খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১৬ বৈশাখ, ১৪৩২

আপনাদের কাজ ক্যান্টনমেন্টে, আপনারা সেখানেই থাকুন

সেনাবাহিনীকে হাসনাত

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫, ৮:১৪ অপরাহ্ণ
সেনাবাহিনীকে হাসনাত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আপনাদের কাজ ক্যান্টনমেন্টে, আপনারা ক্যান্টনমেন্টে থাকুন। আপনাদের আমরা সম্মান জানাই। গত ১৬ বছর জাতীয় রাজনীতিতে যেভাবে নোংরা হস্তক্ষেপ করেছেন, ২৪-পরবর্তী বাংলাদেশে তা আর করতে দেওয়া হবে না।

শনিবার বিকেলে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপি-ঢাকা মহানগর আয়োজিত সমাবেশে একথা বলেন তিনি।

সমাবেশে সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে হাসনাত আব্দুল্লাহ আরো বলেন, বিগত ১৬ বছরে এতগুলো ডামি নির্বাচন হলো, আপনাদের ইনক্লুসিভিটি কোথায় ছিল? এত বছর কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে সেনাবাহিনীর কোনো একটি জেনারেলকে দেখিনি পদত্যাগ করতে। এত গুম-খুন, অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন চলেছে, আপনারা প্রতিবাদ করেননি। এখন আমরা একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রত্যাশায় আছি। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা একটি সুষ্ঠু পরিবেশে ফিরে যেতে চাই। আপনারা এতে হস্তক্ষেপ করবেন না।

তিনি বলেন, আপনাদের প্রতি আমাদের কোনো বিদ্বেষ নেই। আপনারা জনগণকে আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড় করাবেন না। আমাদের অবস্থান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নয়। সেনাবাহিনীকে যারা অপব্যবহার করতে চায়, আমাদের অবস্থান তাদের বিরুদ্ধে। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, সেনাবাহিনী আমাদের আস্থার প্রতিদান দেবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে আওয়ামী লীগ আর কখনো পুনর্বাসিত হবে না।

এসময় এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ হয়।

চাঁদপুর শহর জামায়াতের গণসংযোগ ও পথসভা

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:৫০ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর শহর জামায়াতের গণসংযোগ ও পথসভা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর শহর শাখার উদ্যোগে দাওয়াতী পক্ষ অভিযান উপলক্ষে গণসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে চাঁদপুর শহরের হাকিমপ্লাজা, হকার্স মার্কেট, জোড় পুকুরপাড় সড়ক ও বাইতুল আমীন চত্বর ব্যাপক দাওয়াতী কাজ এবং পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশের শূরার সদস্য ও চাঁদপুর জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা বিল্লাল হোসাইন মিয়াজী।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করতে চায়। আমরা বিশ্বাস করি, জমিন আল্লাহর কাজেই এই জমিনের মধ্যে হুকুম চলবে আল্লাহর। আল্লাহর আইনের মধ্যে কোন ভুল নাই, মানুষের তৈরি আইনের মধ্যে ভুল আছে। মানুষ যখনই আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে মানুষের তৈরি আইনের দিকে যায়, তখন বারবার হোচঁট খায়, প্রতারিত হয় এবং মানুষ তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত ও শোষণমুক্ত করার জন্য তিনি সবাইকে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।

আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর শহর জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট শাহজাহান খান। উপস্থিত ছিলেন শহর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মো: সাইফুল ইসলাম সবুজ, জামায়াতের ১০নং ওয়ার্ড আমীর গোলাম মাওলা, ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি ও সম্ভাব্য কমিশনার প্রার্থী নুর মোহাম্মদ খোকা, ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি মাইনুল ইসলাম প্রধান, সম্ভাব্য কমিশনার প্রার্থী হাসান আল বান্না, আলাউদ্দিন ঢালী, আলমগীর বন্ধুকশীসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।

কচুয়ায় খড়ের গাঁদা আনতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষাণীর মৃত্যু

মনিরুজ্জামান বাবলু
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:২৯ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় খড়ের গাঁদা আনতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষাণীর মৃত্যু

বজ্রপাতে নিহত কৃষাণী বিশখা।

কচুয়ায় বজ্রপাতে বিশখা সরকার (৩৫) নামে এক কৃষাণীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার উত্তর কচুয়া ইউনিয়নের নাহারা গ্রামের রাধা গবিন্দ বাড়ির কৃষাণী বাড়ির পাশে অবস্থিত জমি হতে খড়ের গাঁদা আনতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন।

নিহত বিশখা সরকার উত্তর কচুয়া ইউনিয়নের নাহারা গ্রামের হরিপদের স্ত্রী। বিশখা সরকার তিন কন্যা সন্তানের জননী।

