খুঁজুন
বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৩০ আশ্বিন, ১৪৩২

প্রতিবন্ধিরা সমাজের বোঝা নয় সম্পদ: তানিয়া খান

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৪১ অপরাহ্ণ
প্রতিবন্ধিরা সমাজের বোঝা নয় সম্পদ: তানিয়া খান

চাঁদপুরে শারীরিক প্রতিবন্ধীর মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার বিকালে বিজয়ী নারী উন্নয়ন সংস্থার নিয়মিত সমাজ সেবা মূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।

চাঁদপুর পুরান বাজারের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফারহানা জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধি। যার সময় কাটে সারাক্ষণ ঘরে বসেই। বাহিরে আলো বাতাস থেকে বঞ্চিত। তার বাবা একজন নৌকা চালক। পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে আদরের মেয়ের জন্য আলাদা কিছু করার সামর্থ না থাকায় হুইল চেয়ার কিনতে পারছিলনা। বাবার এই আক্ষেপের কথা লোক মুখে শুনতে পায় বিজয়ীর ফাউন্ডার তানিয়া ইশতিয়াক খান। খবর শুনেই হুইল চেয়ার নিয়ে ফারহানার বাড়িতে হাজির হন বিজয়ীর ফাউন্ডার তানিয়া ইশতিয়াক।

এ সময় তানিয়া ইশতিয়াক বলেন, প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়, বরং তারা সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের কল্যাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আমি আহ্বান জানাই, তারা যেন সাহায্যে এগিয়ে আসেন।

তিনি আরো বলেন, বিজয়ী আমাদের ব্যক্তিগত ও শ্বশুর বাড়ির পারিবারিক অর্থায়ানে সব সময় অসহায় মানুষের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। দরিদ্র ও দুস্থদের সহায়তায় আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। সমাজের সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতায় আমরা একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ চাঁদপুর গড়তে চাই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর অনলাইন প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক এবং বিজয়ীর স্বপ্নদ্রষ্টা আশিক খান, টিম বিজয়ীর ভলেনটিয়ার বর্ষা আক্তার, রুবাইয়া আক্তার, নাসরিন আক্তারসহ এলাকার সুধীজন।

চাঁদপুরে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালন

মিজান লিটন
প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:১৪ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালন

‘হাত ধোয়ার নায়ক হোন’— এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চাঁদপুরে পালিত হয়েছে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস। বুধবার দুপুরে শহরের ষোলঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আলোচনা সভা ও সরাসরি শিক্ষার্থীদের হাত-ধোয়া প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

দিবসটি উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি র‍্যালি বের করা হয়। পরে শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে হাত ধোয়ার নিয়ম শেখানো হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য ভালো রাখার প্রথম ধাপ হলো পরিচ্ছন্নতা, আর তার সূচনা হলো হাত ধোয়া। প্রতিদিনের কাজের আগে ও পরে হাত ধুলে ভাইরাসজনিত রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

বক্তারা আরও বলেন, অতীতে শিক্ষকরা নিয়মিত শিক্ষার্থীদের হাত ও নখ পরীক্ষা করতেন, পরিচ্ছন্নতা বজায় আছে কিনা তা নিশ্চিত করতেন। কিন্তু এখন সেই অভ্যাস অনেকটাই হারিয়ে গেছে। অথচ হাতের অস্বচ্ছতা থেকেই অনেক রোগের সংক্রমণ ঘটে। তাই এখন থেকেই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান হয়ে গড়ে ওঠে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. এরশাদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

চাঁদপুরে এভাবেই শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখানো হয়েছে হাত ধোয়ার গুরুত্ব যাতে গড়ে ওঠে পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসচেতন ও রোগমুক্ত সমাজ।

শাহমাহমুদপুরে পাইকদী এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:৪২ অপরাহ্ণ
শাহমাহমুদপুরে পাইকদী এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন

চাঁদপুর সদর উপজেলার পাইকদী এলাকায় সম্প্রতি কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে অনুসন্ধান করে জানা গেছে, প্রকল্পগুলোর মধ্যে দুটি প্রকল্পের কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং একটি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাইকদী মিজি বাড়ি বায়তুল মামুর জামে মসজিদের অজুখানা সংস্কার ও কবরস্থানে মাটি ভরাট, ৫নং ওয়ার্ডের পাইকদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ সংস্কার কাজ নিয়মিত তদারকির মধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং পাইকদী ঈদগাহ মাঠ সংস্কার প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।

প্রকল্পগুলোর মধ্যে মসজিদের অজুখানা ও কবরস্থানে মাটি ভরাটে বরাদ্দ ছিল ২ লাখ টাকা, বিদ্যালয়ের মাঠ সংস্কারে ৭ মেট্রিক টন গম, এবং ঈদগাহ সংস্কারে ২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রকল্পের দুটি কাজ নির্ধারিত নকশা ও নির্দেশনা অনুযায়ী সম্পন্ন হয়েছে এবং ঈদগাহ সংস্কারের কাজটি চলমান রয়েছে।

