খুঁজুন
শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫, ২০ আষাঢ়, ১৪৩২

লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শণে জেলা প্রশাসক

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ৮:২৩ অপরাহ্ণ
লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শণে জেলা প্রশাসক

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যক্রম পরিদর্শণ করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। মঙ্গলবার দুপুরের পরিদর্শনকালে পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ইউনিয়নের গরীব মানুষদের তালিকা করে ভিজিএফ কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। এ রমজানে কোন গরীব যেন ভিজিএফ কার্ড পেতে হয়রানির শিকার না হন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যাদের স্মার্ট কার্ড আছে তারা টিসিবির পন্য পাবে, স্মার্টকার্ডবিহীন টিসিবির পন্য দেওয়া যাবে না। ১৭ তারিখের পর ট্রাক সেলের মাধ্যমে ইউনিয়নের দুটি বাজারে বিক্রি করা হবে। তখন যে কোন ব্যক্তি স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে ভোগ্য পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। আমরা চাই রমজান মাসে বাজারটাকে গরীবের উপযোগী করে রাখতে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে তাই সকল দলের ভালো লোকদের নিয়ে কাজ করবেন। বিশেষ করে যে দলগুলোর বিরুদ্ধে ক্লেম নেই। আমি সভা করে বিভিন্ন পন্যের দাম নির্ধারন করে দিয়েছি। ডিম প্রতি পিস সাড়ে ৯ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা, গরুর মাংস ৬৮০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকা।
আপনারা কোন অবস্থাতেই নির্ধারিত দামের বাইরে পন্য কিনবেন না। দোকানী পণ্যের দাম বেশী রাখলে প্রতিবাদ করবেন, দরকার হলে আমাদের জানাবেন। আমরা সেই দোকানীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাখাওয়াত জামিল সৈকত, ভূমি সহকারী কমিশনার আল এমরান খান, গোপনীয় শাখার সহকারী কমিশনার নাজমুল হুদা, ইউনিয়ন প্রশাসক মুকবুল হোসেন, সচিব রাকিবুল হাসান, হিসাব সহকারী রোবেনা আক্তার, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী শাহানা আক্তার, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সহ সভাপতি মোঃ সুমন আহমেদ ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক শহীদ, সাংগঠনিক মোঃ দাদন মিয়া, যুব দলের সভাপতি নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী, ইউনিয়ন জামায়াতের সহ সভাপতি হাফেজ বেলাল হোসাইন, সেক্রেটারী এনামুল কবির প্রমূখ।

 

চাঁদপুর জেলা তাঁতীদলের সাবেক নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা

জাহাঙ্গীর আলম রাজু
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫, ১:১৪ পূর্বাহ্ণ
চাঁদপুর জেলা তাঁতীদলের সাবেক নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা
জাতীয়বাদী তাঁতীদল চাঁদপুরস্থ কেন্দ্রীয় সদস্যবৃন্দ ও চাঁদপুর জেলা তাঁতীদলের সাবেক নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আগামী নির্বাচনে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিককে সার্বিক সহযোগীতা ও তার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ৩ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁদপুর শহরের ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্সের ৩য় তলায় বৈশাখী চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও মতবিনিময় সভায় চাঁদপুর জেলা তাঁতীদল কমিটি ও তার অধীনস্থ সকল কমিটি বিলুপ্ত করায় নতুন করে কিভাবে কমিটি করা যায় সে বিষয়েও ব্যাপক আলোচনা করা হয়।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয়বাদী তাঁতীদল কেন্দ্রটি কমিটির সদস্য মো. আবুল কালাম, চাঁদপুর জেলা তাঁতীদলের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক সফিকুর রহমান পাটওয়ারী, আরিফ ইকবাল নিটু তালুকদার, মনির হোসেন প্রধানীয়া, নার্গিস কবির খান, অলি উল্যাহ ছৈয়াল, আসাদুজ্জামান ইলিয়াস পাটওয়ারী।
চাঁদপুর জেলা তাঁতীদলের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক আলহাজ্ব মো. আশ্রাফুল আমিন মজুমদারের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, হাইমচর উপজেলা তাঁতীদলের সাবেক সভাপতি হান্নান গাজী, সাবেক সাধারণ সম্পাদ্ক সবুজ মিয়া, চাঁদপুর সদর উপজেলার সাবেক সদস্য সচিব মো. সোহেল মাঝি, কচুয়া উপজেলার সাবেক আহবায়ক কবির হোসেন মেম্বার, ছেঙ্গারচর পৌর তাঁতীদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গর্জন সরকার, মতলব দক্ষিণ উপজেলার সাবেক সভাপতি হাজী ইলিয়াস মিজি, ফারিদগঞ্জ উপজেলার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল মিয়াজী, হাজীগঞ্জ উপজেলার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমূখ।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা তাঁতীদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. মজিবুর রহমান গাজী, তাঁতীদল নেতা হযরত আলী, উম্মে কুলসুমা, খাদিজা আক্তার প্রমুখ।
সভায় বক্তরা বলেন, আজকে আমাদের সভার মূল উদ্দেশ্য হলো চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ভাই আগামী ১৭ বছর জেল-জুলুম, মামলা-হামলার ও নির্যাতনের শিকার হয়ে দল পরিচালনা করেছেন। বহু ত্যাগ শিকারের পরও বর্তমানে একটি চক্র জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রভাকান্ড চালাচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৩ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ভাইকে নির্বাচিত করতে তাঁতীদলের সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে যাবে।

