খুঁজুন
শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৯ কার্তিক, ১৪৩২

গণহত্যা, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনকল্পে জেলা প্রশাসনের ব্যাপক কর্মসূচী

জাহাঙ্গীর রাজু
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫, ১:৩৮ পূর্বাহ্ণ
গণহত্যা, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনকল্পে জেলা প্রশাসনের ব্যাপক কর্মসূচী

আজ ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং আগামীকাল ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনাত ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে চাঁদপুর জেলায় ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন জেলা প্রশাসন। এ উপলক্ষে গত ৬ মার্চ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযোদ্ধের আত্মোৎসর্গকারী ৩০ লাখ শহীদ সম্ভ্রম হারানো ২ লাখ মা বোনকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করে এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের গুরুত্¦ ও তাৎপর্য তুলে ধরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন সভাপতির বক্তব্যে বলেন, বাঙালী জাতীর সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মহান স্বাধীনতা। কষ্ঠার্জিত এ স্বাধীনতা যেন ম্লান না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে দেশ মাতৃকার কল্যাণে কাজ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, এ বছর পবিত্র রমজান মাসে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন হবে বিধায় রমজানের পবিত্রতার প্রতি সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

সভায় সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন এর অনুমতিক্রমে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোস্তফিজুর রহমান দিবসগুলো পালনকল্পে কর্মসূচীগুলো উপস্থাপন করেন।

কর্মসূচীগুলো:
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস:
১৭ মার্চ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত সুবিধা জনক সময়ে শহরের হাসনা আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, বাস স্ট্যান্ড, বড় স্টেশন মোলহেডে ২৫ মার্চের গণহত্যার উপর বস্তুনিষ্ঠ ও নৈর্ব্যত্তিক দূর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামান্য চিত্র প্রদর্শনী, ২০ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারীগরি সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যাক্তি ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে গণহত্যা ও ঐতিহাসিক মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে স্মৃতি চারণ ও আলোচনা সভা, ২৫ মার্চ বাদ আসর সকল মসজিদ, মন্দির ও গির্জায় বিশেষ মুনাজাত ও প্রার্থনা, ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১০ টায় ১ মিনিটের জন্য জরুরী স্থাপনা ও কেপিআই ব্যাতীত জেলায় প্রতীকি ব্ল্যাক আউট।

সভায় গৃহীত অন্যান্য সিদ্ধান্তসমূহ নিম্নরূপ:
১. ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন/স্থাপনাসমূহে কোন অবস্থাতেই আলোকসজ্জা করা যাবে না মর্মে সিদ্ধান্ত হয়।
২. জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, চাঁদপুর ২০ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরিসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে ২৫ মার্চ গণহত্যা ও মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৩. গণহত্যা দিবসের সকল কর্মসূচিতে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত দপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ আবশ্যিকভাবে উপস্থিত থাকবেন।
৪. জেলা তথ্য অফিসার ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচি বহুল প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নবর্ণিত কর্মসূচি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

কর্মসূচীগুলো:
১ মার্চ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে রচনা ও আবৃতি প্রতিযোগীতার আয়োজন, ১৬ থেকে ২৬ মার্চ প্রতিদিন বিকাল বা সন্ধ্যায় বাবুরহাট, বাগাদী চৌরাস্তার মোড়, চাঁদপুর ডাকঘরের নিকট সেতুর পাদদেশে পুরান বাজারে স্বাধীনতা যুদ্ধের বস্তুনিষ্ঠ ও নৈবির্ত্তিক মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামন্য চিত্র প্রদর্শনী, ২৬ মার্চ সারাদিন চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিশুদের রচনা প্রতিযোগীতা ও আবৃতি, শিশু একাডেমীতে শিশুদের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা, সূর্যোদয়ের সাথে সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত এবং বেসরকারি ভবন সমূহে যথাযথ মর্যাদার সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, চাঁদপুর শহরের অঙ্গিকার পাদদেশে একত্রিশ বার তপোধ্বনীর মাধ্যমে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভ সূচনা, ভোর ৫ টা ৫৬ মিনিটের পর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরনে অঙ্গিকার পাদদেশে পুষ্পস্তবক অর্পন, সন্ধ্যা থেকে চাঁদপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত এবং বেসরকারি ভবন সমূহে আলোকসজ¦া, শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ জাতীয় পতাকা সহ বিভিন্ন পতাকা ও ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করন, সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা প্রশাসক কৃর্তক চাঁদপুর স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ (রমজান মাস বিবেচনায় ডিসপ্লে ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবেনা), দুপুর ১২ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী ও কোষ্ট গার্ডের জাহাজ সমূহ জনসাধারণরে দর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা, সকাল ১০ টায় চাঁদপুর ক্লাব মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠান, বাদ আসর জাতীর শান্তি, সমৃদ্ধি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির ও গির্জা সহ প্যাগোডা ও অন্যান্য উপসনালয়ে মোনাজাত ও প্রার্থনা। সুবিধা জনক সময়ে সকল হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশু পরিবার এবং বাক শ্রবন প্রতিবন্ধী স্কুলে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন।

