খুঁজুন
শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

গণহত্যা, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনকল্পে জেলা প্রশাসনের ব্যাপক কর্মসূচী

জাহাঙ্গীর রাজু
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫, ১:৩৮ পূর্বাহ্ণ
গণহত্যা, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনকল্পে জেলা প্রশাসনের ব্যাপক কর্মসূচী

আজ ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং আগামীকাল ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনাত ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে চাঁদপুর জেলায় ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন জেলা প্রশাসন। এ উপলক্ষে গত ৬ মার্চ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযোদ্ধের আত্মোৎসর্গকারী ৩০ লাখ শহীদ সম্ভ্রম হারানো ২ লাখ মা বোনকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করে এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের গুরুত্¦ ও তাৎপর্য তুলে ধরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন সভাপতির বক্তব্যে বলেন, বাঙালী জাতীর সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মহান স্বাধীনতা। কষ্ঠার্জিত এ স্বাধীনতা যেন ম্লান না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে দেশ মাতৃকার কল্যাণে কাজ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, এ বছর পবিত্র রমজান মাসে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন হবে বিধায় রমজানের পবিত্রতার প্রতি সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

সভায় সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন এর অনুমতিক্রমে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোস্তফিজুর রহমান দিবসগুলো পালনকল্পে কর্মসূচীগুলো উপস্থাপন করেন।

কর্মসূচীগুলো:
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস:
১৭ মার্চ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত সুবিধা জনক সময়ে শহরের হাসনা আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, বাস স্ট্যান্ড, বড় স্টেশন মোলহেডে ২৫ মার্চের গণহত্যার উপর বস্তুনিষ্ঠ ও নৈর্ব্যত্তিক দূর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামান্য চিত্র প্রদর্শনী, ২০ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারীগরি সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যাক্তি ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে গণহত্যা ও ঐতিহাসিক মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে স্মৃতি চারণ ও আলোচনা সভা, ২৫ মার্চ বাদ আসর সকল মসজিদ, মন্দির ও গির্জায় বিশেষ মুনাজাত ও প্রার্থনা, ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১০ টায় ১ মিনিটের জন্য জরুরী স্থাপনা ও কেপিআই ব্যাতীত জেলায় প্রতীকি ব্ল্যাক আউট।

সভায় গৃহীত অন্যান্য সিদ্ধান্তসমূহ নিম্নরূপ:
১. ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন/স্থাপনাসমূহে কোন অবস্থাতেই আলোকসজ্জা করা যাবে না মর্মে সিদ্ধান্ত হয়।
২. জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, চাঁদপুর ২০ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরিসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে ২৫ মার্চ গণহত্যা ও মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৩. গণহত্যা দিবসের সকল কর্মসূচিতে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত দপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ আবশ্যিকভাবে উপস্থিত থাকবেন।
৪. জেলা তথ্য অফিসার ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচি বহুল প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নবর্ণিত কর্মসূচি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

কর্মসূচীগুলো:
১ মার্চ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে রচনা ও আবৃতি প্রতিযোগীতার আয়োজন, ১৬ থেকে ২৬ মার্চ প্রতিদিন বিকাল বা সন্ধ্যায় বাবুরহাট, বাগাদী চৌরাস্তার মোড়, চাঁদপুর ডাকঘরের নিকট সেতুর পাদদেশে পুরান বাজারে স্বাধীনতা যুদ্ধের বস্তুনিষ্ঠ ও নৈবির্ত্তিক মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামন্য চিত্র প্রদর্শনী, ২৬ মার্চ সারাদিন চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিশুদের রচনা প্রতিযোগীতা ও আবৃতি, শিশু একাডেমীতে শিশুদের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা, সূর্যোদয়ের সাথে সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত এবং বেসরকারি ভবন সমূহে যথাযথ মর্যাদার সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, চাঁদপুর শহরের অঙ্গিকার পাদদেশে একত্রিশ বার তপোধ্বনীর মাধ্যমে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভ সূচনা, ভোর ৫ টা ৫৬ মিনিটের পর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরনে অঙ্গিকার পাদদেশে পুষ্পস্তবক অর্পন, সন্ধ্যা থেকে চাঁদপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত এবং বেসরকারি ভবন সমূহে আলোকসজ¦া, শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ জাতীয় পতাকা সহ বিভিন্ন পতাকা ও ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করন, সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা প্রশাসক কৃর্তক চাঁদপুর স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ (রমজান মাস বিবেচনায় ডিসপ্লে ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবেনা), দুপুর ১২ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী ও কোষ্ট গার্ডের জাহাজ সমূহ জনসাধারণরে দর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা, সকাল ১০ টায় চাঁদপুর ক্লাব মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠান, বাদ আসর জাতীর শান্তি, সমৃদ্ধি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির ও গির্জা সহ প্যাগোডা ও অন্যান্য উপসনালয়ে মোনাজাত ও প্রার্থনা। সুবিধা জনক সময়ে সকল হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশু পরিবার এবং বাক শ্রবন প্রতিবন্ধী স্কুলে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন।