বিআরটিএ সেবা গ্রহিতাদের পদে পদে ভোগান্তি

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫, ৭:১৯ অপরাহ্ণ
বিআরটিএ সেবা গ্রহিতাদের পদে পদে ভোগান্তি

গাড়ির নিবন্ধন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, নম্বর প্লেট লাগানো ও মালিকানা হস্তান্তরসহ সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা পদে পদে ভোগান্তিতে পড়েন বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) চাঁদপুর কার্যালয়ে। এই কার্যালয়ে আসলে দালালদের দেখলে মনে হবে তারা দপ্তরেরই কর্মচারি। কর্মচারিদের সাথে বাহিরের লোকদের যোগসাজসে অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে এই দপ্তর। এই ধরণের অনিয়মের চিত্র দীর্ঘদিনের। কর্তৃপক্ষ বলছে এসব অনিয়ম পর্যায়ক্রমে সমাধান করার চেষ্টা করবেন।

সরেজমিন এই কার্যালয়ে কয়েকদিন অবস্থান করে সেবা নিতে আসা লোকজন, দালাল চক্রের সদস্য ও কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

এই দপ্তরে সরকারি কর্মচারি ৩জন। কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন মটরযান পরিদর্শক এবং অপরজন সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার)। এছাড়া দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক একজন কর্মচারি কাজ করেন। এদের বাহিরে দালাল হিসেবে অফিসের চেয়ার টেবিল ব্যবহার করে কাজ করেন মো. শহীদ, মো. শাহজাহান, মো. মানিক ও মোহাম্মদ আলী।

এসব দালালের বাহিরেও গ্রাহকদের কাছ থেকে কাজ করার বিনিময়ে দালালি করার জন্য আসেন অটোরিকশা চালক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা রিপন ও ট্রাক লরি শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা মন্টু।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক কর্মচারি জিয়া হক হলেন অফিসের সকল অনিয়মের সমন্বয়ক। তাকে সহযোগিতা করেন শহীদ, শাহজাহান, আলী ও মানিক।

মঙ্গলবার ভোরে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে এসেছেন প্রায় দুই শতাধিক সেবা গ্রহীতা। এদের মধ্যে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যাক্তি বলেন, সরকারি ফি পরিশোধ করার পরেও নানা রকম ভুল দেখিয়ে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। দালালদের মাধ্যমে টাকা দিলে খুব সহজেই কাজ হয়ে যায়।

ফরিদগঞ্জ থেকে আসা একজন গ্রাহক বলেন, চাঁদপুরের সুমাইয়া মটরস এর মাধ্যমে তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য ১২ হাজার টাকা দিয়েছেন। তার লাইসেন্সের পাওয়ার ক্ষেত্রে সব কাজ তারা করে দিবেন।

এছাড়াও শহরের যে কয়েকটি মটর সাইকেল বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে, সবগুলোর বিক্রয় কর্মী কিংবা ম্যানেজারই হচ্ছেন এই দপ্তরের দালাল। তারা মটরসাইকেলের নিবন্ধন প্রতি অতিরিক্ত ১ হাজার টাকা দেন বিআরটিএর দপ্তরে। বিআরটিএর কার্যালয়ে হাতেনাতে পাওয়াগেছে শহরের স্টেডিয়াম রোডের হিরো নিলয় মটরসাইকেল সোরুমের ম্যানেজার নয়নকে।

এই বিষয়ে একাধিক মটরসাইকেল বিক্রয় কেন্দ্রের বিক্রয় কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিআরটিএর অফিস অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়ে তারাও প্রতিকার চান।

ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিতে আসা লোকজন প্রতিসপ্তাহের নির্ধারিত দিনে এই কার্যালয়ে আসেন। সেখানে থাকে একাধিক দালাল। নম্বর প্লেট লাগানোর কাজ করেন মোহাম্মদ আলী। তিনি হলেন দালালদের একজন। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কপ্লেক্সের ভেতরে উপআনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো অফিসের পিয়ন এবায়েদুল হক। তিনি ফ্রিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে আসা লোকদের কোন জামেলা ছাড়া লাইসেন্স করে দেয়ার চুক্তি করেন। হাতে নাতে তাকে পাওয়া যাই এই কাজে।

এবায়েদুল হক বলেন, আমি ভোর ৬টায় আসি। এখানে যারা আসেন তাদের কাজের চুক্তি করে দিলে ২০০টাকা করে পাই। তিনি তাৎক্ষনিক সরকারি টেলিফোন ব্যবহার করে দালাল আলীকে নিয়ে আসেন দ্বিতীয় তলায়। আলী সাংবাদিক দেখে কেটে পড়ে।