গৃহীত অন্যান্য সিদ্ধান্তসমূহ নিম্নরূপঃ
১. গৃহীত কর্মসূচির প্রতিটি ভেন্যুর নিরাপত্তা বিধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করা হয়।
২. অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল মহান স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ দক্ষ ও মানসম্মত করার জন্য অংশগ্রহণকারী দলসমূহের যথাযথ পূর্বপ্রস্তুতিসহ প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৩. জেলা তথ্য অফিসার, চাঁদপুর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচিসমূহ বহুল প্রচারের নিমিত্ত এবং জাতীয় পতাকার সঠিক মাপ, রং এর ব্যবহার সম্পর্কে জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ২০ মার্চ হতে প্রারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৪. জেলা স্কাউটের সহকারী পরিচালক জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সমাবেশে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক স্কাউটসদের তালিকা সংগ্রহ করবেন।
৫. চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসক ২৬ মার্চ সন্ধ্যা হতে রাত পর্যন্ত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সড়ক, সড়কদ্বীপ, শপথ চত্বর, ইলিশ চত্বর, অঙ্গীকার ও মুক্তিসৌধ এলাকাসহ অন্যান্য শুরুত্বপূর্ণ স্থানে আলোকসজ্জা করার জন্য এবং গণপূর্ত বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী চাঁদপুর সার্কিট হাউজ ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং বাসভবনে আলোকসজ্জা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৬. জেলা ক্রীড়া অফিসার চাঁদপুর স্টেডিয়ামে সমাবেশের নিমিত্ত মঞ্চ, প্যান্ডেল ও মাঠ প্রস্তুত করাসহ আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি নিশ্চিত করবেন এবং কুচকাওয়াজ উপ-কমিটিকে সহায়তা করবেন।
৭. স্থানীয় সকল দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদকগণ দিবসটি উদযাপনে গৃহীত কর্মসূচি বহুল প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং নিজ নিজ পত্রিকায় বিশেষ নিবন্ধ/ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবেন।
৮. চাঁদপুর সদর উপজেলা ব্যতিত অন্য সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিবসটি সরকারি কর্মসূচি ও নির্দেশনা অনুসরণ করে উদযাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। চাঁদপুর সদর উপজেলা জেলা প্রশাসনের সাথে যুক্ত হয়ে দিবসটি উদযাপন করবেন।
৯. মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচিতে সকল কলেজ ও স্কুলের শিক্ষক/শিক্ষিকাগণ এবং ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য অধ্যক্ষ, জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকাগণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
১০. বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোডের নির্বাহী প্রকৌশলী দিবসটি উদযাপনের সকল ভেন্যুতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করবেন।
১১. ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স উপ-সহকারী পরিচালক ২৫ মার্চ এবং ২৬ মার্চ প্রত্যুষে অথবা সুবিধাজনক সময়ে কুচকাওয়াজ কমিটির সাথে সমন্বয় করে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে পানি ছিটিয়ে ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থ্য গ্রহণ করবেন।
১২. মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সকল সরকারি, আধা- সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত দপ্তরের সকল কর্মকর্তাগণ আবশ্যিকভাবে উপস্থিত থাকবেন।

ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ

শ্যামল সরকার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৫০ অপরাহ্ণ
ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ

ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখতে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে গত ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছিল ২২ দিনের ইলিশ আহরণ নিষেধাজ্ঞা। এসময় নদীতে মাছ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ছিল। দীর্ঘ বিরতির পর শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে নদীতে নামবেন জেলেরা।