মিজি বাড়ি বায়তুল মামুর জামে মসজিদের মুসল্লি টিপু সুলতান মিজি জানান, মসজিদের অজুখানা ও কবরস্থান এর মাটি ভরাটের কাজ স্বচ্ছভাবে হয়েছে। এলাকাবাসী এখন এটি নিয়মিত ব্যবহার করছে। কাজ না করে অর্থ আত্মসাৎ সংক্রান্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

এছাড়াও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, মসজিদের অজু খানার সংস্কার কাজ হওয়ায় মুসল্লিরা নামাজ পড়ার জন্য এখন সুন্দরভাবে অজু করতে পারছেন।

পাইকদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি ভেঙে ফেলায় মাঠে বড় কূপের সৃষ্টি হয়েছিল। মাঠ ভরাটের কাজটি শতভাগ সম্পন্ন হওয়ায় শিক্ষার্থীরা এখন স্বাচ্ছন্দ্যে খেলাধুলা করতে পারছে।

ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, অনিয়মের দাবি ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে চেষ্টা করছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম.এন জামিল হিকমা বলেন, এ বিষয়ে আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।

হামানকর্দি উবি’র প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিতসহ নানান অভিযোগ

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:২২ পূর্বাহ্ণ
হামানকর্দি উবি’র প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিতসহ নানান অভিযোগ

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়নের হামানকর্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মিজানুর রহমান খানের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে অশ্লীল ইঙ্গিত, শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিতসহ নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ম্যানেজিং কমিটির বিষয়ে স্থানীয় অভিভাবক সদস্যদের সাথে কোন যোগাযোগ না করে নিজে মনমতো কমিটি করেন। বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে তার ভালো সর্ম্পক নেই।

অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, স্বেচ্ছাচারীতা ও সহকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ নানা অনিয়মেরও অভিযোগ রয়েছে মাধ্যমিকের এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান আমাদের রেজিস্ট্রেশনের কথা বলে বিদ্যালয়ে এনে সারাদিন ক্লাশে বসিয়ে রেখেছেন, অথচ তিনি নিজেই বিদ্যালয়ে আসেন নি। এমনকি ওনার ইচ্ছেমতো সময়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসেন। তিনি বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বদনাম করেন যে, শিক্ষকরা নাকি ঠিকমতো পাঠদান করাতে পারেন না।

বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী আফরোজা আক্তার বলেন, আমরা ক্লাশ সিক্সে ছিলাম স্যার আমাদের কাছ থেকে আইডি কার্ড দেয়ার কথা বলে ২০০ টাকা করে নিয়েছে আর এখনোও বিদ্যালয়ের আইডি কার্ড দেননি। আমরা যদি খেলাধুলা করতে চাই, মিজানুর রহমান স্যার আমাদেরকে খেলাধুলা করতে বারন করেন। মেয়েদের নাকি খেলাধুলা ইসলাম জায়েজ নাই, খেলাধুলা করা ইসলামে হারাম। খেলাধুলা করার জন্য ক্রীড়া সামগ্রী চাইলে তিনি বলেন ক্রীড়া সামগ্রীর বাজেট নেই। আমাদেরকে নামাজ পড়তে বললেও অথচ বিদ্যালয়ে একটি নামাজের কক্ষ নেই। টিফিন করার ব্যবস্থা নেই। সবমিলিয়ে প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতায় চলে আমাদের বিদ্যালয়টি।

অভিযোগ সূত্রে বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার আরো জানা যায়, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কথা বলায় ক্লাসের মেধাবী শিক্ষার্থীকে সবার সামনে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ লেখিয়েছে তিনি।

বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর আরে শিক্ষার্থী রহিমা আক্তার জানান, বছরের শুরুতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়নি, পুরস্কার বিতরণ তারিখ জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আমাদের কে হুমকি ধুমকি দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন বাতিলের হুমকি দেয়।

এছাড়াও বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরাও প্রধান শিক্ষকের কাছে একপ্রকার জিম্মি বলে ধারনা করা হচ্ছে। তিনি তার ক্ষমতা অব্যবহার করে সহকারী শিক্ষক মাহবুবুর রহমানকে শোকজ করে আবার সেই শোকজের লেটার তিনি চিরে পেলেন। তার এমন কর্মকান্ডে অতিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের সুর দৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা।

এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য মোঃ রাসেল মিয়া ও সাইফুল ইসলাম বাবুল মৃর্ধারা বলেন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনেক অনিয়ম, দূর্নীতির অভিযোগ পেয়েছি। তিনি বিশেষ করে ছাত্রীদের কে শারীরিক ও মানসিক টর্চারের অভিযোগ পেয়েছি। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারীতা ও সহকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ নানা অনিয়মেরও অভিযোগ রয়েছে। আমরা এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের মাধ্যমে তার উপযুক্ত শাস্তি কামনা ও পদত্যাগ দাবি করছি।

অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান খানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।