পরিবার ও এলাকাবাসী জানান, বাড়ির পাশে খড়ের গাঁদা আনতে বাড়ী থেকে বের হবার পথে ঝড়-বৃষ্টির কবলে পড়েন। পরে বজ্রপাতের শিকার হন তিনি। তাকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. জাহিদ হোসাইন জানান, তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে বজ্রপাতে আতঙ্কিত হয়ে মারা যেতে পারেন। তাকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান। আকাশে কালো মেঘ দেখলেই নিজেদের প্রতি প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও নিরাপদ আশ্রয়ে যেত বলছেন এই চিকিৎসক।

বাংলাদেশে লাইসেন্স পেলো স্টারলিংক

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:১৯ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশে লাইসেন্স পেলো স্টারলিংক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনজিএসও সেবাদাতা স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার তিনি এ লাইসেন্স অনুমোদন করেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ২৫ মার্চ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) নন-জিওসটেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিসেস অপারেটর ইন বাংলাদেশ শীর্ষক লাইসেন্সিং গাইডলাইন জারি করে।

ওই গাইডলাইনের আওতায় স্টারলিংক সার্ভিসেস বাংলাদেশ নন-জিওসটেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিসেস অপারেটর লাইসেন্সপ্রাপ্তির জন্য প্রযোজ্য ফি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিটিআরসি বরাবর আবেদন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে আবেদনকৃত লাইসেন্স ইস্যুর জন্য গত ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ২৯৪তম কমিশন সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

স্টারলিংক বাংলাদেশের ইন্টারনেটে নতুন সংযোজন। শ্রীলংকার পরে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশে বৈশ্বিক এ স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করলো।

এ প্রসঙ্গে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ে শেখ হাসিনা সরকারের উপর্যুপরি ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে স্টারলিংককে বাংলাদেশে নিয়ে আসা একটা গণদাবিতে পরিণত হয়েছিল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিনিয়োগবান্ধব হিসেবে একটা বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল প্রধান উপদেষ্টার। বাংলাদেশের হাওর-বাওড় দ্বীপাঞ্চলে, দুর্গম পার্বত্য এলাকায়, বিশেষভাবে উপকূলীয় দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেসব অঞ্চলে এখনো ফাইবার পৌঁছেনি সেখানে দ্রুততম সময়ে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা স্বউদ্যোগী হয়ে স্পেসএক্স সিইও ইলন মাস্ককে ফোন করে ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংককে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার আহ্বান জানান।

এ লক্ষ্য অর্জনে বিডা, বিটিআরসি, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নিবিড়ভাবে কাজ করেছে বলেও জানান তিনি।

ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, স্টারলিংকের সেবাগুলোর মধ্যে একটা প্রাথমিক সেবা হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট, যেখানে লোডশেডিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে না, যেটা আইএসপির ক্ষেত্রে হয়। অনেক ক্ষেত্রে যদি লম্বা সময় ধরে লোডশেডিং থাকে, মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারির ব্যাকআপ ফুরিয়ে গেলে মোবাইল ইন্টারনেটেও বিঘœ ঘটে। স্টারলিংকের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা হবে না।

‘আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশে ফাইবার নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি সীমিত। উপরন্তু এই ফাইবার নেটওয়ার্কের উল্লেখযোগ্য অংশ টেলকো গ্রেডের নয়। বাংলাদেশের অন্তত ৬৫ শতাংশ টেলিযোগাযোগ টাওয়ার এখনো ফাইবারাইজেশনের বাইরে, সেখানে মাইক্রোওয়েভ দিয়ে সেবা দেওয়া হয়, খুবই সীমিত ধারণক্ষমতা। আবার আমাদের মোবাইল নেটওয়ার্কের যে কাভারেজ ও ক্যাপাসিটি আছে, তাতেও সমস্যা আছে, হাইওয়ে মোবিলিটি কভারেজের সমস্যা আছে। স্টারলিংক এসব সমস্যার সমাধান করবে’- বলেন তিনি।

ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, স্টারলিংক বাংলাদেশের মোবাইল ফোন এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক করবে। এর মাধ্যমে ভয়েস কল এবং ডেটা বান্ডেলভিত্তিক গতানুগতিক ইন্টারনেট সেবাদান ব্যবস্থা ডিজিটাল সার্ভিসকেন্দ্রিক নতুন রূপান্তরে মধ্য দিয়ে যাবে।

‘স্টারলিংকের সার্ভিসের ফলে কমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রিতে ডিরেগুলেশনের সূচনা হবে, প্রতিযোগিতা বাড়বে, শহর কিংবা গ্রামভেদে নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট প্রাপ্তির নিশ্চয়তা তৈরি হবে’- যোগ করেন তিনি।