খুঁজুন
সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

অবশেষে পৃথিবীতে ফিরলেন মহাকাশ স্টেশনে ৯ মাস আটকে থাকা বুচ ও সুনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫, ১:১৬ অপরাহ্ণ
অবশেষে পৃথিবীতে ফিরলেন মহাকাশ স্টেশনে ৯ মাস আটকে থাকা বুচ ও সুনি

নয় মাস মহাকাশে থাকার পর নাসার মহাকাশচারী বুচ উইলমোর এবং সুনি উইলিয়ামস অবশেষে পৃথিবীতে ফিরেছেন।

তাদের স্পেসএক্স ক্যাপসুল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে দ্রুত পুনঃপ্রবেশ করে। তারপরে চারটি প্যারাসুট খোলা হয়, যাতে তারা ফ্লোরিডা উপকূলে মৃদু অবতরণ করেন।

এসময় ডলফিনের একটি দল জাহাজটিকে প্রদক্ষিণ করেছে।

একটি উদ্ধারকারী জাহাজ পানি থেকে তুলে নেওয়ার পর মহাকাশচারীরা বিস্মিত হয়ে হাত নাড়ান, যখন সহকর্মী ক্রু সদস্য মহাকাশচারী নিক হেগ এবং মহাকাশচারী আলেকজান্ডার গরবুনভের সঙ্গে তাদের স্পেসক্রাফ্টের দরজা থেকে বের করে আনা হয়।

“ক্রুরা দুর্দান্ত কাজ করছে,” নাসার বাণিজ্যিক ক্রু প্রোগ্রামের ব্যবস্থাপক স্টিভ স্টিচ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন।

এর মধ্য দিয়ে মিশনটির সমাপ্তি ঘটেছে, যা মাত্র আট দিনের জন্য স্থায়ী হওয়ার কথা ছিল।

মহাকাশচারী বুচ এবং সুনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ভ্রমণ করার সময় কারিগরি সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার পর নাটকীয়ভাবে এটি বাড়ানো হয়েছিল।

নাসার মহাকাশ অপারেশন মিশন ডিরেক্টরেটের ডেপুটি অ্যাসোসিয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জোয়েল মন্টালবানো বলেন, “ক্রু ৯-কে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া অসাধারণ, একটি সুন্দর অবতরণ।”

মহাকাশচারীদের তাদের স্থিতিস্থাপকতা এবং নমনীয়তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, স্পেসএক্স একটি দুর্দান্ত অংশীদার।

বাড়ি ফেরার যাত্রায় ১৭ ঘণ্টা সময় লেগেছে।

মহাকাশচারীদের একটি স্ট্রেচারে করে সাহায্য করা হয়েছিল, যা ওজনহীন পরিবেশে এতক্ষণ কাটানোর পর একটি আদর্শ অনুশীলন।

একটি মেডিকেল টিম তাদের পরীক্ষা করবে এবং তারপর তাদের পরিবারের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হবেন।

“সবচেয়ে বড় ব্যাপার হবে বন্ধুবান্ধব, পরিবার এবং যাদের সঙ্গে তারা বড়দিন কাটানোর আশা করেছিলেন তাদের সঙ্গে দেখা করা,” ব্রিটেনের প্রথম মহাকাশচারী হেলেন শারম্যান বলেন।

“পারিবারিক উদযাপন, জন্মদিন এবং অন্যান্য অনুষ্ঠান যেখানে তারা অংশ নেবেন বলে ভেবেছিলেন, এখন হঠাৎ করেই তারা হয়তো কিছুটা হারিয়ে যাওয়া সময় কাটিয়ে উঠতে পারবেন।”

বুচ এবং সুনির গল্প শুরু হয়েছিল ২০২৪ সালের জুনে। তারা মহাকাশ সংস্থা বোয়িং দ্বারা তৈরি স্টারলাইনার মহাকাশযানের প্রথম ক্রু পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে অংশ নেন।

কিন্তু ক্যাপসুলটি মহাকাশ স্টেশনে যাত্রার সময় বেশ কয়েকটি প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল এবং মহাকাশচারীদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া খুব ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হয়েছিল।

