খুঁজুন
সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৮ বৈশাখ, ১৪৩২

নদী ভাঙনে হচ্ছে না ছেলেমেয়েদের বিয়ে, দাবি পরিবারের

আলোকিত চাঁদপের রিপোর্ট
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:৪৮ অপরাহ্ণ
নদী ভাঙনে হচ্ছে না ছেলেমেয়েদের বিয়ে, দাবি পরিবারের

চাঁদপুরের উত্তর নানুপুর গ্রামে ডাকাতিয়া নদীতে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙ্গনে ফসলি জমি, বসতভিটা ও কবরস্থান ডাকাতিয়া নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে প্রায় ৫০০ পরিবার। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

ডাকাতিয়ার ভাঙ্গন রক্ষায় বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার ৮নং বাগাদী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড উত্তর নানুপুর গ্রামে নদীর তীরবর্তী ভাঙ্গন স্থানে মানববন্ধন করে এলাকার প্রায় শতাধিক এলাকাবাসী। এসময় তারা ডাকাতিয়া নদীর ভাঙ্গন থেকে পৈত্রিকভিটা রক্ষায় সরকার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুদৃষ্টি কামনা করে।

সরজমিনে দেখা যায়, ডাকাতিয়া নদীর হঠাৎ ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়েছে অত্র এলাকা ও আশেপাশের কয়েকটি গ্রাম। গত এক দশকে শুধু নানুপুর এলাকার ডাকাতিয়া নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকার অসংখ্য বাড়িঘর ও ফসলি জমি।

ডাকাতিয়া নদীর ভাঙন সম্পর্কে নদীর পাশে বসবাসকারী মো. শাহজাহান পাটোয়ারী ও শাহাদাত তালুকদার বলেন, নদীর পাশে এই ফসলি জমিগুলো অনেক বড় ছিল। বর্তমানে প্রত্যেকটা ফসলি জমি এমন অবস্থায় আছে যে আগামী বছর আর একটাও ফসলি জমি থাকবে না। আমরা গরীব মানুষ যদি এই ফসলি জমিগুলো ভেঙ্গে যায় তাহলে কিভাবে চলবো ও কিভাবে খাব। আমাদের দাবি যদি একটু ব্লক দিয়ে নদীর পাড় গুলো বেঁধে দেওয়া হয় তাহলে জমিটা বাঁচলো, আমরাও কাজ করে খেতে পারব।

ভাঙন এলাকায় বসবাসকারী মাজেদা বেগম, হনুফা বেগম ও রওশন আরা বেগম জানান, গত ২০-২৫ বছর ধরে আমাদের ঘরবাড়ি, ভিটেমাটি ডাকাতিয়া নদীতে বিলীন হয়ে যায়। কত মানুষরে জানাইছি দেখার মত কোন মানুষ আসে না। এখন ছেলেমেয়ে নিয়ে আমরা কোথায় যাব কি করব বুঝতে পারছি না। আমাদের ছেলেমেয়েদের বিয়ে করাতে পারিনা। গাং ভাংতি বলে কেউ মেয়েদের নেয় না এবং ছেলেদের কেউ বউ দেয় না। নদী এখন ঘরে মধ্যেই বললেই চলে। বর্তমান সরকার যদি নদীভাঙ্গা থেকে আমাদের রক্ষা করে তাইলে আমরা বাঁচতে পারব।

ডাকাতিয়ার ভাঙ্গন রক্ষায় দীর্ঘ সময় নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে মানববন্ধনে এলাকাবাসী নদীর ভাঙ্গন রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবী তোলেন। এ সময় মানববন্ধনে উত্তর নানুপুর গ্রামের খোরশেদ বেপারী, আবু সাঈদ গাজী, আবুল কালাম গাজী, আতিক তালুকদার, মো. শাহজাহান পাটোয়ারী, শাহাদাত তালুকদার, হেলাল তালুকদার, নেছার তালুকদার, মাজেদা বেগম, হনুফা বেগম, রওশন আর বেগম, আবুল বেপারী, মিন্টু গাজী, নেছার বেপারীসহ এলাকার প্রায় শতাধিক গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।

ডাকাতিয়া নদীর চলমান ভাঙ্গন বিষয়ে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, ডাকাতিয়া নদীর বেশ কয়েকটি স্থানে নদী ভাঙ্গন প্রবণতা রয়েছে। ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী কাজ বাস্তবায়নের জন্যে ডিটেল ফিজিবিলিটি স্টাডি করে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। যা বর্তমানে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এটি পাস হলেই ভাঙন রক্ষায় কাজ করা হবে।