দুইদিন এই দপ্তরে অবস্থান করলে দপ্তরের অধিকাংশ দালাল স্থান ত্যাগ করে বিভিন্ন স্থানে চলে যায়। দালালদের মধ্যে মানিকের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, আমি এখন কাজ করি না। চিকিৎসার জন্য আসছি। এমনিতে অফিসের সামনে বসে আছি।

দপ্তর ছেড়ে চলে যান দালাল শহীদ। তিনি বলেন, ভাই আমার বিষয়ে কিছু লেইখেন না। আরেক দালাল শাহজাহান। তিনি প্রাইভেটকার দিয়ে পরীক্ষা নেন। সেখানে জনপ্রতি নেন ২০০টাকা। তিনি আবার ক্ষমতাদর আত্মীয় স্বজনের পরিচয় দেন। তাকে দেখলে মনে হবে অফিসের বড় বাবু।

হাতে নাতে ধরা পড়া দালাল মোহাম্মদ আলীকে জিজ্ঞাসা করা হয় আপনি এই দপ্তরের কোন পদে চাকরি করেন। সে এলোমেলো উত্তর দিয়ে কেটে পড়েন। মূলত তিনি কাজ করেন নম্বর প্লেট লাগানোর। সেখানেও লোকদের জিম্মি করে ২০০ টাকার স্থলে নেন ৪০০টাকা।

এই অফিসের দৈনিক হাজিরার কর্মচারি জিয়া হক। সরেজমিন চিত্র ধারণ ও তথ্য নেয়ার সময় তিনি বার বার এই প্রতিবেদককে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। তিনি আরেক সাংবাদিক দিয়ে ফোন করান কেন বিআরটিএর দপ্তরে যাওয়া হয়েছে। সেখানে সাংবাদিকের কাজ কি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই দপ্তরের অনিয়মের চিত্র আনতে গেলে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করেন জিয়া হক। সকল অনিয়মগুলো তার কাছে স্পষ্ট। দালালদের মাধ্যমে জিয়া হকই সকল কাজ সম্পন্ন করেন। তার শক্তি হিসেবে আছে কথিত কয়েকজন সাংবাদিক। তাদের নিজস্ব সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও গাড়ি আছে। সেগুলো নিবন্ধন ছাড়া গাড়ি। তাদের এসব অনিয়ম চাপা রাখার জন্য এই কাজে যুক্ত থাকেন।

জিয়া হক বলেন, আমি কোন অনিয়মে নাই। আমি সবার সাথে খুব ভালো আচরণ করি।

দপ্তরের অধিকাংশ সময় উপস্থিত থাকেন মটরযান পরিদর্শক আলা উদ্দিন। তিনি বলেন, আমি বিগত ৫ মাস আগে এই কার্যালয়ে যোগ দিয়েছি। অনিয়ম থাকতে পারে। তবে আমার চোখে পড়ে না।

বিআরটিএ চাঁদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমি দুই জেলার দায়িত্বে। লক্ষ্মীপুর জেলায় কাজ করতে হয়। আবার চাঁদপুর কার্যালয়ে আসি। এই কার্যালয়ের যেসব অনিয়মের কথা জানতে পেরেছি, খোঁজ খবর নিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করবো।

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে চাঁদপুরে রক্তদান কর্মসূচী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫, ৭:০৩ অপরাহ্ণ
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে চাঁদপুরে রক্তদান কর্মসূচী

বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন উপলক্ষে রক্তদান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রাঙ্গনে চাঁদপুর ডক্টর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর আয়োজনে ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির সহযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্যাহ সেলিম।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব বছর বছর নয়। এই সরকারের দায়িত্ব হলো রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রিত করে নির্বাচন দেয়া। আমরা চাই দ্রুত নির্বাচন দিন। জনগনের প্রতিনিধির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করুন। ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দিন। ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করবেন না। আর যদি বিলম্ব হয় তাহলে এ দেশের জনগণ মেনে নেবে না।

চাঁদপুর ডক্টর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর সভাপতি ডা. মোবারক হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং ড্যাবের সংগঠক ডা. সৈয়দ আহমেদ কাজল ও ডা. নূরে আলমের যৌথ পরিচারনায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের উপাধক্ষ্য ডা. হারুনুর রশীদ, সহকারী পরিচালক ডা. আশ্রাফ আহমেদ চৌধুরী, কাডিলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. মীর মুনতাকিম হায়দার, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল আজিজ প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মুনির চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক শরীফ উদ্দিন পলাশ, চাঁদপুর জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. কোহিনুর রশীদ, সদর উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তার হোসেন সাগর, পৌর বিএনপির সদস্য মীর আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, জেলা যুবদলের সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নুরুল আমিন খান আকাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহার, পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. মাসুদুর রহমান মাঝি, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমান হোসেন গাজী, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সফিউদ্দিন বাবলু, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. জিসান আহমেদ, চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো. সোহেল গাজীসহ আরো অনেকে।