সেপ্টেম্বরের শুরুতে স্টারলাইনার নিরাপদে পৃথিবীতে খালি ফিরে আসে। কিন্তু এই জুটির ফিরে আসার জন্য একটি নতুন যাত্রার প্রয়োজন ছিল। তাই নাসা পরবর্তী নির্ধারিত ফ্লাইটের জন্য বেছে নেয় একটি স্পেসএক্স ক্যাপসুল যা সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে আইএসএসে পৌঁছেছিল।

এটি চারটির পরিবর্তে দুই মহাকাশচারী নিয়ে উড়েছিল, বুচ এবং সুনির ফিরে আসার জন্য দুটি আসন ফাঁকা রেখেছিল।

একমাত্র সমস্যা ছিল, পরিকল্পিত ছয় মাসের মিশন ছিল, যা মহাকাশচারীদের অবস্থান এখন পর্যন্ত বাড়িয়েছে।

মহাকাশচারী জুটি তাদের প্রত্যাশিত সময়ের চেয়েও বেশি সময় ধরে মহাকাশে অবস্থান গ্রহণ করেছেন।

তারা কক্ষপথে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে এবং মহাকাশে পদযাত্রা পরিচালনা করেন, যার মধ্যে সুনি মহাকাশ স্টেশনের বাইরে সবচেয়ে বেশি সময় কাটানো মহিলার রেকর্ড ভেঙে ফেলেন।

এখন মহাকাশচারীরা বাড়িতে পৌঁছেছেন। তাদের শীঘ্রই টেক্সাসের হিউস্টনের জনসন স্পেস সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হবে, যেখানে তাদের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করবেন।

মহাকাশে দীর্ঘমেয়াদী মিশন শরীরের উপর প্রভাব ফেলে, মহাকাশচারীর হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস পায় এবং পেশীক্ষয় ভোগ করে। রক্ত ​​সঞ্চালনও প্রভাবিত হয় এবং তরল পরিবর্তন দৃষ্টিশক্তির উপরও প্রভাব ফেলতে পারে।

শরীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে অনেক সময় লাগতে পারে। তাই এই দম্পতির শরীর যখন মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেবে তখন তাদের একটি বিস্তৃত ব্যায়ামের ব্যবস্থা করা হবে।

ব্রিটিশ নভোচারী টিম পিক বলেন, পুনরায় সামঞ্জস্য করতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।

“আপনার শরীর দারুন লাগছে, এটি ছুটির দিনের মতো মনে হচ্ছে,” তিনি বিবিসিকে বলেন।

“আপনার হৃদয় আরামে সময় কাটাচ্ছে, আপনার পেশী এবং হাড়ও আরামে সময় কাটাচ্ছে। আপনি এই দুর্দান্ত শূন্য মাধ্যাকর্ষণ পরিবেশে মহাকাশ স্টেশনের চারপাশে ভেসে বেড়াচ্ছেন।

“কিন্তু আপনাকে অবশ্যই ব্যায়ামের ব্যবস্থা বজায় রাখতে হবে। কারণ আপনি মহাকাশে ফিট থাকবেন, মহাকাশের জন্য নয়, বরং যখন আপনি পৃথিবীর শাস্তিমূলক মাধ্যাকর্ষণ পরিবেশে ফিরে আসবেন তখনই। পৃথিবীতে ফিরে আসার প্রথম দুই বা তিন দিন সত্যিই যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে “

জাহাজে থাকাকালীন সাক্ষাৎকারে বুচ এবং সুনি বলেছেন যে তারা তাদের প্রত্যাশার চেয়ে দীর্ঘ সময় থাকার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত ছিলেন।

গত মাসে সিবিএস-এর সঙ্গে কথা বলার সময় সুনি উইলিয়ামস বলেছিলেন, “আমি আমার পরিবার, আমার কুকুরদের দেখার এবং সমুদ্রে ঝাঁপ দেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। এটি সত্যিই চমৎকার হবে, পৃথিবীতে ফিরে এসে পৃথিবীকে অনুভব করা।”

খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে মতলব দক্ষিণ পিআইও কার্যালয়

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ৮:১৫ অপরাহ্ণ
খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে মতলব দক্ষিণ পিআইও কার্যালয়

জনবল সংকটে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে মতলব দক্ষিণের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়। এতে করে টেনেটুনেই যেন চলছে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির কর্মযজ্ঞ।

রোববার সকালে ওই কার্যালয়ে গেলে জনবল সংকটের এমন তথ্য উঠে আসে।

সরজমিনে দেখা যায়, একাই একশ’ হিসেবে হরদম কাজ করছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। তিনিই এখানে সকল কাজের কাজী। যদিও তার সাথে এখানে সেতু প্রকল্পের কার্য সহকারী পদায়িত রয়েছেন।

যদিও বাৎসরিক বাজেট বিবেচনায় এই উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতে চলতি অর্থ বছরে কমপক্ষে প্রায় ১৫ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তথ্য মতে, ২০১৭ সাল থেকে এই কার্যালয়টিতে অফিস সহায়ক, ২০২৩ সাল থেকে অফিস সহকারী, ২০২২ সাল থেকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদটি শুন্য রয়েছে। যদিও অন্যান্য উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পিআইও ছাড়াও উপ-সহকারী প্রকৌশলী, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, কার্য সহকারী ও অফিস সহায়ক কর্মরত আছেন।

এসব তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে মতলব দক্ষিণের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এখানে জনবল সংকটের কারনে আমাকেই অফিস সহকারী, অফিস সহায়কসহ সকল দায়িত্ব দাপ্তরিক প্রয়োজনে একা পালন করতে হচ্ছে। পুরনো একটি ল্যাপটপে যাবতীয় দাপ্তরিক কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছি। আমার জন্য মাঠ পর্যায়ের প্রকল্পের তদারকী কাজে ব্যবহারের জন্য দেয়া মোটরসাইকেলটিও অকেজো হয়ে পড়ে আছে। তবে এমন পরিস্থিতিতেও প্রকল্প মনিটরিং কাজসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সচেষ্ট রয়েছি।

স্থানীয়রা বলছেন, এই মতলবে ২টি আশ্রয় কেন্দ্র, ২০টি সেতু নির্মাণ প্রকল্প, ৪৩ জন অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্প, অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি, গ্রামীণ অবকাঠামো সংষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি, টিআর-কাবিখা প্রকল্পের আওতায় ব্যাপক সংখ্যক প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া কম্বল, ঢেউটিন, শুকনো খাবার, জিআর কর্মসূচীও চলমান রয়েছে। তবে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও কার্য সহকারী প্রায়শই কোন প্রকল্প তদারকি কাজে মাঠে গেলে বেশিরভাগ সময়ই কার্যালয়টি তালাবদ্ধ থাকে। এতে দুর্যোগে সাড়াদানসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণের উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমজাদ হোসেন বলেন, জনবল সংকটের বিষয়ে আমি বিগত মার্চ মাসে একটি স্মারক পত্রের মাধ্যমে শুন্য পদ পূরনের জন্য মহাপরিচালক মহোদয়কে অনুরোধ করেছি। আমার বিশ্বাস অচিরেই কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের কর্মসূচী সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে সচেষ্ট হবেন।

একই সুরে কথা বললেন চাঁদপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জাহিদ হাসান খান। তিনি বলেন, শুধু মতলব দক্ষিণ নয়, আমার জেলা কার্যালয়েও জনবল সংকট রয়েছে। এতে বিভাগীয় কার্যক্রম তদারকীও কঠিন হয়ে পড়েছে। দ্রুত সমস্যা সমাধানে আমি এ কথা মহাপরিচালক মহোদয়কে অবহিত করেছি।

চাঁদপুরজমিন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শিবিরের চক্ষু চিকিৎসা অনুষ্ঠিত

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ৭:৪৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরজমিন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শিবিরের চক্ষু চিকিৎসা অনুষ্ঠিত