শাহরাস্তিতে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে উওর সরবরাহ করায় হল সুপার গ্রেফতার

শাহরাস্তি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৪১ অপরাহ্ণ
শাহরাস্তিতে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে উওর সরবরাহ করায় হল সুপার গ্রেফতার

শাহরাস্তির এস এস সি পরীক্ষা কেন্দ্র নং ৫, নিজমেহার মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে উওর সরবরাহ করায় হল সুপার ও দেবকরা মারগুবা ড. শহীদউল্লাহ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো: আজমল হককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ঐ কক্ষে দায়িত্বরত সহকারী হল সুপার ও ২ শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ঐ কেন্দ্রের সচিব আযাদ হোসেন বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেছেন।

সোমবার এসএসসির গনিত বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থীদের (এমসিকিউ) উত্তর বলে দেওয়ার বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্টেট নিরুপম মজুমদারের নজরে আসে। তিনি শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা শিক্ষক হল সুপার আজমল হকের নাম বলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে। হল সুপার আজমল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন। পরবতীতে শাহরাস্তি থানা পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার (অব্যাহতি) পাওয়া অপর ২ শিক্ষকরা হলেন জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আফরোজা আক্তার ও আনিছুর রহমান।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট নিরুপম মজুমদার জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা আইনে নিয়মিত মামলা করা হবে।

এ বিষয়ে দায়িত্বরত কেন্দ্র সচিব আযাদ হোসেন জানান, অভিযুক্ত ৩ শিক্ষককে পরীক্ষার (চলতি) দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলী আশরাফ খাঁন জানান, পরীক্ষায় অসুদপায় বা উওর বলে দেওয়ার বিষয়টি পাবলিক পরীক্ষা আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এ বিষয়ে শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাসার জানান, এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে চাঁদপুর কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

কচুয়ায় প্রান্তিক কৃষকদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষন ও কর্মশালা

কচুয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:০৮ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় প্রান্তিক কৃষকদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষন ও কর্মশালা

কচুয়ায় পানি ব্যবহারের সুষ্ঠু এবং কার্যকর ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে বিএডিসির সেচ পাম্পের প্রান্তিক কৃষকদেরকে নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে সেচ বিভাগের কচুয়া উপজেলা বিএডিসির অফিসের আয়োজনে বাংলাদেশের পুষ্টি উদ্যোক্তা ও স্থিতিস্থাপকতার জন্য কৃষি ও গ্রামীণ রূপান্তরের বিষয়কের “দক্ষ সেচ ব্যবস্থাপনা” বিষয়ক এক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন এলাকার কৃষক ও কৃষি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পেশাজীবীরা। বিএডিসির চাঁদপুর জেলা সহকারী উপকৌশলী খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও কচুয়া বিএডিসির অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসানের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ইউএনও মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএডিসির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ মেহেদী হাসান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আজিজুল ইসলাম, কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আতাউল করিম প্রমুখ।

প্রশিক্ষণে বিশেষজ্ঞরা সেচ ব্যবস্থাপনার আধুনিক প্রযুক্তি, পানি সংরক্ষণ, সেচ ব্যবস্থায় বিভিন্ন সংকট ও তা সমাধানের কৌশল এবং কৃষিতে পানি ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতির উপর বিস্তারিত আলোচনা করেন।

সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে

পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় কেন্দ্র ভাঙচুর

মনিরুজ্জামান বাবলু
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:৪২ অপরাহ্ণ
পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় কেন্দ্র ভাঙচুর

গণিত পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় হাজীগঞ্জ উপজেলার রামপুর এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ভাঙচুর করেছে গণিত পরীক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুরে পরীক্ষা শেষে তারা এই ভাঙচুর চালায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে আনতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশ ও সেনাবাহিনী। তবে কেউ আটক বা আহত নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

জানতে চাইলে রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মো. কবির হোসেন বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রটি ছিল রামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে পরীক্ষা শেষে তারা কয়েকটি বেঞ্চ ও কিছু গ্লাস ভাঙচুর করেছে। কেউ আহত নেই। এই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭২ জন।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পাঠানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা ভাঙচুর করেছে, তাদের শনাক্ত করে তাদের পরিবারকে ডেকে এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্র সচিবকে বলা হয়েছে।