গরুর কাটা মাথা দেখে শনাক্তের পর সেই চোর আটক


চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচণ্ডী ইউনিয়নের সেনের দিঘীরপাড় এলাকা থেকে একটি গাভী চুরি করে শহরের বিপনীবাগ বাজারের কসাইয়ের কাছে বিক্রি করে চোর চক্র। পরে গরুর মালিক খবর পেয়ে বাজারে এসে গরুর কাটা মাথা দেখে শনাক্ত করে এটাই তার চুরি হওয়া গরু। অবশেষে ধরা পড়লো সেই চোর। ঘটনাটি ঘটে রবিবার চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী ইউনিয়নে।
জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলা তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের সেনের দিঘির পাড় ডোগা মিজি বাড়ীর কৃষক আব্দুল মতিন মিজি তার পালিত একটি দুধের গাভীকে প্রতিদিনের ন্যায় রবিবার সকালে তার বাড়ীর পাশে রাস্তায় ঘাস খাওয়ার জন্য বেধে রাখে। গরুর মালিক সকাল ১১ টার সময় গিয়ে দেখে তার গরুটি সেখানে নেই। পরে পরিবারের সদস্যরা মিলে গরুটির খোঁজ করতে শুরু করে।
পরবর্তীতে ওই এলাকার এক ব্যক্তি জানায়, সে একজনকে দেখেছে গরুটি নিয়ে শহরের দিকে চলে যেতে। তারা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর শহরের বিপনিবাগ বাজারে এসে কালাগাজী নামের এক কসাইয়ের দোকানে গরুর মাথাটি দেখে তাদের গরুটি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এরই মধ্যে সেই কসাই গরুটি বিক্রির জন্য জবাই করে মাংসগুলো তার দোকানে টানিয়ে রাখে।
পরে মাংস ব্যবসায়ী কালা গাজীকে বিষয়টি অবহিত করলে সে বাজারের অন্যান্য লোকদের সাথে নিয়ে শহরের বিটি রোড এলাকা থেকে সে যার কাছ থেকে গরুটি ক্রয় করেছিল সোহাগ নামের সেই গরু চোরকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
চোর সোহাগ মাত্র ৫০ হাজার টাকায় কসাই কালা গাজীর কাছ বিক্রি করেছিল।
এই বিষয়ে অসহায় গরুর মালিক আব্দুল মতিন মিজি জানান, আমার এই দুধের গাভীটির একটা বাছুর রয়েছে। গাভীটি প্রতিদিন প্রায় আট লিটারের মতো দুধ দেয়। চুরি হওয়ার পর যখন শহরের বিপনীবাগ বাজারে এসে কসাই এর দোকানে শনাক্ত করতে পারি তারই মধ্যে গরুটি জবাই হয়ে যায়। আমি আমার গরুর মাথাটি দেখেই শনাক্ত করতে পারি যে এটি আমারই গরু। আমার এই গরুটি প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মতো দাম হতো। আর সেই গরুটি মাত্র ৫০ হাজার টাকায় চোর চক্ররা বিক্রি করে দেয়। আমি এই গাভীটির দুধ বিক্রি করে আমার সংসার চালাতাম, এখন আমি কি করে চলবো। আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে এই চোরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
আপনার মতামত লিখুন