গৃহীত অন্যান্য সিদ্ধান্তসমূহ নিম্নরূপঃ
১. গৃহীত কর্মসূচির প্রতিটি ভেন্যুর নিরাপত্তা বিধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করা হয়।
২. অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল মহান স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ দক্ষ ও মানসম্মত করার জন্য অংশগ্রহণকারী দলসমূহের যথাযথ পূর্বপ্রস্তুতিসহ প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৩. জেলা তথ্য অফিসার, চাঁদপুর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচিসমূহ বহুল প্রচারের নিমিত্ত এবং জাতীয় পতাকার সঠিক মাপ, রং এর ব্যবহার সম্পর্কে জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ২০ মার্চ হতে প্রারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৪. জেলা স্কাউটের সহকারী পরিচালক জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সমাবেশে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক স্কাউটসদের তালিকা সংগ্রহ করবেন।
৫. চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসক ২৬ মার্চ সন্ধ্যা হতে রাত পর্যন্ত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সড়ক, সড়কদ্বীপ, শপথ চত্বর, ইলিশ চত্বর, অঙ্গীকার ও মুক্তিসৌধ এলাকাসহ অন্যান্য শুরুত্বপূর্ণ স্থানে আলোকসজ্জা করার জন্য এবং গণপূর্ত বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী চাঁদপুর সার্কিট হাউজ ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং বাসভবনে আলোকসজ্জা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৬. জেলা ক্রীড়া অফিসার চাঁদপুর স্টেডিয়ামে সমাবেশের নিমিত্ত মঞ্চ, প্যান্ডেল ও মাঠ প্রস্তুত করাসহ আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি নিশ্চিত করবেন এবং কুচকাওয়াজ উপ-কমিটিকে সহায়তা করবেন।
৭. স্থানীয় সকল দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদকগণ দিবসটি উদযাপনে গৃহীত কর্মসূচি বহুল প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং নিজ নিজ পত্রিকায় বিশেষ নিবন্ধ/ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবেন।
৮. চাঁদপুর সদর উপজেলা ব্যতিত অন্য সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিবসটি সরকারি কর্মসূচি ও নির্দেশনা অনুসরণ করে উদযাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। চাঁদপুর সদর উপজেলা জেলা প্রশাসনের সাথে যুক্ত হয়ে দিবসটি উদযাপন করবেন।
৯. মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচিতে সকল কলেজ ও স্কুলের শিক্ষক/শিক্ষিকাগণ এবং ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য অধ্যক্ষ, জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকাগণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
১০. বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোডের নির্বাহী প্রকৌশলী দিবসটি উদযাপনের সকল ভেন্যুতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করবেন।
১১. ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স উপ-সহকারী পরিচালক ২৫ মার্চ এবং ২৬ মার্চ প্রত্যুষে অথবা সুবিধাজনক সময়ে কুচকাওয়াজ কমিটির সাথে সমন্বয় করে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে পানি ছিটিয়ে ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থ্য গ্রহণ করবেন।
১২. মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সকল সরকারি, আধা- সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত দপ্তরের সকল কর্মকর্তাগণ আবশ্যিকভাবে উপস্থিত থাকবেন।

গাজার অবস্থা নরকের চেয়েও খারাপ: রেড ক্রস প্রেসিডেন্ট

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৯:০৭ অপরাহ্ণ
গাজার অবস্থা নরকের চেয়েও খারাপ: রেড ক্রস প্রেসিডেন্ট

ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্যা রেড ক্রস (আইসিআরসি) এর প্রেসিডেন্ট মিরিয়ানা স্পোলয়ারিচ বলেছেন, গাজার অবস্থা নরকের চেয়েও খারাপ হয়ে পড়েছে।

জেনেভায় সংস্থাটির সদর দপ্তরে তিনি বলেন, মানবিকতা ব্যর্থ হচ্ছে। রাষ্ট্রগুলো যুদ্ধ বন্ধ করতে, ফিলিস্তিনের দুর্ভোগের অবসান করতে এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করতে যথেষ্ট করছে না।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের মানবিক মর্যাদা হরণ করা হয়েছে এবং মানবিক কার্যক্রম বিষয়ক আন্তর্জাতিক আইনগুলোকে নাই করে দেওয়া হচ্ছে।