শেষ সময়ে কেউ মেরামত করছেন নৌকা, কেউবা পুরোনো জাল সেলাই করে নিচ্ছেন নতুন করে। চোখে মুখে আনন্দের অনুভূতি থাকলেও আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলেরা। তারা বলছেন, এবছর ভরা মৌসুমেও নদীতে ইলিশের দেখা মেলেনি। আর এখন মৌসুম শেষ। জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেলে কষ্টের পাল্লা ভারী হবে।

এদিকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন চাঁদপুরে নিবন্ধিত ৪৫ হাজার ৬১৫ জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। কিন্তু তা ছিল জেলেদের কাছে অপ্রতুল। ওই সময় জীবিকা হারিয়ে চরম কষ্টে পড়েন জেলেরা।

এদিকে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীতে মাছ ধরতে না গেলেও নিষেধাজ্ঞার পর বেশ কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা না পেয়ে এবং মহাজন ও এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণ করে তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করতে হয়েছে বলে আক্ষেপ করেছেন।

তাদের অভিযোগ, মূল জেলেদের কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা থেকে বাদ পড়েছে। অথচ যারা মাছ ধরতে জীবনেও নদীতে নামেনি এমন বিভিন্ন পেশার বেশ কিছু মানুষ সরকারী সহায়তার কার্ড পেয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তারা ক্ষোভ জানিয়েছেন। এমনকি বেশ কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা পেয়েও সরকারের নির্দেশনা না মেনে অবৈধভাবে নির্বিচারে মা ইলিশ শিকার করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে সরকারের পরবর্তী সহযোগিতা থেকে বাদ দেওয়ারও আহ্বান জানান।

মৎস্য কর্মকর্তারা আশা করছেন, ২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে এবার গত বছরের চেয়ে মাছের উৎপাদন রেকর্ড পরিমাণে বাড়তে পারে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে মাছ শিকার করতে দেওয়া হয়নি। এবার রেকর্ড পরিমাণে ইলিশ উৎপাদন হতে পারে।

তিনি আরও জানান, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা ইলিশ রক্ষায় প্রতি বছরের মতো এবারও ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিনের জন্য দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত নিষিদ্ধ করেছিল সরকার।

এই সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চালানো ৪৪৫ টি অভিযানে ৭৭ টি মামলা ও ৭৪ টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১১৯ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাঁজা প্রদান করা হয়। এছাড়া ৬ কোটি মিটার অবৈধ জাল, ১১০০ টন ইলিশ জব্দ করে বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় প্রদান করাহয়।

জনশ্রুতি আছে অভিযানে সময় অনেক জেলে সরকারের বরাদ্দ করা চাল পাননি বলেও অভিযোগ রয়েছে।

শনিবার মধ্যরাতে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকেই উপকূলের জেলেরা জাল, নৌকা, ট্রলার ও অন্যান্য সরঞ্জাম প্রস্তুত করে ইলিশ শিকারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন। বিশেষ করে হরিনা ঘাট, আখনের ঘাট, পুরানবাজার রনাগোয়াল, লঞ্চ ঘাট, হাইমচরের নীলকমল, মতলব উত্তর মোহনপুর নৌঅঞ্চলের জেলেরা এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

ফরিদগঞ্জে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ আটক ১

শ্যামল সরকার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩২ অপরাহ্ণ
ফরিদগঞ্জে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ আটক ১

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে গঠিত যৌথবাহিনি। এ ঘটনায় দুই মাদক কারবারি পালিয়ে গেলেও একজনকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার সকালে উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সকদিরামপুর গ্রামের ছোট বাড়ি এলাকা থেকে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসীর খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জেলা ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর আর্মি ক্যাম্পের অপারেশনাল অফিসার লেফটেন্যান্ট জাবিদ হাসান ও ফরিদগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত রাজিব চক্রবর্তী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকদিরামপুর গ্রামের খলিল বেপারির ছেলে মাদক কারবারি আল-আমিন (২৫) ও তার সহযোগী হত্যা মামলার আসামি রুবেল হোসেন (২৮) ফজরের নামাজের পর একটি প্রাইভেটকারে করে বিপুল পরিমাণ গাঁজা নিয়ে আসে। পরে আল-আমিনের বাড়ির গোসলখানায় গাঁজাগুলো লুকিয়ে রাখে। এ সময় স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।

