা।

শেষ সময়ে কেউ মেরামত করছেন নৌকা, কেউবা পুরোনো জাল সেলাই করে নিচ্ছেন নতুন করে। চোখে মুখে আনন্দের অনুভূতি থাকলেও আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলেরা। তারা বলছেন, এবছর ভরা মৌসুমেও নদীতে ইলিশের দেখা মেলেনি। আর এখন মৌসুম শেষ। জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেলে কষ্টের পাল্লা ভারী হবে।

এদিকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন চাঁদপুরে নিবন্ধিত ৪৫ হাজার ৬১৫ জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। কিন্তু তা ছিল জেলেদের কাছে অপ্রতুল। ওই সময় জীবিকা হারিয়ে চরম কষ্টে পড়েন জেলেরা।

এদিকে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীতে মাছ ধরতে না গেলেও নিষেধাজ্ঞার পর বেশ কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা না পেয়ে এবং মহাজন ও এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণ করে তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করতে হয়েছে বলে আক্ষেপ করেছেন।

তাদের অভিযোগ, মূল জেলেদের কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা থেকে বাদ পড়েছে। অথচ যারা মাছ ধরতে জীবনেও নদীতে নামেনি এমন বিভিন্ন পেশার বেশ কিছু মানুষ সরকারী সহায়তার কার্ড পেয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তারা ক্ষোভ জানিয়েছেন। এমনকি বেশ কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা পেয়েও সরকারের নির্দেশনা না মেনে অবৈধভাবে নির্বিচারে মা ইলিশ শিকার করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে সরকারের পরবর্তী সহযোগিতা থেকে বাদ দেওয়ারও আহ্বান জানান।

মৎস্য কর্মকর্তারা আশা করছেন, ২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে এবার গত বছরের চেয়ে মাছের উৎপাদন রেকর্ড পরিমাণে বাড়তে পারে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে মাছ শিকার করতে দেওয়া হয়নি। এবার রেকর্ড পরিমাণে ইলিশ উৎপাদন হতে পারে।

তিনি আরও জানান, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা ইলিশ রক্ষায় প্রতি বছরের মতো এবারও ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিনের জন্য দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত নিষিদ্ধ করেছিল সরকার।

এই সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চালানো ৪৪৫ টি অভিযানে ৭৭ টি মামলা ও ৭৪ টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১১৯ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাঁজা প্রদান করা হয়। এছাড়া ৬ কোটি মিটার অবৈধ জাল, ১১০০ টন ইলিশ জব্দ করে বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় প্রদান করাহয়।

জনশ্রুতি আছে অভিযানে সময় অনেক জেলে সরকারের বরাদ্দ করা চাল পাননি বলেও অভিযোগ রয়েছে।

শনিবার মধ্যরাতে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকেই উপকূলের জেলেরা জাল, নৌকা, ট্রলার ও অন্যান্য সরঞ্জাম প্রস্তুত করে ইলিশ শিকারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন। বিশেষ করে হরিনা ঘাট, আখনের ঘাট, পুরানবাজার রনাগোয়াল, লঞ্চ ঘাট, হাইমচরের নীলকমল, মতলব উত্তর মোহনপুর নৌঅঞ্চলের জেলেরা এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

ফরিদগঞ্জে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ আটক ১

শ্যামল সরকার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩২ অপরাহ্ণ
ফরিদগঞ্জে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ আটক ১

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে গঠিত যৌথবাহিনি। এ ঘটনায় দুই মাদক কারবারি পালিয়ে গেলেও একজনকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার সকালে উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সকদিরামপুর গ্রামের ছোট বাড়ি এলাকা থেকে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসীর খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জেলা ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর আর্মি ক্যাম্পের অপারেশনাল অফিসার লেফটেন্যান্ট জাবিদ হাসান ও ফরিদগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত রাজিব চক্রবর্তী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকদিরামপুর গ্রামের খলিল বেপারির ছেলে মাদক কারবারি আল-আমিন (২৫) ও তার সহযোগী হত্যা মামলার আসামি রুবেল হোসেন (২৮) ফজরের নামাজের পর একটি প্রাইভেটকারে করে বিপুল পরিমাণ গাঁজা নিয়ে আসে। পরে আল-আমিনের বাড়ির গোসলখানায় গাঁজাগুলো লুকিয়ে রাখে। এ সময় স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।

পরে এলাকাবাসী পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দিলে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে।

এলাকাবাসী জানায়, রুবেল হোসেন এর আগে একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। গত ১০ দিন আগে তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই আবারও মাদক ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে ওঠে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি একই ইউনিয়নের বাইক্কারবাগানের পাশের ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মাদক ব্যবসায়ী সোহেল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে মামলার অন্যতম আসামি ছিল রুবেল হোসেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন স্বপন মিয়াজী জানান, সকালে ফজরের নামাজের পর এলাকাবাসী আমাকে জানায়, এ এলাকার কুখ্যাত মাদক কারবারি রুবেল জেল থেকে বের হয়ে আবারও মাদক কারবারির সাথে জড়িয়ে পড়েছে এবং বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ এলাকায় প্রবেশ করলে তাদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে থানা পুলিশকে খবর দেই। তিনি আরো জানান, তাদের কারনে এ এলাকার যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ্ আলম বলেন, সকালে এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ডিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করি। তবে মূল মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। আল-আমিনের বাবা খলিল বেপারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।