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৮নং বাগাদী ইউনিয়নের নানুপুর চৌরাস্তা মোড়ে অবস্থিত চাঁদপুরজমিন হাসপাতালে ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর উদ্যোগে রোববার সকালে শিবিরের চক্ষু চিকিৎসা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দৈনিক চাঁদপুরজমিন ও জাতীয় দৈনিক অনুপমা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক, চাঁদপুরজমিন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর চেয়ারম্যান, হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান রোকন। অনুষ্ঠানে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন দৈনিক চাঁদপুরজমিন পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুর হোসেন মঞ্জু।

হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের সিনিয়র সহকারি শিক্ষিকা ইয়াসমিন আক্তারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মোঃ ওসমান খান, বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুর রহমান দুলাল, অন্ধ কল্যাণ সমিতি কুমিল্লার সমন্বয় মোঃ দেলোয়ার হোসেন, হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন শেখ, দৈনিক চাঁদপুরজমিন পত্রিকার ফটো সাংবাদিক শাহনেওয়াজ আহমেদ।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক সমীর চন্দ্র রায় ও পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক নাজির আহমেদ সহ অনেকেই। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া পরিচালনা করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি।

অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, চোখের চিকিৎসা নিতে এসে এখানে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে আপনারা আমাকে জানাবেন।

রোকন বলেন, যার চোখ নেই সে বুঝে চোখের কি মর্যাদা, এজন্যই চোখের যতœ নিতে হবে সবাই চোখ ভালো থাকলে সবই ভালো থাকবে। চোখ আল্লাহ তায়ালার এক বড় নেয়ামত, এজন্য এর যতœ নেওয়া খুবই জরুরী। আমার মত এই ধরনের মানবতার সেবায় সবার এগিয়ে আসা উচিত। তাহলে এলাকায় আর কোন অপরাধ থাকবে না, চোখকে রক্ষা করতে হলে আপনার সন্তানকে মোবাইল থেকে দূরে রাখুন। আমরা যেভাবে সন্তানদেরকে মোবাইল দিয়ে রেখেছি এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে অল্পতেই চোখে সমস্যা দেখা দিবে। এখানে যারা উপস্থিত আছেন বেশির ভাগই বয়স্ক। আপনার সন্তান এবং নাতি নাতনি যারা আছেন তাদেরকে মোবাইল থেকে দূরে সরিয়ে রাখলেই অনেক কিছু থেকে হেফাজত হবে। আমি এই প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পাশে চাঁসক ইসলামী ছাত্র আন্দোলন

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ৮:৪৪ অপরাহ্ণ
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পাশে চাঁসক ইসলামী ছাত্র আন্দোলন

শনিবার সকাল ১১টায় সারাদেশে একযোগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চাঁদপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রের কয়েকটি ভ্যানুতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূরীকরণে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর সরকারি কলেজ শাখার নেতৃবৃন্দ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন রকমের সহায়তা প্রদান করেন। তীব্র গরমের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের ও অভিভাবকদের মাঝে ফ্রীতে মিনারেল ওয়াটারের ব্যাবস্থা করেন। বিভিন্ন শিক্ষা সামগ্রী উপহার হিসেবে প্রদান করেন।

বহু শিক্ষার্থীরা তীব্র যানজটের কারণে উপকেন্দ্রে পৌছাতে দেরি হওয়ায় দ্রুততার সহিত অন্যান্য উপকেন্দ্রে পৌঁছে দেয়ার ব্যাবস্থা করেন।

এছাড়াও শ্রেণীকক্ষ খুঁজে দেওয়া, অভিভাবকদের বসার স্থানের ব্যবস্থা, তাদের আনুষঙ্গিক ব্যাগ মোবাইল জমা রাখা সহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি ডি.এম ফয়সাল, সহ-সভাপতি কে.এম মাসুদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ ফরহাদ, সদস্য আল আমিন সাইফি, ইব্রাহিম মজুমদার, বায়েজিদ বেপারী ও মিনহাজুল ইসলাম প্রমুখ।