পরে এলাকাবাসী পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দিলে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে।

এলাকাবাসী জানায়, রুবেল হোসেন এর আগে একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। গত ১০ দিন আগে তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই আবারও মাদক ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে ওঠে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি একই ইউনিয়নের বাইক্কারবাগানের পাশের ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মাদক ব্যবসায়ী সোহেল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে মামলার অন্যতম আসামি ছিল রুবেল হোসেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন স্বপন মিয়াজী জানান, সকালে ফজরের নামাজের পর এলাকাবাসী আমাকে জানায়, এ এলাকার কুখ্যাত মাদক কারবারি রুবেল জেল থেকে বের হয়ে আবারও মাদক কারবারির সাথে জড়িয়ে পড়েছে এবং বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ এলাকায় প্রবেশ করলে তাদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে থানা পুলিশকে খবর দেই। তিনি আরো জানান, তাদের কারনে এ এলাকার যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ্ আলম বলেন, সকালে এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ডিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করি। তবে মূল মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। আল-আমিনের বাবা খলিল বেপারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ধানের শীষ প্রতীকের গণসংযোগ শুরু করলেন ইঞ্জি. মমিনুল হক

মো. ইউসুফ বেপারী
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:২১ অপরাহ্ণ
ধানের শীষ প্রতীকের গণসংযোগ শুরু করলেন ইঞ্জি. মমিনুল হক

হাজীগঞ্জে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে নিজ ইউনিয়নে গণসংযোগ ও পথসভা শুরু করলেন বিএনপির কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক ইঞ্জি. মমিনুল হক।

শুক্রবার দিনব্যাপী তিনি উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা শুরু করেন। এরমধ্যে তিনি ইউনিয়নের নোয়াদ্দা, উত্তর রায়চোঁ, বড়কুল রামকানাই উচ্চ বিদ্যালয়, রায়চোঁ বাজার, মধ্য বড়কুল, আড়ুলি, মোল্লাডহর, দিকচাইল, সেন্দ্রা ও কোন্দ্রা এলাকায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন।

পথসভায় ইঞ্জি. মমিনুল হক চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে ইউনিয়নবাসীর সম্মতি চাইলে উপস্থিত লোকজন একযোগে হাত উঁচিয়ে সম্মতি প্রকাশ এবং ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এসময় তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির ২২টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভায় গণসংযোগ ও পথসভা কার্যক্রম শুরু করলাম। দেশের মানুষ বিএনপিকে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষমান রয়েছে। তারা ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করে তারেক রহমানকে আগামির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাছান মিয়াজীর সভাপতিত্বে গণসংযোগ ও পথসভায় সফর সঙ্গী ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ রহিম পাটওয়ারী, বিএনপি নেতা আব্দুল কাদের মিয়া, ইঞ্জি. জাহাঙ্গীর আলম, ইমান হোসেন, অহিদুল ইসলাম মোহন, আব্দুল গফুর পাটওয়ারী, ওলি উল্যাহ, আলমগীর হোসেন, মোশারফ হোসেন, তাফাজ্জল হোসেন বতু, শাহাদাত হোসেন মিলন, জামাল মেম্বার, মিজানুর রহমান, মাসুদ রানা, উপজেলা মৎসজীবি দলের সভাপতি মো. ইমান হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম চৌধুরী মিঠু, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক এসএম ফয়সাল হোসাইন, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব দ্বীন ইসলাম টগর, ছাত্রনেতা শামছুদ্দিন খাঁন নূর, কবির হোসেন রাজু, ইউনিয়ন যুবদল নেতা আব্দুল জব্বার, ইকবাল বেপারী, ইমাম হোসেন, আব্দুল মতিন, আলাউদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, হোসেন মজুমদার, স্বেচ্ছাসেবক নেতা মাসুম চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, সুমন রাজ, হাসানাত, সোহাগ, কৃষক নেতা মিজানুর রহমান, ছাত্রনেতা আলামিন দিনু, হাবিবুর রহমান, ওসমান গণি, সাব্বির হোসেন, শেখ ফরিদসহ সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।