আইসিআরসি এমন একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন যারা যুদ্ধ এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করে। গাজায় তাদের ১৩০ জন কর্মী আছে, যাদের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনি।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে সার্জিক্যাল হাসপাতাল পরিচালনা করে সংস্থাটি। সম্প্রতি এই হাসপাতালের কাছে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, গতকাল সকালে হাসপাতালে ১৮৪ জনকে আনা হয়েছে যার মধ্যে ১৯ জন ছিলেন মৃত। আরও আটজন পরে মারা গেছেন।

আইসিআরসি সাধারণভাবে রেড ক্রস হিসেবে পরিচিত। তাদের জেনেভা কনভেনশনের তত্ত্বাবধায়ক মনে করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য এটি করা হয়েছে।

মিরিয়ানা স্পোলয়ারিচ বলছেন, যুদ্ধের নিয়ম আছে এবং সেটি সব পক্ষের জন্য প্রযোজ্য।

সূত্র: বিবিসি

হাজীগঞ্জ সুন্নিয়া হাফিজিয়া নূরানী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মেধা পুরষ্কার প্রদান

মোঃ ইউসুফ বেপারী
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৮:৫৬ অপরাহ্ণ
হাজীগঞ্জ সুন্নিয়া হাফিজিয়া নূরানী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মেধা পুরষ্কার প্রদান

হাজীগঞ্জ সুন্নীয়া হাফিজিয়া নূরানী দাখিল মাদ্রাসা ও উম্মে হানি সুন্নীয়া হাফিজিয়া নূরানী মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সবক, মেধা পুরষ্কার ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার সকালে হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজার মিঠানিয়া ব্রিজের পূর্ব পাশে অবস্থিত মাদ্রাসার হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাওলানা জুনায়েদ হোসেন আল ক্বাদেরী।

অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মো. আল আমিনের সঞ্চালনায় কোরআন শরীফ প্রতিযোগিতা, কোরআন শরীফ বাংলায় অনুবাদ ও ইংরেজিতে অনুবাদ ও বক্তব্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর শ্রেণিকক্ষের পরিক্ষায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হওয়া শিক্ষার্থীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা।

উক্ত অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার আলিয়া শাখার প্রধান শিক্ষক মাওলানা মো. আমান উল্ল্যাহ সহ মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

দারুল কুরআন আন্তর্জাতিক হিফজ্ মাদ্রাসায় অভিভাবক সমাবেশ ও পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা

মোঃ ইউসুফ বেপারী
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৮:৪৯ অপরাহ্ণ
দারুল কুরআন আন্তর্জাতিক হিফজ্ মাদ্রাসায় অভিভাবক সমাবেশ ও পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা

হাজীগঞ্জ উপজেলার মডেল টাউনে অবস্থিত দারুল কুরআন আন্তর্জাতিক হিফজ্ মাদ্রাসায় অভিভাবক সমাবেশ, হিফজ্ ছাত্রদের সবক প্রদান ও বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার সকালে মাদ্রাসার হলরুমে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মাওলানা শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ক্বারি ও ইসলামী ব্যক্তিত্ব হাফেজ মাওলানা কারী আহসান উল্লাহ সৌরভ এবং হাফেজ কারী ইউসুফ আদনান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাফেজ কারী আহসান উল্লাহ সৌরভ বলেন, পবিত্র কুরআনের হিফজ করা শুধু একজন ছাত্রের নয়, বরং একটি পরিবার, সমাজ এবং জাতির জন্য বড় গর্বের বিষয়। এ ধরনের আয়োজন ছাত্রদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং দ্বীনি শিক্ষায় আরও মনোনিবেশ করতে সহায়তা করে।

তিনি আরও বলেন, হিফজে কুরআন শুধু মুখস্থ করলেই যথেষ্ট নয়, এর শিক্ষাকে অন্তরে ধারণ করাই প্রকৃত সফলতা।

বক্তব্য শেষে মাদ্রাসার ১০ জন হিফজ্ শিক্ষার্থীকে সবক প্রদান করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা এবং কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা ক্বারী নোমান, হাফেজ মাওলানা নাঈম হোসেন, হাফেজ মাওলা ওমর ফারুক, হাফেজ মহিন উদ্দিন ও হাফেজ নাঈম।

সবশেষে সফল শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও মাদ্রাসার পক্ষ থেকে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সাফল্য এবং ইসলামী শিক্ষা বিস্তারের জন্য প্রার্থনা করা হয়।